Forums.Likebd.Com

Full Version: জানেন কি, পবিত্র কোরআন হাত থেকে পড়ে গেলে কি করতে হয়?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
আমাদের হাত থেকে বই পড়ে গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সালাম

করি। আবার কারো শরীরে পা লাগলেও তার গা ছঁয়ে সালাম

করি। আবার আল কোরআন হাত থেকে পড়ে গেলে অনেকেই

পবিত্র কোরআনে চুমু খাওয়ার পাশাপাশি কোরআনের ওজন

সমপরিমাণের জিনিস দান করে থাকেন। এই দৃশ্য আমাদের

সবারই জানা। এমন বিষয় দেখলে মনের কোণে প্রশ্নও জাগে বিষয়টা আসলে কি? ধর্মীয় ভাবে কাজটার গুরুত্ব কি?

সালামের সময় যে অবস্থার অবতরন হয় তা সুন্দর ও

নান্দনিক। বই-কিতাবের প্রতি সালাম, কারো শরীরে পা

লেগে গেছে এমন অমার্যাদা থেকে বাঁচার তাগিদে গা ছুঁয়ে

সালামের সংস্কৃতি বিবেকের সুস্থতা ও বিনয়ের প্রকাশ।

অবশ্য কেউ কাজগুলো বিনয়ের মানসিকতা নিয়ে করলে সওয়াব

পাবে।

বিনয় ও সরলতার জন্য কোরআন বলছে, যারা পৃথিবীতে

বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে তারাই আল্লাহ তায়ালার

প্রকৃত বান্দা। সুরা ফোরকান : ৬৩

মহানবী সা. বলেছেন, যদি কেউ আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য বিনয়

অবলম্বন করে তবে আল্লাহ তার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন।

কোরআন শরিফে চুমু খাওয়ার বিধান সরাসরি বর্ণিত না

থাকলেও অনেক সাহাবা কাজটি করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া

যায়। হযরত ওমর রা. এর ব্যাপারে বর্ণিত। তিনি কোরআনুল

কারিমে প্রতিদিন সকালে চুমু খেতেন। আর বলতেন-এটা

আমার রবের নির্দেশনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত। এমনিভাবে

হযরত উসমানও রা. কুরআনে কারিমকে চুমু খেতেন এবং চোখে বুলাতেন। রাদ্দুল মুহতার-৫/২৪৬, তাহতাবি আলা মারাকিল

ফালাহ-২৫৯, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৭/১৪৭ সাহাবি হজরত

ইকরিমা রা. থেকে কোরআনের প্রতি ভক্তি দেখাদে চুমু

খাওয়ার কথা আছে।

তার মানে বিনয়ের সঙ্গে কোরআনুল কারিমে চুমু খাওয়া

আত্মার প্রশান্তি এবং নেক কাজ। একই কাগজে লেখা হয় বই-

কিতাব। সেগুলোর প্রতি মর্যাদার উপলদ্ধি নিসন্দেহে ভালো

কাজ। কারও গায়ে পা লাগা যদিও অসর্তকভাবে হয়ে যায়;

তবে বিনয় প্রকাশের জন্য সালাম করা, চুমু খাওয়া যেতে

পারে। ভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মাঝে হলেও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান পূণ্যের কাজ।