01-20-2017, 10:02 PM
পহেলা বৈশাখ পালন করা কেন হারাম ??
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (তাফসিরসমূহ দেখতে পারেন)
মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করার রীতি ইসলামে নেই, এটা পার্সী মজুসীদের (অগ্নিউপাসক) অুনকরণ। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।”
তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রতেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে--------
১) ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন:
“নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর”। (গ্রন্থ - তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮)
২) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন:
ক) “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান
করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে"
খ) “যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ
করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায়
তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।”
৩) হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর গ্রন্থ ‘আল-ইকনা’ তে বলা হয়েছে-
“কাফিরদের উৎসবে যোগদান করা, সেই দিন উপলক্ষে বেচাবিক্রি করা ও
উপহার বিনিময় করা হারাম”।
উপরক্ত দলিল দেখলে এটা সহজেই বুঝা সম্ভব, থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা নববর্ষ,
পহেলা মুহররম শুধু পালন করা হারাম নয়, বরং ঐ দিবস উপলক্ষে কাউকে শুভেচ্ছা জানানো, কিংবা ঐ দিবসগুলো উপলক্ষে কোন অফার দিলে সেটা গ্রহণ করা, ঐ দিবস
উপলক্ষে কেনাবেচা করা, খাদ্যগ্রহণ করা হারাম ও ক্ষেত্র বিশেষে কুফরী।
আসুন জেনে নেই, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু অপ্রিয় সত্য..........
১) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখের বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। অথচ এটা সৃষ্টি করেছে মঙ্গলীয় বংশোদ্ভূত বাদশাহ আকবর, যার ভাষা ছিলো ফার্সী।
২) পহেলা বৈশাখ হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়, এর সৃষ্টি মাত্র ৪২৯ বছর আগে।
৩) পহেলা বৈশাখ বা বছরের প্রথম দিন নওরোজ পালন মুসলমান জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম।
৪) পহেলা বৈশাখে হিন্দু, অগ্নি উপাসক, উপজাতি ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন পূজা পার্বন রয়েছে, কিন্তু এদিন মুসলমানদের কোন উৎসব নেই।
৫) রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। এর সূচনারকারী বাংলাদেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। উল্লেখ্য, ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর তার লাশের সামনে কুরআন শরীফের বদলে রবীন্দ্র সংগীত পাঠ করা হয় এবং তার লাশ দাফন না করে হাসপাতালে দেওয়া হয়।
৬) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাসায় ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। ভাবেন, এদিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। নাউযুবিল্লাহ। অথচ ইসলামী আকিদ্বা হচ্ছে ১০ই মুহররম উপলক্ষে ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে।
৭) যারা ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বাঙালীর উৎসব বলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, তারা শরীয়ত অনুসারে মুরতাদ হবে। যদি এ মুরতাদ ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ঐ গুনাহ থেকে তওবা না করে, তবে শরীয়ত অনুসারে সে জাহান্নামী হবে।
৮) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। অথচ তারা জানেন না, হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করলে বিয়ে ফাসেদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুনরায় তওবা করে বিয়ে না দোহরালে (এ দোহরানো তালাকের দোহরানোর মত নয়, শুধু স্বাক্ষী রেখে কালেমা পড়তে হয়) স্ত্রী সাথে সম্পর্ক হারাম হয়। এক্ষেত্রে শরীয়ত অনুসারে আগত সন্তান অবৈধ হবে।
৯) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোন বিশেষ সুবিধা, অফার, মূল্যহ্রাস, হলের ডাইনিং এ খাবার গ্রহণ করা যাবে না। গ্রহণ করলে সেও ঐ কুফরী কাজে শরীক হয়ে যাবে।
১০) যারা সাময়িক আনন্দের জন্য, পবিত্র ইসলামের বিধি-নিষেধ ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করে, তাদের মৃ্ত্যুর কথা চিন্তা করা উচিত। মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে এ পহেলা বৈশাখ পালন সম্পর্কে কি জবাব দিবে সেটাও ঐদিনই রেডি করা উচিত।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ। (তাফসিরসমূহ দেখতে পারেন)
মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করার রীতি ইসলামে নেই, এটা পার্সী মজুসীদের (অগ্নিউপাসক) অুনকরণ। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদের দলভুক্ত।”
তাই যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক কিংবা পহেলা মুহররম হোক, বিজাতীয় রীতি হিসেবে প্রতেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে--------
১) ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন:
“নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর”। (গ্রন্থ - তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮)
২) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন:
ক) “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান
করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে"
খ) “যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ
করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায়
তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।”
৩) হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর গ্রন্থ ‘আল-ইকনা’ তে বলা হয়েছে-
“কাফিরদের উৎসবে যোগদান করা, সেই দিন উপলক্ষে বেচাবিক্রি করা ও
উপহার বিনিময় করা হারাম”।
উপরক্ত দলিল দেখলে এটা সহজেই বুঝা সম্ভব, থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা নববর্ষ,
পহেলা মুহররম শুধু পালন করা হারাম নয়, বরং ঐ দিবস উপলক্ষে কাউকে শুভেচ্ছা জানানো, কিংবা ঐ দিবসগুলো উপলক্ষে কোন অফার দিলে সেটা গ্রহণ করা, ঐ দিবস
উপলক্ষে কেনাবেচা করা, খাদ্যগ্রহণ করা হারাম ও ক্ষেত্র বিশেষে কুফরী।
আসুন জেনে নেই, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু অপ্রিয় সত্য..........
১) অনেকে দাবি করে, পহেলা বৈশাখের বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। অথচ এটা সৃষ্টি করেছে মঙ্গলীয় বংশোদ্ভূত বাদশাহ আকবর, যার ভাষা ছিলো ফার্সী।
২) পহেলা বৈশাখ হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়, এর সৃষ্টি মাত্র ৪২৯ বছর আগে।
৩) পহেলা বৈশাখ বা বছরের প্রথম দিন নওরোজ পালন মুসলমান জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম।
৪) পহেলা বৈশাখে হিন্দু, অগ্নি উপাসক, উপজাতি ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন পূজা পার্বন রয়েছে, কিন্তু এদিন মুসলমানদের কোন উৎসব নেই।
৫) রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১৯৬৭ সালে। এর সূচনারকারী বাংলাদেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। উল্লেখ্য, ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর তার লাশের সামনে কুরআন শরীফের বদলে রবীন্দ্র সংগীত পাঠ করা হয় এবং তার লাশ দাফন না করে হাসপাতালে দেওয়া হয়।
৬) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাসায় ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। ভাবেন, এদিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে। নাউযুবিল্লাহ। অথচ ইসলামী আকিদ্বা হচ্ছে ১০ই মুহররম উপলক্ষে ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে।
৭) যারা ইসলাম ধর্মকে পাশ কাটিয়ে বাঙালীর উৎসব বলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, তারা শরীয়ত অনুসারে মুরতাদ হবে। যদি এ মুরতাদ ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ঐ গুনাহ থেকে তওবা না করে, তবে শরীয়ত অনুসারে সে জাহান্নামী হবে।
৮) অনেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। অথচ তারা জানেন না, হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করলে বিয়ে ফাসেদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুনরায় তওবা করে বিয়ে না দোহরালে (এ দোহরানো তালাকের দোহরানোর মত নয়, শুধু স্বাক্ষী রেখে কালেমা পড়তে হয়) স্ত্রী সাথে সম্পর্ক হারাম হয়। এক্ষেত্রে শরীয়ত অনুসারে আগত সন্তান অবৈধ হবে।
৯) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোন বিশেষ সুবিধা, অফার, মূল্যহ্রাস, হলের ডাইনিং এ খাবার গ্রহণ করা যাবে না। গ্রহণ করলে সেও ঐ কুফরী কাজে শরীক হয়ে যাবে।
১০) যারা সাময়িক আনন্দের জন্য, পবিত্র ইসলামের বিধি-নিষেধ ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করে, তাদের মৃ্ত্যুর কথা চিন্তা করা উচিত। মৃত্যুর পর কবরে গিয়ে এ পহেলা বৈশাখ পালন সম্পর্কে কি জবাব দিবে সেটাও ঐদিনই রেডি করা উচিত।