01-21-2017, 10:36 AM
মানুষের কলব বা আত্মা জমিনের মতো। জমিন মিষ্টি ও তিতা সবধরণের ফলের গাছ রোপণের জন্য উপযুক্ত। ঠিক মানুষের অন্তরেও ঈমানদার ও তাগুতের গুণ বহনের পরিবেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানকে তাগুত বর্জন করে খাঁটি ঈমানদার হয়ে তাঁর ইবাদত বন্দেগি করার জন্য কুরআন এবং প্রিয়নবির মাধ্যমে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যে ব্যক্তি তাঁর অন্তরে ঈমান ও তাকওয়ার গাছ লাগাবে সে চিরস্থায়ী স্বাদের ফল পাবে। আর যে তাগুত তথা কুফরি, অজ্ঞতা ও পাপের গাছ লাগাবে সে চিরস্থায়ী দুঃখ ও অনিষ্টের ফল পাবে।
যেহেতু আল্লাহ তাআলা শুধুমাত্র মানুষ ও জিনকে তাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং বান্দার উচিত ইবাদত-বন্দেগির সময় উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। যা তুলে ধরা হলো-
>> আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি করার সময় বান্দা তাঁর প্রতিপালকের পরিচয় এবং তাঁর ওয়াজিব কার্যাবলী জেনে-বুঝে ইবাদত করা। অর্থাৎ আল্লাহর ব্যাপারে বান্দা জ্ঞানে অজ্ঞতা দেখানো, কাজে অবহেলা প্রদর্শন করা, প্রবৃত্তির ত্রুটি, তাঁর হকে শিথিলতা ও লেন-দেনে জুলুম করেন তা স্বীকার করে তার ইবাদাত করা।
>> বান্দা যখন কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা নেকির কাজ করে তখন তার এ রকম মনোভাব পোষণ করা জরুরি যে, এ ইবাদত তথা নেকির কাজ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ। যদি আল্লাহ তাআলা এ ইবাদত তথা নেকির কাজ কবুল করে নেন তাহলে তা হবে বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুগ্রহ। আর যদি এ কাজকে দ্বিগুণ বর্ধিত করেন তাহলে তা হবে তৃতীয় অনুগ্রহ। তাই প্রত্যেক বান্দার উচিত প্রতিটি নেক কাজ করার সময় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা জরুরি।
>> বান্দা কোনো পাপ করলে তাকে মনে করতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে ছেড়ে দিয়েছেন এবং তার হেফাজতের রশি বা বন্ধন কেটে ফেলেছেন। বান্দার পাপের জন্য তাকে পাকড়াও করা আল্লাহ তাআলার ইনসাফ। পাকড়াও না করা আল্লাহর অনুগ্রহ। এ জন্য তাঁর ইহসান ও অনুকম্পার প্রত্যাশী হওয়া।
>> দুনিয়ার সব মানুষের জন্য এ কথা স্বীকার করা আবশ্যক যে, সৃষ্টিগত ও শরিয়তগতভাবে সবাই আল্লাহ তাআলার বান্দা। তিনিই সৃষ্টিকর্তা, মালিক, সকল বিষয়ের মহাব্যবস্থাপক। আল্লাহর ইচ্ছাতে বান্দার ধনী-গরিব, হেদায়াত-গোমরাহ তথা সর্বপ্রকার চাওয়া-পাওয়া পরিপূর্ণতা লাভ হয়।
যেহেতু আল্লাহ তাআলা শুধুমাত্র মানুষ ও জিনকে তাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং বান্দার উচিত ইবাদত-বন্দেগির সময় উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। যা তুলে ধরা হলো-
>> আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি করার সময় বান্দা তাঁর প্রতিপালকের পরিচয় এবং তাঁর ওয়াজিব কার্যাবলী জেনে-বুঝে ইবাদত করা। অর্থাৎ আল্লাহর ব্যাপারে বান্দা জ্ঞানে অজ্ঞতা দেখানো, কাজে অবহেলা প্রদর্শন করা, প্রবৃত্তির ত্রুটি, তাঁর হকে শিথিলতা ও লেন-দেনে জুলুম করেন তা স্বীকার করে তার ইবাদাত করা।
>> বান্দা যখন কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা নেকির কাজ করে তখন তার এ রকম মনোভাব পোষণ করা জরুরি যে, এ ইবাদত তথা নেকির কাজ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ। যদি আল্লাহ তাআলা এ ইবাদত তথা নেকির কাজ কবুল করে নেন তাহলে তা হবে বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুগ্রহ। আর যদি এ কাজকে দ্বিগুণ বর্ধিত করেন তাহলে তা হবে তৃতীয় অনুগ্রহ। তাই প্রত্যেক বান্দার উচিত প্রতিটি নেক কাজ করার সময় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা জরুরি।
>> বান্দা কোনো পাপ করলে তাকে মনে করতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে ছেড়ে দিয়েছেন এবং তার হেফাজতের রশি বা বন্ধন কেটে ফেলেছেন। বান্দার পাপের জন্য তাকে পাকড়াও করা আল্লাহ তাআলার ইনসাফ। পাকড়াও না করা আল্লাহর অনুগ্রহ। এ জন্য তাঁর ইহসান ও অনুকম্পার প্রত্যাশী হওয়া।
>> দুনিয়ার সব মানুষের জন্য এ কথা স্বীকার করা আবশ্যক যে, সৃষ্টিগত ও শরিয়তগতভাবে সবাই আল্লাহ তাআলার বান্দা। তিনিই সৃষ্টিকর্তা, মালিক, সকল বিষয়ের মহাব্যবস্থাপক। আল্লাহর ইচ্ছাতে বান্দার ধনী-গরিব, হেদায়াত-গোমরাহ তথা সর্বপ্রকার চাওয়া-পাওয়া পরিপূর্ণতা লাভ হয়।