01-22-2017, 11:19 PM
রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ
বলেছেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে
পথে আমরা হাটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ
আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায়
উন্নত দেশ হিসেবে আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত
হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার
‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আসছে।’ এ
কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
কাছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও মনে করেন
রাষ্ট্রপতি।
দশম জাতীয় সংসদের ২০১৭ সালের প্রথম
অধিবেশনে (শীতকালীন) রোববার সন্ধ্যায়
রাষ্ট্রপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর
আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু
হয়।
সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর
দিন রাষ্ট্রপতি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক
কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পরে
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের
উপর আলোচনা হয়। এজন্য এ অধিবেশনের
কার্যদিবস দীর্ঘ হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে সরকারের নানা
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন,
‘রূপকল্প-২০২১ এবং দিনবদলের সনদের
ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন
কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং এ কার্যক্রমে জনগণের
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থ-সামাজিক
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নও
শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ
জয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে
পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি
উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে, এটাই
জাতির প্রত্যাশা।’
মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ
দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্খার
কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক
ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে
একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমতসহিঞ্চুতা,
মানবাধিকার ও আইনের শাসন সংসংহতকরণ
এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাংখা
বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি
বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে
হবে। আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের
প্রতিষ্ঠান এই মহান জাতীয় সংসদে সরকারি
দল এবং বিরোধী দলসহ সকলকে যথাযথ ও
কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য
থেকে জাতির অগ্রযাত্রার আকাংখাকে
বাস্তবরূপ দিতে বর্তমান সরকারের প্রয়াস
অব্যাহত রয়েছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের
বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জল স্বাধীনতা
সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জল রাখতে,
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে, দেশ থেকে
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে
এবং শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে
বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস
গ্রহণ করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের
বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ
করে আসছে। এ কারণে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি
দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি
পেয়েছে। বিগত মেয়াদে গৃহীত কার্যক্রমের
ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে
সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে
দেশে নাশকতার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে
এসেছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সকল
সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সামাজিক সূচকসমূহের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ
প্রতিবেশি দেশসমূহের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে
এগিয়ে গেছে।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে দেওয়া বক্তব্যে
রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক
কর্মকাণ্ড এবং দেশ পরিচালনার ভুয়সি
প্রশংসা করেন।
বলেছেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে
পথে আমরা হাটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ
আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায়
উন্নত দেশ হিসেবে আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত
হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার
‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আসছে।’ এ
কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
কাছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও মনে করেন
রাষ্ট্রপতি।
দশম জাতীয় সংসদের ২০১৭ সালের প্রথম
অধিবেশনে (শীতকালীন) রোববার সন্ধ্যায়
রাষ্ট্রপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর
আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু
হয়।
সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর
দিন রাষ্ট্রপতি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক
কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পরে
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের
উপর আলোচনা হয়। এজন্য এ অধিবেশনের
কার্যদিবস দীর্ঘ হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে সরকারের নানা
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন,
‘রূপকল্প-২০২১ এবং দিনবদলের সনদের
ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন
কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং এ কার্যক্রমে জনগণের
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থ-সামাজিক
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নও
শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ
জয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে
পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি
উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে, এটাই
জাতির প্রত্যাশা।’
মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ
দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্খার
কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক
ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে
একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমতসহিঞ্চুতা,
মানবাধিকার ও আইনের শাসন সংসংহতকরণ
এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাংখা
বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি
বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে
হবে। আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের
প্রতিষ্ঠান এই মহান জাতীয় সংসদে সরকারি
দল এবং বিরোধী দলসহ সকলকে যথাযথ ও
কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য
থেকে জাতির অগ্রযাত্রার আকাংখাকে
বাস্তবরূপ দিতে বর্তমান সরকারের প্রয়াস
অব্যাহত রয়েছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের
বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জল স্বাধীনতা
সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জল রাখতে,
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে, দেশ থেকে
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে
এবং শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে
বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস
গ্রহণ করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের
বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ
করে আসছে। এ কারণে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি
দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি
পেয়েছে। বিগত মেয়াদে গৃহীত কার্যক্রমের
ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে
সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে
দেশে নাশকতার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে
এসেছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সকল
সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সামাজিক সূচকসমূহের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ
প্রতিবেশি দেশসমূহের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে
এগিয়ে গেছে।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে দেওয়া বক্তব্যে
রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক
কর্মকাণ্ড এবং দেশ পরিচালনার ভুয়সি
প্রশংসা করেন।