01-23-2017, 10:17 AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জন ট্রাম্পের শপথের দিনই বিক্ষোভ হয়েছে। পরদিন আরো বড় বিক্ষোভ বিশেষ করে নারীদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়াকে ঘিরে এমন আন্দোলন নিকট অতীতে হয়েছে বলে মনে পড়ে না। এটি কত দূর গড়ায় তা আমাদের দেখতে হবে। তবে অবশ্যই এটি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ এবং যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর যে সংস্কৃতি আছে এটি তারই অংশ। আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ওই দেশটির যে মূল্যবোধগুলো আছে সেগুলো হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে। এটি ট্রাম্পের জন্য একটি বড় বার্তা।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের বক্তব্য আমি শুনেছি। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্প যে আমেরিকার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বা যে আমেরিকা গড়ার কথা বলছেন এটি প্রকৃত আমেরিকা নয়। বরং যুগ যুগ ধরে তাঁরা যে সংস্কৃতি, মূল্যবোধ লালন করে এসেছেন সেটিই প্রকৃত আমেরিকা।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ফলে আমেরিকার গণতন্ত্র, পরস্পরকে সম্মান জানানোর রীতি, সবাইকে নিয়ে চলার সংস্কৃতি—এগুলো হুমকিতে পড়ছে। এই আন্দোলন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। কারণ ব্যক্তি ট্রাম্পের নীতি নিয়ে অনেকেরই উদ্বেগ আছে। এই আন্দোলন হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকদের ওপর প্রভাব ফেলবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শদাতারাও জানবেন যে নতুন প্রেসিডেন্টের নীতিগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাইরে কতটা উদ্বেগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে বহির্বিশ্বে কী প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা কঠিন। তবে তিনি যে অন্তর্মুখী, বিচ্ছিন্নতার নীতি অনুসরণ করার কথা বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরোধিতা করেছেন—এগুলো বাস্তবায়ন করলে সারা বিশ্বেই অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও।
ড. আমেনা মহসিন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক।
(শ্রতি লিখন : মেহেদী হাসান)
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের বক্তব্য আমি শুনেছি। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্প যে আমেরিকার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বা যে আমেরিকা গড়ার কথা বলছেন এটি প্রকৃত আমেরিকা নয়। বরং যুগ যুগ ধরে তাঁরা যে সংস্কৃতি, মূল্যবোধ লালন করে এসেছেন সেটিই প্রকৃত আমেরিকা।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ফলে আমেরিকার গণতন্ত্র, পরস্পরকে সম্মান জানানোর রীতি, সবাইকে নিয়ে চলার সংস্কৃতি—এগুলো হুমকিতে পড়ছে। এই আন্দোলন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হচ্ছে। কারণ ব্যক্তি ট্রাম্পের নীতি নিয়ে অনেকেরই উদ্বেগ আছে। এই আন্দোলন হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকদের ওপর প্রভাব ফেলবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শদাতারাও জানবেন যে নতুন প্রেসিডেন্টের নীতিগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাইরে কতটা উদ্বেগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে বহির্বিশ্বে কী প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা কঠিন। তবে তিনি যে অন্তর্মুখী, বিচ্ছিন্নতার নীতি অনুসরণ করার কথা বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরোধিতা করেছেন—এগুলো বাস্তবায়ন করলে সারা বিশ্বেই অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও।
ড. আমেনা মহসিন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক।
(শ্রতি লিখন : মেহেদী হাসান)