01-24-2017, 11:08 AM
অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনমিলন বা সহবাস করার পর এককভাবে ছেলেদের উপর দায়ভার চাপালে এখন থেকে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা আনা হলেও আদালতে তা খারিজ করে দেওয়া হবে মর্মে রায় দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত।
আদালতের রায়ে জানা গেছে, বিয়ের আগে যৌনমিলন করার পর প্রতিশ্রুতি ভাঙলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা সঙ্গী। কিন্তু এক্ষেত্রে কি মহিলা সঙ্গীটির কোনও দায়ই থাকে না?
একটি মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সেই প্রশ্নই তুলে দিলো মুম্বাই হাইকোর্ট। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে নিজের ২১ বছর বয়সি পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন এক যুবতী।
মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর বলেন, যে কোনও ধর্ষণের অভিযোগেই বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রলোভন হিসেবে ধরা যায় না। কোনও শিক্ষিত মহিলা যদি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন, তাহলে নিজের সিদ্ধান্তের দায়ও তাকেই নিতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি আদায় করাকে অবশ্যই অন্যতম বিচার্য্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা উচিত। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু রেকর্ড থাকা দরকার যাতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয় যে এমন কিছু প্রলোভন দেখানো হয়েছে, যাতে কেউ শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেও সম্মতি দেয়। কিন্তু এই ধরনের মামলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রলোভন বলা যায় না।’
মামলার রায় দিতে গিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মেয়েদের উপরে তার প্রভাবের কথাও টেনে এনেছেন বিচারপতি ভাটকর। তিনি বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটাই বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ের আগে পর্যন্ত কুমারিত্ব রক্ষা করা একটি মেয়েরই দায়িত্ব। কিন্তু আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন ধারণার আদান প্রদান হয় এবং যৌনতা সম্পর্কেও তাঁরা অনেক বেশি ওয়াকিবহল।’
রায় পড়তে গিয়ে আদালতের বিচারক ভাটকর এও বলেন, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে উদারতা এলেও বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কটা এখনও নিষিদ্ধ হিসেবেই ধরা হয়। এই পরিস্থিতিতে কোনও মহিলা কোনও পুরুষকে ভালবাসলে এটা ভুলে যায় যে, শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করাটা নিজের পুরুষ সঙ্গীর মতোই তাঁর ইচ্ছার উপরেও সমানভাবে নির্ভরশীল। ফলে নিজের এই সিদ্ধান্তের দায়ভার মহিলা নিতে চান না।’
এই প্রসঙ্গেই আদালত জানায়, সম্পর্ক ভেঙে গেলেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে মেয়েটির কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির জীবন এবং স্বাধীনতার দিকটিও নিরেপক্ষভাবে বিচার করা উচিত আদালতের। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে অতীতে আদালতের দেওয়া একই ধরনের নির্দেশও তুলে ধরেন বিচারপতি। সেই নির্দেশগুলোতেও বলা হয়েছিল, কোনও মহিলা শিক্ষিত এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ের আগে সহবাসের পরিণতি তাঁরও জানা উচিত।
আদালতের রায়ে জানা গেছে, বিয়ের আগে যৌনমিলন করার পর প্রতিশ্রুতি ভাঙলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা সঙ্গী। কিন্তু এক্ষেত্রে কি মহিলা সঙ্গীটির কোনও দায়ই থাকে না?
একটি মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সেই প্রশ্নই তুলে দিলো মুম্বাই হাইকোর্ট। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে নিজের ২১ বছর বয়সি পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন এক যুবতী।
মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর বলেন, যে কোনও ধর্ষণের অভিযোগেই বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রলোভন হিসেবে ধরা যায় না। কোনও শিক্ষিত মহিলা যদি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন, তাহলে নিজের সিদ্ধান্তের দায়ও তাকেই নিতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি আদায় করাকে অবশ্যই অন্যতম বিচার্য্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা উচিত। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু রেকর্ড থাকা দরকার যাতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয় যে এমন কিছু প্রলোভন দেখানো হয়েছে, যাতে কেউ শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেও সম্মতি দেয়। কিন্তু এই ধরনের মামলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রলোভন বলা যায় না।’
মামলার রায় দিতে গিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মেয়েদের উপরে তার প্রভাবের কথাও টেনে এনেছেন বিচারপতি ভাটকর। তিনি বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটাই বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ের আগে পর্যন্ত কুমারিত্ব রক্ষা করা একটি মেয়েরই দায়িত্ব। কিন্তু আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন ধারণার আদান প্রদান হয় এবং যৌনতা সম্পর্কেও তাঁরা অনেক বেশি ওয়াকিবহল।’
রায় পড়তে গিয়ে আদালতের বিচারক ভাটকর এও বলেন, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে উদারতা এলেও বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কটা এখনও নিষিদ্ধ হিসেবেই ধরা হয়। এই পরিস্থিতিতে কোনও মহিলা কোনও পুরুষকে ভালবাসলে এটা ভুলে যায় যে, শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করাটা নিজের পুরুষ সঙ্গীর মতোই তাঁর ইচ্ছার উপরেও সমানভাবে নির্ভরশীল। ফলে নিজের এই সিদ্ধান্তের দায়ভার মহিলা নিতে চান না।’
এই প্রসঙ্গেই আদালত জানায়, সম্পর্ক ভেঙে গেলেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার প্রবণতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে মেয়েটির কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির জীবন এবং স্বাধীনতার দিকটিও নিরেপক্ষভাবে বিচার করা উচিত আদালতের। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে অতীতে আদালতের দেওয়া একই ধরনের নির্দেশও তুলে ধরেন বিচারপতি। সেই নির্দেশগুলোতেও বলা হয়েছিল, কোনও মহিলা শিক্ষিত এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ের আগে সহবাসের পরিণতি তাঁরও জানা উচিত।