01-24-2017, 11:09 AM
অনলাইন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে শ্রীলক্ষ্ণী সতীশ নামে এক ভারতীয় যুবতীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপদে পড়েছে স্থানীয় এক যুবক। দেশটির কেরালা রাজ্যে শ্রী লক্ষ্মীর কাছে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আসে- ‘তোমার রেট কত?’, ‘কী ভাবে তোমার সঙ্গে দেখা হতে পারে?’, ‘আমি তোমার জন্য হোটেলে ঘর বুক করব?’
এরপরই বেজায় চটে যান শ্রীলক্ষ্মী। স্থানীয় একটি শিক্ষা সংগঠনের সিইও শ্রীলক্ষ্ণী সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করার মেয়ে নন। তিনি পাল্টা ফোন করেন মেসেজ প্রেরণকারী একটি নম্বরে। যে পুরুষ ফোনটি ধরেছিলেন, তাঁকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দেন শ্রীলক্ষ্মী এবং ফেসবুকে নিজের আসল প্রোফাইলটিরও তথ্য দেন। সেই পুরুষ নিজের ভুল বুঝতে পেরে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন শ্রীলক্ষ্মীর কাছে।
শ্রীলক্ষ্মী জানতে চান, তাকে হঠাৎ এমন মেসেজ কেন পাঠালেন আর নম্বরই বা কোথা থেকে পেলেন? ওই পুরুষ তখন ফাঁস করে দেন রহস্য। জানা যায়, নিজের এক বন্ধুর কাছেই শ্রীলক্ষ্মীর নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ওই বন্ধুই নাকি শ্রীলক্ষ্মীকে ‘সুপার আইটেম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন হোয়াটস অ্যাপে। নিজেদের সেই হোয়াটস অ্যাপ কনভারসেশনের স্ক্রিন শট-ও পাঠান তিনি প্রমাণ হিসেবে।
শ্রীলক্ষ্মী বুঝতে পারেন, তাঁর পরিচিত এক পুরুষই অবাঞ্ছিত ভাবে তাঁর নম্বর ছড়িয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছেলেটি আবার স্থানীয় রাজনৈতিক দলে সদস্য, এবং বাস্তবে সেই ছেলে শ্রীলক্ষ্ণীকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে। কিন্তু সেই যুবকের রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব দেননি শ্রীলক্ষ্মী। তিনি সোজা থানায় এফআইআর করেন ওই যুবকের নামে।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেন ওই রাজনৈতিক দলের অন্যান্য স্থানীয় সদস্যরা। তাঁরা শ্রীলক্ষ্মীকে অনুরোধ করেন, পুলিশে করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে তরুণীর মন গলেনি। তখন ওই যুবকের বাবা শ্রীলক্ষ্মীকে ২৫ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়ার চেষ্টা করেন। বলেন, টাকাটা নিয়ে তিনি যেন কেস উইথড্র করে নেন। শ্রীলক্ষ্মী জানান, কেস তিনি তুলে নিতে পারেন। কিন্তু টাকাটা তিনি নেবেন না। বরং যুবকের বাবাকে টাকাটা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সঙ্গগঠনকে দিয়ে রসিদ নিয়ে এসে দেখাতে হবে। বিপাকে পড়া ভদ্রলোক তেমনটাই করেন।
সেই রসিদের ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন শ্রীলক্ষ্মী। বিবৃত করেন গোটা ঘটনাটাও। তার পরেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যায় শ্রীলক্ষ্মীর ফেসবুক ওয়াল। সবাই শ্রীলক্ষ্মীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন তাঁর ব্যতিক্রমী ও সাহসী পদক্ষেপের জন্য।
এরপরই বেজায় চটে যান শ্রীলক্ষ্মী। স্থানীয় একটি শিক্ষা সংগঠনের সিইও শ্রীলক্ষ্ণী সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করার মেয়ে নন। তিনি পাল্টা ফোন করেন মেসেজ প্রেরণকারী একটি নম্বরে। যে পুরুষ ফোনটি ধরেছিলেন, তাঁকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দেন শ্রীলক্ষ্মী এবং ফেসবুকে নিজের আসল প্রোফাইলটিরও তথ্য দেন। সেই পুরুষ নিজের ভুল বুঝতে পেরে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন শ্রীলক্ষ্মীর কাছে।
শ্রীলক্ষ্মী জানতে চান, তাকে হঠাৎ এমন মেসেজ কেন পাঠালেন আর নম্বরই বা কোথা থেকে পেলেন? ওই পুরুষ তখন ফাঁস করে দেন রহস্য। জানা যায়, নিজের এক বন্ধুর কাছেই শ্রীলক্ষ্মীর নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ওই বন্ধুই নাকি শ্রীলক্ষ্মীকে ‘সুপার আইটেম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন হোয়াটস অ্যাপে। নিজেদের সেই হোয়াটস অ্যাপ কনভারসেশনের স্ক্রিন শট-ও পাঠান তিনি প্রমাণ হিসেবে।
শ্রীলক্ষ্মী বুঝতে পারেন, তাঁর পরিচিত এক পুরুষই অবাঞ্ছিত ভাবে তাঁর নম্বর ছড়িয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছেলেটি আবার স্থানীয় রাজনৈতিক দলে সদস্য, এবং বাস্তবে সেই ছেলে শ্রীলক্ষ্ণীকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে। কিন্তু সেই যুবকের রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ব দেননি শ্রীলক্ষ্মী। তিনি সোজা থানায় এফআইআর করেন ওই যুবকের নামে।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেন ওই রাজনৈতিক দলের অন্যান্য স্থানীয় সদস্যরা। তাঁরা শ্রীলক্ষ্মীকে অনুরোধ করেন, পুলিশে করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে তরুণীর মন গলেনি। তখন ওই যুবকের বাবা শ্রীলক্ষ্মীকে ২৫ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়ার চেষ্টা করেন। বলেন, টাকাটা নিয়ে তিনি যেন কেস উইথড্র করে নেন। শ্রীলক্ষ্মী জানান, কেস তিনি তুলে নিতে পারেন। কিন্তু টাকাটা তিনি নেবেন না। বরং যুবকের বাবাকে টাকাটা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সঙ্গগঠনকে দিয়ে রসিদ নিয়ে এসে দেখাতে হবে। বিপাকে পড়া ভদ্রলোক তেমনটাই করেন।
সেই রসিদের ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন শ্রীলক্ষ্মী। বিবৃত করেন গোটা ঘটনাটাও। তার পরেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে যায় শ্রীলক্ষ্মীর ফেসবুক ওয়াল। সবাই শ্রীলক্ষ্মীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন তাঁর ব্যতিক্রমী ও সাহসী পদক্ষেপের জন্য।