Forums.Likebd.Com

Full Version: শিশুটি কি পারবে ট্রাম্পের মন গলাতে?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
অনলাইন ডেস্ক: বয়স তার সবে ৭, কিন্তু এই ৭ বছর বয়সেই তার সমাজ সচেতনতা অন্য অনেকের থেকে অনেক বেশি। আলেপ্পো থেকে করা তার একটা টুইট ঝড় তুলেছিল বিশ্বে।

চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল সিরিয়ায় ‘বিপর্যস্ত শৈশবের’ নিদারুণ করুণ ছবিটা। সেই ব্যানা অ্যালাবেড এবার সোজাসুজি চিঠি লিখল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চিঠিতে তার সাফ ও স্পষ্ট বক্তব্য একটাই, ‘সিরিয়ার শিশুরাও আপনার সন্তানেরই মতন। সিরিয়ার শিশুদের জন্য কিছু করুন।’

দীর্ঘ ৬টা বছর। রক্তাক্ত সিরিয়া। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ হাজার শিশু। গত ডিসেম্বরে আলেপ্পো থেকে পালিয়ে টার্কিতে আসে ব্যানার পরিবার।

যুদ্ধবিধ্বস্ত আলেপ্পোর যে ছবি, ব্যানার টুইটের মাধ্যমে সামনে আসে, তা দেখে শিউরে উঠেছিল সারা বিশ্ব। চিঠিতে বিশ্বের একনম্বর শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপতিকে ব্যানা লিখেছে, ‘আমি এক হতভাগ্য সিরিয়ান শিশু। সিরিয়ার শিশুরা আপনার নিজের সন্তানের মতই। ওদের জন্য আপনার অতি অবশ্যই কিছু করা উচিত। সিরিয়ার শিশুদের জন্য ভাবুন। আপনি যেরকম শান্তিতে আছেন, ঠিক একইরকম শান্তিতে বসবাসের অধিকার আছে সিরিয়ার শিশুদেরও।’

টিভিতে দেখেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিনেছে ব্যানা। আর তারপরই তাকে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যানা। জানিয়েছেন ব্যানার মা। বোমারু বিমানের আঘাতে আলেপ্পোয় ধ্বংস হয়ে গেছে ব্যানার স্কুল। মারা গেছে ব্যানার অনেক বন্ধু। আর এইসব কিছু দেখেই গর্জে ওঠার সিদ্ধান্ত নেয় ৭ বছরের শৈশব।

তবে সিরিয়ার শিশুদের জন্য ট্রাম্প ‘কিছু করার প্রতিশ্রুতি’ দিলে, তার দিকে ‘বন্ধুত্বের হাত’ বাড়িয়ে দেবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে ব্যানা। যদিও ট্রাম্প সেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন কিনা বা দেবেন কিনা, হোয়াইট হাউস সূত্রে তা এখনও জানা যায়নি।-জিনিউজ