02-06-2017, 02:43 PM
প্রবাদ আছে বাঙালি নারী স্বামী আর গয়না এই দুই জিনিসের ভাগ দিতে চায়না। তা এই কথা সত্য হোক কিংবা মিথ্যা, গয়নার সাথে বাঙালি নারীর সম্পর্ক যুগ যুগান্তরের।
একটা সময় বাংলার গ্রাম বাংলায় নারীদের গয়না বলতে ছিলো পায়ের মল, হাতের বাজু আর কোমরের বিছা। এসব গয়নার সিংহভাগই তৈরি হত রুপা দিয়ে। আজ আমাদের আয়োজনবাঙালি নারীর সাজে রুপার গয়না নিয়ে।
শুরুর দিকের কথা:
যেমনটা বলছিলাম খানিক আগে। একটা সময় বাঙালি নারীদের গয়নায় রুপার দাপট ছিলো বেশ। সৌন্দর্য, আভিজাত্য আর সাজসজ্জায় রুপা ছিলো তাদের ভরসা। নানান বাহারী নকশা আঁকা রুপার গয়না শোভা পেত গয়না ভালোবাসেন এমন নারীদের অঙ্গে। শুধু কি তাই? জমিদার বাড়িতে পানদানী, ফুলদানী সবকিছুতেই ছিলো রুপার ব্যবহার।
কালের বিবর্তনে রুপার গয়না:
ধীরে ধীরে রুপার জায়গা দখল করে নিয়েছিলো সোনা, মেটাল এবং বিভন্ন পাথরের গয়না। রুপার বাজারে তখন একটু ভাটাই পড়েছিলো বলা চলে। কিন্তু সময় ঘুরে আবারও নারীর পছন্দের শীর্ষে চলে এসেছে রুপার গয়না।
শাড়ি কিংবা ফতুয়া, সাধারন অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে বাড়ি, বর্ষা কিংবা হেমন্ত সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে রুপার গয়নার জুড়ি নেই। আর তাইতো বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় এখন অবস্থান করে রুপার তৈরি সব গহনা।
অনেকে আবার রুপার গয়নায় গোল্ড প্লেটের কাজ করিয়ে গয়নায় আনছেন নতুনত্ব। ভারী কাজের গয়না হিসেবে গোল্ড প্লেটের কাজ করা রুপার গয়না বেশ চলছে এখন।
কোথায় পাবেন, কেমন দামে:
রুপার গয়না বললেই প্রথমে চলে আছে দেশি হাউজ আড়ং এর কথা। নানা ধরনের, নানা বাহারের রুপার গয়না পাবেন এখানে। রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গয়না পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর।
ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স এ পাবেন আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়না। এই ফ্যাশন হাউসের গয়নার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, ইস্টার্ন মল্লিকা, মেট্রো শপিং মলেও পাবেন রুপার গয়না। আর চাইলে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন রুপার গয়না।
ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রুপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
গয়নার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ গয়নার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।
রুপার গয়নার যত্নে জানা উচিৎ যে বিষয়গুলো:
শখ করে রুপার গয়না বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পরই তা কালো হয়ে গেল। নিশ্চয়ই তখন মন খারাপ হবে আপনার। এর চেয়ে বরং জেনে নিন কি করে রুপার গয়নার যত্ন নিবেন।
*বাইরের থেকে ফিরে এসেই রুপার গয়নাকে বাক্সে রেখে দিবেন না। বরং কিছুটা সময় বাইরে বাতাসে রাখুন। এরপর ট্যিসু পেচিয়ে সুন্দর করে রাখুন।
*অন্যান্য গয়নার সাথে রুপার গয়নাগুলো না রেখে সেগুলোকে আলাদা রাখুন। সোনা আর রুপার গয়না একসাথে রাখলে রুপার বর্ন কালচে হয়ে যায়।
*রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তেতুল গুলে নিয়ে সেই পানিতে গয়না ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
*হালকা গরম পানিতে সাদা টুথপেস্ট গুলিয়ে গয়না পরিষ্কার করুন। কালচেভাব চলে যাবে।
*গোল্ড প্লেটেড গয়না কালো হয়ে গেলে সোনার দোকান থেকে রঙ করিয়ে নিন।
*হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়েও রুপার গয়না পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে।
সাজে এবং সৌন্দর্যে রুপার গয়না জায়গা করে নিয়েছে নিজের গুনে। বাঙালি নারীর পছন্দে তাই রুপার গয়নার অবস্থান শীর্ষে।
একটা সময় বাংলার গ্রাম বাংলায় নারীদের গয়না বলতে ছিলো পায়ের মল, হাতের বাজু আর কোমরের বিছা। এসব গয়নার সিংহভাগই তৈরি হত রুপা দিয়ে। আজ আমাদের আয়োজনবাঙালি নারীর সাজে রুপার গয়না নিয়ে।
শুরুর দিকের কথা:
যেমনটা বলছিলাম খানিক আগে। একটা সময় বাঙালি নারীদের গয়নায় রুপার দাপট ছিলো বেশ। সৌন্দর্য, আভিজাত্য আর সাজসজ্জায় রুপা ছিলো তাদের ভরসা। নানান বাহারী নকশা আঁকা রুপার গয়না শোভা পেত গয়না ভালোবাসেন এমন নারীদের অঙ্গে। শুধু কি তাই? জমিদার বাড়িতে পানদানী, ফুলদানী সবকিছুতেই ছিলো রুপার ব্যবহার।
কালের বিবর্তনে রুপার গয়না:
ধীরে ধীরে রুপার জায়গা দখল করে নিয়েছিলো সোনা, মেটাল এবং বিভন্ন পাথরের গয়না। রুপার বাজারে তখন একটু ভাটাই পড়েছিলো বলা চলে। কিন্তু সময় ঘুরে আবারও নারীর পছন্দের শীর্ষে চলে এসেছে রুপার গয়না।
শাড়ি কিংবা ফতুয়া, সাধারন অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে বাড়ি, বর্ষা কিংবা হেমন্ত সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে রুপার গয়নার জুড়ি নেই। আর তাইতো বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় এখন অবস্থান করে রুপার তৈরি সব গহনা।
অনেকে আবার রুপার গয়নায় গোল্ড প্লেটের কাজ করিয়ে গয়নায় আনছেন নতুনত্ব। ভারী কাজের গয়না হিসেবে গোল্ড প্লেটের কাজ করা রুপার গয়না বেশ চলছে এখন।
কোথায় পাবেন, কেমন দামে:
রুপার গয়না বললেই প্রথমে চলে আছে দেশি হাউজ আড়ং এর কথা। নানা ধরনের, নানা বাহারের রুপার গয়না পাবেন এখানে। রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গয়না পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর।
ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স এ পাবেন আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়না। এই ফ্যাশন হাউসের গয়নার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, ইস্টার্ন মল্লিকা, মেট্রো শপিং মলেও পাবেন রুপার গয়না। আর চাইলে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন রুপার গয়না।
ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রুপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
গয়নার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ গয়নার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।
রুপার গয়নার যত্নে জানা উচিৎ যে বিষয়গুলো:
শখ করে রুপার গয়না বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পরই তা কালো হয়ে গেল। নিশ্চয়ই তখন মন খারাপ হবে আপনার। এর চেয়ে বরং জেনে নিন কি করে রুপার গয়নার যত্ন নিবেন।
*বাইরের থেকে ফিরে এসেই রুপার গয়নাকে বাক্সে রেখে দিবেন না। বরং কিছুটা সময় বাইরে বাতাসে রাখুন। এরপর ট্যিসু পেচিয়ে সুন্দর করে রাখুন।
*অন্যান্য গয়নার সাথে রুপার গয়নাগুলো না রেখে সেগুলোকে আলাদা রাখুন। সোনা আর রুপার গয়না একসাথে রাখলে রুপার বর্ন কালচে হয়ে যায়।
*রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তেতুল গুলে নিয়ে সেই পানিতে গয়না ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
*হালকা গরম পানিতে সাদা টুথপেস্ট গুলিয়ে গয়না পরিষ্কার করুন। কালচেভাব চলে যাবে।
*গোল্ড প্লেটেড গয়না কালো হয়ে গেলে সোনার দোকান থেকে রঙ করিয়ে নিন।
*হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়েও রুপার গয়না পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে।
সাজে এবং সৌন্দর্যে রুপার গয়না জায়গা করে নিয়েছে নিজের গুনে। বাঙালি নারীর পছন্দে তাই রুপার গয়নার অবস্থান শীর্ষে।