Forums.Likebd.Com

Full Version: বিদেশে উচ্চশিক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
বাংলাদেশে অনেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী। কিন্তু প্রায়ই কিছু বিষয় না জানার কারণে অনেকে বিভ্রিন্ত হন। তাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা জরুরি। তাহলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সঠিক সময়ে সঠিক সিধান্ত নিতে সমস্যা হবেো না। জেনে নিন বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-

প্রস্তুতি নিন: বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত চাহিদা আছে। তবে তুলনামূলকভাবে কিছু মৌলিক চাহিদা থাকে। যেমন-ইংরেজি ভাষাজ্ঞান, জিমেট, স্যাট, জিআরই ইত্যাদি। তাই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে এসব গুরুত্বপূর্ণ কোর্স করে রাখুন। অনেকে মনে করে, বাইরে না গেলে IELTS বা TOEFL করে লাভ কী? কিন্তু এসব জ্ঞান কিন্তু আপনার দেশেও চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনে উপকারে আসবে। তাই নিজেকে যতটুকু সম্ভব প্রস্তুত রাখুন। এছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনো কোর্স না চেয়েও থাকে, তারপরও আপনি CV-তে উল্লেখ করলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবেন।

নিয়মিত খোঁজ-খবর নিন: এখন কেবল অর্থ থাকলেই সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার মান, সুযোগ সুবিধা, চাহিদা, ভবিষ্যৎ প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয় প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই আপডেটেট থাকা জরুরি। যেমন, আপনি হয়তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের চাহিদা অনুযায়ী একটা আবেদন করলেন, কিন্তু এ বছর তা পরিবর্তিত হয়ে গেল। আপনি সুযোগ হারাতে পারেন। কিংবা গত বছর আপনার কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে স্কলারশিপ ছিল না কিন্তু এ বছর আছে। না জানার কারণে আপনি সুযোগ হারাতে পারেন। তাই নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন অনলাইনে, চোখ রাখুন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। বিভিন্ন পেজে অনেক লিংক পোস্ট করা হয়, এগুলো ভাল করে পড়ুন। অনলাইনে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা সাইটগুলো ভিজিট করুন। আমাদের পেজের বিভিন্ন সময় পোস্ট করা লিংকগুলো পড়ুন।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: অনেকেই বলেন আমি বিদেশ আসতে চাই বা ইউরোপ আসতে চাই। তারা কোন দেশে আসবেন, কোন বিষয়ে পড়বেন - সেটা নিজেই নিশ্চিত নন। কিন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেধা দিয়ে আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে। তাই প্রথমেই লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

প্রয়োজনীয় জিনিস প্রস্তুত রাখুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি ও স্কলারশিপের সময়সীমা নির্দিষ্ট, যা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় কিছু জিনিস প্রস্তুত রাখুন। CV, Motivation Letter, Recommendation Letter ইত্যাদি। অনেক সময় আবেদন করতে করতেই সময় ফুরিয়ে যায়। আর তা ছাড়া পোস্টে কাগজপত্র পাঠাতেও সময় ও অর্থের প্রয়োজন। তাই সময়ের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন।

অর্থনৈতিক বিষয়: আপনি যদি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হন তবে বাজেট করুন। আপনার পক্ষে কতটুকু ব্যয় করা সম্ভব, তা জেনে নিন। সে অনুযায়ী আবেদন করুন। কারণ, এসব বিষয় না ভেবে আবেদন করলে পরে আর্থিক সমস্যার কারণে তা ভেস্তে যায় এবং আবেদন বা অন্য খরচগুলো অপচয় হয়। বাজেট করুন এবং সে অনুযায়ী সামনে এগোন। 

বিভ্রান্ত হবেন না: আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, কেউ আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তাই কনফিডেন্স খুবই জরুরি। একটা বিষয় মনে রাখবেন, টাকা দিয়ে কখনো ভিসা কেনা যায় না। আপনার যোগ্যতা থাকলেই কেবল আপনি এডমিশন এবং ভিসা পাবেন। তাই প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না। অনেকে এডমিটেড হওয়ার পরও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভিসা পেতে ব্যর্থ হন। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করে, তবে দূতাবাস ভিসা দিতে বাধ্য; যদি না কোনো মেজর ত্রুটি থাকে। তাই দালালের চক্র থেকে  দূরে থাকুন আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অগ্রসর হোন।