01-09-2017, 11:01 PM
আপনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন আর হঠাৎ করেই পায়ের পাতায় বা হাঁটুর নীচের মাংসল অংশে (কাফ মাসল) শক্ত হয়ে অবশ হওয়ার মত অনুভূতি এবং তীব্র ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায় আপনার! একেই ফুট ক্র্যাম্প বা চার্লি হর্স বলে। এটি খুবই সাধারণ এবং বিরক্তিকর ব্যথা। পেশীর অনিচ্ছাকৃত শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে এবং পেশী যদি শিথিল হতে না পারে তাহলেই হয়ে থাকে এ ধরণের ব্যথা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এর ব্রান্সউইক ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের স্পোর্টস এন্ড এক্সারসাইজ মেডিসিন এর চিকিৎসক এবং এমডি কিম গ্লাডেন বলেন, ‘বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এ ধরণের ঘটনা ঘটার প্রবণতা দেখা যায়। এটি খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর হয়’। পায়ের পাতায় ও পেশীতে টান পরার সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জেনে নিই চলুন।
• দিনে অথবা রাতে আপনার পায়ের পাতায় এবং কাফ মাসেলে খিঁচুনি বা টান পরার কারণ :
১। পানিশূন্যতা
ডা. গ্লাডেন বলেন, যদি আপনার পেশীতে টান পড়ার অভিজ্ঞতা হয় তাহলে আপনার হাইড্রেশনের প্রতি খেয়াল করা প্রয়োজন। সারা দিনে প্রচুর পানি পান করছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে নিন।
২। পুষ্টির সমস্যা
পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের জন্য শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট (ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম) এর ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। নিজে নিজেই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ হবে না। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করাটা ক্ষতিকর হতে পারে’। তিনি পরামর্শ দেন –‘সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে রঙ্গিন ফলমূল ও শাকসবজির সাথে বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে পারেন’। আপনার খাদ্যতালিকায় ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সবুজ শাক ও ফল (কলা সহ) যুক্ত করুন।
৩। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু ঔষধ যেমন – স্টেটিন্স এবং ফিউরোস্যামাইড (ল্যাসিক্স) পেশীর সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। নতুন কোন ঔষধ গ্রহণ করার পরেই যদি আপনার পেশীর টানের সমস্যা হতে দেখেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
৪। পর্যাপ্ত স্ট্রেচিং না করা
প্রতিদিন কিছুটা সময় স্ট্রেচিং করুন। ওয়ার্ম আপের পরে বা গোসলের পরে স্ট্রেচিং করলে উপকার পাবেন। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘আপনি চান আপনার পেশী শক্তিশালী ও নমনীয় হোক। ওয়ার্ম আপের পরে পর্যাপ্ত স্ট্রেচিং করাই আপনার এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে আপনাকে’।
৫। অতিরিক্ত ব্যায়াম
আপনি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ব্যায়াম করেন তাহলে তার ফলে আপনার পেশীতে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। এর ফলে পেশীতে সংকোচন দেখা দিতে পারে।
৬। রক্ত সংবহন কম
হাঁটার সময়ে যদি আপনার পায়ের পেশীতে টান পড়ে তাহলে তা হতে আপনার সংবহনতন্ত্রের সমস্যার কারণে। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘সংবহনতন্ত্রের সমস্যার কারণে পেশীতে সংকোচনের সমস্যা হতে পারে। আপনি হাঁটার সময় যদি আপনার পায়ে টান পড়ে এবং তা বন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে দেখা করুন’।
৭। ভুল জুতো
আপনার পায়ের পেশীর টান পড়ার সমস্যাটি ভুল জুতো পরার কারণেও হতে পারে। ডা. গ্লাডেন বলেন, আপনার জুতোর দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি ফ্ল্যাট জুতোয় অভ্যস্ত মানুষ হিল জুতো পরেন, এর কারণেও পায়ের পেশীতে টান পড়ে।
• পায়ে টান পড়া প্রতিরোধের উপায় :
খুব সহজ কিছু উপায়ে পায়ের পেশীতে টান পড়ার সমস্যাটি প্রতিরোধ করা যায়, আর তা হল...
- যদি শুয়ে থাকা অবস্থায় আপনার পায়ে টান পড়ার সমস্যাটি হয় তাহলে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করুন এবং ভারী কিছু আপনার পায়ে বা পায়ের পাতার উপর রাখুন। এর ফলে পায়ের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া বন্ধ করবে।
- পেশীতে উষ্ণ চাপের মাধ্যমে রক্ত সংবহনের উন্নতি করা যায়।
- ইবোপ্রোফেন এর মত নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ঔষধ ব্যথা কমতে সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এর ব্রান্সউইক ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের স্পোর্টস এন্ড এক্সারসাইজ মেডিসিন এর চিকিৎসক এবং এমডি কিম গ্লাডেন বলেন, ‘বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এ ধরণের ঘটনা ঘটার প্রবণতা দেখা যায়। এটি খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর হয়’। পায়ের পাতায় ও পেশীতে টান পরার সমস্যার কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জেনে নিই চলুন।
• দিনে অথবা রাতে আপনার পায়ের পাতায় এবং কাফ মাসেলে খিঁচুনি বা টান পরার কারণ :
১। পানিশূন্যতা
ডা. গ্লাডেন বলেন, যদি আপনার পেশীতে টান পড়ার অভিজ্ঞতা হয় তাহলে আপনার হাইড্রেশনের প্রতি খেয়াল করা প্রয়োজন। সারা দিনে প্রচুর পানি পান করছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে নিন।
২। পুষ্টির সমস্যা
পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের জন্য শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট (ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম) এর ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। নিজে নিজেই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ হবে না। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করাটা ক্ষতিকর হতে পারে’। তিনি পরামর্শ দেন –‘সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে রঙ্গিন ফলমূল ও শাকসবজির সাথে বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে পারেন’। আপনার খাদ্যতালিকায় ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সবুজ শাক ও ফল (কলা সহ) যুক্ত করুন।
৩। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু ঔষধ যেমন – স্টেটিন্স এবং ফিউরোস্যামাইড (ল্যাসিক্স) পেশীর সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। নতুন কোন ঔষধ গ্রহণ করার পরেই যদি আপনার পেশীর টানের সমস্যা হতে দেখেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
৪। পর্যাপ্ত স্ট্রেচিং না করা
প্রতিদিন কিছুটা সময় স্ট্রেচিং করুন। ওয়ার্ম আপের পরে বা গোসলের পরে স্ট্রেচিং করলে উপকার পাবেন। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘আপনি চান আপনার পেশী শক্তিশালী ও নমনীয় হোক। ওয়ার্ম আপের পরে পর্যাপ্ত স্ট্রেচিং করাই আপনার এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে আপনাকে’।
৫। অতিরিক্ত ব্যায়াম
আপনি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ব্যায়াম করেন তাহলে তার ফলে আপনার পেশীতে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। এর ফলে পেশীতে সংকোচন দেখা দিতে পারে।
৬। রক্ত সংবহন কম
হাঁটার সময়ে যদি আপনার পায়ের পেশীতে টান পড়ে তাহলে তা হতে আপনার সংবহনতন্ত্রের সমস্যার কারণে। ডা. গ্লাডেন বলেন, ‘সংবহনতন্ত্রের সমস্যার কারণে পেশীতে সংকোচনের সমস্যা হতে পারে। আপনি হাঁটার সময় যদি আপনার পায়ে টান পড়ে এবং তা বন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে দেখা করুন’।
৭। ভুল জুতো
আপনার পায়ের পেশীর টান পড়ার সমস্যাটি ভুল জুতো পরার কারণেও হতে পারে। ডা. গ্লাডেন বলেন, আপনার জুতোর দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি ফ্ল্যাট জুতোয় অভ্যস্ত মানুষ হিল জুতো পরেন, এর কারণেও পায়ের পেশীতে টান পড়ে।
• পায়ে টান পড়া প্রতিরোধের উপায় :
খুব সহজ কিছু উপায়ে পায়ের পেশীতে টান পড়ার সমস্যাটি প্রতিরোধ করা যায়, আর তা হল...
- যদি শুয়ে থাকা অবস্থায় আপনার পায়ে টান পড়ার সমস্যাটি হয় তাহলে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করুন এবং ভারী কিছু আপনার পায়ে বা পায়ের পাতার উপর রাখুন। এর ফলে পায়ের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া বন্ধ করবে।
- পেশীতে উষ্ণ চাপের মাধ্যমে রক্ত সংবহনের উন্নতি করা যায়।
- ইবোপ্রোফেন এর মত নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ঔষধ ব্যথা কমতে সাহায্য করে।