02-12-2017, 02:24 PM
অনলাইন ডেস্ক: নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
প্রশ্ন: আমার একজন ভগ্নিপতি, উনি নেশা করে, মদ খায়, জুয়া খেলে—সবকিছু করে। উনি বাইরে থাকে এবং মাঝেমধ্যে আমার বোনকে ফোনে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক এগুলো বলে। হাদিস অনুসারে উনারা কি এখনো স্বামী-স্ত্রী আছে? এগুলো বলার পরে উনি আবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে।
উত্তর: আমরা এখান থেকে, এই মজলিশ থেকে তালাকের বিষয়টা ফতোয়া দিই না। লিখিত আকারে কোনো মুফতির কাছে এটি পেশ করতে হবে, যদি অবস্থা এই-ই হয়।
প্রশ্নকারী যা বলেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে না তিনি (ভগ্নিপতি) কতটুকু বেহুঁশ ছিলেন; এসব কিছু তো আর আমরা বিস্তারিত জানি না। তারপরও শুধু আমার একটা দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করছি। এটিকে ফতোয়া হিসেবে নেবেন না।
এ ধরনের তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তিন তালাক বলা হয়ে থাকে, তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে। এটি হলো অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মত। আর যদি এক তালাক অথবা দুই তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে আবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে, নিজের স্ত্রী থেকে যাবে।
কিন্তু যদি তিন তালাক বলে ফেলে, সে ক্ষেত্রে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রা.) তিনি অবশ্য একটা মত দিয়েছেন, যদি একসঙ্গে তিন তালাক একই জায়গায় দেয়, তাহলে সেটি এক তালাক হিসেবে বিবেচিত হবে। উনি বলেছেন, মাঝেমধ্যে যদি (তালাক বলাটা) তিনের ঊর্ধ্বে চলে গিয়ে থাকে, তাহলে তালাক হয়ে যাবে। এটা হচ্ছে আমার দৃষ্টিকোণ। ফতোয়ার জন্য আপনার এলাকায় যেসব মুফতি আছেন, তাঁদের কাছ থেকে ফতোয়া নিতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার একজন ভগ্নিপতি, উনি নেশা করে, মদ খায়, জুয়া খেলে—সবকিছু করে। উনি বাইরে থাকে এবং মাঝেমধ্যে আমার বোনকে ফোনে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক এগুলো বলে। হাদিস অনুসারে উনারা কি এখনো স্বামী-স্ত্রী আছে? এগুলো বলার পরে উনি আবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে।
উত্তর: আমরা এখান থেকে, এই মজলিশ থেকে তালাকের বিষয়টা ফতোয়া দিই না। লিখিত আকারে কোনো মুফতির কাছে এটি পেশ করতে হবে, যদি অবস্থা এই-ই হয়।
প্রশ্নকারী যা বলেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে না তিনি (ভগ্নিপতি) কতটুকু বেহুঁশ ছিলেন; এসব কিছু তো আর আমরা বিস্তারিত জানি না। তারপরও শুধু আমার একটা দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করছি। এটিকে ফতোয়া হিসেবে নেবেন না।
এ ধরনের তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তিন তালাক বলা হয়ে থাকে, তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে। এটি হলো অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মত। আর যদি এক তালাক অথবা দুই তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে আবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে, নিজের স্ত্রী থেকে যাবে।
কিন্তু যদি তিন তালাক বলে ফেলে, সে ক্ষেত্রে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রা.) তিনি অবশ্য একটা মত দিয়েছেন, যদি একসঙ্গে তিন তালাক একই জায়গায় দেয়, তাহলে সেটি এক তালাক হিসেবে বিবেচিত হবে। উনি বলেছেন, মাঝেমধ্যে যদি (তালাক বলাটা) তিনের ঊর্ধ্বে চলে গিয়ে থাকে, তাহলে তালাক হয়ে যাবে। এটা হচ্ছে আমার দৃষ্টিকোণ। ফতোয়ার জন্য আপনার এলাকায় যেসব মুফতি আছেন, তাঁদের কাছ থেকে ফতোয়া নিতে পারেন।