01-09-2017, 11:10 PM
আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে ঘুম থেকে উঠে আজিমপুরের বাসা থেকে ধানমন্ডি সেন্ট্রাল রোডে অফিসে যাচ্ছিলাম। আজিমপুর থেকে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে করে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে নামলাম। একটু সামনে এগিয়ে রাস্তা পার হয়ে গ্রীন রোডে ঢোকার জন্য ডান পাশে তাকিয়ে রাস্তা পার হচ্ছি। এ সময় বেশ কয়েকজন বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে এবং কয়েকজন কলেজ ছাত্রী আমার সঙ্গেই রাস্তা পার হয়েছে।
রাস্তা পার হয়ে গ্রীন রোডে ঢুকে সেন্ট্রাল রোডে ঢোকার একটু আগেই সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজের ১০-১৫ ছাত্র নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। হঠাৎই আমার দিকে তাকিয়ে হাতে তুরি মেরে বলল, এই আজকে কলেজ বন্ধ ‘হরতাল’ চলে যা।
আমি ভাবলাম আমার পিছনে হয়তো ওর কোন বন্ধু আছে। তাকেই বলেছে। তাও একটু কৌতুহলী হয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম। দেখলাম আমার সঙ্গে যারা একটু আগে রাস্তা পার হয়েছে তাদের একজনকেই বলছে। আর সে একজন ছাত্রী। ওদের কলেজেই পড়ে।ওদের কথা না শুনে মেয়েটি নিজের মতো করেই কলেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অত্যন্ত মার্জিত এবং রুচিশীল কলেজ ড্রেস পরিধান করেই মেয়েটি সামনে দিকে এগোচ্ছিল।
আমি সামনে আর মেয়েটি হয়তো আমার থেকে ২-৩ হাত পিছনে ছিল। হঠাৎ করেই ওই ছেলেদের মধ্যে থেকে একটি ছেলে বলে উঠলো- ‘এই নিশা (ছদ্মনাম) তোমার স্তন খোলা’। হঠাৎ করে করেই আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল, ‘বেয়াদব ছেলেবেলে সামান্য ভদ্রতাটুকুও নেই। সকাল বেলাই একটা বাজে কমেন্টস…।’ আমার সাথে সাথে মেয়েটিও বলে উঠলো অশব্য…এরকম আরও অনেক…। কথাগুলো বলতে বলতে আমি ওদের দিকে ফিরে তাকিয়ে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে রইলাম। আর ভাবলাম ছেলে গুলোকে দেখলে মনে হয় অত্যন্ত ভদ্র এবং শিক্ষিত ঘরের সন্তান। বেশ দামী পোষাক, চশমা, ঘড়ি, হেয়ার স্টাইল, চেহারা সবই ভদ্রতার আবরণে ডাকা ছিল। তবে এই ভদ্রতার আবরণে এরকম একটা কুৎসিত চেহারা ভাবাই যায় না।
ইভটিজিং, প্রেমের অফার ও ধর্ষণ এগুলো থেমে নেই। কিছুদিন আগে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া রিশাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে প্রায়ই ঘটে।তবে এসবের বিচার হয় খুবই কম। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবো। প্রধানমন্ত্রী আপনি খুব শীঘ্রই ধর্ষণের পর তনু হত্যাকাণ্ড, রিশা হত্যাসহ এই ধরণের অপরাধীদের এমন বিচার করুন যাতে আর কোনদিন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে।
আর আজকে আমার চোখে দেখা ওইসব এইচএসসি পড়ুয়াসহ সকল শিক্ষার্থীকে বলবো, তোমাদের মনে রাখা উচিত। তোমরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। এই ধরণের অনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখে সুন্দর ভবিষ্যত গড়। আর যারা না বুঝে এ ধরণের অন্যায় করছে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোল।
দেশের সামাজিক সংগঠন, সকল পিতা-মাতা ও সমাজপতিরা সকলের এগিয়ে আসা উচিত এ ধরণের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার জন্য। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
রাস্তা পার হয়ে গ্রীন রোডে ঢুকে সেন্ট্রাল রোডে ঢোকার একটু আগেই সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজের ১০-১৫ ছাত্র নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। হঠাৎই আমার দিকে তাকিয়ে হাতে তুরি মেরে বলল, এই আজকে কলেজ বন্ধ ‘হরতাল’ চলে যা।
আমি ভাবলাম আমার পিছনে হয়তো ওর কোন বন্ধু আছে। তাকেই বলেছে। তাও একটু কৌতুহলী হয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম। দেখলাম আমার সঙ্গে যারা একটু আগে রাস্তা পার হয়েছে তাদের একজনকেই বলছে। আর সে একজন ছাত্রী। ওদের কলেজেই পড়ে।ওদের কথা না শুনে মেয়েটি নিজের মতো করেই কলেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অত্যন্ত মার্জিত এবং রুচিশীল কলেজ ড্রেস পরিধান করেই মেয়েটি সামনে দিকে এগোচ্ছিল।
আমি সামনে আর মেয়েটি হয়তো আমার থেকে ২-৩ হাত পিছনে ছিল। হঠাৎ করেই ওই ছেলেদের মধ্যে থেকে একটি ছেলে বলে উঠলো- ‘এই নিশা (ছদ্মনাম) তোমার স্তন খোলা’। হঠাৎ করে করেই আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল, ‘বেয়াদব ছেলেবেলে সামান্য ভদ্রতাটুকুও নেই। সকাল বেলাই একটা বাজে কমেন্টস…।’ আমার সাথে সাথে মেয়েটিও বলে উঠলো অশব্য…এরকম আরও অনেক…। কথাগুলো বলতে বলতে আমি ওদের দিকে ফিরে তাকিয়ে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে রইলাম। আর ভাবলাম ছেলে গুলোকে দেখলে মনে হয় অত্যন্ত ভদ্র এবং শিক্ষিত ঘরের সন্তান। বেশ দামী পোষাক, চশমা, ঘড়ি, হেয়ার স্টাইল, চেহারা সবই ভদ্রতার আবরণে ডাকা ছিল। তবে এই ভদ্রতার আবরণে এরকম একটা কুৎসিত চেহারা ভাবাই যায় না।
ইভটিজিং, প্রেমের অফার ও ধর্ষণ এগুলো থেমে নেই। কিছুদিন আগে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া রিশাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে প্রায়ই ঘটে।তবে এসবের বিচার হয় খুবই কম। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবো। প্রধানমন্ত্রী আপনি খুব শীঘ্রই ধর্ষণের পর তনু হত্যাকাণ্ড, রিশা হত্যাসহ এই ধরণের অপরাধীদের এমন বিচার করুন যাতে আর কোনদিন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে।
আর আজকে আমার চোখে দেখা ওইসব এইচএসসি পড়ুয়াসহ সকল শিক্ষার্থীকে বলবো, তোমাদের মনে রাখা উচিত। তোমরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। এই ধরণের অনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখে সুন্দর ভবিষ্যত গড়। আর যারা না বুঝে এ ধরণের অন্যায় করছে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোল।
দেশের সামাজিক সংগঠন, সকল পিতা-মাতা ও সমাজপতিরা সকলের এগিয়ে আসা উচিত এ ধরণের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার জন্য। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।