Forums.Likebd.Com

Full Version: একজন আদর্শ স্বামীর যে কয়টি গুন অবশ্যই দরকার
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
নিউজ ডেস্ক:প্রথমে দর্শনদারি তারপর তার গুনবিচারি, এমন একটি কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক না। দেখতে সুদর্শন হলেই আদর্শ স্বামী হওয়া যায় না। তাঁর মধ্যে বিশেষ কিছু গুণও থাকা প্রয়োজন। তাহলে ব্রাইট সাইড ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ি জেনে নেই।

১. একজন আদর্শ স্বামী শুধু সুন্দর কথাই বলেন না, তিনি সংসার জীবনের যেকোনো বিপদ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে জানেন। তিনি কখনো বিপদ দেখলে ভয় পান না এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।

২. তিনি তার নিজের জন্য রাতের খাবার তৈরি করতে জানেন। আজকালকার মেয়েরা কর্মজীবনে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন। এজন্য তারা এমন স্বামী আশা করেন যার জন্য অফিস থেকে ফিরেই তাকে রান্নাঘরে ঢুকতে হবে না। আর যে পুরুষ নিজের খাবারটা তৈরি করতে জানেন তাকে আদর্শ স্বামী না বলে উপায় আছে?

৩. ভুল মানুষেরই হয়। আদর্শ স্বামী হলে তিনি সবসময় আপনার ভুল না ধরে উল্টো আপনাকে সমর্থন করবেন। এমনকি আপনি যদি বড় ধরনের ভুলও করে ফেলেন তাহলেও তিনি আপনাকে সমর্থন করে যাবেন। কে না চায় এমন স্বামী।

৪. আপনার জীবনের সবকিছু স্বামীর মনে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কোন বিষয়গুলোতে আপনার সমস্যা হয়, কিসে অসুস্থ হয়ে যান কিংবা কী পেলে খুশি হন এগুলো তার ঠিকই মনে থাকবে।

৫. তিনি শুধু সুদর্শনই হবেন না, জ্ঞানীও হবেন। যদি আপনি মাপতে যান তাহলে জ্ঞানকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। দেখতে যতই সুন্দর হোক না কেন বুদ্ধি না থাকলে তার সঙ্গে সংসার করা খুবই কঠিন। আদর্শ স্বামী তিনিই যিনি মাথায় বুদ্ধিও রাখেন।

৬. আপনাকে কীভাবে চাঙ্গা করতে হয় এটা তিনি খুব ভালোভাবেই জানেন। যখন আপনার মন খারাপ থাকে কিংবা কোনো বিষয়ে বিরক্ত হন তখন এক নিমিষেই তিনি আপনার মন ভালো করে দেন। এক কথায় রোমাঞ্চপ্রিয়।

৭. আদর্শ স্বামী খুব ভালো করেই জানেন যে কীভাবে আপস ও মধ্যস্থতা করতে হয়। তার যতই রাগ থাকুক না কেন ধৈর্য ধরে মধ্যস্থতা করতে তিনি একবারও পিছপা হন না। সে খুব ভালোভাবেই জানে সংসার ধর্ম তার কাছে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।

৮. ছেলেরা সংসারের ঝামেলা বাইরে বয়ে বেড়াতে চান না। কিন্তু আদর্শ স্বামী বাসা থেকে বের হলেও সংসারের সমস্যাগুলো মাথায় রাখেন।

৯. স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হওয়া উচিত। আদর্শ স্বামী স্ত্রীর মত বা সিদ্ধান্তকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকেন এবং সেটা বুঝে কাজ করারও চেষ্টা করেন।

১০. ঘরের যাবতীয় কাজে আদর্শ স্বামী তাঁর স্ত্রীকে সাহায্য করেন। এই কাজ করতে তাঁর কোনো ইগো সমস্যা কাজ করে না। কারণ তিনি এটা নিজেরই সংসার মনে করে থাকেন।