02-19-2017, 02:47 PM
সাইবার ক্রাইমের বেশ কিছু নাম আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু কোন ক্রাইমের নাম কি সেটা আমরা অনেকেই জানি না। আবার জানলেও ভুল প্রয়োগ করি। যেমনঃ স্যামিং বা স্প্যাম শব্দটি আমরা অনেকেই শুনেছি এবং দেখেছি। কেউ কোনো কপি-পেস্ট পোস্ট করলেই আমরা অনেকেই কমেন্ট লিখি স্প্যাম পোস্ট। কিন্তু এ ধরনের অপরাধকে স্প্যাম বা স্প্যামিং বলে না। এ ধরনের অপরাধকে বলে প্লেজিয়ারিজম।
আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ
কম্পিউটার ক্রাইম(Computer Crime)
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিরর নানামুখী ব্যবহারের কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
হ্যাকিং(Hacking)
প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলা হয়। ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রচলনের ফলে যেমনি তথ্যের আদান-প্রদান বেড়ে গেছে বহুগুণ, ঠিক তেমনি তথ্য গায়েব, তথ্য চুরি এবং পথিমধ্যে তথ্য বিকৃতি ঘটানোর নজিরও লক্ষ্য করা যায়। আর এ কাজটি যারা করছে মূলত তাদেরকে হ্যাকার বলে অভিহিত করা হয়। হ্যাকারদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে হ্যাকিং বলে অভিহিত করা হয়।
স্প্যামিং(Spamming)
অনাকাঙ্ক্ষিত বাল্ক মেসেজসমূহ ব্যাপকভাবে প্রেরণে ইলেকট্রিক মেসেজিং সিস্টেমসমূহ ব্যবহার হলো স্প্যাম তথা স্প্যামিং। এর মাধ্যমে একাধিক মেইলিং লিস্ট, পৃথক পৃথক ব্যক্তি বা নিউজগ্রুপগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজসমূহ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এসেব মেসেজ প্রায় সময়ই বাণিজ্যিক ধাঁচের হয়। এগুলোকে জাঙ্ক মেইল নামেও অভিহিত করা হয়। বিজ্ঞাপণের মোড়কে স্প্যামগুলো অনেক সময়ই আইডেন্টি থেফট বা অন্য কোনো ধরনের ইন্টারনেট জালিয়াতির উদ্দেশ্যে প্ররণ করা হয়ে থাকে।
প্লেজিয়ারিজম(Plagiarism)
যে কোনো উৎসের লেখা সংযোজন করা হোক না কেন তাতে মূল লেখক বা মূল কর্মের স্রষ্টার নাম অবশ্যই সংযোজন করা উচিত। এটিই বিধান। এর ব্যতিক্রম হলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধই হলো প্লেজিয়ারিজম। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও প্লেজিয়ারিজমের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে অন্যের ধ্যানধারণা, গবেষণা, কৌশল, প্রোগ্রামিং কোড, গ্রাফিক্স, কথা, লেখা, ডেটা, ছবি, শব্দ, গান ইত্যাদি উৎস অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখ না করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া হয়।
সফটওয়্যার পাইরেসি(Software Piracy)
সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোন সফটওয়্যার কপি করা, বিতরণ করা, আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে বুঝায়। অন্যের জিনিস চুরি করার মতো সফটওয়্যার পাইরেসি করাও একটি অপরাধ। সফটওয়্যার পাইরেসির কারণে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্পুফিং ও স্নিফিং(Spoofing and Sniffing)
ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্থিক তথ্যাদি হাতিয়ে নেয়ার একটি সাধারণ পদ্ধতি হিসেবে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্পুফড সাইট হলো প্রকৃত সাইটের প্রায় কাছাকাছি একটি মিরর ইমেজ। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো ব্যবহারকারী স্পুফকে খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি এর উপস্থিতি বুঝতে পারেন না। অসতর্ক মুহূর্তে ব্যবহারকারীরা গুরুত্বপূর্ণ নানা ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য এতে দিয়ে দেন। অন্যদিকে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে তথ্য যাবার সময় তথ্যকে তুলে নেয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ‘স্নিফিং’। সাধারণতত শক্ত তার বা তারবিহীন ব্যবস্থাতে স্নিফিং করা হয়ে থাকে। স্নিফিং শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ডেটা এনক্রিপশন হলো একমাত্র পথ।
ক্ষতিকারক সফটওয়্যারঃ ভাইরাস, ওয়র্ম, ট্রোজান হর্স এবং স্পাইওয়ার
কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম। কম্পিউটার ভাইরাস বাইরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে মেমোরিতে গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়।
তথ্যসূত্রঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি
লেখকঃ মাহবুবুর রহমান
সিসটেক পাবলিকেশন্স, ঢাকা
আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ
কম্পিউটার ক্রাইম(Computer Crime)
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিরর নানামুখী ব্যবহারের কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
হ্যাকিং(Hacking)
প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলা হয়। ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রচলনের ফলে যেমনি তথ্যের আদান-প্রদান বেড়ে গেছে বহুগুণ, ঠিক তেমনি তথ্য গায়েব, তথ্য চুরি এবং পথিমধ্যে তথ্য বিকৃতি ঘটানোর নজিরও লক্ষ্য করা যায়। আর এ কাজটি যারা করছে মূলত তাদেরকে হ্যাকার বলে অভিহিত করা হয়। হ্যাকারদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে হ্যাকিং বলে অভিহিত করা হয়।
স্প্যামিং(Spamming)
অনাকাঙ্ক্ষিত বাল্ক মেসেজসমূহ ব্যাপকভাবে প্রেরণে ইলেকট্রিক মেসেজিং সিস্টেমসমূহ ব্যবহার হলো স্প্যাম তথা স্প্যামিং। এর মাধ্যমে একাধিক মেইলিং লিস্ট, পৃথক পৃথক ব্যক্তি বা নিউজগ্রুপগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজসমূহ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এসেব মেসেজ প্রায় সময়ই বাণিজ্যিক ধাঁচের হয়। এগুলোকে জাঙ্ক মেইল নামেও অভিহিত করা হয়। বিজ্ঞাপণের মোড়কে স্প্যামগুলো অনেক সময়ই আইডেন্টি থেফট বা অন্য কোনো ধরনের ইন্টারনেট জালিয়াতির উদ্দেশ্যে প্ররণ করা হয়ে থাকে।
প্লেজিয়ারিজম(Plagiarism)
যে কোনো উৎসের লেখা সংযোজন করা হোক না কেন তাতে মূল লেখক বা মূল কর্মের স্রষ্টার নাম অবশ্যই সংযোজন করা উচিত। এটিই বিধান। এর ব্যতিক্রম হলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধই হলো প্লেজিয়ারিজম। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও প্লেজিয়ারিজমের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে অন্যের ধ্যানধারণা, গবেষণা, কৌশল, প্রোগ্রামিং কোড, গ্রাফিক্স, কথা, লেখা, ডেটা, ছবি, শব্দ, গান ইত্যাদি উৎস অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখ না করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া হয়।
সফটওয়্যার পাইরেসি(Software Piracy)
সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোন সফটওয়্যার কপি করা, বিতরণ করা, আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে বুঝায়। অন্যের জিনিস চুরি করার মতো সফটওয়্যার পাইরেসি করাও একটি অপরাধ। সফটওয়্যার পাইরেসির কারণে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্পুফিং ও স্নিফিং(Spoofing and Sniffing)
ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্থিক তথ্যাদি হাতিয়ে নেয়ার একটি সাধারণ পদ্ধতি হিসেবে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্পুফড সাইট হলো প্রকৃত সাইটের প্রায় কাছাকাছি একটি মিরর ইমেজ। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো ব্যবহারকারী স্পুফকে খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি এর উপস্থিতি বুঝতে পারেন না। অসতর্ক মুহূর্তে ব্যবহারকারীরা গুরুত্বপূর্ণ নানা ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য এতে দিয়ে দেন। অন্যদিকে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে তথ্য যাবার সময় তথ্যকে তুলে নেয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ‘স্নিফিং’। সাধারণতত শক্ত তার বা তারবিহীন ব্যবস্থাতে স্নিফিং করা হয়ে থাকে। স্নিফিং শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ডেটা এনক্রিপশন হলো একমাত্র পথ।
ক্ষতিকারক সফটওয়্যারঃ ভাইরাস, ওয়র্ম, ট্রোজান হর্স এবং স্পাইওয়ার
কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম। কম্পিউটার ভাইরাস বাইরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে মেমোরিতে গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়।
তথ্যসূত্রঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি
লেখকঃ মাহবুবুর রহমান
সিসটেক পাবলিকেশন্স, ঢাকা