Forums.Likebd.Com

Full Version: ভালোবেসে যেও
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
:- এই রাব্বি শুন..

:- কে.??(আমি)

.

হঠাৎ করে পিছন থেেকে কোন মেয়ে আমার নাম ধরে ডাকছে এমনটা দেখেই চমকে গেলাম। আর এর থেকে বেশি চমকে গেলাম এই অপরিচিতাকে দেখে। এত মায়াবী কারো চেহারা হতে পারে এই অপ্সরী কে না দেখলে জানা হত না।হঠাৎ ওর ডাকে বাস্তবে ফেরা.

.

-- কি হল এমনকরে তাকিয়ে আছ কেন?(অপরিচিতা)

-- না এমনি। আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না।(আমি)

-- আরে আপনি করে বলতেছ কেন। তুমি করে বল। আর আমি তোমার শাহান আংকেলের মেয়ে।

-- ও কেমন আছ। আংকেল,আন্টি কেমন আছে?

-- তারা অনেক ভালো আছে। তোমার আব্বু-আম্মু কেমন আছে?

-- হুম ভালো আছে। আচ্ছা পরে কথা হবে।

.

জায়গাটা ত্যাগ করে বন্ধুদের পাশে আসলাম তাড়াতাড়ি নয়তো বন্ধুরা আবার কি না কি ভাবা শুরু করবে এই ভেবে। আসতেই বন্ধুরা মজা নেয়া শুরু করল।

.

-- কিরে একটা অপ্সরী তোর সাথে কথা বলতে চাচ্ছে আর তুই কথা বলতে চাইছিস না। তাও আবার কলেজের প্রথম দিনে। (শুভ্র/আমার বন্ধু)

-- দেখ ও আমার বাবার কলিগের মেয়ে মনে হয়। কিন্তু ও আমাকে চিনল কি করে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। কোন দিন দেখাও হয় নি ওর সাথে। (আমি)

-- সে যাই হোক। মেয়েটা কিন্তু অনেক মায়াবতী। (রাহাত/আরেক বন্ধু)

-- বাদ দেয় তো চল অনুষ্টান শুরু হয়ে যাবে এখনই।

.

অনুষ্টানে যোগ দিতে এসে বসলাম। কলেজে প্রথম দিন তাই অচেনা লাগার কথা কিন্তু আমার মোটেও অচেনা লাগছেনা। যেহেতু আমার সকল ফ্রেন্ডরা একই কলেজে ভর্তি হয়েছে। সেহেতু কলেজের প্র্রথম দিন ভালোই লাগতেছে।

.

একজন স্যার এসে বললেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেহ বক্ত্যেব্য দিলে দিতে পারবে। বন্ধুরা জোর করে আমাকে ধরিয়ে দিল। না করলাম না।

.

একে একে স্যারেরা বক্ত্যেব্যে দিতে শুরু করল।

আমাকে ডাকা হল। গিয়ে বক্ত্যেব্যে শুরু করতে যাব এমন সময় সামনের ব্রেঞ্চে চোখ গেল। সেই মায়াবী চেহারা। ওর দিকে চোখ রেখেই বক্ত্যেব্যে দিলাম।

.

কলেজ থেকে আসার সময় আবার চোখাচোখি হল দূর থেকে।

.

বাসায় এসে আম্মুকে কে জিজ্ঞেস করলাম শাহান আংকেলের মেয়ের ব্যাপারে। মা বলল.

-- কেন কি হইছে?(আম্মু)

-- না মা। আজ কলেজে দেখা হল। ও আমার সাথে কথা বলল। কিন্তু আমাদের তো কোনদিন দেখা হয় নি। ও চিনল কিভাবে আমাকে।(আমি)

-- শুন। নিশী তো শাহান আংকেলের সাথে আমাদের বাসায় আসছিল। তখন তোর ফটো দেখছে দেয়ালে।

-- তাহলে নাম নিশী। বাহ অনেক সুন্দর নাম। নামটাও চেহারার মতো সুন্দর। (মনে মনে)

আচ্ছা মা ওকে।

-- ঠিক আছে বাবা। এখন খেতে আয়।

-- তুমি যাও আসছি।

-- আচ্ছা তাড়াতাড়ি আস।

.

রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুমোতো পারলাম না। বার বার নিশীর চেহারা মনে পড়ল।

.

পরের দুই তিন কলেজে যাওয়া হল না। প্রায় ৬-৭ দিন পর গেলাম।

.

গিয়েই নিশীর দেখা পেলাম। ঠুকঠাক কথাবার্তা হল সেদিন। পরে ক্লাস করে চলে আসলাম।

.

বাসায় এসে খেয়ে ফেইসবুকে ডুকলাম। দেখলাম "সেই মেয়েটি" নামক ১টা অচেনা আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসছে। প্রফাইল ভিসিট করে এক্সেপ্ট করলাম। সাথে সাথে ম্যাসেজ.

.

:-কি কর? (সেই মেয়েটি)

:- কে?

-- নিশী।

-- [বুকে কেমন জানি করতে লাগল] কিছু না। তুমি কেমন আছো?

-- ভালো। কলেজ আস না কেন?

-- এমনি। ভালো লাগেনা।

-- কাল থেকে আসবে। খুব ভালো তো বক্ত্যেব্যে দিতে পার তুমি।

-- কইছে তোমারে?

-- হুম

-- বাই

.

এভাবে প্রতিদিন ঠুকঠাক কথাবার্তা হত। একসময় ফোন নাম্বার আদান-প্রদান হলো। দুজনের কথার

পরিমাণ বাড়তে থাকে। নিশীকে সেই প্রথম দেখে

ভালো লেগেছিল। আমি জানে নিশী সেটা। তবুও

বলতে ভয় হয়। যদি ফ্রেন্ডশীপ নষ্ট হয় সেজন্য। এভাবে প্রায় অনেকদিন কেটে গেল। একজনের আরেকজনের প্রতি কেয়ারিং বাড়তে থাকল। এর মাঝে দুজনে এইচ এস সি দিয়ে অনার্সে ভর্তি হলাম একই ভার্সিটিতে।

.

অনেকভেবে ঠিক করলাম আগামীকাল নিশীকে প্রপোজ করব।নিশীকে কল দিয়ে বললাম কাল দেখা করতে।

.

পরদিন দুজনে দেখা করলাম.

-- কেন আসতে বললে এখানে? (নিশী)

-- নিশী আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।(আমি)

-- হুম বল।

-- নিশী আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি। সেদিন থেকে তুমি আমার মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছ। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার মনে একটু জায়গা দিবে আমাকে।

-- [নিশীর চোখ দিয়ে জ্বল ঝরছে। আর আমার শরীর থেকে ঘাম (ভয়ে)] এই কথাটা বলতে তোমার তিন বছর সময় লাগল রাব্বি।

-- কেন আরও বেশি সময় নেওয়া উচিত ছিল।

--- এবার ঘুষির ঝড় নামল আমার উপর। তবে এ কিল-ঘুষিতে ব্যাথা লাগছে না বরং ভালোই লাগছে। নিশীকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।

.

এবার একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর হতে থাকল। সাথে কেয়ারিং। মিষ্টি ঝগড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের মিষ্টি রিলেশন আরও গভীর হতে থাকল।

.

এরই মধ্যে অনার্স লেভেল শেষ করে মাস্টার্স শেষ পর্যায়ে।এর মাঝে নিশী একদিন কল করে বলে.

.

:- আমার বাসায় বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।(নিশী)

:- ফাজলামি কর। (আমি)

-- তোমার মনে হয় ফাজলামি করতেছি।

-- হ্যাঁ।

-- আমি সত্যিই বলছি রাব্বি।(কেঁদে কেঁদে)

-- নিশী কান্না করার কি আছে। আমি আছি তো।

-- তুমি কিছু কর রাব্বি।

-- কলটি কেটে দিলাম।

.

আমি বাসায় জানালাম নিশীর কথা। বাবা- মা ও রাজি হলেন। নিশীর পরিবারের সাথে কথা বলে বিয়ে ঠিক করা হলো।

.

আজ আমার বাসর রাত। ঘরে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছি। সাত-পাঁচ ভেবে ঢুকে পড়লাম। নিশীর পাশে বসতেই

আমাকে সালাম করল। আমি তাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। তার কপালে একটা চুমো একে দিলাম।

নিশী বলল.

-- এভাবে সারাজীবন তোমার বুকে ঠাই দিও

-- তুমি শুধু আমাকে ভালোবেসে যেও।

.

.

পরের এটা আপনাদের না জানলেও চলবে।

.

এটি আমার প্রথম লিখা কোন গল্প। তাই ভূল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন প্লিজ।

..

□ ভালোবেসে যেও