01-10-2017, 02:40 PM
গ্রামের ধূলা-বালির কাঁচা পথ। কখনও সেটা সুবিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যে অস্পষ্ট, কখনও বা ক্ষুদ্র গ্রামের মধ্যে লুপ্ত, অবরুদ্ধ, আর সেই পথেই ছিল আমার প্রাইমারি স্কুলের যাত্রা। প্রাইমারিতে কিছুটা ভালো ছাত্র হলেও যখন হাইস্কুলের দরজায়, তখন যেন খেলাধুলার মাঝে পড়াশুনা ছিল শুধু নামে মাত্র। তখনও কিঞ্চিৎ ভালো ছাত্র ছিলাম।
সারাদিন গ্রামের বন্ধুদের সাথে উল্লাস, হৈহুল্লা আর খেলাধুলা, সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বিদ্যুৎবিহীন রুমে ঘুমিয়ে যাওয়াটাই ছিল রুটিন মাফিক। আর স্কুল ফাঁকি দিয়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠে ক্রিকেট খেলা এবং বিভিন্ন বাড়িতে দৌড়ে চোর-পুলিশ খেলতে গিয়ে বাবা-মার থেকে পিটুনি খাওয়াটাও ছিল দৈনিক রুটিনের খাতায় লেখা আরেকটা লাইন। অন্যদিকে বছর শেষে পরীক্ষায় টেনে টুনে পাস করাটাই ছিলো যেন মুখ্য।
অষ্টম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে ক্লাস রোল যখন ৭ থেকে ২৪ এ পৌঁছেছিল, তখন স্যার একদিন বলেছিলেন “কোন রকম কানের কাছ দিয়ে এবারের মত বেঁচে গেছিস, আগামীতে আর পার নয়’। এই হলো আমার পড়ালেখা নিয়ে স্যারের দেওয়া সার্টিফিকেট। অন্যদিকে বাবা-মা আর এলাকাবাসীর দেওয়া সার্টিফিকেট নাই বা উল্লেখ করলাম।
সেদিনের পর থেকেই নিজেকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছি। একটা সময় টিফিনে যখন অন্যরা মাঠে খেলায় মগ্ন থাকতো, আর আমি তখন টিফিন পরবর্তী ক্লাসের পড়া রেডি করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম।
সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। হঠাৎ একদিন বাদসাধলো একটা প্রাইভেট। ভোরের মৌনতা ভেদ করে একদিন প্রাইভেট পড়তে গেলাম গণিত স্যারের বাসায়। হুম, সেই প্রাইভেটেই আমার জীবনের প্রথম মনোরানীর আবির্ভাব। সেদিন তাকে প্রথম দেখাতেই বড্ড ইচ্ছের দানা বেঁধেছিল আত্মার ধারের কাছে আনতে।
কিন্তু না, সেদিন পারিনি, সেবার তার অবস্থান ছিলো ক্ষণিকের মাত্র। পরে অবশ্য পোষে আনতে মাসখানিক লেগে গিয়েছিল। আর তখন আত্তার কাছে নয় সরাসরি মনোরাজ্যের সিংহাসনে গিয়ে হাজির। সেই থেকেই তার কড়া নাড়া শুরু আমার মন মন্দিরে।
বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে দুজনের শুরু হয়েছিল অভিযান, কথাপত্থনে করেছিলে আমার সাথে কত অভিমান। ভালোবাসার হাত ছাঁনি দিয়ে ডেকেছে আমায়, আর তাই তো আঁকড়ে ধঁরেছিলাম হাতটা তোমার। কিন্তু সেই হাত কি বেশীদিন ধরে রাখার সোভাগ্য হয়েছিল আমার? নাহ হয়নি!
তখন সবসময় আমি ভাবতাম আমার ক্যারিয়ার নিয়ে, আর ও বিয়ে নিয়ে। তখন আমার বয়সই বা কত, বিয়ে মানেটাই সেদিন বুঝতে শিখিনি। তবে হ্যা! শিখেছিলাম, যেদিন চোখের সামনে দিয়ে দল বেঁধে গাড়ি এসে আমার স্বপ্নের রাজকন্যাকে বঁধু বেশে সাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন বুঝিছিলাম সত্যি ভালোবাসা কি?
আর সেদিনই আমার ভিতরটাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলো আসলেই ভালোবাসার শুরু হয়, শেষ হয় না। স্ক্লুল কলেজ পেরিয়ে আজ দৌড়াচ্ছি ভার্সিটিতে। তবুও সেদিন গুলোর স্মৃতি দূর হয়নি মন থেকে, ভুলে যাইনি অন্যের ঘরে থাকা আমার রাজকন্যাকে।
[গল্পটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]
সারাদিন গ্রামের বন্ধুদের সাথে উল্লাস, হৈহুল্লা আর খেলাধুলা, সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বিদ্যুৎবিহীন রুমে ঘুমিয়ে যাওয়াটাই ছিল রুটিন মাফিক। আর স্কুল ফাঁকি দিয়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠে ক্রিকেট খেলা এবং বিভিন্ন বাড়িতে দৌড়ে চোর-পুলিশ খেলতে গিয়ে বাবা-মার থেকে পিটুনি খাওয়াটাও ছিল দৈনিক রুটিনের খাতায় লেখা আরেকটা লাইন। অন্যদিকে বছর শেষে পরীক্ষায় টেনে টুনে পাস করাটাই ছিলো যেন মুখ্য।
অষ্টম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে ক্লাস রোল যখন ৭ থেকে ২৪ এ পৌঁছেছিল, তখন স্যার একদিন বলেছিলেন “কোন রকম কানের কাছ দিয়ে এবারের মত বেঁচে গেছিস, আগামীতে আর পার নয়’। এই হলো আমার পড়ালেখা নিয়ে স্যারের দেওয়া সার্টিফিকেট। অন্যদিকে বাবা-মা আর এলাকাবাসীর দেওয়া সার্টিফিকেট নাই বা উল্লেখ করলাম।
সেদিনের পর থেকেই নিজেকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছি। একটা সময় টিফিনে যখন অন্যরা মাঠে খেলায় মগ্ন থাকতো, আর আমি তখন টিফিন পরবর্তী ক্লাসের পড়া রেডি করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম।
সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। হঠাৎ একদিন বাদসাধলো একটা প্রাইভেট। ভোরের মৌনতা ভেদ করে একদিন প্রাইভেট পড়তে গেলাম গণিত স্যারের বাসায়। হুম, সেই প্রাইভেটেই আমার জীবনের প্রথম মনোরানীর আবির্ভাব। সেদিন তাকে প্রথম দেখাতেই বড্ড ইচ্ছের দানা বেঁধেছিল আত্মার ধারের কাছে আনতে।
কিন্তু না, সেদিন পারিনি, সেবার তার অবস্থান ছিলো ক্ষণিকের মাত্র। পরে অবশ্য পোষে আনতে মাসখানিক লেগে গিয়েছিল। আর তখন আত্তার কাছে নয় সরাসরি মনোরাজ্যের সিংহাসনে গিয়ে হাজির। সেই থেকেই তার কড়া নাড়া শুরু আমার মন মন্দিরে।
বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে দুজনের শুরু হয়েছিল অভিযান, কথাপত্থনে করেছিলে আমার সাথে কত অভিমান। ভালোবাসার হাত ছাঁনি দিয়ে ডেকেছে আমায়, আর তাই তো আঁকড়ে ধঁরেছিলাম হাতটা তোমার। কিন্তু সেই হাত কি বেশীদিন ধরে রাখার সোভাগ্য হয়েছিল আমার? নাহ হয়নি!
তখন সবসময় আমি ভাবতাম আমার ক্যারিয়ার নিয়ে, আর ও বিয়ে নিয়ে। তখন আমার বয়সই বা কত, বিয়ে মানেটাই সেদিন বুঝতে শিখিনি। তবে হ্যা! শিখেছিলাম, যেদিন চোখের সামনে দিয়ে দল বেঁধে গাড়ি এসে আমার স্বপ্নের রাজকন্যাকে বঁধু বেশে সাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন বুঝিছিলাম সত্যি ভালোবাসা কি?
আর সেদিনই আমার ভিতরটাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলো আসলেই ভালোবাসার শুরু হয়, শেষ হয় না। স্ক্লুল কলেজ পেরিয়ে আজ দৌড়াচ্ছি ভার্সিটিতে। তবুও সেদিন গুলোর স্মৃতি দূর হয়নি মন থেকে, ভুলে যাইনি অন্যের ঘরে থাকা আমার রাজকন্যাকে।
[গল্পটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]