02-20-2017, 06:19 PM
রিক্সা থেকে রিয়া নেমে যাওয়ার পর মনে হল আটার বস্তা
পাশ থেকে সরেছে।যার জন্য ভাল করে রিক্সায় বসতে’ই
পারছিলাম না।এখন খুব ধীরে সুস্থে বেশ জায়গা রেখে
রিক্সাতে বসতে পারলাম।
নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হচ্ছে।যায় হোক রিক্সাওয়ালাকে
রিক্সা চালাতে বলে আশপাশ দেখায় মনযোগ হলাম।ঠীক কিছু
দূর যেতে সামনে রাইসা কে দেখতে পেয়ে রিক্সাওয়ালাকে
তাড়াতাড়ি চালাতে বলে অন্যপাশে তাকিয়ে আছি।যাতে ও
আমাকে দেখতে না পাই।কিন্তু যা হবার হল রিক্সাটা ওর
সামনে বরাবর আসতেই রাইসা ঠীক আমাকে দেখতে পেয়ে খুব
জোরে রিক্সাওয়ালাকে কথাটি বলল।রিক্সাওয়ালা
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে একটু সামনে রিক্সাটা থামাল।আমি পিছন
থেকে তাকিয়ে দেখি রাইসা কোমরে হাত দিয়ে আমার দিকে
তাকিয়ে ও মনে হয় আমার কপালে খারাপ কিছু আছে।রাইসা
আসার আগে রিক্সাওয়ালাকে বললাম।
.
-আরে ভাইজান আপনারে রিক্সা থামাইতে বলছে কে?
-ঔ যে আপাটা বলল।আমি ভাবছি আপনের পরিচিত কেউ হবে।
-রিক্সা ভাড়া করছি আমি টাকা ও দিমু আর আপনি আপনার
আপার কথায় রিক্সা থামাইয়া আমারে বিপদে পালাই দিলেন।
চলেন তাড়াতাড়ি চলেন।
.
কথাটা বলে পাশে থাকিয়ে দেখি রাইসা আমার পাশে দাড়িয়ে
চোখ দু’টো তালের মত করে পুরাই রিনা খানের লুক নিয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ মনে হয় কাল অধ্যায় সূচনা
হতে যাবে।ও কিছুক্ষন এভাবে তাকিয়ে থাকার পর আমাকে বেশ
স্বাভাবিক ভাবে বলল।
.
-আরেকটু পাশে গিয়ে বস।
.
আমি কিছু না বলে ওকে বসার জন্য জায়গা দিয়ে একটু সড়ে
বসলাম।ও রিক্সাতে উঠে রিক্সাওয়ালাকে রিক্সা চালাতে
বলল।
.
“ফইন্নী রিক্সা ভাড়া করছি আমি আর ওনি ওনার আপার
কথায় থামে আর চালাই।আজ ভাড়াটা ও তোমার আপারে’ই
দিয়ামু দাড়াও”
.
রিক্সায় দু’জন চুপ হয়ে বসে আছি কারো মুখে কথা নেই।আমি
বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছি আবার অন্যদিকে তাকাচ্ছি।ও আড়
চোখে আমার তাকানো দেখে আবার সামনে আবার অন্যদিকে
তাকাচ্ছে।আমি কথা বলার সাহস ও পাচ্ছি না।কারণ এতে যদি
আর ও রেগে যায়।তার থেকে চুপ করে থাকাটা ভাল।
.
রাইসার সাথে দেখা করার কথা ছিল সকাল নয়টায়।প্রতিবারি
দেখা করার সময় আমার লেইট হবে’ই।তাই ও আমাকে বারবার
ফোন করে মনে করিয়ে দিত।রাতে ও আমাকে ফোন করে বলে
দেয় সকাল আট’টায় এলার্ম দিতে আর ঠীক নয়টায় ওর সামনে
উপস্থিথ হতে।সকালে ওর ফোন পেয়ে দেখি সাড়ে নয়টা
বাজে।তাড়াতাড়ি দশ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে রাস্তায় এসে
অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরে ও দেখছি একটা রিক্সা ও পাচ্ছি
না।যেখানে প্রতিদিন আসা মাত্র’ই রিক্সা পেয়ে যায়।যায়
হোক আর ও কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরে ও শেষমেষ একটা
রিক্সা পেয়ে তাড়াতাড়ি চালাতে বললাম।
.
একটু সামনে যাওয়ার পর দেখি রিয়া দাড়িয়ে আছে।
রিয়া আমার বোনের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে।আমি
ওকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রিক্সা থামাতে বলে ওকে জ্ঞিজেস
করলাম।
.
-কোথাও কি যাবে।
-হ্যা ভাইয়া কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে আর এদিকে একটা
রিক্সা ও পাচ্ছি না।
-আচ্ছা ঠীক আছে উঠে বস।
.
ও আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে রিক্সায় উঠে বসল।ও উঠার পর মনে
হল।এতক্ষন যেভাবে আরাম করে রিক্সায় বসছিলাম তা আর
পারছি না।বেশ চিপচাপ হয়ে বসে আছি।
.
ওর কলেজের কিছু সামনে রাইসাদের বাসা কথা ছিল সেখানে
এসে ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাব।কিন্তু যখনি রিয়াকে ওর
কলেজের সামনে রিক্সা থেকে নামল।ঠীক এখানে রাইসাকে
দেখব ভাবতে’ই পারিনি।যেখানে রাইসা আমাকে কোন মেয়ের
সাথে কথা বলতে দেয় না।সেখানে রিক্সায় আমার সাথে অন্য
মেয়ে দেখে রাগী মেয়েটা কি না কি করে বসে।
.
পার্কে চলে আসার পর রাইসা রিক্সা থেকে নেমে কিছু না বলে
চলে একবার আমার দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্চিল।আমি ওর দিকে
আগ বাড়িয়ে বললাম।
.
“রিক্সার ভাড়াটা”
.
ও আমার কথা শুনে আমার দিকে আবার তাকাল।আবার ফিরে
এসে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ভাড়াটা দিয়ে।আমাকে মারার
ভয় দেখাল।রাস্তা ঘাটে ছেলে নির্যাতন যা বলে আরকি।যা
দেখে রিক্সাওয়ালা মিটমিট হাসতে লাগল।আমার এদিকে
অবস্থা খারাপ আর অন্যদিকে ফইন্নী হাসে।ও আবার ও কিছু
না বল সামনের দিকে হাটতে লাগল।আমি ওর পিছুপিছু হাটতে
লাগলাম। মেয়েটা অনেক রাগ করে আছে।এভাবে কিছুক্ষন
হাটার পর ও গিয়ে একটা জায়গায় অন্যদিকে মুখ করে বসে
আছে আর আমি গিয়ে ওর পাশে বসি।
.
কিছুক্ষন নিরবতার পর আমি বেশ স্বাভাবিক ভাবে ওকে
বললাম।
.
-আসলে ও রিয়া আমার বোনের বান্ধবী আমার ও বোনের
মত।ও রিক্সা পাচ্ছিল না আর এদিকে কলেজে ও লেট হয়ে
যায়।যার জন্য…
.
কথাটা শুনে ও আমার দিকে তাকাল।আমি আর কিছু না বলে
চুপ হয়ে গেলাম।আবার অন্যদিকে তাকিয়ে একটু সময় নিয়ে
বলল।
.
-আমি কি এটা জ্ঞিজেস করছি।
-না।
-চুপ একদম কথা বলবি না তুই।
-হুম
.
ও একটু পর এবার আমার দিকে তাকিয়ে এক হাত দিয়ে আমার
কানটা ধরে বলল।
.
-ঔ হুম কি হু।আমি রাগ করে আছি এটা না ভাঙিয়ে চুপ করে
আছ কেন।রিয়া ত তোমার বোন এটা ত আমি জানি।আমি
তোমার মত গাধা নাকি।আমি তোমার সব খবর ই রাখি।কয়টা
আসার কথা ছিল আর তুমি আসলে কয়টায়।
-আরে আরে ব্যাথা পাচ্ছি ত।
-ব্যাথা পাওয়ার জন্য ত ধরছি।
-সবার সামনে একটা মানসম্মানের ব্যা
পাশ থেকে সরেছে।যার জন্য ভাল করে রিক্সায় বসতে’ই
পারছিলাম না।এখন খুব ধীরে সুস্থে বেশ জায়গা রেখে
রিক্সাতে বসতে পারলাম।
নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হচ্ছে।যায় হোক রিক্সাওয়ালাকে
রিক্সা চালাতে বলে আশপাশ দেখায় মনযোগ হলাম।ঠীক কিছু
দূর যেতে সামনে রাইসা কে দেখতে পেয়ে রিক্সাওয়ালাকে
তাড়াতাড়ি চালাতে বলে অন্যপাশে তাকিয়ে আছি।যাতে ও
আমাকে দেখতে না পাই।কিন্তু যা হবার হল রিক্সাটা ওর
সামনে বরাবর আসতেই রাইসা ঠীক আমাকে দেখতে পেয়ে খুব
জোরে রিক্সাওয়ালাকে কথাটি বলল।রিক্সাওয়ালা
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে একটু সামনে রিক্সাটা থামাল।আমি পিছন
থেকে তাকিয়ে দেখি রাইসা কোমরে হাত দিয়ে আমার দিকে
তাকিয়ে ও মনে হয় আমার কপালে খারাপ কিছু আছে।রাইসা
আসার আগে রিক্সাওয়ালাকে বললাম।
.
-আরে ভাইজান আপনারে রিক্সা থামাইতে বলছে কে?
-ঔ যে আপাটা বলল।আমি ভাবছি আপনের পরিচিত কেউ হবে।
-রিক্সা ভাড়া করছি আমি টাকা ও দিমু আর আপনি আপনার
আপার কথায় রিক্সা থামাইয়া আমারে বিপদে পালাই দিলেন।
চলেন তাড়াতাড়ি চলেন।
.
কথাটা বলে পাশে থাকিয়ে দেখি রাইসা আমার পাশে দাড়িয়ে
চোখ দু’টো তালের মত করে পুরাই রিনা খানের লুক নিয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ মনে হয় কাল অধ্যায় সূচনা
হতে যাবে।ও কিছুক্ষন এভাবে তাকিয়ে থাকার পর আমাকে বেশ
স্বাভাবিক ভাবে বলল।
.
-আরেকটু পাশে গিয়ে বস।
.
আমি কিছু না বলে ওকে বসার জন্য জায়গা দিয়ে একটু সড়ে
বসলাম।ও রিক্সাতে উঠে রিক্সাওয়ালাকে রিক্সা চালাতে
বলল।
.
“ফইন্নী রিক্সা ভাড়া করছি আমি আর ওনি ওনার আপার
কথায় থামে আর চালাই।আজ ভাড়াটা ও তোমার আপারে’ই
দিয়ামু দাড়াও”
.
রিক্সায় দু’জন চুপ হয়ে বসে আছি কারো মুখে কথা নেই।আমি
বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছি আবার অন্যদিকে তাকাচ্ছি।ও আড়
চোখে আমার তাকানো দেখে আবার সামনে আবার অন্যদিকে
তাকাচ্ছে।আমি কথা বলার সাহস ও পাচ্ছি না।কারণ এতে যদি
আর ও রেগে যায়।তার থেকে চুপ করে থাকাটা ভাল।
.
রাইসার সাথে দেখা করার কথা ছিল সকাল নয়টায়।প্রতিবারি
দেখা করার সময় আমার লেইট হবে’ই।তাই ও আমাকে বারবার
ফোন করে মনে করিয়ে দিত।রাতে ও আমাকে ফোন করে বলে
দেয় সকাল আট’টায় এলার্ম দিতে আর ঠীক নয়টায় ওর সামনে
উপস্থিথ হতে।সকালে ওর ফোন পেয়ে দেখি সাড়ে নয়টা
বাজে।তাড়াতাড়ি দশ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে রাস্তায় এসে
অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরে ও দেখছি একটা রিক্সা ও পাচ্ছি
না।যেখানে প্রতিদিন আসা মাত্র’ই রিক্সা পেয়ে যায়।যায়
হোক আর ও কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরে ও শেষমেষ একটা
রিক্সা পেয়ে তাড়াতাড়ি চালাতে বললাম।
.
একটু সামনে যাওয়ার পর দেখি রিয়া দাড়িয়ে আছে।
রিয়া আমার বোনের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে।আমি
ওকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রিক্সা থামাতে বলে ওকে জ্ঞিজেস
করলাম।
.
-কোথাও কি যাবে।
-হ্যা ভাইয়া কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে আর এদিকে একটা
রিক্সা ও পাচ্ছি না।
-আচ্ছা ঠীক আছে উঠে বস।
.
ও আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে রিক্সায় উঠে বসল।ও উঠার পর মনে
হল।এতক্ষন যেভাবে আরাম করে রিক্সায় বসছিলাম তা আর
পারছি না।বেশ চিপচাপ হয়ে বসে আছি।
.
ওর কলেজের কিছু সামনে রাইসাদের বাসা কথা ছিল সেখানে
এসে ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাব।কিন্তু যখনি রিয়াকে ওর
কলেজের সামনে রিক্সা থেকে নামল।ঠীক এখানে রাইসাকে
দেখব ভাবতে’ই পারিনি।যেখানে রাইসা আমাকে কোন মেয়ের
সাথে কথা বলতে দেয় না।সেখানে রিক্সায় আমার সাথে অন্য
মেয়ে দেখে রাগী মেয়েটা কি না কি করে বসে।
.
পার্কে চলে আসার পর রাইসা রিক্সা থেকে নেমে কিছু না বলে
চলে একবার আমার দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্চিল।আমি ওর দিকে
আগ বাড়িয়ে বললাম।
.
“রিক্সার ভাড়াটা”
.
ও আমার কথা শুনে আমার দিকে আবার তাকাল।আবার ফিরে
এসে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ভাড়াটা দিয়ে।আমাকে মারার
ভয় দেখাল।রাস্তা ঘাটে ছেলে নির্যাতন যা বলে আরকি।যা
দেখে রিক্সাওয়ালা মিটমিট হাসতে লাগল।আমার এদিকে
অবস্থা খারাপ আর অন্যদিকে ফইন্নী হাসে।ও আবার ও কিছু
না বল সামনের দিকে হাটতে লাগল।আমি ওর পিছুপিছু হাটতে
লাগলাম। মেয়েটা অনেক রাগ করে আছে।এভাবে কিছুক্ষন
হাটার পর ও গিয়ে একটা জায়গায় অন্যদিকে মুখ করে বসে
আছে আর আমি গিয়ে ওর পাশে বসি।
.
কিছুক্ষন নিরবতার পর আমি বেশ স্বাভাবিক ভাবে ওকে
বললাম।
.
-আসলে ও রিয়া আমার বোনের বান্ধবী আমার ও বোনের
মত।ও রিক্সা পাচ্ছিল না আর এদিকে কলেজে ও লেট হয়ে
যায়।যার জন্য…
.
কথাটা শুনে ও আমার দিকে তাকাল।আমি আর কিছু না বলে
চুপ হয়ে গেলাম।আবার অন্যদিকে তাকিয়ে একটু সময় নিয়ে
বলল।
.
-আমি কি এটা জ্ঞিজেস করছি।
-না।
-চুপ একদম কথা বলবি না তুই।
-হুম
.
ও একটু পর এবার আমার দিকে তাকিয়ে এক হাত দিয়ে আমার
কানটা ধরে বলল।
.
-ঔ হুম কি হু।আমি রাগ করে আছি এটা না ভাঙিয়ে চুপ করে
আছ কেন।রিয়া ত তোমার বোন এটা ত আমি জানি।আমি
তোমার মত গাধা নাকি।আমি তোমার সব খবর ই রাখি।কয়টা
আসার কথা ছিল আর তুমি আসলে কয়টায়।
-আরে আরে ব্যাথা পাচ্ছি ত।
-ব্যাথা পাওয়ার জন্য ত ধরছি।
-সবার সামনে একটা মানসম্মানের ব্যা