Forums.Likebd.Com

Full Version: জুনিয়র ছেলে vs সিনিয়র অাপুদের প্রেমের গল্প
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
পৃথাপু আমি তোমাকে বিয়ে করব।
কথাটা বলতে হয়ত বেশি সময়
লেগেছে, কিন্তু আমার গালে
পৃথাপুর হাতের পাঁচ আঙুলের ছাঁপ
পরতে বেশি সময় লাগেনি। আমি
গালটা ধরে করুণ চোখে পৃথাপুর
দিকে চেয়ে আছি। অমনিই পৃথাপু
বলল কি বললি হারামজাদা? তোর
এত সাহস কোথা থেকে হয় যে তুই
আমাকে বিয়ে করতে চাস? আমি
তোর অাপু হই না? তুমি কি আমার
অাপন অাপু হও নাকি? আর
তোমাকে
কি অামি কখনও অাপু বলে
ডেকেছি? তোমাকে তো আমি
সবসময় পু পু বলেই ডাকি , পৃথাপু। এই
কথা শুনার পর পৃথাপু অামার দিকে
এমনভাবে তাকালো যেন অামি
তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছি।
আরে বাপ এই মেয়েকে কেমন করে
বোঝাব যে অামি ওকে মেরে
ফেলতে নয়, বিয়ে করতে
চেয়েছি। এই মুহূর্তে আমার উচিত
পৃথাপুর সামনে থেকে কেটে পড়া।
এবং আমি ঠিক সেই কাজটাই
করলাম।
পৃথাপু ও আমি একই এলাকাতেই
থাকি।তাই ছোটবেলা থেকেই
পৃথাপুকে চিনি।অার ছোটবেলা
থেকেই সে অামার সাথে কেমন
জানি অাপু অাপু ভাব দেখায়।
অারে পৃথাপু তো মাত্র অামার
চেয়ে তিন বছরের বড়।অার সে এমন
একটা ভাব দেখায় যেন অামি পুটি
মাছ আর ও বোয়ালমাছ। বেশি
তেড়িবেড়ি করলেই বোয়ালমাছ
পুটি মাছকে খেয়ে ফেলবে। ক্লাস
থ্রিতে পড়ার সময়ই অামি পৃথাপুর
প্রেমে পড়েছিলাম। আসলে ক্লাস
থ্রিতে ফার্স্ট হওয়ার পর পৃথাপু
আমার
গালে একটা কিস করেছিল। সেই
কিসে যে কি ছিল তা আমি
জানি
না,কিন্তু কিছু একটা তো ছিল যার
জনা অামার শিশুসুলভ মনে তখন
প্রেমের উৎপত্তি হয়েছিল।সেই
কিসের বেড়াজাল থেকেই এখনও
অামি বের হতে পারিনি। এসব কথা
চিন্তা করতে করতেই দেখলাম
পৃথাপু
আমার দিকে আসছে।আমি স্বপ্ন
দেখছি না তো।না সত্যিই সত্যিই
পৃথাপু আমার দিকেই আসছে।আমার
খুব
খুশি খুশি লাগছে। তাই চেহারার
মধ্যে যথাসম্ভব রোমিও রোমিও
ভাব
এনে পৃথাপুর দিকে তাকালাম।
কিন্তু
পৃথাপু এমন একটা ভাব করল যেন
আমাকে দেখেই নি।আর দেখলেই
বা কি আমাকে সম্পূর্ণভাবে
অগ্রাহ্য
করে পৃথাপু চলে গেল। আসলে
আমার দিকে তাকানোর সময়
কোথায় তার?এখন তো সে তার
বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে
যাচ্ছে। সালা বয়ফ্রেন্ড আজকে তুই
শেষ। পৃথাপুর বয়ফ্রেন্ড হচ্ছে
তানভীর ভাই।এলাকায় নতুন
এসেছে।অার এসেই আমার পৃথাপুকে
নিয়ে ফেলেছে।তানভীর ভাই
যথেষ্ট স্মার্ট ছেলে।মেয়েরা
তো উনার কাছে পটবেই। এমনিতেই
এলাকাটা অামাদের, তার উপর
তানভীর ভাই নতুন এসেছে।
ব্যাটাকে এমন ভয় দেখালাম যে
সে তখনই পৃথাপুর সাথে ব্রেকআপ
করে ফেলে।কাজটা যে এত সহজেই
হবে ভাবতেই পারিনি। আসল
ব্যাপারটা হচ্ছে তানভীর ভাইয়ের
সাথে আরো দুইটা মেয়ের রিলেশন
অাছে।অার এ ব্যাপারটা আমার এক
বন্ধু জেনে যায়।তাই সে অার কোন
ঝামেলা করে না। এই তানভীর
পোলাটার জন্য এখন অামার একটু
খারাপ লাগতাছে।ব্রেকআপের সময়
নাকি পৃথাপু তার গালে একটা চড়
মারছে। অন্যদিকে বয়ফ্রেন্ডের
কাছ থেকে এরকম ছ্যাকা খাওয়ার
পর
পৃথাপুর অবস্থা তো এখন কাহিল। সে
ছ্যাকা সহ্য করতে না পেরে
ব্যাঁকা
হয়ে গেছে।তার এই ছ্যাকা যদি শুধু
ব্যাঁকা হওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ
থাকত,
তবে হয়ত কিছু হত না।কিন্ত এই
ছ্যাকার মাত্রা এতই বেশি ছিল
যে,
ছ্যাকা খেয়ে এখন সে বিয়ে
করতে চায়। অার এই কথা শুনে
অামার ব্যাঁকা হওয়ার মত অবস্থা।
আমি এখন পৃথাপুর দিকে দেবদাসের
মত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি,
অার পৃথাপু পারুর মত চেয়ে থাকে।
অামরা দুজনেই তো ছ্যাকা
খেয়েছি। যদিও মানুষগুলো ভিন্ন
ভিন্ন। পৃথাপু ওর বয়ফ্রেন্ডের কাছে
অার অামি পৃথাপুর কাছে। একদিন
হঠাৎ করেই পৃথাপুকে দেখতে বরপক্ষ
ওদের বাসায় গেল। আমার আর সহ্য
হল না। অামিও ওদের বাসায়
গেলাম
আর বরপক্ষের সামনেই পৃথাপুর
বাবাকে বললাম আমি পৃথাপুকে
বিয়ে করব।অামার কথা শেষ না
হতেই পৃথাপুর বাবার হাতের পাঁচ
অাঙুলের ছাঁপ অামার গালে পড়ল।
অাসলে এই বাপ-মেয়ের সমস্যা কি?
কথা বলার অাগেই হুটহাট করে চড়
মারে। ও খোদা তুমি আমারে
নিয়া
যাও। অামি অার এ পৃথিবীতে
থাকমু
না।