02-21-2017, 08:28 AM
©বৃহস্পতিবার দিনটা আকাশের খুব কষ্টে যাবে।এখন বিকাল ৪
টা।মীমের গায়ে হলুদ হচ্ছে,কাল বিয়ে।আকাশ আর মীম একই
এলাকায় থাকে।মীমের বাবা মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে
এসেছেন।
.
®মীমের বাবা আকাশের মা কে বলছে,"আর বইলেন না ভাবি
হঠাৎ করেই বিয়েটা ঠিক হয়ে গেল,কোথা থেকে যে কি হয়ে
গেলো কিছুই বুঝতে পারি না।মেয়ে বিয়ের জন্য উপযুক্ত।আর
কতদিনই বা বাপের বাড়ি থাকবে বলেন।ছেলে অতি সুপাত্র।
বংশপরিচয় ও মন্দো না।আকাশের মা কে অনেক পীরাপিরি
করল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য।
.
আকাশ নীরবে দারিয়ে তার ঘর থেকে সব কিছু শুনছে।আর মনে
হচ্ছে যেন একটা ভারি পাথর তার বুকের উপর কেউ চাপা
দিয়েছে।
.
©কিছুক্ষন পর ভোঁ ভোঁ শব্দে টেবিল কাপতে থাকে,হ্যা ফোন
এসেছে,
আকাশের ১০০ মডেলের ফোনটা কেপে কেপে তার জানান
দিচ্ছে।কেউ তাকে স্বরন করেছে।কিন্তু এইসময় কে আবার
তাকে স্বরন করবে।স্কিনে তাকিয়ে দেখল এ যে সেই চির
পরিচিত নাম,মীমের নামটা আকাশ প্রিনসেস লিখে সেইভ
করছিল।
মীম ফোন করেছে কেন,বিয়ের দাওয়াত দিবে বলে।এতোটা
নির্মম,নিষ্ঠুর না হলেও চলত।অনেক ভেবে আকাশ ফোনটা
রিসিভ করল।
,
আকাশঃ হ্যালো.....
মীমঃবাবু শোন,আমি বেশিক্ষন কথা বলতে পারব না।প্লিজ
আমাকে ভুল বুঝো না।
আকাশঃফোন করেছ কেন?আমাকে কষ্ট দিবে বলে?
মীমঃনা বাবু তুমি ভুল বুঝতেছ,আমার কাছে ফোন ছিল না।
ফোন বাবা নিয়ে গেছিল।তাই তোমাকে কিছুই জানাতে পারি
নি।প্লিজ রাগ করে থেকো না আমার উপর।
মনে আছে আমি বলেছিলাম তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব
না?এই তুমি শুনছ?
,
আকাশের হৃদপিন্ড যেন বন্ধ হয়ে গেছে।
আকাশঃকাপা কাপা স্বরে বলল, হ্যাঁ শুনছি।
মীমঃ শোন কাল আমরা পালাব।তুমি বলছিলা না তোমার
পালিয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন,কাল তোমার স্বপ্নপূরন হবে।
আকাশঃকিন্তু কোথায় যাব,আর এইসব ভেবে বলতেছ তো?
মীমঃকিছু কাজ খুব তারাতারিই করতে হয়।এতো বড়ো
পৃথিবী,তোমার আমার জন্য কি একচিলতে জায়গা কোথাও হবে
না বল?
আকাশঃহবে,অবশ্যই হবে।কিন্তু কাল কোথায় আসব?
মীমঃকাল সাড়ে আট টায় আমাকে পার্লারে সাজাতে নিয়ে যাবে।
তুমি ঠিক ৯ টায় পার্লারের সামনে থাকবে।
এই যে মিস্টার মনে থাকবে তো ঠিক নটায়।
আকাশঃআরে নাহ,আমি ৯ টার আগেই পৌছে যাবো।
মীমঃআর হ্যাঁ পালতে হলে তো টাকা লাগবে,আমার কাছে দশ
হাজার টাকা ছিল কিছু খরচ করে ফেলেছি।তোমার কাছে কত
আছে?
আকাশঃআমার কাছে ৪০০ টাকা আছে!
.
মীম হেসে দিল,এই কথা শোনার পর হাসি আর যেন থামাতেই
পারছে না।
সেই পরিচিত হাসি।যে হাসিতে কোনো কৃত্তিমতা নেই।
.
মীমঃআচ্ছা বেশ তুমি ৪০০ টাকা নিয়েই চলে এসো ঠিক টাইমে।
আমি ফোন অফ করে রাখছি কিন্তু।মনে থাকে যেন ঠিক ৯ টা।
.
®হৃৎপিন্ড চালু হয়েছে,আকাশ স্পষ্ট ওর বুকের টিপটিপানি
শুনতে পাচ্ছে।এস এস সির রেজাল্টের দিনেও এরকম অনুভূতি
হয়েছিল;কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম।মীমদের বাসায় গায়ে
হলুদের গান বাজছে।আকাশের ঘর থেকে শোনা যাচ্ছে।একটু
আগেও যেই গান অসহ্য লাগছিল এখন তা রসমালাইর মতো
লাগছে।
.
®টাকা দরকার টাকা,আপাতত পনের বিশ হাজার দরকার।
আকাশ ওর সব বন্ধুদের ফোন দিল এবং রাতের মধ্যেই দশ
বারো হাজার টাকা হাতে এসে গেল।এখন একটা বাইক হলে মন্দ
হতো না।ইমনকে ফোন দিতে যাবে এমন সময় ফোনটা বন্ধ
হয়ে গেল চার্য থাকা স্বত্তেও।এই ফোনটা মাঝে মাঝেই
আশ্চর্য দুষ্টুমি করে ওর সাথে।ফোন অন হলো,কালকের জন্য
বাইকও জোগার হলো।রাত তখন আরাইটা।ঠিক সারে আটটায়
অ্যালার্ম সেট করে ঘুমাতে গেল স্বপ্নবাজ ছেলেটা।
.
®অ্যালার্ম বাজছে,চট করে ঘুম ভেঙ্গে গেল আকাশের।সারে
আটটাই তো বাজে।বাসা এত নীরব কেন!হঠাৎ আজানের শব্দ
হলো।আজান!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শুক্রবারের আজান?
আকাশ লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামল।ওর দরজায় ছোট
বোনের লেখা একটা চিরকুট ঝুলছে,,
.
®ভাইয়া,আমরা মীম আপুর বিয়েতে যাচ্ছি,তুমিও গোসল করে
চলে এসো।চাবি টবের নিচে রাখা আছে।
.
©আকাশের মনে হলো ওর মাথায় বজ্রপাত হয়েছে।মূর্তির
মতো দারিয়ে রইল ও।মনে পরল গতকাল রাতে ফোনটা বন্ধ
হয়ে গেছিল।টাইম অটো আপডেট দেওয়া ছিল না।সাড়ে আটটার
এলার্ম বেজেছে সাড়ে বাড়োটায়!!কি নির্দয় এলার্ম!!ফোনটা
তখন ও বেজেই যাচ্ছে, বেজেই যাচ্ছে।অ্যালার্মের শব্দ এতো
নিষ্ঠুর হতে পারে কখনো?
©আকাশের কান্না পাচ্ছে।কাঁদতেও লজ্জা লাগছে।কারন কবি
বলিয়াছেন,"ছেলেদের কাঁদতে নেই!!
টা।মীমের গায়ে হলুদ হচ্ছে,কাল বিয়ে।আকাশ আর মীম একই
এলাকায় থাকে।মীমের বাবা মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে
এসেছেন।
.
®মীমের বাবা আকাশের মা কে বলছে,"আর বইলেন না ভাবি
হঠাৎ করেই বিয়েটা ঠিক হয়ে গেল,কোথা থেকে যে কি হয়ে
গেলো কিছুই বুঝতে পারি না।মেয়ে বিয়ের জন্য উপযুক্ত।আর
কতদিনই বা বাপের বাড়ি থাকবে বলেন।ছেলে অতি সুপাত্র।
বংশপরিচয় ও মন্দো না।আকাশের মা কে অনেক পীরাপিরি
করল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য।
.
আকাশ নীরবে দারিয়ে তার ঘর থেকে সব কিছু শুনছে।আর মনে
হচ্ছে যেন একটা ভারি পাথর তার বুকের উপর কেউ চাপা
দিয়েছে।
.
©কিছুক্ষন পর ভোঁ ভোঁ শব্দে টেবিল কাপতে থাকে,হ্যা ফোন
এসেছে,
আকাশের ১০০ মডেলের ফোনটা কেপে কেপে তার জানান
দিচ্ছে।কেউ তাকে স্বরন করেছে।কিন্তু এইসময় কে আবার
তাকে স্বরন করবে।স্কিনে তাকিয়ে দেখল এ যে সেই চির
পরিচিত নাম,মীমের নামটা আকাশ প্রিনসেস লিখে সেইভ
করছিল।
মীম ফোন করেছে কেন,বিয়ের দাওয়াত দিবে বলে।এতোটা
নির্মম,নিষ্ঠুর না হলেও চলত।অনেক ভেবে আকাশ ফোনটা
রিসিভ করল।
,
আকাশঃ হ্যালো.....
মীমঃবাবু শোন,আমি বেশিক্ষন কথা বলতে পারব না।প্লিজ
আমাকে ভুল বুঝো না।
আকাশঃফোন করেছ কেন?আমাকে কষ্ট দিবে বলে?
মীমঃনা বাবু তুমি ভুল বুঝতেছ,আমার কাছে ফোন ছিল না।
ফোন বাবা নিয়ে গেছিল।তাই তোমাকে কিছুই জানাতে পারি
নি।প্লিজ রাগ করে থেকো না আমার উপর।
মনে আছে আমি বলেছিলাম তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব
না?এই তুমি শুনছ?
,
আকাশের হৃদপিন্ড যেন বন্ধ হয়ে গেছে।
আকাশঃকাপা কাপা স্বরে বলল, হ্যাঁ শুনছি।
মীমঃ শোন কাল আমরা পালাব।তুমি বলছিলা না তোমার
পালিয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন,কাল তোমার স্বপ্নপূরন হবে।
আকাশঃকিন্তু কোথায় যাব,আর এইসব ভেবে বলতেছ তো?
মীমঃকিছু কাজ খুব তারাতারিই করতে হয়।এতো বড়ো
পৃথিবী,তোমার আমার জন্য কি একচিলতে জায়গা কোথাও হবে
না বল?
আকাশঃহবে,অবশ্যই হবে।কিন্তু কাল কোথায় আসব?
মীমঃকাল সাড়ে আট টায় আমাকে পার্লারে সাজাতে নিয়ে যাবে।
তুমি ঠিক ৯ টায় পার্লারের সামনে থাকবে।
এই যে মিস্টার মনে থাকবে তো ঠিক নটায়।
আকাশঃআরে নাহ,আমি ৯ টার আগেই পৌছে যাবো।
মীমঃআর হ্যাঁ পালতে হলে তো টাকা লাগবে,আমার কাছে দশ
হাজার টাকা ছিল কিছু খরচ করে ফেলেছি।তোমার কাছে কত
আছে?
আকাশঃআমার কাছে ৪০০ টাকা আছে!
.
মীম হেসে দিল,এই কথা শোনার পর হাসি আর যেন থামাতেই
পারছে না।
সেই পরিচিত হাসি।যে হাসিতে কোনো কৃত্তিমতা নেই।
.
মীমঃআচ্ছা বেশ তুমি ৪০০ টাকা নিয়েই চলে এসো ঠিক টাইমে।
আমি ফোন অফ করে রাখছি কিন্তু।মনে থাকে যেন ঠিক ৯ টা।
.
®হৃৎপিন্ড চালু হয়েছে,আকাশ স্পষ্ট ওর বুকের টিপটিপানি
শুনতে পাচ্ছে।এস এস সির রেজাল্টের দিনেও এরকম অনুভূতি
হয়েছিল;কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম।মীমদের বাসায় গায়ে
হলুদের গান বাজছে।আকাশের ঘর থেকে শোনা যাচ্ছে।একটু
আগেও যেই গান অসহ্য লাগছিল এখন তা রসমালাইর মতো
লাগছে।
.
®টাকা দরকার টাকা,আপাতত পনের বিশ হাজার দরকার।
আকাশ ওর সব বন্ধুদের ফোন দিল এবং রাতের মধ্যেই দশ
বারো হাজার টাকা হাতে এসে গেল।এখন একটা বাইক হলে মন্দ
হতো না।ইমনকে ফোন দিতে যাবে এমন সময় ফোনটা বন্ধ
হয়ে গেল চার্য থাকা স্বত্তেও।এই ফোনটা মাঝে মাঝেই
আশ্চর্য দুষ্টুমি করে ওর সাথে।ফোন অন হলো,কালকের জন্য
বাইকও জোগার হলো।রাত তখন আরাইটা।ঠিক সারে আটটায়
অ্যালার্ম সেট করে ঘুমাতে গেল স্বপ্নবাজ ছেলেটা।
.
®অ্যালার্ম বাজছে,চট করে ঘুম ভেঙ্গে গেল আকাশের।সারে
আটটাই তো বাজে।বাসা এত নীরব কেন!হঠাৎ আজানের শব্দ
হলো।আজান!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শুক্রবারের আজান?
আকাশ লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামল।ওর দরজায় ছোট
বোনের লেখা একটা চিরকুট ঝুলছে,,
.
®ভাইয়া,আমরা মীম আপুর বিয়েতে যাচ্ছি,তুমিও গোসল করে
চলে এসো।চাবি টবের নিচে রাখা আছে।
.
©আকাশের মনে হলো ওর মাথায় বজ্রপাত হয়েছে।মূর্তির
মতো দারিয়ে রইল ও।মনে পরল গতকাল রাতে ফোনটা বন্ধ
হয়ে গেছিল।টাইম অটো আপডেট দেওয়া ছিল না।সাড়ে আটটার
এলার্ম বেজেছে সাড়ে বাড়োটায়!!কি নির্দয় এলার্ম!!ফোনটা
তখন ও বেজেই যাচ্ছে, বেজেই যাচ্ছে।অ্যালার্মের শব্দ এতো
নিষ্ঠুর হতে পারে কখনো?
©আকাশের কান্না পাচ্ছে।কাঁদতেও লজ্জা লাগছে।কারন কবি
বলিয়াছেন,"ছেলেদের কাঁদতে নেই!!