Forums.Likebd.Com

Full Version: ---চকলেট পাগলী----
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
এই ভাইয়া উঠ আর কত্তো ঘুমাবি ? .
এই নিমনি সকাল-সকাল যা তো
ঘুমাতে দে !
.
ইস ! এখন সকাল বুঝি ? বেলা ১১ টা
বাজে ! উঠ না ভাইয়া ! এই নিয়া
সিনথিয়া আপু তোর ফোনে ৩১ বার
ফোন দিছে ভাইয়া!
.
আমিঃ কি কস ! নিমনি ফোনটা দে
তো দেখি !
.
নিমনিঃ পারবো না ! নিজে উঠে
নিয়া লও আলসে ভাইয়া আমার ।
(বলে নিমনি পাশের রুমে চলে গেল ) .
আমি বিছনা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে
উঠে । ফোনটার স্কিন অন করে দেখি
একটা ও ফোন আসে নি !
.
আমি অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছি !
তারমানে কি? নিমনি আমাকে বলদ
বানাইলো ? নিমনি পাশের রুম থেকে
আমার রুমে এসে খুব হাসছে ! যেন
কোন সার্কাস চলছে ।
.
আমিঃ এই নিমনি এটা কি হলো ?
.
নিমনিঃ কি হলো ? ভাইয়া । সুন্দর
করে ডাক দিয়েছি উঠেন নাই তো !
তাই এই পথটা অবলম্বন করলাম । হি
হি হি হি হি ।
.
আমিঃ তবে রে ! দাড়া দেখাচ্ছি
মজা । বলে হাতটা পিঠের দিকে
নিয়ে গেলাম ।
.
নিমনিঃ এই ভাইয়া ছাড় ! লাগছে
তো ! ওফফফ ! লাগছে তো ছাড় ।
.
আমিঃ যা এবারের মতো ছেড়ে
দিলাম তোকে !
.
হিহিহি ইস আমি এত্তোক্ষন অভিনয়
করলাম । হিহিহি বলদা বুঝলা না
বুঝি ? (টেবিলে খাবার বারা আছে
খেয়ে নিস আমি আর আম্মু পাশের
বাড়ির আন্টিদের বাসায় গেলাম) আর
"হ্যা" আমার জন্য অব্যশই চকলেট
আনিয়েন । মাই চকলেটের "জ্বীনি" .
ওকে ! (মেয়াটা আস্তো একটা পাগলী
ক্লাশ ৭ এ পড়ে আর এখনো ছোট
বাচ্চাদের মতো চকলেট খাওয়ার জন্য
খুব পাগলামী করে ) আমার ছোট
পাগলীটা হয়তো জানে না যেঃ
পৃথিবীতে সব অভিনয় সবসময়
অভিনয়ের বহিঃপ্রকাশ পায় না সবার
কাছে ! কিছু-কিছু মানুষ অভিনয় টা
কে বাস্তব ও ভেবে নেয়! আমি ও
হয়তো তাদের মধ্যেএকজন। (তাই মনে
করেছি পাগলীটা ব্যাথা পাচ্ছিলো
তাই পাগলীটার হাতটা আমি ছেড়ে
দিয়েছি )
.
খাওয়ার টেবিলে বসবো এমন সময়
সিনথিয়ার ফোন ,
(আমি ফোনটা রিসিভ করলাম)
আমিঃ হ্যালো !
সিনথিয়াঃ হাই ! কি খাইতে বসেছো
বুঝি ?
আমিঃ হুম ! গো ! (মেয়েটার আমার
রোজগার টাইম টেবিল সব মুখস্ত )
সিনথিয়াঃ ওকে ! কলেজে দেখা হবে
তাহলে।
আমিঃ ওকে !
সিনথিয়াঃ ওকে ! আর আসার সময়
এদিক-ওদিক কম থাকাবা ওকে ?
আমিঃ ওকে ! বলে ফোনটা কেটে
দিলাম ।
.
ওহ কথায়-কথায় আপনাদের আমার
ব্যাপরে কিছুই বলা হলো না সে
এজন্য "সরি" ।
.
আমি বাহার ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি ।
আমাদের পরিবারটা খুব ছোট্ট আমি
আমার আব্বু-আম্মু , আর আমার সবচেয়ে
আদরের বোন নিমনি । আর ফোনে যে
মেয়েটার সাথে কথা বললাম ও
আমার গালফেন্ড সিনথিয়া ।
.
মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে
তাই তো সবসময় এত্তো সন্দেহ আর
ভয়ে-ভয়ে থাকে । যাতে ওর
ভালোবাসার মানুষটার ভালোবাসার
ভাগটা অন্য কেউ নিতে না পারে।
আমিও মেয়েটা কে খুব ভালোবাসি
তাই অন্য-মেয়েদের প্রতি এত্তো
আগ্রহ নেই আমার ।
.
মেয়েটা আবার ফোন দিছে (ফোনটা
রিসিভ করলাম)
.
আমিঃ হ্যালো !
সিনথিয়াঃ কি হইলো ? কই তুমি ?
কলেজে আসতে এত্তোক্ষন লাগছে
কেন ? হুম জলদি আসো কলেজে
নাইলে খবর আছে তোমার !
"স্টুপিড" (বলে ফোনটা কেটে দিলো)
.
আমি জলদি-জলদি করে রিকশা নিয়ে
কলেজের গেইটে সামনে নামতে-না-
নামতেই । অপ্সরীর মূখটা দর্শন হয়ে
গেলো । মূখ খান দেখে আবার নতুন
করে আবার প্রোপোস করতে মন
চাইতে ছে ।
.
এ ব্যাপারটা নতুন কিছু না প্রতিদিন
ই আমার ওকে দেখলে নতুন করে
প্রোপোস করতে মন চায় ! প্রতিটাদিন
ই আমাদের ভালোবাসা দিবস ।
.
এমনটা কেন হয় তা আমি জানি না ।
কিন্তু এত্তোটুকু জানি যেঃ এই
প্রতিদিন বারবার ওর প্রেমে পরাটা
আর ভালোবাসা দিবস টা আমাদের
দুজনের রিলেশনটা কে আজ পর্যন্ত
টিকিয়ে রেখেছ এবং আশা করি
সারাটা জীবন এভাবে টিকিয়ে
রাখবে ।
.
দুপুরে তাড়াহুড়া করে কলেজ থেকে
বাসায় চলে আসি ।
.
বাসায় এসে আমার মাথায় হাত !
আরে পাগলীটার জন্য চকলেট আনতে
ভুলেই গেছি এখন কি হবে?
.
"আল্লাহ" তুমি সহায় এই যাত্রায়
বাচাও আমাকে । মনে-মনে বিরবির
করে বাসায় ঢুকে পরলাম ।
.
রুমে সবে মাত্র "পা" টা রেখেছি আর
পাগলীটা এসে হাজির । এখন কি
করি ? এ তো মহাপাগলী যদি শুনে
একবার আমি চকলেট আনতে ভুলে
গেছি তাহলে সেরেছে কাম । আমার
তখন তেতুঁল বনে গিয়ে ও শান্তি নেই

.
আমিঃ নিমনি বোন আমার (একটা
বড়ো দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ) আজ চকলেট
আনতে ভুলে গেছি ! কিন্তু কালকে
যাঃ ২টার বদলে তিনটা চকলেট এনে
দেবো ! প্লিজ আজকে আর পাগলামী
করিছ না ।
.
নিমনিঃ ওকে ভাইয়া ! ! !
.
আমিঃ কথাটা শুনে পুরো অবাক !!!
আরে চোখে বিশ্বাস হচ্ছে না !
নিমনি আজ পাগলামী করছে না।
ব্যাপারটা কি সপ্ন দেখছি না তো ।
একটু চিমটি কেটে দেখলাম । না
বাস্তব ই সপ্ন না । নিমনির গায়ে
হাত দিয়ে দেখলাম না নিমনির
শরীর ঠিক ই আছে । কিন্তু মেয়েটার
আজ হঠ্যং এত্তো পরিবর্তন হলো
কেমনে ? খুব রহস্যময় ব্যাপারটা
কি ? .
যাক এই যাত্রায় বাচা গেলো ।
.
রাত্রে বাসায় কেন জানি সবাই
আজকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলাম !
ঘরে সবাইর আজকে কেমন জানি
পরিবর্তন হয়েছে চলা-ফেরার । .
ফজরের সময় আম্মু কান্না- করছে আর
আমাকে ডাকছে আমি চোখ
ভরা ঘুম নিয়ে ও উঠে গেলাম । দেখি
আম্মু কান্না করছে ! আম্মু কান্না
করছো কেন ?
.
বাবা বাহার দেখ না "নিমনি" টা
কেমন জানি করছে ! আয় না বাবা !
তোর আব্বুর সাথে ওকে নিয়ে
হাসপাতালে যাই ।
.
নিমনি কে নিয়ে-আম্মু-আব্বু আমি
মিলে হাসপাতে যাবো বাট এত্তো
ফজরের সময় রিশকা পাবো কই? অনেক
জায়গায় খুজ করে অনেক কষ্টে একটা
রিশকা মিল করতে না করতেই আমার
পাগলীটা চোখ বুঝে ফেলে চিরো-
দিনের জন্য ।
.
ব্যাপরটা নিজ চোখে দেখার পর
আমারএকটি মূহুত্য ওখানেই থমকে
যায়।
.
প্রতিদিন আর কেও এখন আমার সাথে
আর চকলেট এর জন্য পাগলামী করবে
না ।
.
সকালবেলা এখন আর কেও ঘুমে
ডিস্টাব করবে না ! বলবে না
যেঃভাইয়া উঠ তো আর কত্তো
ঘুমাবি? হইছে উঠ এখন ।
.
এখন আর কেউ হাতে ব্যাথা পাওয়ার
অভিনয়টা করবে না? যেঃওফফ ভাইয়া
ছাড় হাতে লাগছে তো ছাড় !
.
পাগলীটা অভিনয় করতে-করতে যে
এত্তো বড়ো একটা অভিনয় করে বসবে
ভুলে ও চিন্তা করতে পারি নি ! .
যদি জানাতাম তাহলে তোর ভাইয়া
টা আজকে তোর জন্য আস্তো একটা
চকলেটের দোকান কিনে আনতো
রে ! .
সত্যি আমি আস্তো একটা বলদা রে !
তোর সত্যি কারের অভিনয়টা আজকে
ধরতে পারলাম না !