02-21-2017, 08:59 AM
রিনি প্রতিটি দিন খেলার মাঠে যায়।
প্রতিটা দিন খেলার মাঠে যাবার কারন হলো রিমন
ছেলেটা।
রিমন ছেলেটার প্রেমে পড়েছে রিনি।
কিন্তু রিমনকে বলার সাহস পায় না রিনি।
.
ভালোবাসার কথা না বলতে পারলেও কোন কিছু মনে
করেনা রিনি।
কারন,
প্রতিটি দিন তো রিমনের দেখা পায় মাঠে।
সেইজন্য সে অনেক খুশি।
.
প্রতিদিনের মতন আজকেও হাটতে হাটতে মাঠে চলে
গিয়েছে রিনি।
কিন্তু,
কোথাও রিমন কে দেখতে পেলো না।
এদিক ওদিকে তাকিয়ে কোথাও দেখতে না পেয়ে, মন
খারাপ করে চলে আসছিলো।
হটাৎ করে পেছন থেকে ডাক পড়ল,
-এইযে শুনছেন (রিমন)
-পেছনে ঘুরেই দেখে রিমন দাড়িয়ে আছে,আর তাকেই
ডাকছে।
আমাকে ডেকেছেন(রিনি)
-হ্যাঁ আপনাকেই।
-বলুন কি বলবেন।
-আপনি কেনো প্রতিদিন মাঠে আসেন। আপনার সমস্যাটা
কি? আর দুইদিন আগে লাল ড্রেস পড়ে
আসছিলেন,সেইদিন আপনার দিকে তাকিয়ে আমি
ম্যাচটা হেরে গেছি।
আর কোনদিন লাল ড্রেস পড়বেন না।
-রিনি কথাগগুলো শুনে শুধু মাথা নাড়ালো।
কোন কথা না বলে রিনি সোজা বাড়িতে চলে আসলো।
.
রিনি এখন অনেক খুশি,রিমনের সাথে দেখা হয়েছে
সেইজন্য।
রিমন রিনির লাল ড্রেস দেখে ম্যাচটি হেরেছে,
তারমানে রিমন ওই লাল ড্রেসে রিনির প্রেমে পড়েছে।
.
রিনি ঘরে বসে উদ্ভট চিন্তা ভাবনা করছে।
মনে মনে হাঁসছেও অনেক।
.
-ভাইয়া ভাইয়া ও ভাইয়া (অভি)
-কি হয়েছে বল (রিমন)
-আজকে এক আপুর বাড়িতে বেড়াতে যাবো, সাথে তুমিও
যাবে।
-আচ্ছা যাবো এখন যা।
.
বিকালের দিকে অভির সাথে বের হলাম।
আজকে আর খেলতে যাওয়া হয় নি।
অভি আমাকে যেখানে নিয়ে গেলো, আমি সেখানে
যাবার পরে পুরো অবাক হয়ে গেছি।
কারন অভি রিনিদের বাসাই নিয়ে এসেছে।
.
-আপু কেমন আছ (অভি)
-অনেক ভালো , তুমি কেমন আছ (রিনি)
-আমিও ভালো আছি।
তোমার কথা মতন কাজ করেছি, এখন চকলেট গুলো দাও।
-ওরে তোমার মনে আছে বুঝি, আচ্ছা উপরে এসো।
.
অভির আর রিনির কথা কিছুই বুঝলাম না।
ওর কথা মতন কাজ আবার চকলেট না কি হচ্ছে এসব ।
.
- কি ব্যাপার ভাইয়া দাড়িয়ে রইলে কেনো এসো (অভি)
অভির কথায় সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে সিড়ি দিয়ে
উপরে উঠলাম।
অভি আমাকে একটি রুমে নিয়ে গেলো।
এখন পর্যন্ত রিনির সাথে আমার কোন কথা হয় নি।
-ভাইয়া তুমি এখানে বসো আমি আসছি। (অভি)
.
অভির কথামতন বসে থাকলাম।
অভির আপুর বাড়ি বলে কথা।
রুমের চারেদিকে তাকাচ্ছি সুন্দর করে সাজানো।
মাঝে মাঝে (R+R) লিখা।
হটাৎ করে দরজা লাগানোর শব্দ পেলাম।
তাকিয়ে দেখি রিনি লাল ড্রেস পড়ে রুমের দরজাটা
লাগিয়ে দিলো।
-দরজা আটকালেন কেনো। (রিমন)
-সেটা এখন জানতে পারবেন (রিনি)
-আমি চিৎকার করবো। (রিমন)
-সমস্যা নাই আমি তখন বলবো আপনি আমাকে ভেতরে
রেখে দরজা বন্ধ করে আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছেন।
সেইজন্য বিপদ আপনারি হবে।
কথাটি বলার সাথে সাথে রিমনের মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে
গেলো।
.
রিমন ভয়ে কোন কিছু বলছে না।
মুখটা ভার করে আছে।
তখনি রিমন কিছু অনুভব করলো।নিজের ঠোঁটে
কারো ঠোঁটের স্পর্শ।
হ্যাঁ সত্ত্যি, রিনির ঠোঁটের স্পর্শ।
কিছুক্ষন পর রিমন নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।
নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রিনিকে জোড়ে ঠাপ্পর
মারলো।
.
রিনি ঠাপ্পর খেয়ে গালে হাঁত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে
চলে গেলো।
কিজন্য কাঁদলো সেটা বুঝলাম না।
আমি রুম থেকে চলে আসবো, তখনি টেবিলে একটা
ডাইরি দেখতে পেলাম।
টেবিলের কাছে গিয়ে ডাইরিটা দেখলাম, উপরে রিনি
+রিমন লেখা।
.
অবাক হয়ে ডাইরিটা খুললাম।
প্রতিটি পাতায় আমার কথা লিখা ।
কবে কখন কোথাই দেখা হয়েছে সেটাও লিখা আছে।
সব গুলো আর পড়লাম না, কারন মাঝ পেজে কিছু নিজের
থেকে লিখেছে মেয়েটা,
লিখাটি ছিলো,
আমি আমার রাজপুত্র পেয়ে গেছি।
এখন আমার রাজ্যটাতে রাজা চলে এসেছে।
আমি যতবারি ওকে দেখি ঠিক ততবারি ওর প্রেমে পড়ি।
জানিনা তার মনের অনুভূতি টা কি আমার উপর,
তবে আমি বিশ্বাস করি সে একদিন বুঝতে পারবে কতটা
ভালোবাসি ওকে।
(রিমন+রিনি)
.
ডাইরিটা পড়ে নিজের চোখে জ্বল চলে আসলো।
ডাইরিটা রেখে চলে আসলাম।
নিচে নেমে দেখি রিনি আর অভি গল্প করছে।
রিনির হাত ধরে টানতে টানতে উপরে নিয়ে আসলাম।
ওর রুমে ওকে নিয়ে এসে ওকে বিছানাই বসালাম।
.
রিনি তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো।
সেটা কেনো আগে বলনি।
থাপ্পর মারার জন্য সরি।
আমিও তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।
কথা গুলো শোনার পরে রিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
-এই ছাড়ো কেউ দেখে ফেলবে(রিমন)
-কেউ দেখবে না কারন বাড়িতে কেউ নাই,বেড়াতে
গিয়েছে কালকে আসবে (রিনি)
-তাহলে জড়িয়ে ধরেই থাকো (রিমন)
-হুম সেইজন্য তো জড়িয়ে ধরে আছি (রিনি)
.
আমি দেখে ফেলেছি ।
কথাটি শুনে রিনিকে ছেড়ে দিয়ে দেখলাম অভি
দাড়িয়ে আছে।
-কি দেখছিস অভি (রিমন)
-তুমি আপুকে জড়িয়ে ধরে আছো (অভি)
-ওটা তোর ভাবি (রিমন)
-তাহলে তো মাকে বলা দরকার (অভি)
-না ভাই এটা করিস না(রিমন)
-আমার কাছে এসো অভি (রিনি)
-না কারো কাছেই যাবো না, আগে
চকলেট কিনে দাও(অভি)
আমি আর রিনি অভির কান্ড দেখে হেঁসে ফেললাম।
-আচ্ছা চল দোকানে গিয়ে কিনে দিচ্ছি।(রিমন)
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে প্রেম করতে যেতে নেই। গেলেই
পকেটটা ফাঁকা করে দিবে।
.
চলে আসার আগে
রিনির কপালে ভালোবাসার রং একে দিয়ে অভিকে
নিয়ে চলে আসলাম।
রিনি বাড়ির গেটে এসে আমাদের দুইভাইকে বিদায়
দিলো।
শুরু হলো নতুন একটা সম্পর্কের।
প্রতিটা দিন খেলার মাঠে যাবার কারন হলো রিমন
ছেলেটা।
রিমন ছেলেটার প্রেমে পড়েছে রিনি।
কিন্তু রিমনকে বলার সাহস পায় না রিনি।
.
ভালোবাসার কথা না বলতে পারলেও কোন কিছু মনে
করেনা রিনি।
কারন,
প্রতিটি দিন তো রিমনের দেখা পায় মাঠে।
সেইজন্য সে অনেক খুশি।
.
প্রতিদিনের মতন আজকেও হাটতে হাটতে মাঠে চলে
গিয়েছে রিনি।
কিন্তু,
কোথাও রিমন কে দেখতে পেলো না।
এদিক ওদিকে তাকিয়ে কোথাও দেখতে না পেয়ে, মন
খারাপ করে চলে আসছিলো।
হটাৎ করে পেছন থেকে ডাক পড়ল,
-এইযে শুনছেন (রিমন)
-পেছনে ঘুরেই দেখে রিমন দাড়িয়ে আছে,আর তাকেই
ডাকছে।
আমাকে ডেকেছেন(রিনি)
-হ্যাঁ আপনাকেই।
-বলুন কি বলবেন।
-আপনি কেনো প্রতিদিন মাঠে আসেন। আপনার সমস্যাটা
কি? আর দুইদিন আগে লাল ড্রেস পড়ে
আসছিলেন,সেইদিন আপনার দিকে তাকিয়ে আমি
ম্যাচটা হেরে গেছি।
আর কোনদিন লাল ড্রেস পড়বেন না।
-রিনি কথাগগুলো শুনে শুধু মাথা নাড়ালো।
কোন কথা না বলে রিনি সোজা বাড়িতে চলে আসলো।
.
রিনি এখন অনেক খুশি,রিমনের সাথে দেখা হয়েছে
সেইজন্য।
রিমন রিনির লাল ড্রেস দেখে ম্যাচটি হেরেছে,
তারমানে রিমন ওই লাল ড্রেসে রিনির প্রেমে পড়েছে।
.
রিনি ঘরে বসে উদ্ভট চিন্তা ভাবনা করছে।
মনে মনে হাঁসছেও অনেক।
.
-ভাইয়া ভাইয়া ও ভাইয়া (অভি)
-কি হয়েছে বল (রিমন)
-আজকে এক আপুর বাড়িতে বেড়াতে যাবো, সাথে তুমিও
যাবে।
-আচ্ছা যাবো এখন যা।
.
বিকালের দিকে অভির সাথে বের হলাম।
আজকে আর খেলতে যাওয়া হয় নি।
অভি আমাকে যেখানে নিয়ে গেলো, আমি সেখানে
যাবার পরে পুরো অবাক হয়ে গেছি।
কারন অভি রিনিদের বাসাই নিয়ে এসেছে।
.
-আপু কেমন আছ (অভি)
-অনেক ভালো , তুমি কেমন আছ (রিনি)
-আমিও ভালো আছি।
তোমার কথা মতন কাজ করেছি, এখন চকলেট গুলো দাও।
-ওরে তোমার মনে আছে বুঝি, আচ্ছা উপরে এসো।
.
অভির আর রিনির কথা কিছুই বুঝলাম না।
ওর কথা মতন কাজ আবার চকলেট না কি হচ্ছে এসব ।
.
- কি ব্যাপার ভাইয়া দাড়িয়ে রইলে কেনো এসো (অভি)
অভির কথায় সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে সিড়ি দিয়ে
উপরে উঠলাম।
অভি আমাকে একটি রুমে নিয়ে গেলো।
এখন পর্যন্ত রিনির সাথে আমার কোন কথা হয় নি।
-ভাইয়া তুমি এখানে বসো আমি আসছি। (অভি)
.
অভির কথামতন বসে থাকলাম।
অভির আপুর বাড়ি বলে কথা।
রুমের চারেদিকে তাকাচ্ছি সুন্দর করে সাজানো।
মাঝে মাঝে (R+R) লিখা।
হটাৎ করে দরজা লাগানোর শব্দ পেলাম।
তাকিয়ে দেখি রিনি লাল ড্রেস পড়ে রুমের দরজাটা
লাগিয়ে দিলো।
-দরজা আটকালেন কেনো। (রিমন)
-সেটা এখন জানতে পারবেন (রিনি)
-আমি চিৎকার করবো। (রিমন)
-সমস্যা নাই আমি তখন বলবো আপনি আমাকে ভেতরে
রেখে দরজা বন্ধ করে আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছেন।
সেইজন্য বিপদ আপনারি হবে।
কথাটি বলার সাথে সাথে রিমনের মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে
গেলো।
.
রিমন ভয়ে কোন কিছু বলছে না।
মুখটা ভার করে আছে।
তখনি রিমন কিছু অনুভব করলো।নিজের ঠোঁটে
কারো ঠোঁটের স্পর্শ।
হ্যাঁ সত্ত্যি, রিনির ঠোঁটের স্পর্শ।
কিছুক্ষন পর রিমন নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।
নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রিনিকে জোড়ে ঠাপ্পর
মারলো।
.
রিনি ঠাপ্পর খেয়ে গালে হাঁত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে
চলে গেলো।
কিজন্য কাঁদলো সেটা বুঝলাম না।
আমি রুম থেকে চলে আসবো, তখনি টেবিলে একটা
ডাইরি দেখতে পেলাম।
টেবিলের কাছে গিয়ে ডাইরিটা দেখলাম, উপরে রিনি
+রিমন লেখা।
.
অবাক হয়ে ডাইরিটা খুললাম।
প্রতিটি পাতায় আমার কথা লিখা ।
কবে কখন কোথাই দেখা হয়েছে সেটাও লিখা আছে।
সব গুলো আর পড়লাম না, কারন মাঝ পেজে কিছু নিজের
থেকে লিখেছে মেয়েটা,
লিখাটি ছিলো,
আমি আমার রাজপুত্র পেয়ে গেছি।
এখন আমার রাজ্যটাতে রাজা চলে এসেছে।
আমি যতবারি ওকে দেখি ঠিক ততবারি ওর প্রেমে পড়ি।
জানিনা তার মনের অনুভূতি টা কি আমার উপর,
তবে আমি বিশ্বাস করি সে একদিন বুঝতে পারবে কতটা
ভালোবাসি ওকে।
(রিমন+রিনি)
.
ডাইরিটা পড়ে নিজের চোখে জ্বল চলে আসলো।
ডাইরিটা রেখে চলে আসলাম।
নিচে নেমে দেখি রিনি আর অভি গল্প করছে।
রিনির হাত ধরে টানতে টানতে উপরে নিয়ে আসলাম।
ওর রুমে ওকে নিয়ে এসে ওকে বিছানাই বসালাম।
.
রিনি তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো।
সেটা কেনো আগে বলনি।
থাপ্পর মারার জন্য সরি।
আমিও তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।
কথা গুলো শোনার পরে রিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
-এই ছাড়ো কেউ দেখে ফেলবে(রিমন)
-কেউ দেখবে না কারন বাড়িতে কেউ নাই,বেড়াতে
গিয়েছে কালকে আসবে (রিনি)
-তাহলে জড়িয়ে ধরেই থাকো (রিমন)
-হুম সেইজন্য তো জড়িয়ে ধরে আছি (রিনি)
.
আমি দেখে ফেলেছি ।
কথাটি শুনে রিনিকে ছেড়ে দিয়ে দেখলাম অভি
দাড়িয়ে আছে।
-কি দেখছিস অভি (রিমন)
-তুমি আপুকে জড়িয়ে ধরে আছো (অভি)
-ওটা তোর ভাবি (রিমন)
-তাহলে তো মাকে বলা দরকার (অভি)
-না ভাই এটা করিস না(রিমন)
-আমার কাছে এসো অভি (রিনি)
-না কারো কাছেই যাবো না, আগে
চকলেট কিনে দাও(অভি)
আমি আর রিনি অভির কান্ড দেখে হেঁসে ফেললাম।
-আচ্ছা চল দোকানে গিয়ে কিনে দিচ্ছি।(রিমন)
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে প্রেম করতে যেতে নেই। গেলেই
পকেটটা ফাঁকা করে দিবে।
.
চলে আসার আগে
রিনির কপালে ভালোবাসার রং একে দিয়ে অভিকে
নিয়ে চলে আসলাম।
রিনি বাড়ির গেটে এসে আমাদের দুইভাইকে বিদায়
দিলো।
শুরু হলো নতুন একটা সম্পর্কের।