Forums.Likebd.Com

Full Version: মন খারাপ থাকলে ক্ষুধা কমে কেন?
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
পরিবারে বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠিন কোন অবস্থা বা সামাজিক কোন কারণেও একজন মানুষের খাওয়ার ইচ্ছা কমে যেতে পারে। পরিষ্কারভাবে বললে বলা যায় যে, স্ট্রেস ও ক্ষুধা পরস্পর গভীরভাবে সম্পর্কিত।

কিন্তু কেন কিছু মানুষ স্ট্রেসে ভুগলে অনেক বেশি খায় আর কেউ কম খায়? এই প্রশ্নটির সরাসরি উত্তর হতে পারে : স্বল্পমেয়াদী স্ট্রেসের ক্ষেত্রে কম খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় এবং ক্রমাগত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আমাদের মস্তিষ্ক মানসিক চাপের প্রভাবে কীভাবে কাজ করে তার উপর এটি নির্ভর করে।

কম খান যে কারণে :

সানফ্রানসিসকো এর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ম্যারি ডালম্যান হাফপোষ্টকে বলেন, তীব্র মানসিক চাপের কারণে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় যদি আপনার জীবন হুমকির মুখে থাকে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের পরিস্থিতিতে মস্তিস্কে ক্ষুধা কমার হরমোন উৎপন্ন হয় এবং গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রেনালিন নিঃসৃত হয় যা খাওয়ার ইচ্ছাকে বাঁধা দেয় এবং টিকে থাকার জন্য শরীর তার এনার্জি ব্যবহার করে।

ডালম্যান বলেন, কিন্তু যদি আপনি শারীরিকভাবে বিপদজনক অবস্থায় নাও থাকেন তাহলেও আপনার মস্তিষ্ক এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে যেন আপনি অসুস্থ ছিলেন। এবং এটি রাজনৈতিক আবহাওয়ার কারণেও হতে পারে। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেও সেখানে অবস্থিত অনেক মানুষেরই ক্ষুধা কমে যাওয়ার মত প্রতিক্রয়া হতে দেখা যায়।

বেশি খাওয়া হয় যে কারণে :

অন্যদিকে কিছু মানুষের মধ্যে অনেক বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় নিয়মিত উদ্বিগ্ন অনুভব করেন বলে, রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেও হতে পারে এমন যা তারা অপরিহার্য মনে করেন না, ব্যক্তিগত ভয়ের কারণেও হতে পারে, বলেন ডালম্যান।

দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন মাত্রার স্ট্রেসে ভুগলে মস্তিষ্ক করটিসোল নিঃসরণ করে। এই হরমোন ক্ষুধার অনুভূতি বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, স্ট্রেসে ভুগেন যারা তারা উচ্চ ক্যালরির খাবারের প্রতি আসক্ত হন বেশি। ডালম্যান বলেন, খাদ্য ঔষধের মতোই কাজ করে।

তিনি লিখেছেন, হালকা ও মধ্যম মানের স্ট্রেসের (জীবন সংশয় সৃষ্টিকারী নয়) ফলে প্রাণী (এবং মানুষে) নিজেকে সান্তনা দিতে খাবার খায়, তারা আনন্দের জন্য খায় প্রয়োজনে নয় এবং খাওয়ার (পান করা বা ড্রাগ নেয়ার) মাধ্যমে নিজেকে স্ট্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করে।

আপনার কী করা উচিৎ :

স্ট্রেসের কারণে বেশি খাওয়া বা কম খাওয়া যাই হোকনা কেন আপনার ভালো অনুভব করার আরো উপায় আছে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল হেলথ এর লেটারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, মেডিটেশন, ব্যায়াম এবং সামাজিক সহযোগিতা স্ট্রেস কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিজের যত্ন নেয়া, স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা এবং থেরাপিস্ট এর সাহায্য নেয়াও স্ট্রেস মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে।

সুস্থ মস্তিষ্ক আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

সূত্র: হাফিংটনপোষ্ট