Forums.Likebd.Com

Full Version: কোলন পরিষ্কার রাখবে এই একটি পানীয়
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
দেহের বৃহদান্ত্রকে কোলন বলা হয়। এটি পাচনতন্ত্রের নিচের দিকে অবস্থান করে। বর্তমান সময়ে কোলন ক্যান্সার বেশ আলোচিত একটি বিষয়। সাধারণত যে সকল কারণে কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হল বেশি পরিমাণ চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া, ফাস্টফুড খাওয়া, বয়স, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, শরীরের অন্য কোন অঙ্গে ক্যান্সার হলে অথবা পরিবারে আগে কারোর ক্যান্সার থাকলে ইত্যাদি। কোলন সুস্থ রাখা অনেক জরুরি। কেনা এই কোলন খাবারের অবশিষ্টাংশ থেকে সগ্রহ করে পানি ও লবণের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই, খাবারের মাধ্যমেই মাঝে মাঝে কোলন পরিষ্কার করে নেয়াটা ও টক্সিক উপাদান বের করে দেয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

চলুন, আজ আমরা জেনে নিই এমন একটি পানীয়ের রেসিপি যা মাত্র একদিন সেবন করলেই কোলন হতে দুর হবে বিষাক্ত উপাদান। কিছু মাস পর পর নিয়মিত সেবন করলে তা কোলনের সুস্থতায় দেবে দারুণ ফলাফল।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ আদার রস

২ টেবিল চামচ লেবুর রস

১/২ কাপ আপেল জুস

১/২ চা চামচ সি সল্ট

১/২ কাপ কুসুম গরম পানি

যেভাবে তৈরি করবেন:

সবগুলো উপাদান একটি পাত্রে মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। তারপর পর্যাপ্ত পরিমাণ ফিলটারড বা ফুটানো পানির সঙ্গে একটি জগে মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এটা পান করুন বড় এক গ্লাস। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর দুই গ্লাস পান করুন। সন্ধ্যার সময় ৬/৭ টার দিকে আরো দুই গ্লাস পান করুন। মনে রাখবেন, কোলন পরিষ্কারের এই ঘরোয়া উপায় মাত্র একদিনই ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন এটা পান করতে যাবেন না।

ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি অথবা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করুন। কয়েক মাস পর পর একদিন এই পানীয় নিয়মিত পানে এটি আপনার কোলন সুস্থ রাখার পাশাপাশি কোলন পরিষ্কার করে দেবে।

কার্যকারিতা:

আদাকে মহৌষধ বলা হয়। সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে মাথা ব্যথা পর্যন্ত দূর করে থাকে আদা। আদা পেট ফাঁপা রোধ করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা হজমে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পেটের সমস্যা যেমন পেট ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা রোধ করে।

আপেল খুব সহজে হজম হয়ে যায়। এটি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও নির্ভাবনায় খেতে পারেন।

সূত্র: হেলদি ফুড হাউজ