02-22-2017, 12:17 AM
****রফিকুল ইসলাম ইমরান
- হিমেল বাবা ঘুম থেকে উঠে
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
কলেজের প্রথম দিনেই যদি
দেরি করিস তো কেমন হবে
বলতো।
- ops আমার তো মনে ই নেই যে
আজকে
........
- হুম । টেবিলে নাস্তা আছে।
খেয়ে দেয়ে তাড়াতাড়ি যা।
- আচ্ছা মা।
কলেজের প্রথম দিন তাই একটু
ভাল ভাবে যেতে হবে। নতুন
পরিবেশ ,নতুন মানুষ ,সব নতুন।
মনটা ভাল ই লাগছে।কলেজ
গেটের সামনে এসে আরো ভাল
লাগছে।
কি সুন্দর পরিবেশটা ! ! ! !
প্রথম ১সপ্তাহ হিমেলের কাছে
অনেক ভাল লাগল।
এর মাঝে হিমেলের অল্প কিছু
বন্ধুও হয়েছে।
------
১দিন সে কলেজ গেট দিয়ে
ঢুকছিল এমন সময় পিছন থেকে
ডাক দিল ............
- এই কবুতর,এই লাল কবুতর।
-জ্বি ! আমাকে ভাই ?
- হ .তুই ছাড়া আর কে এখানে
কবুতর।
- জ্বি ভাই বলেন? আর আমার
নাম হিমেল
- তোর নাম জানার জন্য ডাকি
নাই।কিসে পড়স
?
- জ্বি ভাই আমি
.........
- ওহ ভাল।আমি কিন্তু তোর
সিনিয়র বড় ভাই।দেখলে সালাম
দিবি।
- আচ্ছা ভাই।
- ঐ আচ্ছা কি হা ! বাদ দে কি
নাম যেন বললি তোর ?
- জ্বি হিমেল।
- নামটা কেমন যেন খ্যাত -
খ্যাত লাগে।আমরা তোকে লাল
বলে ডাকব।রাগ করবিনাতো আর
করলে ও কিছু হবে না আমাদের।
-
- কেন ?আমার নামতো হিমেল।
- বেশী কথা বললে কিন্তু
থাপ্পড় দিবো ধরে। যা বলছি
তাই বলব " লাল মিয়া " ।
- আচ্ছা
- তোর কি রাগ হচ্ছে না আমার
কথা শুনে ?
- না ভাই
- কেন
?
- জানি না।
ঠাস করে হিমেলের গালে থপ্পড়
দিয়ে
- এইবার রাগ হচ্ছে তো
?
- ..........
- কথা বল !
- ..........
- কি হল
?
- ভাই আমি কি করছি যে আমার
সাথে এমন করছেন
! ?
- আলে বাবু লাগ কলস নাকি।
আচ্ছা আর করবনা।এই তোর কান
ধরে বলছি।
বলে ই ২ কান ধরে টান দিল
- আচ্ছা যা এখন তো ক্লাস শুরু
হয়ে গেছে মোনে হয়।
হিমেল কিছু না বলে হাটা দিল।
আবার ডাক দিল
- এই .....এদিকে আয়
- জ্বি
- এই নে টাকা।সামনের দোকান
থেকে ১টা সিগারেট এনে তোর
ছুটি।
......কিছুক্ষণ পরে
......
- ভাই আপনার সিগারেট
- দে।যা আজকের মত ছুটি।
কলেজ থেকে মন খারাপ করে
বাড়ি ফিরে হিমেল।মা তার
চেহারা দেখে বলে
- কি হয়েছে ! মন খারাপ কেনো
?
- না মা কিছু না।শরীর ভাল
লাগছে না।
- দেখিত
বলে কপালে হাত দিল আর বলল
- কেমন লাগছে বাবা তোর
?
- এখন একটু ভাল।
- আচ্ছা গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আয়।
খাবার দিচ্ছি।
বলে চলে গেল।আর হিমেল ঘরে
গিয়ে শুয়ে পড়ল।
এরপর কিছুদিন কলেজ গেল না
হিমেল।১সপ্তাহ পর কলেজে গেল।
ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার সময়
পিছন থেকে ডাক দিল
- লাল মিয়া দাড়া
পিছনে ফিরে দেখে আগের জনের
সাথে ২ জন মেয়ে আর ৪ জন ছেলে
তার দিকে আসছে।
- কিরে এতদিন কলেজে আসিস
নাই কেন ?
- শরীর ভাল ছিলনা
- কেন রে এইডস নাকি তোর
কান্না জড়িত কন্ঠে
...
- ভাই আমাকে মাফ করে দেন
ভাই।
- আচ্ছা মাফ করব। তবে ১টা
শর্তে
!
- কি
?
- ঐ যে ১টা মেয়ে আসছে।ওর ওরনা
ধরে টান দিবি।যদি নিয়ে আসতে
পারিস তো মাফ করে দিবো।আর
না পারলে তো .....
- না ভাই আমি এমন ঘৃন কাজ
করতে পারবনে।দয়া করে আমায়
যেতে দিন।
- আচ্ছা অন্য ১টা কাজ দিবো
করবি।
- কি কাজ ভাই
?
দাড়া ভেবে নেই।
এই বলে তারা সবাই কি যেন
পরিকল্পনা করল।
ফিরে এসে
তাদের মাঝের ১টা মেয়ে বলল
- বলতো আমায় দেখতে কেমন ?
- ভাল
- কেমন ভাল
?
- অনেক।
- ঐ কবুতর ঐ ভাবে না। বল অনেক
সেক্সি আর হট
- আমি আপনার পায়ে ধরি আপু
আমাকে মাফ করে দিন।আমি কি
করছি যে যার জন্য এমন করছেন
আপনারা ?
- ঐ বলবি ? নাকি লোক ডেকে
বালব যে তুই জুনিয়র হয়ে
সিনিয়র আপুদের সাথে খারাপ
আচারণ করছিস দেখবি কি হয়
তোর
?
ভয়ার্থ - কান্না মাখা কোনঠে
বলছে।...
- আপু দয়া করে যেতে দেন না
- আগে বল
- ...........
- কি হল বলবি না দিবো ডাক
!
- আ ..আ ..আ ..আ ..আপনাকে অনেক
হট আর সেক্সি লাগছে।
বলার সাথে মেয়েটা হিমেলের
গালে কষিয়ে থাপ্পড় দিল।
অনেকে তাদের দিকে চেয়ে রল।
অনেকে বলল
- কি হয়ছে আপু
- এই ছেলেটা আমার জুনিয়ার।
আর আমায় বলছে আপনাকে
অনেক .......আমি ভাবতে পারি
নাই যে আমার ছোটো কারো
কাছ থেকে এমন কিছু শুনব।
হিমেল লজ্জা আর অপমানে মরে
যেতে চাইছিল।কিন্তু তা
কোরার মত দূর সাহস নেই তার।
বাড়ি ফিরে ঘরের দরোজা বন্ধ
করে খুব কাঁদল।কি এমন ক্ষতি
করছে যে তার সাথে এমন করছে।
যে ছেলেটা আগে অনেক হাসি
খুশি থাকত।কিন্তু এখন সে
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।পড়া
লেখায় মন নেই।কলেজে গেলে
মনে ভয় থাকে তার।
প্রথম ২ মাস উত্তক্ত করাটা
ছিল সহনিয় পরযায়ে।কিন্তু
আস্তে আস্তে এর পরিমান
বাড়তে লাগল।
১দিন হিমেল কলেজে যাচ্ছিল।
রাস্তায় তারা ওর পথ রোধ করল।
হিমেল যেন ভয়ে কেদে দেয় এমন
অবস্থা।
- এই তোরা জানিস লাল মিয়ার
কোন রাগ নাই।যা বলব বা করব ও
কিছু মনে করে না।কি তাই না
লাল
?
- ..........
তার বন্ধুরা বলল
- তোরে বলছে রাগ করে না !
- দেখবি তোরা
?
বলে ই হিমেলের শার্টে কলম
দিয়ে দাগ দিল।
- দেখছিস রাগ করে না
- সত্যি ই তো
!
-
- লাল ভাই আপনি ক্লাসে যান
আর ছুটির পরে আমাদের সাথে
দেখা করে যাবেন
?
- হিম
হিমেল চলে গেল।
ক্লাস শেষে হিমেল বাড়ি
যাচ্ছিল তখন পিছন থেকে
- সাহস তো কম না।দেখা করতে
বললাম আর তুই বাড়ী যাচ্ছিস !
বলে কয়েকট থাপ্পড়।
- আচ্ছা শোন।আমরা অন্য গ্রুপের
সাথে বাজি ধরছি যে আমাদের
কলেজের ও পাশের নরদ্মাতে
১টা প্রতিযোগিতা হবে।যে দল
নরদ্মার ১ মাথা থেকে অন্য
মাথায় যাবে তারা হবে নতুন
কলেজ লিডার।আর তাই তুই
আমাদের হয়ে আংশ নিবি
বুঝছিস ?
- ভাই আমি পারব না।আমার
বাড়ি কাজ আছে।
- কাজ পরে।আগে আমাদের কাজ।
- না ভাই পারব না।
- তুই পারবি না তোর বাপ পারবে
শালা হারামজাদা।আমাদের
ইজ্জতের ব্যপার এখানে।আর উনি
বলছে " পালব না ভাই "
সেদিন সবাই মিলে হিমেল ও
আরেক জনকে নরদমা নামায়।
হিমেল কাউকে বলতে পারেনা
ওর কষটের কথা।শুধু মন খারাপ
করে থাকে।
পরের দিন
.......
- লাল বস। তোর জন্য আমরা
জিতছি তাই তোরে মদ খায়াবো
আমরা !
- না ভাই।আমি খাই না
- তো এখন খাবি
বলে টেনে নিয়ে গেল।বারে এসে
হিমেলকে জোর করে পুরা
বোতল অর মুখে পুরে দিল।
এভাবে নির্যাতন করে চলল।
কয়েক বছর পর
.......
যারা হিমেল কে রেগিং করত
তাদের সবার একে একে খুন হতে
শুরু করে।
২ জন মেয়ের গলা কাটা নগ্ন
লাশ পায়া যায়।পিঠে লেখা
"You are so hot and sexy"
আর একজন ছেলের গলার ভিতর
পায় ভাঙ্গা মদের বোতল
একজনের লাশ নরদার ভিতর
গলিত অবস্থায় অন্য জনের
শরীরের চামড়া পুরা আলাদা
আর তাঁতে লেখা "লাল মিয়া "
পুলিশ জানে যে এ সব খুন ১ জনের
করা।সবার লাশের সাথে ১টা
কবুতর বাঁধা পায়।কিন্তু আজো
জানে না কে এই
" কবুতর
- হিমেল বাবা ঘুম থেকে উঠে
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
কলেজের প্রথম দিনেই যদি
দেরি করিস তো কেমন হবে
বলতো।
- ops আমার তো মনে ই নেই যে
আজকে
........
- হুম । টেবিলে নাস্তা আছে।
খেয়ে দেয়ে তাড়াতাড়ি যা।
- আচ্ছা মা।
কলেজের প্রথম দিন তাই একটু
ভাল ভাবে যেতে হবে। নতুন
পরিবেশ ,নতুন মানুষ ,সব নতুন।
মনটা ভাল ই লাগছে।কলেজ
গেটের সামনে এসে আরো ভাল
লাগছে।
কি সুন্দর পরিবেশটা ! ! ! !
প্রথম ১সপ্তাহ হিমেলের কাছে
অনেক ভাল লাগল।
এর মাঝে হিমেলের অল্প কিছু
বন্ধুও হয়েছে।
------
১দিন সে কলেজ গেট দিয়ে
ঢুকছিল এমন সময় পিছন থেকে
ডাক দিল ............
- এই কবুতর,এই লাল কবুতর।
-জ্বি ! আমাকে ভাই ?
- হ .তুই ছাড়া আর কে এখানে
কবুতর।
- জ্বি ভাই বলেন? আর আমার
নাম হিমেল
- তোর নাম জানার জন্য ডাকি
নাই।কিসে পড়স
?
- জ্বি ভাই আমি
.........
- ওহ ভাল।আমি কিন্তু তোর
সিনিয়র বড় ভাই।দেখলে সালাম
দিবি।
- আচ্ছা ভাই।
- ঐ আচ্ছা কি হা ! বাদ দে কি
নাম যেন বললি তোর ?
- জ্বি হিমেল।
- নামটা কেমন যেন খ্যাত -
খ্যাত লাগে।আমরা তোকে লাল
বলে ডাকব।রাগ করবিনাতো আর
করলে ও কিছু হবে না আমাদের।
-
- কেন ?আমার নামতো হিমেল।
- বেশী কথা বললে কিন্তু
থাপ্পড় দিবো ধরে। যা বলছি
তাই বলব " লাল মিয়া " ।
- আচ্ছা
- তোর কি রাগ হচ্ছে না আমার
কথা শুনে ?
- না ভাই
- কেন
?
- জানি না।
ঠাস করে হিমেলের গালে থপ্পড়
দিয়ে
- এইবার রাগ হচ্ছে তো
?
- ..........
- কথা বল !
- ..........
- কি হল
?
- ভাই আমি কি করছি যে আমার
সাথে এমন করছেন
! ?
- আলে বাবু লাগ কলস নাকি।
আচ্ছা আর করবনা।এই তোর কান
ধরে বলছি।
বলে ই ২ কান ধরে টান দিল
- আচ্ছা যা এখন তো ক্লাস শুরু
হয়ে গেছে মোনে হয়।
হিমেল কিছু না বলে হাটা দিল।
আবার ডাক দিল
- এই .....এদিকে আয়
- জ্বি
- এই নে টাকা।সামনের দোকান
থেকে ১টা সিগারেট এনে তোর
ছুটি।
......কিছুক্ষণ পরে
......
- ভাই আপনার সিগারেট
- দে।যা আজকের মত ছুটি।
কলেজ থেকে মন খারাপ করে
বাড়ি ফিরে হিমেল।মা তার
চেহারা দেখে বলে
- কি হয়েছে ! মন খারাপ কেনো
?
- না মা কিছু না।শরীর ভাল
লাগছে না।
- দেখিত
বলে কপালে হাত দিল আর বলল
- কেমন লাগছে বাবা তোর
?
- এখন একটু ভাল।
- আচ্ছা গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আয়।
খাবার দিচ্ছি।
বলে চলে গেল।আর হিমেল ঘরে
গিয়ে শুয়ে পড়ল।
এরপর কিছুদিন কলেজ গেল না
হিমেল।১সপ্তাহ পর কলেজে গেল।
ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার সময়
পিছন থেকে ডাক দিল
- লাল মিয়া দাড়া
পিছনে ফিরে দেখে আগের জনের
সাথে ২ জন মেয়ে আর ৪ জন ছেলে
তার দিকে আসছে।
- কিরে এতদিন কলেজে আসিস
নাই কেন ?
- শরীর ভাল ছিলনা
- কেন রে এইডস নাকি তোর
কান্না জড়িত কন্ঠে
...
- ভাই আমাকে মাফ করে দেন
ভাই।
- আচ্ছা মাফ করব। তবে ১টা
শর্তে
!
- কি
?
- ঐ যে ১টা মেয়ে আসছে।ওর ওরনা
ধরে টান দিবি।যদি নিয়ে আসতে
পারিস তো মাফ করে দিবো।আর
না পারলে তো .....
- না ভাই আমি এমন ঘৃন কাজ
করতে পারবনে।দয়া করে আমায়
যেতে দিন।
- আচ্ছা অন্য ১টা কাজ দিবো
করবি।
- কি কাজ ভাই
?
দাড়া ভেবে নেই।
এই বলে তারা সবাই কি যেন
পরিকল্পনা করল।
ফিরে এসে
তাদের মাঝের ১টা মেয়ে বলল
- বলতো আমায় দেখতে কেমন ?
- ভাল
- কেমন ভাল
?
- অনেক।
- ঐ কবুতর ঐ ভাবে না। বল অনেক
সেক্সি আর হট
- আমি আপনার পায়ে ধরি আপু
আমাকে মাফ করে দিন।আমি কি
করছি যে যার জন্য এমন করছেন
আপনারা ?
- ঐ বলবি ? নাকি লোক ডেকে
বালব যে তুই জুনিয়র হয়ে
সিনিয়র আপুদের সাথে খারাপ
আচারণ করছিস দেখবি কি হয়
তোর
?
ভয়ার্থ - কান্না মাখা কোনঠে
বলছে।...
- আপু দয়া করে যেতে দেন না
- আগে বল
- ...........
- কি হল বলবি না দিবো ডাক
!
- আ ..আ ..আ ..আ ..আপনাকে অনেক
হট আর সেক্সি লাগছে।
বলার সাথে মেয়েটা হিমেলের
গালে কষিয়ে থাপ্পড় দিল।
অনেকে তাদের দিকে চেয়ে রল।
অনেকে বলল
- কি হয়ছে আপু
- এই ছেলেটা আমার জুনিয়ার।
আর আমায় বলছে আপনাকে
অনেক .......আমি ভাবতে পারি
নাই যে আমার ছোটো কারো
কাছ থেকে এমন কিছু শুনব।
হিমেল লজ্জা আর অপমানে মরে
যেতে চাইছিল।কিন্তু তা
কোরার মত দূর সাহস নেই তার।
বাড়ি ফিরে ঘরের দরোজা বন্ধ
করে খুব কাঁদল।কি এমন ক্ষতি
করছে যে তার সাথে এমন করছে।
যে ছেলেটা আগে অনেক হাসি
খুশি থাকত।কিন্তু এখন সে
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।পড়া
লেখায় মন নেই।কলেজে গেলে
মনে ভয় থাকে তার।
প্রথম ২ মাস উত্তক্ত করাটা
ছিল সহনিয় পরযায়ে।কিন্তু
আস্তে আস্তে এর পরিমান
বাড়তে লাগল।
১দিন হিমেল কলেজে যাচ্ছিল।
রাস্তায় তারা ওর পথ রোধ করল।
হিমেল যেন ভয়ে কেদে দেয় এমন
অবস্থা।
- এই তোরা জানিস লাল মিয়ার
কোন রাগ নাই।যা বলব বা করব ও
কিছু মনে করে না।কি তাই না
লাল
?
- ..........
তার বন্ধুরা বলল
- তোরে বলছে রাগ করে না !
- দেখবি তোরা
?
বলে ই হিমেলের শার্টে কলম
দিয়ে দাগ দিল।
- দেখছিস রাগ করে না
- সত্যি ই তো
!
-
- লাল ভাই আপনি ক্লাসে যান
আর ছুটির পরে আমাদের সাথে
দেখা করে যাবেন
?
- হিম
হিমেল চলে গেল।
ক্লাস শেষে হিমেল বাড়ি
যাচ্ছিল তখন পিছন থেকে
- সাহস তো কম না।দেখা করতে
বললাম আর তুই বাড়ী যাচ্ছিস !
বলে কয়েকট থাপ্পড়।
- আচ্ছা শোন।আমরা অন্য গ্রুপের
সাথে বাজি ধরছি যে আমাদের
কলেজের ও পাশের নরদ্মাতে
১টা প্রতিযোগিতা হবে।যে দল
নরদ্মার ১ মাথা থেকে অন্য
মাথায় যাবে তারা হবে নতুন
কলেজ লিডার।আর তাই তুই
আমাদের হয়ে আংশ নিবি
বুঝছিস ?
- ভাই আমি পারব না।আমার
বাড়ি কাজ আছে।
- কাজ পরে।আগে আমাদের কাজ।
- না ভাই পারব না।
- তুই পারবি না তোর বাপ পারবে
শালা হারামজাদা।আমাদের
ইজ্জতের ব্যপার এখানে।আর উনি
বলছে " পালব না ভাই "
সেদিন সবাই মিলে হিমেল ও
আরেক জনকে নরদমা নামায়।
হিমেল কাউকে বলতে পারেনা
ওর কষটের কথা।শুধু মন খারাপ
করে থাকে।
পরের দিন
.......
- লাল বস। তোর জন্য আমরা
জিতছি তাই তোরে মদ খায়াবো
আমরা !
- না ভাই।আমি খাই না
- তো এখন খাবি
বলে টেনে নিয়ে গেল।বারে এসে
হিমেলকে জোর করে পুরা
বোতল অর মুখে পুরে দিল।
এভাবে নির্যাতন করে চলল।
কয়েক বছর পর
.......
যারা হিমেল কে রেগিং করত
তাদের সবার একে একে খুন হতে
শুরু করে।
২ জন মেয়ের গলা কাটা নগ্ন
লাশ পায়া যায়।পিঠে লেখা
"You are so hot and sexy"
আর একজন ছেলের গলার ভিতর
পায় ভাঙ্গা মদের বোতল
একজনের লাশ নরদার ভিতর
গলিত অবস্থায় অন্য জনের
শরীরের চামড়া পুরা আলাদা
আর তাঁতে লেখা "লাল মিয়া "
পুলিশ জানে যে এ সব খুন ১ জনের
করা।সবার লাশের সাথে ১টা
কবুতর বাঁধা পায়।কিন্তু আজো
জানে না কে এই
" কবুতর