02-22-2017, 12:19 AM
"""বোনের ভালোবাসা"""
Writer : Jamshed Joni Rishan (রক্ত সংগ্রাহক)
উৎসর্গ- সকল বোনদের
.
এন্ড্রয়েড এ ফিফা গেম টা খেলছিলাম ।
হঠাৎ
করেই ছোট বোনটা এসে বসল পাশে।
- ভাইয়া
- জি আপু বলেন
- ভাইয়া
- হুম
- ভাইইইইইইয়া ......
- উফ কি হয়েছে বলতে পারিস না।
- তুই শুনছিস না কেন?
- কে বলল শুনছি না?
- গেম খেলা বন্ধ কর। কিছু দরকারি কথা
বলব।
- পারবনা।পরে বলিস।
ছোট বোনটা দেখলাম মন খারাপ
করে চলে যাচ্ছে। মোবাইল টা রেখে পিছন
থেকে ডাকলাম
- নুসু, কি যেন বলতে চাইছিলি?বলে ফেল।
- ভাইয়া , তোর কাছে একটা জিনিস
চাইবো। দিবিতো?
- আমার লক্ষি বোনটা চাইছে আর
আমি দিবনা। বল কি চাস?
- না আগে প্রমিস কর দিবি।
- ঠিক আছে এই যে তোকে ছুয়ে বললাম দেব।
- ভাবীর নাম্বারটা দে।
- ভাবী? কোন ভাবী?
- ঢং করিসনা। রাত্রি ভাবী।
- রাত্রি? সেটা আবার কে?
- আবার ঢং শুরু করছিস? তুই মনে করছিস
আমি কিছুই বুঝিনা।
- মানে?
- তুই যে মেয়েটার সাথে রাতে কথা বলিস
ও।
- তুই কিভাবে জানলি ওর নাম
রাত্রি, ইয়ে মানে আমি ফোনে কথা কে
বলল
তোকে?
- ভাইয়া আমি তোর বোন না? তুই
লুকিয়ে কথা বলবি আর আমি বুঝব না?
বলে ফেল তাড়াতাড়ি।
বুঝলাম ধরা পড়ে গেছি। আর লুকিয়ে লাভ
নেই।
- লক্ষী বোন আমার কাউকে বলিস না। ও
আমার
সাথে পড়ে।
- কয় মাস?
আমি আঁতকে উঠলাম।
- ক ..কয় মা..স মানে?
- ধুর রিলেশনের কয় মাস?
- ও ! মাত্র চার মাস।
- হুম। মাকে বলতে হয় তাহলে?
এই ভয়টাই করছিলাম এতোক্ষন।
- না লক্ষী বোন আমার,
মাকে বলিসনা প্লিজ।
- তাহলে কিছু খরচাপাতি করতে হবে।
- মানে?
- তুই যদি আমাকে এক হাজার টাকা দিস
তাহলে বলবনা।
- ও তাইলে এই ব্যাপার। তুই মানুষকে
ইমোশনাল
ব্ল্যাকমেল করে চাঁদাবাজি করছিস।এক
টাকাও দেবনা তোকে।
- হুম। তাহলে তো মাকে বলতে হয়।মা? মা?
- প্লিজ বোন আমার প্লিজ মাকে বলিস
না।
তোকে টাকা দেব।
- দাও।
- একটু কনসিডার কর। দুইশ।
- মা?
- পাঁচশ।
- মা?
- ঠিক আছে বোন। তোকে এক হাজারই দেব।
তবে একটা কথা দিতে হবে।
- কি?
- রাত্রির কথা যেন তুই আর
আমি ছাড়া কেউ না জানে। ঠিক আছে?
প্রমিস?
- ওকে। বলবনা।প্রমিস।
কি আর করা। কাল মাত্র টিউশনির
টাকাটা হাতে পেয়েছিলাম। সেখান
থেকে একটা এক হাজার টাকার নোট বের
করে দিলাম।
পরদিন
ভার্সিটিতে গিয়ে রাত্রিকে বলতেই ও
হেসে কুটিকুটি।
- ভালোই হয়েছে। ননদ কে আমার
পাশে পেলাম।
- ননদ না ছাই। মাঝখান দিয়ে আমার
একটা হাজার টাকা গচ্চা।
- আরে কিপটা। টাকাটাতো তোমার বোনই
নিয়েছে।
আমি টাকার শোক ভুলতে পারলামনা।
সন্ধ্যায় বাসায় যেতেই দেখি বাসার লাইট
অফ। আমি কিছুই বুঝলাম না।সন্ধ্যা বেলায়
বাসার লাইট অফ! কেউ নাই নাকি? আমার
কাছে একটা ডুপ্লিকেট চাবি ছিল।
ওটা দিয়ে দরজা খুলতেই হঠাৎ এক
সাথে অনেক গুলি লাইট জ্বলে উঠল।
আর অনেক গুলি কন্ঠ একসাথে বলে উঠল
- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।
আমি পুরোই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
আজ যে আমার জন্মদিন আমার মনেই
ছিলনা।
ঘরের ভিতর দেখলাম বাবা , মা, নুসরাত।
তাহলে এই ব্যাপার। নুসরাত এসে আমার
হাতে একটা শার্ট দিল।
- আমার পক্ষ থেকে তোর জন্মদিনের
উপহার।
আমি অবাক হয়ে গেলাম।আমার কাছ
থেকে টাকা নিয়ে আমার জন্মদিনের
উপহার
কিনেছে নুসরাত। আমার চোখে পানি এসে
গেল।
এত ভাল কেন আমার বোনটা। আমি আসলেই
অনেক ভাগ্যবান ওর মত একটা ছোট্ট বোন
পেয়ে। অনেক ভালবাসি বোন তোকে।
অনেক, অনেক বেশি।।।
আমার কিন্তু বোন নেই।থাকলে অবশ্যই
অনেকগুলো ভালোবাসতাম।
Writer : Jamshed Joni Rishan (রক্ত সংগ্রাহক)
উৎসর্গ- সকল বোনদের
.
এন্ড্রয়েড এ ফিফা গেম টা খেলছিলাম ।
হঠাৎ
করেই ছোট বোনটা এসে বসল পাশে।
- ভাইয়া
- জি আপু বলেন
- ভাইয়া
- হুম
- ভাইইইইইইয়া ......
- উফ কি হয়েছে বলতে পারিস না।
- তুই শুনছিস না কেন?
- কে বলল শুনছি না?
- গেম খেলা বন্ধ কর। কিছু দরকারি কথা
বলব।
- পারবনা।পরে বলিস।
ছোট বোনটা দেখলাম মন খারাপ
করে চলে যাচ্ছে। মোবাইল টা রেখে পিছন
থেকে ডাকলাম
- নুসু, কি যেন বলতে চাইছিলি?বলে ফেল।
- ভাইয়া , তোর কাছে একটা জিনিস
চাইবো। দিবিতো?
- আমার লক্ষি বোনটা চাইছে আর
আমি দিবনা। বল কি চাস?
- না আগে প্রমিস কর দিবি।
- ঠিক আছে এই যে তোকে ছুয়ে বললাম দেব।
- ভাবীর নাম্বারটা দে।
- ভাবী? কোন ভাবী?
- ঢং করিসনা। রাত্রি ভাবী।
- রাত্রি? সেটা আবার কে?
- আবার ঢং শুরু করছিস? তুই মনে করছিস
আমি কিছুই বুঝিনা।
- মানে?
- তুই যে মেয়েটার সাথে রাতে কথা বলিস
ও।
- তুই কিভাবে জানলি ওর নাম
রাত্রি, ইয়ে মানে আমি ফোনে কথা কে
বলল
তোকে?
- ভাইয়া আমি তোর বোন না? তুই
লুকিয়ে কথা বলবি আর আমি বুঝব না?
বলে ফেল তাড়াতাড়ি।
বুঝলাম ধরা পড়ে গেছি। আর লুকিয়ে লাভ
নেই।
- লক্ষী বোন আমার কাউকে বলিস না। ও
আমার
সাথে পড়ে।
- কয় মাস?
আমি আঁতকে উঠলাম।
- ক ..কয় মা..স মানে?
- ধুর রিলেশনের কয় মাস?
- ও ! মাত্র চার মাস।
- হুম। মাকে বলতে হয় তাহলে?
এই ভয়টাই করছিলাম এতোক্ষন।
- না লক্ষী বোন আমার,
মাকে বলিসনা প্লিজ।
- তাহলে কিছু খরচাপাতি করতে হবে।
- মানে?
- তুই যদি আমাকে এক হাজার টাকা দিস
তাহলে বলবনা।
- ও তাইলে এই ব্যাপার। তুই মানুষকে
ইমোশনাল
ব্ল্যাকমেল করে চাঁদাবাজি করছিস।এক
টাকাও দেবনা তোকে।
- হুম। তাহলে তো মাকে বলতে হয়।মা? মা?
- প্লিজ বোন আমার প্লিজ মাকে বলিস
না।
তোকে টাকা দেব।
- দাও।
- একটু কনসিডার কর। দুইশ।
- মা?
- পাঁচশ।
- মা?
- ঠিক আছে বোন। তোকে এক হাজারই দেব।
তবে একটা কথা দিতে হবে।
- কি?
- রাত্রির কথা যেন তুই আর
আমি ছাড়া কেউ না জানে। ঠিক আছে?
প্রমিস?
- ওকে। বলবনা।প্রমিস।
কি আর করা। কাল মাত্র টিউশনির
টাকাটা হাতে পেয়েছিলাম। সেখান
থেকে একটা এক হাজার টাকার নোট বের
করে দিলাম।
পরদিন
ভার্সিটিতে গিয়ে রাত্রিকে বলতেই ও
হেসে কুটিকুটি।
- ভালোই হয়েছে। ননদ কে আমার
পাশে পেলাম।
- ননদ না ছাই। মাঝখান দিয়ে আমার
একটা হাজার টাকা গচ্চা।
- আরে কিপটা। টাকাটাতো তোমার বোনই
নিয়েছে।
আমি টাকার শোক ভুলতে পারলামনা।
সন্ধ্যায় বাসায় যেতেই দেখি বাসার লাইট
অফ। আমি কিছুই বুঝলাম না।সন্ধ্যা বেলায়
বাসার লাইট অফ! কেউ নাই নাকি? আমার
কাছে একটা ডুপ্লিকেট চাবি ছিল।
ওটা দিয়ে দরজা খুলতেই হঠাৎ এক
সাথে অনেক গুলি লাইট জ্বলে উঠল।
আর অনেক গুলি কন্ঠ একসাথে বলে উঠল
- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।
আমি পুরোই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
আজ যে আমার জন্মদিন আমার মনেই
ছিলনা।
ঘরের ভিতর দেখলাম বাবা , মা, নুসরাত।
তাহলে এই ব্যাপার। নুসরাত এসে আমার
হাতে একটা শার্ট দিল।
- আমার পক্ষ থেকে তোর জন্মদিনের
উপহার।
আমি অবাক হয়ে গেলাম।আমার কাছ
থেকে টাকা নিয়ে আমার জন্মদিনের
উপহার
কিনেছে নুসরাত। আমার চোখে পানি এসে
গেল।
এত ভাল কেন আমার বোনটা। আমি আসলেই
অনেক ভাগ্যবান ওর মত একটা ছোট্ট বোন
পেয়ে। অনেক ভালবাসি বোন তোকে।
অনেক, অনেক বেশি।।।
আমার কিন্তু বোন নেই।থাকলে অবশ্যই
অনেকগুলো ভালোবাসতাম।