02-22-2017, 03:16 PM
একটি বেওয়ারিশ লাশ। নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার এক নারী। অজ্ঞাত হিসেবেই দাফন। সংবাদপত্রের একটি ছোট্ট খবরে মাটিচাপা থাকলো না গুমের নিখুঁত প্রচেষ্টা। এরপর আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামে রাখা লাশের ছবি দেখে শনাক্ত হলো পরিচয়। লাশটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির। আজ থেকে ১৪ বছর আগের ওই হত্যাকাণ্ডটি সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। জনমনে জন্ম দিয়েছিল নানা প্রশ্ন, কৌতূহল ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। তদন্তের পর তদন্তে বেরিয়ে আসে নাটকীয়তায় ঘেরা নানা রহস্য। রহস্যের উন্মোচনেও যেন অপেক্ষা করছিল আরো বড় চমকের বিস্ফোরণ। যেনতেন কেউ নয়। সাবেক ছাত্রনেতা তৎকালীন এমপি মো. গোলাম ফারুক অভির সম্পৃক্ততা ওঠে আসে। শুধু হত্যা নয়, রাতের আঁধারে বুড়িগঙ্গায় লাশের সলিল সমাধির চেষ্টাও করা হয়। ২০০২ সালের ১০ই নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডটি একটা বড় সময় ধরেই দেশে আলোচনার শীর্ষে ছিল। ঘটনাটির খুঁটিনাটিও ছিল টক অব দা কান্ট্রি। লাপাত্তা অভি কিংবা মামলাটি এখনও বারবার আলোচনায় ওঠে আসছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারও আজ সম্পন্ন হয়নি।
বিচার শুরুর পরই স্থগিত হয়ে যায় ব্যাপক আলোচিত তিন্নি হত্যা মামলার কার্যক্রম। এরপর থেকে প্রায় অর্ধযুগ ধরেই তা স্থগিত রয়েছে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৭ম আদালতে মামলাটি পার করছে বছরের পর বছর। মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও সাড়ে ৫ বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর। প্রায় ৬ বছর ধরে স্থগিত। উচ্চ আদালতে আদেশের পর এখনও সে অবস্থায়ই রয়েছে।
আদালতসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর ৩ মাস আগে খুন হন তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ই নভেম্বর রাতে। এর আগে ৬ই নভেম্বর অভি তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করে। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই অভি পিয়ালকে তার কোলের দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। ১০ই নভেম্বর রাতে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে গাড়িতে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ১নং চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে লাশ ফেলে দেয়। কিন্তু পানিতে নয়, লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে। পরদিন ১১ই নভেম্বর সকালে লাশ ঘিরে জড়ো হয় উৎসুক জনতার ভিড়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ই নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবেই জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে তার চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। লাশ উদ্ধারের দিনই একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের তাতে আসামি করা হয়। পরে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি ছোট্ট সংবাদের সূত্র ধরে তিন্নির স্বজনরা আঞ্জুমানে মুফিদুলে যান। ছবি দেখেই চিনে ফেলেন তাদের প্রিয় তিন্নির লাশ। এরপরই ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। পরে মামলাটিতে অভির নাম উঠে এলে তা নিয়ে আরো হৈচৈ পড়ে যায়। চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় মামলাটির ভার পড়ে সিআইডির ওপর। প্রথম দিকে দুই সিআইডি পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমান ও সুজাউল হক তদন্ত করেন। এরপর যথাক্রমে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, মো. আরমান আলী, কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ মামলাটি তদন্ত করেন। অবশেষে ঘটনার ৬ বছরের মাথায় মামলার ৭ম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মো. মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ই নভেম্বর মামলাটির তদন্ত শেষ করেন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল তিন্নির স্বামী পিয়াল, এবাদুল্লাহ ওরফে স্বপন গাজী, গাজী শফিউল্লাহ ওরফে তপন গাজী, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল এবং সোমনাথ সাহা বাপ্পীসহ কয়েকজন। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। তারাসহ কারাগারে বন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের স্বীকারোক্তিতেই ফাঁস হয় আসল গোমর। বেরিয়ে আসে অভির নাম। একমাত্র অভিকেই দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। ২০০২ সালে অভি পালিয়ে প্রথমে ভারত চলে যান। সেখান থেকে পালিয়ে কানাডায়।
এদিকে বিচারের জন্য মামলাটি ২০১০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তা ওই বছরের ১৬ই মার্চ ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৭ম আদালতে বিচারের জন্য যায়। একাধিক শুনানির শেষে ঘটনার ৭ বছর ৯ মাস পর একই বছরের ১৪ই এপ্রিল অভির অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। মামলাটির ৩ নম্বর সাক্ষী তিন্নির পিতা সৈয়দ মাহবুব করিম। ২০১১ সালের ১০ই এপ্রিল আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যে আদালতকে তিনি জানান, অভিনয়ে আগ্রহী ছিল না তিন্নি। তার স্বামী পিয়ালই তাকে নানা কৌশলে অভিনয়ে আনে। একদিন পিয়াল তাকে ব্যাংককে শপিংয়ে পাঠায়। সেখানে বাবু নামে এক ভদ্রলোক তাকে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়। সেই বাবুই ছিল অভি। এরপর অভির সঙ্গে তিন্নির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে গভীর পরকীয়ায় রূপ নেয়। নির্মম মৃত্যুই তার পরিণতি ডেকে আনে। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হতেই উচ্চ আদালতে অভির পক্ষে করা রিট পিটিশনে (নং-৯৫৩১/২০১০) নিম্ন আদালতে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কানাডার টরেন্টো থেকে অভি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ৯৫৩১/২০১০। বাংলাদেশে নিম্ন আদালতে চলমান মামলাটিতে অংশ নেয়ার জন্য (ওই দেশে অবস্থিত) বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইচ্ছে থাকলেও দেশে আসতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন। তাই তার ন্যায়বিচার পাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট পেয়ে দেশে আসা পর্যন্ত মামলাটির কার্যক্রমে স্থাগিতাদেশ চাওয়া হয় অভির পক্ষে। শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ই জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৩শে জুন হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেন। এখন পর্যন্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি।-মানবজমিন
বিচার শুরুর পরই স্থগিত হয়ে যায় ব্যাপক আলোচিত তিন্নি হত্যা মামলার কার্যক্রম। এরপর থেকে প্রায় অর্ধযুগ ধরেই তা স্থগিত রয়েছে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৭ম আদালতে মামলাটি পার করছে বছরের পর বছর। মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও সাড়ে ৫ বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর। প্রায় ৬ বছর ধরে স্থগিত। উচ্চ আদালতে আদেশের পর এখনও সে অবস্থায়ই রয়েছে।
আদালতসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর ৩ মাস আগে খুন হন তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ই নভেম্বর রাতে। এর আগে ৬ই নভেম্বর অভি তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করে। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই অভি পিয়ালকে তার কোলের দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। ১০ই নভেম্বর রাতে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে গাড়িতে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ১নং চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে লাশ ফেলে দেয়। কিন্তু পানিতে নয়, লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে। পরদিন ১১ই নভেম্বর সকালে লাশ ঘিরে জড়ো হয় উৎসুক জনতার ভিড়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ই নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবেই জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে তার চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। লাশ উদ্ধারের দিনই একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের তাতে আসামি করা হয়। পরে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি ছোট্ট সংবাদের সূত্র ধরে তিন্নির স্বজনরা আঞ্জুমানে মুফিদুলে যান। ছবি দেখেই চিনে ফেলেন তাদের প্রিয় তিন্নির লাশ। এরপরই ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। পরে মামলাটিতে অভির নাম উঠে এলে তা নিয়ে আরো হৈচৈ পড়ে যায়। চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় মামলাটির ভার পড়ে সিআইডির ওপর। প্রথম দিকে দুই সিআইডি পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমান ও সুজাউল হক তদন্ত করেন। এরপর যথাক্রমে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, মো. আরমান আলী, কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ মামলাটি তদন্ত করেন। অবশেষে ঘটনার ৬ বছরের মাথায় মামলার ৭ম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মো. মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ই নভেম্বর মামলাটির তদন্ত শেষ করেন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল তিন্নির স্বামী পিয়াল, এবাদুল্লাহ ওরফে স্বপন গাজী, গাজী শফিউল্লাহ ওরফে তপন গাজী, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল এবং সোমনাথ সাহা বাপ্পীসহ কয়েকজন। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। তারাসহ কারাগারে বন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের স্বীকারোক্তিতেই ফাঁস হয় আসল গোমর। বেরিয়ে আসে অভির নাম। একমাত্র অভিকেই দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। ২০০২ সালে অভি পালিয়ে প্রথমে ভারত চলে যান। সেখান থেকে পালিয়ে কানাডায়।
এদিকে বিচারের জন্য মামলাটি ২০১০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তা ওই বছরের ১৬ই মার্চ ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৭ম আদালতে বিচারের জন্য যায়। একাধিক শুনানির শেষে ঘটনার ৭ বছর ৯ মাস পর একই বছরের ১৪ই এপ্রিল অভির অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। মামলাটির ৩ নম্বর সাক্ষী তিন্নির পিতা সৈয়দ মাহবুব করিম। ২০১১ সালের ১০ই এপ্রিল আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যে আদালতকে তিনি জানান, অভিনয়ে আগ্রহী ছিল না তিন্নি। তার স্বামী পিয়ালই তাকে নানা কৌশলে অভিনয়ে আনে। একদিন পিয়াল তাকে ব্যাংককে শপিংয়ে পাঠায়। সেখানে বাবু নামে এক ভদ্রলোক তাকে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়। সেই বাবুই ছিল অভি। এরপর অভির সঙ্গে তিন্নির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে গভীর পরকীয়ায় রূপ নেয়। নির্মম মৃত্যুই তার পরিণতি ডেকে আনে। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হতেই উচ্চ আদালতে অভির পক্ষে করা রিট পিটিশনে (নং-৯৫৩১/২০১০) নিম্ন আদালতে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কানাডার টরেন্টো থেকে অভি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ৯৫৩১/২০১০। বাংলাদেশে নিম্ন আদালতে চলমান মামলাটিতে অংশ নেয়ার জন্য (ওই দেশে অবস্থিত) বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইচ্ছে থাকলেও দেশে আসতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন। তাই তার ন্যায়বিচার পাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট পেয়ে দেশে আসা পর্যন্ত মামলাটির কার্যক্রমে স্থাগিতাদেশ চাওয়া হয় অভির পক্ষে। শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ই জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৩শে জুন হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেন। এখন পর্যন্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি।-মানবজমিন