02-22-2017, 05:35 PM
সত্যি এক অপার সম্ভাবনার দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ ।কিন্তু ব্যর্থতা এখানেই যে ,স্বাধীনতার ৪৬ বৎসর পরেও আমরা একটি দক্ষ ,নৈতিকতা সম্পন্ন , দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ এবং প্রতিশ্রুতিশীল উন্নয়ন বান্ধব জনগোষ্ঠী তৈরি করতে পারিনি ।আমাদের বর্তমান প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অসংখ্য আমলা, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়েছে কিন্তু তারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে কমবেশি ব্যর্থ।
এই আমলাদের দ্বারা চালিত বহু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে, দুর্নীতি আমাদের জাতীয় কলঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জাতির সংকটে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা নিরপেক্ষ থেকে তাদের ভুমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ।রাজনৈতিক ইস্যুতে সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজনীতিবিদ গন ।অন্যান্য পেশাজীবীরাও স্বস্ব ক্ষেত্রে সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ,বিভিন্ন ক্ষেত্র অদক্ষতা আর দুর্নীতির ছাপ আজ সর্বত্র ।ফলে সমাজের সকল স্তরে বাড়ছে হতাশা আর অস্থিরতা ।এরজন্য অনেক কারন হয়ত দায়ী কিন্তু আমি মনে করি বেশী দায়ী আমাদের বহুধা বিভক্ত ,ত্রটিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যবিহীন বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অতিমাত্রায় বানিজ্যিককরন ।আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রিধারায় বিভক্ত-education in bangladesh
বাংলা মাধ্যম ,ইংরেজি মাধ্যম এবং মাদ্রাসা শিক্ষা । বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান, দেশীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করছে -যেখানে থেকে যাচ্ছে ধর্ম, বিদেশী ভাষা, সংস্কৃতি বিষয়ে তাদের জ্ঞানের অভাব ,ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ও দেশীয় সমাজ সংস্কৃতি এবং ধর্ম সম্পর্কে অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে ,আর মাদ্রাসা শিক্ষায় তো ধর্মীয় শিক্ষার বাইরের অন্যান্য শিক্ষা গুরুত্বহীনই থেকে যাচ্ছে । এধরনের বহুমুখী শিক্ষার কারনে সবাই আলাদা আলাদা শ্রেণী হিসেবে বিকশিত করছে নিজেদেরকে ।ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিতদের বেশিরভাগই পরবর্তী সময়ে ধর্ম ব্যবসা বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া তাদের তেমন কোন ক্ষেত্রই থাকে না । বহুধা বিভক্ত আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বজনীন কোন উদ্দেশ্য নেই ,এরূপ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের পক্ষে ,ব্যক্তি স্বার্থ বা শ্রেণী স্বার্থ রক্ষা ছাড়া জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব নয় ।আর্থ সামাজিক এবং রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই এই ত্রিধারা শিক্ষা ব্যবস্থার কুপ্রভাব পরিলক্ষিত । এই ৪৬ বৎসরে এদেশের বহু মানুষ শিক্ষিত হয়েছে বটে , কিন্তু তাদের মধ্যে দক্ষতা ,সততা ,দেশপ্রেম , নৈতিকতার মাত্রা নিম্নগামী । এজন্য ঐসব শিক্ষিতদের দায়ী করে লাভ নেই, দায়ী আমাদের বহুধা বিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ।শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ভাল মানুষ তৈরি করা, কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে ।তাই আজ আমাদের এই অবস্থা ।
তাই আজ আমাদের সকলের উচিৎ এ বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি সর্বজনীন ,বাস্তব সম্মত এবং যুগোপযোগী একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা ,যার প্রধান উদ্দেশ্য হবে ,মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা ।এরূপ শিক্ষা পরিচালিত হবে -একদেশ এক শিক্ষা -এই নীতির ভিত্তিতে ,অর্থাৎ মৌলিক শিক্ষার স্তরে দেশের প্রতিটি শিশুকে একই শিক্ষা দেয়া এবং এর মুল লক্ষ্য মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করা ,তাহলেই তাদের মধ্যে থাকবে দেশপ্রেম এবং মানবপ্রেম এবং তখনই আসবে শিক্ষার যথার্থতা…..
এই আমলাদের দ্বারা চালিত বহু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে, দুর্নীতি আমাদের জাতীয় কলঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জাতির সংকটে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা নিরপেক্ষ থেকে তাদের ভুমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ।রাজনৈতিক ইস্যুতে সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজনীতিবিদ গন ।অন্যান্য পেশাজীবীরাও স্বস্ব ক্ষেত্রে সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ,বিভিন্ন ক্ষেত্র অদক্ষতা আর দুর্নীতির ছাপ আজ সর্বত্র ।ফলে সমাজের সকল স্তরে বাড়ছে হতাশা আর অস্থিরতা ।এরজন্য অনেক কারন হয়ত দায়ী কিন্তু আমি মনে করি বেশী দায়ী আমাদের বহুধা বিভক্ত ,ত্রটিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যবিহীন বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষার অতিমাত্রায় বানিজ্যিককরন ।আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রিধারায় বিভক্ত-education in bangladesh
বাংলা মাধ্যম ,ইংরেজি মাধ্যম এবং মাদ্রাসা শিক্ষা । বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান, দেশীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করছে -যেখানে থেকে যাচ্ছে ধর্ম, বিদেশী ভাষা, সংস্কৃতি বিষয়ে তাদের জ্ঞানের অভাব ,ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ও দেশীয় সমাজ সংস্কৃতি এবং ধর্ম সম্পর্কে অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে ,আর মাদ্রাসা শিক্ষায় তো ধর্মীয় শিক্ষার বাইরের অন্যান্য শিক্ষা গুরুত্বহীনই থেকে যাচ্ছে । এধরনের বহুমুখী শিক্ষার কারনে সবাই আলাদা আলাদা শ্রেণী হিসেবে বিকশিত করছে নিজেদেরকে ।ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিতদের বেশিরভাগই পরবর্তী সময়ে ধর্ম ব্যবসা বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া তাদের তেমন কোন ক্ষেত্রই থাকে না । বহুধা বিভক্ত আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বজনীন কোন উদ্দেশ্য নেই ,এরূপ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের পক্ষে ,ব্যক্তি স্বার্থ বা শ্রেণী স্বার্থ রক্ষা ছাড়া জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব নয় ।আর্থ সামাজিক এবং রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই এই ত্রিধারা শিক্ষা ব্যবস্থার কুপ্রভাব পরিলক্ষিত । এই ৪৬ বৎসরে এদেশের বহু মানুষ শিক্ষিত হয়েছে বটে , কিন্তু তাদের মধ্যে দক্ষতা ,সততা ,দেশপ্রেম , নৈতিকতার মাত্রা নিম্নগামী । এজন্য ঐসব শিক্ষিতদের দায়ী করে লাভ নেই, দায়ী আমাদের বহুধা বিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ।শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ভাল মানুষ তৈরি করা, কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে ।তাই আজ আমাদের এই অবস্থা ।
তাই আজ আমাদের সকলের উচিৎ এ বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি সর্বজনীন ,বাস্তব সম্মত এবং যুগোপযোগী একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা ,যার প্রধান উদ্দেশ্য হবে ,মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা ।এরূপ শিক্ষা পরিচালিত হবে -একদেশ এক শিক্ষা -এই নীতির ভিত্তিতে ,অর্থাৎ মৌলিক শিক্ষার স্তরে দেশের প্রতিটি শিশুকে একই শিক্ষা দেয়া এবং এর মুল লক্ষ্য মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করা ,তাহলেই তাদের মধ্যে থাকবে দেশপ্রেম এবং মানবপ্রেম এবং তখনই আসবে শিক্ষার যথার্থতা…..