Forums.Likebd.Com

Full Version: নেকার সন্তানের ফজিলত।
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি.…

এক বিবাহিত যুবক, কঠিন রোগে মৃত্যু

শয্যায় তার স্ত্রীকে ডাকলেন। তার চোখ

দিয়ে অনুশোনার অশ্রু ঝরছে। যুবকের

স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন, এবং এটিই তাদের

প্রথম সন্তান। সে স্ত্রী কে বললো-দেখো

আমি সারা জীবনে নামাজ-রোজা করিনি, আজ

মৃত্যু সময়ে ভুল ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু আমি

নিরুপায় আমার আর কিছু করার সময়

সুযোগ হলো না।

যদি তোমার গর্ভের

সন্তান বেচে থাকে, বড় হয় তাহলে

তুমি তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিও।

শুনেছি সন্তানের উসিলায়ও বাবা মা

বেহেশতে যেতে পারে।

স্ত্রী তাকে শান্তনা দিয়ে বললেন,

তোমার কথাই রাখবো। দু দিন পর যুবক

মারা গেলেন। এর কয়েক দিন পর তার

স্ত্রীর একটি ছেলে জন্ম নিলো। অনেক

কষ্টের মাঝে যখন ছেলেটির বয়স ছয়

বছর পুর্ণ হলো তার মা তাকে, মাদ্রাসায়

ভর্তি করে দিলেন। প্রথম দিন মাদ্রাসায়

শিক্ষক তাকে একটি আয়াত শিখালেন।

আয়াতটি হলো-



" বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"



মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে যাওয়ার পর

ছেলেকে নিয়ে স্বামীর কবরের কাছে

জিয়ারতে গেলেন। ছেলেকে কবরের

কাছে পাঠিয়ে দিয়ে মা বললেন, ঐ

তোমার বাবার কবর। ওখানে গিয়ে

তোমার বাবার জন্য আল্লাহর কাছে

দোয়া করবে।

অতো ছোট শিশু কিভাবে দোয়া করতে হয়,

কিছুই জানে না। কিন্তু মাদ্রাসায়

শিখানো জীবনের প্রথম আয়াত খানা

বার বার কবরের সামনে তিলাওয়াত

করতে লাগলো।

মহান আল্লাহ তায়ালা আজাবের

ফেরেশতাদের বললেন, এই মুহুর্তে

ওই কবর বাসীর কবর আজাব বন্ধ

করে দাও। ফেরেশতারা বললোঃ হে দয়াময়

পরোয়ারদিগার এই লোকটির আমলনামায়

এমন কী পুণ্য পাওয়া গেলো ?

যে তার জন্য নির্ধারিত কঠিন

কবরের আজাব ক্ষমা করে দেয়া হলো?

আওয়াজ হলো, ফেরেশতারা শোনো- কবরের

উপরে একটা অবুঝ শিশু বার বার

তিলাওয়াত করছে,



"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"



তিলাওয়াতকারী এই কবর বাসীর ওয়ারিশ,

তার অবুঝ সন্তান। সে স্বাক্ষী দিচ্ছে

"আল্লাহ রাহমানির রাহিম"

- আল্লাহ পরম দয়ালু। আমি যদি

কবর বাসীকে ক্ষমা না করি, তাহলে

আমি কেমন দয়ালু? আমি কেমন পরম

করুনা ময়?

তাই কবর বাসীর কবর আজাব

ক্ষমা করে দেয়া হলো।

আমার ভাইয়েরা,

পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার

রহমত আমাদের সব সময় ক্ষমা

করে দেয়ার জন্য উছিলা খুঁজতে থাকে।

আল্লাহ কাকে কোন পুণ্য কাজের

উছিলায় ক্ষমা করে দিবেন কেউ জানিনা।

তাই সব সময় মহান আল্লাহ তায়ালার

উপর ভরসা করে নিজেদের ভালো কাজে

জড়িয়ে রাখি। মুল্যহীন দুনিয়ার মজায়

আর লোভে পড়ে আখিরাতে শুণ্য হাতে যেন

কেউ লজ্জিত না হই। হে দয়াময় আল্লাহ!

আপনি আপনার পথভোলা বান্দাদের সঠিক

পথের হেদায়েত দাও।