02-24-2017, 10:13 AM
এক ব্যক্তি হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে সফরে রওয়ানা হলো।
হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে তিনটি রুটি ছিল। একটা নদীর তীরে পৌছে তিনি আহার করলেন এবং পানি পান করার জন্যে নদীতে গেলেন। ফিরে এসে দেখেন অবশিষ্ট রুটিটি নেই। তিনি সে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “রুটি কে নিয়েছে?”
লোকটি বললো, “আমি জানিনা।”
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। রাস্তা চলতে চলতে যখন ক্ষুধার উদ্যেক হলো তখন তিনি দূরে একটি হরিণী দেখলেন। হরিণীর সঙ্গে দুটি বাচ্ছা ছিল। তিনি একটি বাচ্ছাকে ডাকলেন।
বাচ্ছাটি কাছে আসলো। তিনি বাচ্ছাটিকে জবাই করলেন এবং গোশত ভূনা করে সে লোকটিকে নিয়ে আহার করলেন। অতঃপর বললেন, “আলালহর হুকুমে জীবিত হয়ে যাও।” সঙ্গে সঙ্গে হরিণের বাচ্ছা জীবিত হয়ে চলে গেল।
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে বললেন, “এ হরিণের বাচ্ছা জীবিত হয়ে যাওয়ার মোজেযা যিনি দেখালেন তাঁর কসম দিয়ে বলছি, তুমি বল রুটিটি কে নিয়েছে?।
লোকটি বললো, “আমি জানি না।”
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। পাহাড় থেকে ঝর্না হয়ে নেমে আসা একটি নদী সামনে পড়লো। তিনি লোকটির হাত ধরে পানির উপর হেঁটে নদী পার হলেন।
অতঃপর তিনি বললেন, “যিনি বিনা নৌকায় নদী পার হওয়ার এ মোজেযা দেখালেন তার কসম দিয়ে বলছি, তুমি বল রুটি কে নিয়েছে?”
লোকটি আগের এ জবাব দিল, “আমি জানিনা।”
হযরত ঈসা (আঃ) এক জঙ্গলের কাছে পৌঁছে বালি জমা করলেন।
যখন এক বিরাট বালির স্তূপ হয়ে গেল তখন সে স্তূপ কে লক্ষ্য করে বললেন, “আল্লাহর হুকুমে সোনা হয়ে যাও।”
তখনই বালির স্তূপ টি সোনায় পরিণত হয়ে গেল।
হুযরত ঈসা (আঃ) সে সোনাকে তিন ভাগ করলেন এবং লোকটিকে লক্ষ্য করে বললেন,
“এ তিন ভাগ সোনার মধ্যে এক অংশ আমার, আর এক অংশ তোমার এবং অপর অংশটি যে রুটি নিয়েছে তার।”
একথা শুনে লোকটি বলে উঠলো, “রুটি তো আমিই নিয়েছিলাম।”
হযরত ঈসা (আঃ) বললেন, তাহলে সব সোনাই তোমাকে দিলাম; এ বলে লোকতা থেকে পৃথক হয়ে চলে গেলেন।
লোকটি তিন ভাগ সোনার সবগুলোর মালিক হয়ে মনের আনন্দে জঙ্গলের ধারেই অবস্থান করতে লাগলো। এমন সময় দুই ব্যক্তি এসে তার সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলো।
লোকটি বললো, “লড়াই করলে হেরে যাওয়ার ভয় সবারই আছে।
তাই লারাই না করে এসো আমরা এ সোনা সমান তিন ভাগ করে নেই।
তোমরা একজন বাজারে গিয়ে কিছু খাবার নিয়ে এসো। ক্ষুধা নিবৃত্তি করার সোনা ভাগ করব ।”
সুতরাং লোকটির প্রস্তাবে তারা রাজি হলো এবং সে দুজনের মধ্যে একজন খাবার আনতে বাজারে গেল এবং মনে মনে ভাবলো, খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিলে এ দুজন মারা যাবে সমস্ত সোনা আমার হয়ে যাবে। এ ভেবে সে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিল।
এদিক এরা দুজনে পরামর্শ করলো, এ তৃতীয় ব্যক্তিটিকে যদি মেরে ফেলা হয় তবে সমস্ত সোনা তাদের দুই জনের ভাগে বেশী করে পড়বে।
তাই লোকটি বাজার থেকে ফিরে আসতেই তাকে মেরে ফেলতে হবে।
সুতরাং লোকটি যখন খাবার নিয়ে ফিরে আসলো তখন দুজন মিলে তাকে হত্যা করলো এবং মনের আনন্দে খাবার খেতে লাগলো। খাবার খাওয়া শেষ হতে না হতেই বিষের প্রতিক্রিয়ায় দুজন সেখানে মৃত্যুবরণ করলো।
সোনার তিনটি স্তূপই সেখানে পড়ে রইল। কেউ না পেল না। তিন জনের লাশই সোনার স্তূপের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রইলো।
ঘটনা ক্রমে হযরত ঈসা (আঃ) আবার সে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এ দৃশ্য দেখে সবাইকে ডেকে বললেন, “দেখ সম্পদের হাকীকত এই।
এর লোভ থেকে নিজেকে বাঁচাও।
হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে তিনটি রুটি ছিল। একটা নদীর তীরে পৌছে তিনি আহার করলেন এবং পানি পান করার জন্যে নদীতে গেলেন। ফিরে এসে দেখেন অবশিষ্ট রুটিটি নেই। তিনি সে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “রুটি কে নিয়েছে?”
লোকটি বললো, “আমি জানিনা।”
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। রাস্তা চলতে চলতে যখন ক্ষুধার উদ্যেক হলো তখন তিনি দূরে একটি হরিণী দেখলেন। হরিণীর সঙ্গে দুটি বাচ্ছা ছিল। তিনি একটি বাচ্ছাকে ডাকলেন।
বাচ্ছাটি কাছে আসলো। তিনি বাচ্ছাটিকে জবাই করলেন এবং গোশত ভূনা করে সে লোকটিকে নিয়ে আহার করলেন। অতঃপর বললেন, “আলালহর হুকুমে জীবিত হয়ে যাও।” সঙ্গে সঙ্গে হরিণের বাচ্ছা জীবিত হয়ে চলে গেল।
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে বললেন, “এ হরিণের বাচ্ছা জীবিত হয়ে যাওয়ার মোজেযা যিনি দেখালেন তাঁর কসম দিয়ে বলছি, তুমি বল রুটিটি কে নিয়েছে?।
লোকটি বললো, “আমি জানি না।”
হযরত ঈসা (আঃ) লোকটিকে নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। পাহাড় থেকে ঝর্না হয়ে নেমে আসা একটি নদী সামনে পড়লো। তিনি লোকটির হাত ধরে পানির উপর হেঁটে নদী পার হলেন।
অতঃপর তিনি বললেন, “যিনি বিনা নৌকায় নদী পার হওয়ার এ মোজেযা দেখালেন তার কসম দিয়ে বলছি, তুমি বল রুটি কে নিয়েছে?”
লোকটি আগের এ জবাব দিল, “আমি জানিনা।”
হযরত ঈসা (আঃ) এক জঙ্গলের কাছে পৌঁছে বালি জমা করলেন।
যখন এক বিরাট বালির স্তূপ হয়ে গেল তখন সে স্তূপ কে লক্ষ্য করে বললেন, “আল্লাহর হুকুমে সোনা হয়ে যাও।”
তখনই বালির স্তূপ টি সোনায় পরিণত হয়ে গেল।
হুযরত ঈসা (আঃ) সে সোনাকে তিন ভাগ করলেন এবং লোকটিকে লক্ষ্য করে বললেন,
“এ তিন ভাগ সোনার মধ্যে এক অংশ আমার, আর এক অংশ তোমার এবং অপর অংশটি যে রুটি নিয়েছে তার।”
একথা শুনে লোকটি বলে উঠলো, “রুটি তো আমিই নিয়েছিলাম।”
হযরত ঈসা (আঃ) বললেন, তাহলে সব সোনাই তোমাকে দিলাম; এ বলে লোকতা থেকে পৃথক হয়ে চলে গেলেন।
লোকটি তিন ভাগ সোনার সবগুলোর মালিক হয়ে মনের আনন্দে জঙ্গলের ধারেই অবস্থান করতে লাগলো। এমন সময় দুই ব্যক্তি এসে তার সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলো।
লোকটি বললো, “লড়াই করলে হেরে যাওয়ার ভয় সবারই আছে।
তাই লারাই না করে এসো আমরা এ সোনা সমান তিন ভাগ করে নেই।
তোমরা একজন বাজারে গিয়ে কিছু খাবার নিয়ে এসো। ক্ষুধা নিবৃত্তি করার সোনা ভাগ করব ।”
সুতরাং লোকটির প্রস্তাবে তারা রাজি হলো এবং সে দুজনের মধ্যে একজন খাবার আনতে বাজারে গেল এবং মনে মনে ভাবলো, খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিলে এ দুজন মারা যাবে সমস্ত সোনা আমার হয়ে যাবে। এ ভেবে সে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিল।
এদিক এরা দুজনে পরামর্শ করলো, এ তৃতীয় ব্যক্তিটিকে যদি মেরে ফেলা হয় তবে সমস্ত সোনা তাদের দুই জনের ভাগে বেশী করে পড়বে।
তাই লোকটি বাজার থেকে ফিরে আসতেই তাকে মেরে ফেলতে হবে।
সুতরাং লোকটি যখন খাবার নিয়ে ফিরে আসলো তখন দুজন মিলে তাকে হত্যা করলো এবং মনের আনন্দে খাবার খেতে লাগলো। খাবার খাওয়া শেষ হতে না হতেই বিষের প্রতিক্রিয়ায় দুজন সেখানে মৃত্যুবরণ করলো।
সোনার তিনটি স্তূপই সেখানে পড়ে রইল। কেউ না পেল না। তিন জনের লাশই সোনার স্তূপের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রইলো।
ঘটনা ক্রমে হযরত ঈসা (আঃ) আবার সে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এ দৃশ্য দেখে সবাইকে ডেকে বললেন, “দেখ সম্পদের হাকীকত এই।
এর লোভ থেকে নিজেকে বাঁচাও।