02-24-2017, 10:14 AM
ছামুদ জাতির আরবের অন্তর্গত হজর ও ওয়াদিলকোর অঞ্চলে বাস করতো। তারা পাথর কেটে সুন্দর গৃহ নির্মাণ করতে জানতো। জীবজন্তু মারবার জন্যে পাথর কেটে আশ্চর্য রকম অস্ত্রশস্ত্র তৈরী করতো। এদের মধ্যে কতক শ্রেণীর লোক পাহাড়ের গুহায় বাস করতো।
এরা আল্লাহতা’লাকে মানতো। যা কিছু বড় এবং অদ্ভুত তাদের চক্ষে লাগতো তারই প্রতিমূর্তি পাথর দ্বারা তৈরী করে পূজা করতো। তাছাড়া দিনরাত ঝগড়া ও দাঙ্গাহাঙ্গামা নিয়ে থাকতো। আল্লাহতা’লা তাদের মধ্যে হযরত ছালেহকে নবীরূপে পাঠালেন।
হযরত ছালেহ তাদের ডেকে বললেনঃ ভাইসব খোদা তোমাদের এই মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন, আবার এই মাটিতেই লয় করবেন। তাঁর কতা একবার ভেবে দেখ, তিনি ছাড়া তোমাদের কাছে আমি পরমার্থিক আলো নিয়ে এসেছি। মনে করে দেখ আদ জাতি হযরত হুদের কথা শোনেনি –এজন্য তারা কিরূপভাবে তোমাদের সামনেই ধ্বংস হয়ে গেলো। যার কৃপায় এই পাহাড়ের ওপরে এমন সুন্দর গৃহ নির্মাণ করে বাস করছো তার কথা একবার চিন্তা করো।
একদল লোক তাঁর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করলো। কিন্তু যারা অর্থশালী, বলশালী এবং নিজেদের খুব গণ্যমান্য ব্যক্তি বলে মনে করতো, তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত মাত্র করলো না। বরঞ্চ তাঁরা হিতোপদেশে উত্যক্ত হয়ে তারা তাঁর প্রতি খড়গহস্ত হয়ে উঠলো এবং দিনরাত ষড়যন্ত্র করতে লাগলো, কি করে হযরত ছালেহ ও তাঁর অনুরগবর্গকে আক্রমণ করলো, কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের সকল অভিযান ব্যর্থ হয়ে গেলো। ছালেহ ও তার অনুচরবর্গ অক্ষত দেহে রক্ষা পেলো, কিন্তু আতায়িগণ সদলে ধ্বংস হলো।
ছামুদেরা বিধ্বস্ত হলে কাফেররা অক্ষত অধিকতর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো। তারা ছালেহকে মারবার জন্যে বদ্ধপরিকর হয়ে সুযোগ খুঁজতে লাগলো। সামাজিকভাবে তাঁকে লোকচক্ষে হেয় করবার জন্য সর্বাদ উপহাস ও বিদ্রূপ করতে লাগলো। তাদের মধ্য হতে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি ছালেহকে ডেকে বললেনঃ তুমি যে আল্লাহর নবীরূপে আমাদের কাছে এসেছো বলছো, কি করে আমরা বুঝতে পারবো যে, তুমি সত্যই আল্লাহর পয়গম্বর।
ছালেহ তখন আল্লাহ পাকের কাছে আরজ করতে লাগলেন। আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করলেন এবং নিকটবর্তী পাহাড় দ্বিখণ্ডিত করে তার মধ্যে থেকে একটা উট বের করে তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
ছালেহ সেই উটকে নিয়ে কাফেরদের কাছে গেলেন। বললেনঃ তোমরা আমার কাছে তাঁর চিহ্ন দেখতে চেয়েছো তাই খোদাতা’লা এই উটটিকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তোমরা কেউ এর অনিষ্ট করো না, বরং একে ঘাস ও পানি দিও। এর প্রতি অত্যাচার করলে খোদার গজব (রোষ) তোমাদের ওপর পতিত হবে।
কাফেররা উটটিকে দেখে হো-হো করে হেসে উঠলো। তারা মনে করলো এটা একটা সামান্য জন্তু ছাড়া আর কিছুই নয়, ছালেহ শুধু তাদের ভয় দেখাবার জন্য এটিকে এনেছে। খোদার প্রেরিত কোন চিহ্নই এর গায়ে নেই। এ রকম উট তো তারা হামেশাই জবেহ করে ভক্ষণ করছে! একে যদি নিত্য খাদ্য ও পানি দেওয়া হয় তাহলে তাদের জন্তুগুলো আধপেটা খেয়ে মরার শামিল হয়ে পড়বে। তার চেয়ে এই উটটিকে রাত্রিকালে হত্যা করে সকলে ফলার করবে।
উটটিকে বধ করেও যখন তাদের কোন অনিষ্ট হলো না, তখন তারা আনন্দে নৃত্য করতে লাগলো। তাহারা হযরত ছালেহকে নিষ্ঠুরভাবে বিদ্রূপ করতে লাগলো। অবশেষে এমন দুর্গতি তাঁর করলো যে, দেশে বাস করা তাঁর দায় হয়ে উঠলো। তিনি নিরুপায় হয়ে আল্লাহতা’লার কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করতে লাগলেনঃ হে করুণাময়, হে দ্বীন-দুনিয়ার মালিক। আমি কিছুতেই এদের ভ্রম ঘুচাতে পারলাম না। তুমি যদি এদের শাস্তি না দাও, তবে হয়তো শীঘ্রই এরা আমাদের বধ করবে। তুমি উপযুক্ত বিচার করো।
তাঁর প্রার্থনা আল্লাহ মঞ্জুর করলেন।
এই ঘটনার তিন দিন পরে রাত্রিশেষে ভীষণ ভূমিকম্প আরম্ভ হলো। অবিশ্বাসী ছামুদদের ঘরবাড়ি সব ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো এবং তারাও সেই ভগ্নাস্তূপের নিচে সমাধি লাভ করলো। পৃথিবীর বুকে জীবিত রইলেন হযরত ছালেহ ও তাঁর অনুচরবর্গ।
এরা আল্লাহতা’লাকে মানতো। যা কিছু বড় এবং অদ্ভুত তাদের চক্ষে লাগতো তারই প্রতিমূর্তি পাথর দ্বারা তৈরী করে পূজা করতো। তাছাড়া দিনরাত ঝগড়া ও দাঙ্গাহাঙ্গামা নিয়ে থাকতো। আল্লাহতা’লা তাদের মধ্যে হযরত ছালেহকে নবীরূপে পাঠালেন।
হযরত ছালেহ তাদের ডেকে বললেনঃ ভাইসব খোদা তোমাদের এই মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন, আবার এই মাটিতেই লয় করবেন। তাঁর কতা একবার ভেবে দেখ, তিনি ছাড়া তোমাদের কাছে আমি পরমার্থিক আলো নিয়ে এসেছি। মনে করে দেখ আদ জাতি হযরত হুদের কথা শোনেনি –এজন্য তারা কিরূপভাবে তোমাদের সামনেই ধ্বংস হয়ে গেলো। যার কৃপায় এই পাহাড়ের ওপরে এমন সুন্দর গৃহ নির্মাণ করে বাস করছো তার কথা একবার চিন্তা করো।
একদল লোক তাঁর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করলো। কিন্তু যারা অর্থশালী, বলশালী এবং নিজেদের খুব গণ্যমান্য ব্যক্তি বলে মনে করতো, তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত মাত্র করলো না। বরঞ্চ তাঁরা হিতোপদেশে উত্যক্ত হয়ে তারা তাঁর প্রতি খড়গহস্ত হয়ে উঠলো এবং দিনরাত ষড়যন্ত্র করতে লাগলো, কি করে হযরত ছালেহ ও তাঁর অনুরগবর্গকে আক্রমণ করলো, কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের সকল অভিযান ব্যর্থ হয়ে গেলো। ছালেহ ও তার অনুচরবর্গ অক্ষত দেহে রক্ষা পেলো, কিন্তু আতায়িগণ সদলে ধ্বংস হলো।
ছামুদেরা বিধ্বস্ত হলে কাফেররা অক্ষত অধিকতর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো। তারা ছালেহকে মারবার জন্যে বদ্ধপরিকর হয়ে সুযোগ খুঁজতে লাগলো। সামাজিকভাবে তাঁকে লোকচক্ষে হেয় করবার জন্য সর্বাদ উপহাস ও বিদ্রূপ করতে লাগলো। তাদের মধ্য হতে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি ছালেহকে ডেকে বললেনঃ তুমি যে আল্লাহর নবীরূপে আমাদের কাছে এসেছো বলছো, কি করে আমরা বুঝতে পারবো যে, তুমি সত্যই আল্লাহর পয়গম্বর।
ছালেহ তখন আল্লাহ পাকের কাছে আরজ করতে লাগলেন। আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করলেন এবং নিকটবর্তী পাহাড় দ্বিখণ্ডিত করে তার মধ্যে থেকে একটা উট বের করে তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
ছালেহ সেই উটকে নিয়ে কাফেরদের কাছে গেলেন। বললেনঃ তোমরা আমার কাছে তাঁর চিহ্ন দেখতে চেয়েছো তাই খোদাতা’লা এই উটটিকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তোমরা কেউ এর অনিষ্ট করো না, বরং একে ঘাস ও পানি দিও। এর প্রতি অত্যাচার করলে খোদার গজব (রোষ) তোমাদের ওপর পতিত হবে।
কাফেররা উটটিকে দেখে হো-হো করে হেসে উঠলো। তারা মনে করলো এটা একটা সামান্য জন্তু ছাড়া আর কিছুই নয়, ছালেহ শুধু তাদের ভয় দেখাবার জন্য এটিকে এনেছে। খোদার প্রেরিত কোন চিহ্নই এর গায়ে নেই। এ রকম উট তো তারা হামেশাই জবেহ করে ভক্ষণ করছে! একে যদি নিত্য খাদ্য ও পানি দেওয়া হয় তাহলে তাদের জন্তুগুলো আধপেটা খেয়ে মরার শামিল হয়ে পড়বে। তার চেয়ে এই উটটিকে রাত্রিকালে হত্যা করে সকলে ফলার করবে।
উটটিকে বধ করেও যখন তাদের কোন অনিষ্ট হলো না, তখন তারা আনন্দে নৃত্য করতে লাগলো। তাহারা হযরত ছালেহকে নিষ্ঠুরভাবে বিদ্রূপ করতে লাগলো। অবশেষে এমন দুর্গতি তাঁর করলো যে, দেশে বাস করা তাঁর দায় হয়ে উঠলো। তিনি নিরুপায় হয়ে আল্লাহতা’লার কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করতে লাগলেনঃ হে করুণাময়, হে দ্বীন-দুনিয়ার মালিক। আমি কিছুতেই এদের ভ্রম ঘুচাতে পারলাম না। তুমি যদি এদের শাস্তি না দাও, তবে হয়তো শীঘ্রই এরা আমাদের বধ করবে। তুমি উপযুক্ত বিচার করো।
তাঁর প্রার্থনা আল্লাহ মঞ্জুর করলেন।
এই ঘটনার তিন দিন পরে রাত্রিশেষে ভীষণ ভূমিকম্প আরম্ভ হলো। অবিশ্বাসী ছামুদদের ঘরবাড়ি সব ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো এবং তারাও সেই ভগ্নাস্তূপের নিচে সমাধি লাভ করলো। পৃথিবীর বুকে জীবিত রইলেন হযরত ছালেহ ও তাঁর অনুচরবর্গ।