01-10-2017, 03:48 PM
সে অনেকদিন আগের কথা৷ এক গ্রামে বাস করতো এক বৃদ্ধ কাঠুরিয়া৷ সে বনে কাঠ কাটতো৷ সারাদিন কাঠ কেটে, তা বাজারে বিক্রি করে যে কয় টাকা পেতো, তা দিয়েই চলতো তার সংসার৷ সংসার বলতে একটি মাত্র ছোট্ট ছেলে৷
সংসার খরচের টাকা থেকে একটু একটু করে বাঁচিয়ে কিছু টাকা জমালো কাঠুরিয়া৷ তারপর এক সকালে সে টাকা ছেলেটির হাতে দিয়ে বললো,
: তোমার জন্য আমি এই কয়েকটি টাকা জমিয়েছি৷ তুমি আমার এক মাত্র সন্তান৷ তোমাকে স্কুলে যেতে হবে৷ চলো তোমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিই৷ তোমার পড়া লেখার পর আমি যখন খুব বৃদ্ধ হয়ে যাবো, যখন কাজ করতে পারবো না, তখন তুমি আমাকে সাহায্য করতে পারবে৷ বৃদ্ধ বয়সে তো আর কুঠার চালাতে পারবো না৷ ঘরে আগুনের পাশে বসে থাকা ছাড়া আমার আর কি করার আছে বলো?
ছেলেটি স্কুলে ভর্তি হলো৷ পড়ালেখা করতে থাকলো খুব মনোযোগ দিয়ে৷ স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হবার আগে সে গেলো তাদের গ্রামে৷
আহা... তাদের গ্রামটি কত সুন্দর৷ তিন দিকে পাহাড়, একদিকে বন৷ ঘন বন৷ কত গাছ সেখানে৷
ছেলেকে দেখে বাবা বললো
: দেখো আমি তোমার জন্য আর কিছু করতে পারবো না৷ পেট চালাবার জন্য রুটি কেনার জন্য যতটুকু কাজ করা দরকার তার বেশী আমি কাজ করতে পারি না৷
বাবার অবস্থা দেখে ছেলেটি বললো
: দেখো বাবা আমাকে নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই৷ খোদা চাইলে আমাদের সবচেয়ে ভালো কিছু হতে পারে৷
বাবা ছেলেটির দিকে তাকালেন৷ এই ক বছরে তার ছেলেটি বেশ বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে৷
পরদিন বাবা যখন কাঠ কাটতে বেরুবে, তখন ছেলেটি বললো
: বাবা আমিও তোমার সঙ্গে যেতে চাই৷ আমিও কাঠ কাটবো৷
: তযতে পারো৷ কিন্তু এ কাজটি তোমার জন্য খুবই কষ্টের হবে৷ তুমি এ ধরনের পরিশ্রমে অভ্যস্ত নও৷ আমাদের বাড়িতে তো আর একটা কুঠার নেই৷ নতুন করে কেনার মত টাকাও নেই৷ ছেলেটি বললো
: এটা কোন সমস্যা নয়৷ আমরা আমাদের প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি কুড়াল ধার করতে পারি৷ আমি জানি কাঠ বিক্রি করে আমরা নতুন একটি কুড়াল কিনতে পারবো৷
বাবা পাশের বাড়ি থেকে কুড়ালটি ধার করে আনলো৷ দুজন মিলে চলে গেলো বনে৷ সেখানে নানা রকম পাখি৷ কিচির মিচির শব্দ৷ কত রকমের গাছ, বুনো নানা জাতের ছোট গাছ মাটিতে, শ্যাওলাও আছে৷ বাবা গাছের ডাল কাটতে শুরু করলো৷ কিন্তু ছেলেটির জন্য এ কাজ মোটেও সহজ ছিল না৷
সূর্য যখন মাথার ঠিক উপরে তখন বৃদ্ধ লোকটি বললো
চলো আমরা একটু বিশ্রাম নিই৷ দুপুরের খাবারও খাওয়া দরকার৷
ছেলেটি বললো
: বাবা তুমি বিশ্রাম নাও৷ আমি বরং এ দিকটা ঘুরে দেখি৷ এখানে বেশ কয়েকটা পাখির বাসা দেখেছি৷
বাবা বললো
: বোকা ছেলে৷ এভাবে ঘুরলে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে৷ কাজ করতে পারবে না৷ কাজ না করলে নতুন কুঠার কেনাও যাবে না৷
বাবার কথায় একটু হাসি দিয়ে সে বন দেখতে বের হলো৷ একটা পুরোনো ওক গাছে যখন সে উটলো, তখন গম গম আওয়াজ শুনলো৷ আকুতি৷
আমাকে বাচাও, আমাকে উদ্ধার করো৷
কে বলছে এ কথা প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে গেলো ছেলেটি৷ বললো
: কোথায় তুমি?
: আমি ওক গাছের নীচে৷ শিকঁড়ের কাছে৷
ছেলেটি মাটি খুড়তে লাগলো৷ ওক গাছের বড় একটি শিকঁড়ের নীচে পেয়ে গেলো একটি নীল বোতল৷ সেখান থেকেই আসছে শব্দ৷ একটু কথাবার্তা বলে বোতলের ছিপি খুলে দিলো৷ তখনি ধোয়া বের হতে থাকলো৷ আর সেই ধোয়া এক সময় বিশাল দৈত্যর আকার ধারণ করলো৷ কালো কুচকুচে দৈত্য বের হয়েই সে বললো
: আমি মুক্তি পেয়েছি৷ এবার আমি তোমার ঘাড় মটকাবো৷
ভয় পেলো না ছেলেটি৷ বুদ্ধি করে বললো
: আমি তোমার কথা বিশ্বাস করি না৷ তুমি এত বড় কিন্তু এই ছোট্ট বোতলের মধ্যে ঢুকলে কি করে৷ আমাকে দেখাবে৷ দৈত্যটি আবার যেই ঐ বোতলের মধ্যে ঢুকে বসলো ঠিক তখনি ছেলেটি বোতলের ছিপি বন্ধ করে ফেললো৷ ..........তারপর কি হলো তখন?
সংসার খরচের টাকা থেকে একটু একটু করে বাঁচিয়ে কিছু টাকা জমালো কাঠুরিয়া৷ তারপর এক সকালে সে টাকা ছেলেটির হাতে দিয়ে বললো,
: তোমার জন্য আমি এই কয়েকটি টাকা জমিয়েছি৷ তুমি আমার এক মাত্র সন্তান৷ তোমাকে স্কুলে যেতে হবে৷ চলো তোমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিই৷ তোমার পড়া লেখার পর আমি যখন খুব বৃদ্ধ হয়ে যাবো, যখন কাজ করতে পারবো না, তখন তুমি আমাকে সাহায্য করতে পারবে৷ বৃদ্ধ বয়সে তো আর কুঠার চালাতে পারবো না৷ ঘরে আগুনের পাশে বসে থাকা ছাড়া আমার আর কি করার আছে বলো?
ছেলেটি স্কুলে ভর্তি হলো৷ পড়ালেখা করতে থাকলো খুব মনোযোগ দিয়ে৷ স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হবার আগে সে গেলো তাদের গ্রামে৷
আহা... তাদের গ্রামটি কত সুন্দর৷ তিন দিকে পাহাড়, একদিকে বন৷ ঘন বন৷ কত গাছ সেখানে৷
ছেলেকে দেখে বাবা বললো
: দেখো আমি তোমার জন্য আর কিছু করতে পারবো না৷ পেট চালাবার জন্য রুটি কেনার জন্য যতটুকু কাজ করা দরকার তার বেশী আমি কাজ করতে পারি না৷
বাবার অবস্থা দেখে ছেলেটি বললো
: দেখো বাবা আমাকে নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই৷ খোদা চাইলে আমাদের সবচেয়ে ভালো কিছু হতে পারে৷
বাবা ছেলেটির দিকে তাকালেন৷ এই ক বছরে তার ছেলেটি বেশ বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে৷
পরদিন বাবা যখন কাঠ কাটতে বেরুবে, তখন ছেলেটি বললো
: বাবা আমিও তোমার সঙ্গে যেতে চাই৷ আমিও কাঠ কাটবো৷
: তযতে পারো৷ কিন্তু এ কাজটি তোমার জন্য খুবই কষ্টের হবে৷ তুমি এ ধরনের পরিশ্রমে অভ্যস্ত নও৷ আমাদের বাড়িতে তো আর একটা কুঠার নেই৷ নতুন করে কেনার মত টাকাও নেই৷ ছেলেটি বললো
: এটা কোন সমস্যা নয়৷ আমরা আমাদের প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি কুড়াল ধার করতে পারি৷ আমি জানি কাঠ বিক্রি করে আমরা নতুন একটি কুড়াল কিনতে পারবো৷
বাবা পাশের বাড়ি থেকে কুড়ালটি ধার করে আনলো৷ দুজন মিলে চলে গেলো বনে৷ সেখানে নানা রকম পাখি৷ কিচির মিচির শব্দ৷ কত রকমের গাছ, বুনো নানা জাতের ছোট গাছ মাটিতে, শ্যাওলাও আছে৷ বাবা গাছের ডাল কাটতে শুরু করলো৷ কিন্তু ছেলেটির জন্য এ কাজ মোটেও সহজ ছিল না৷
সূর্য যখন মাথার ঠিক উপরে তখন বৃদ্ধ লোকটি বললো
চলো আমরা একটু বিশ্রাম নিই৷ দুপুরের খাবারও খাওয়া দরকার৷
ছেলেটি বললো
: বাবা তুমি বিশ্রাম নাও৷ আমি বরং এ দিকটা ঘুরে দেখি৷ এখানে বেশ কয়েকটা পাখির বাসা দেখেছি৷
বাবা বললো
: বোকা ছেলে৷ এভাবে ঘুরলে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে৷ কাজ করতে পারবে না৷ কাজ না করলে নতুন কুঠার কেনাও যাবে না৷
বাবার কথায় একটু হাসি দিয়ে সে বন দেখতে বের হলো৷ একটা পুরোনো ওক গাছে যখন সে উটলো, তখন গম গম আওয়াজ শুনলো৷ আকুতি৷
আমাকে বাচাও, আমাকে উদ্ধার করো৷
কে বলছে এ কথা প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে গেলো ছেলেটি৷ বললো
: কোথায় তুমি?
: আমি ওক গাছের নীচে৷ শিকঁড়ের কাছে৷
ছেলেটি মাটি খুড়তে লাগলো৷ ওক গাছের বড় একটি শিকঁড়ের নীচে পেয়ে গেলো একটি নীল বোতল৷ সেখান থেকেই আসছে শব্দ৷ একটু কথাবার্তা বলে বোতলের ছিপি খুলে দিলো৷ তখনি ধোয়া বের হতে থাকলো৷ আর সেই ধোয়া এক সময় বিশাল দৈত্যর আকার ধারণ করলো৷ কালো কুচকুচে দৈত্য বের হয়েই সে বললো
: আমি মুক্তি পেয়েছি৷ এবার আমি তোমার ঘাড় মটকাবো৷
ভয় পেলো না ছেলেটি৷ বুদ্ধি করে বললো
: আমি তোমার কথা বিশ্বাস করি না৷ তুমি এত বড় কিন্তু এই ছোট্ট বোতলের মধ্যে ঢুকলে কি করে৷ আমাকে দেখাবে৷ দৈত্যটি আবার যেই ঐ বোতলের মধ্যে ঢুকে বসলো ঠিক তখনি ছেলেটি বোতলের ছিপি বন্ধ করে ফেললো৷ ..........তারপর কি হলো তখন?