02-26-2017, 04:01 PM
বর্তমান সময়ে খুব সহজেই সম্পর্ক তৈরি ও ভাঙ্গনের খেলায় অনেকেই মেতে আছেন। একটি সম্পর্ক শেষ হবার পর মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকে। মনে হয়, সমস্ত জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনকে সুন্দর করে সাজানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জীবন অনেক বড়। তাই, নিজের মনকে বুঝাতে হবে এবং মনোবল শক্তিশালী করতে হবে।
কিভাবে নিজেকে বিষণ্ণতা থেকে মুক্ত করবেন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন তা এখানে আলোচনা করা হল। মাত্র তিনটি ধাপে আপনি আপনার সমস্ত বিষণ্ণতা দূর করতে পারেন। যদি আপনি তা মন থেকে চেষ্টা করেন। এখনই সময় আপনার নিজের জীবনের দায়িত্ব নেয়া।
১. নিজেকে একজন একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলুন:
আপনার সম্পর্ক শেষ হবার কারণ সম্পর্কে আপনি নিজে শতভাগ নিশ্চিত হন। আপনার নিজের ব্যক্তিগত বিষয় আপনাকে ব্যথা ও একাকীত্ব থেকে উত্তরণ করবে।
সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুইজনই দায়ী থাকেন। খুব কম সময় শুধু একজন দায়ী থাকেন। ব্রেক আপের পর আপনি নিজেকে আঘাতপ্রাপ্ত, একলা ও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার বলে অনুভব করেন। সম্পর্ক ভাঙ্গার পিছে শুধু আপনি দোষী নন, তারও কিছু না কিছু দোষ অবশ্যই আছে।
এসকল বিষয় চিন্তা করার ফলে আপনি আপনার ভুলগুলো বুঝতে পারবেন। তাহলে ভবিষ্যতে এ কাজগুলো করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কেমন ধরণের সম্পর্ক চান, আপনার সঙ্গীর মাঝে কি কি গুন থাকলে আপনার এই সমস্যার আর মুখোমুখি হতে হবে না, তা আপনি বুঝতে পারবেন।
সম্পর্ক ভাঙ্গার পেছনে যদি আপনার দোষ থেকে থাকে তাহলে তা নিয়ে মনে কলুষ না রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান। আপনি যদি সবকিছু আগের মত করতে চান, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তাই, এসব ঝামেলা থেকে বের হয়ে, নতুন করে ভাবা আপনার জন্য বেশি সুফল বয়ে আনবে।
২. নিজেকে প্রাণবন্ত রাখুন:
নিজেকে কখনও আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি জীবনের দুঃখগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেন, এতে আপনি নিজেই বেশি কষ্ট পাবেন। কারণ, মনের ব্যথার কোন ঔষধ নেই, যা সেবন করা যায়।
সত্যিকার অর্থে, অনেক কিছুই আছে, যদি আপনি চেষ্টা করেন তাহলে নিজেকে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন। একটি ব্রেক-আপ সম্পূর্ণ জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নিজেকে বাস্তববাদী হিসেবে তৈরি করুন।
ব্রেক-আপের পর আপনি মুক্ত নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর জন্য। আপনার মনমত কিছু করার চেষ্টা করুন। এতে আপনি খুব সহজেই কষ্ট থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।
৩. নতুন লক্ষ্য সেট করুন:
নিজের নতুন কোন লক্ষ্য যেমন- নতুন কোন কোর্স করা, নতুন ভাষা শিখা বা কোন পার্ট-টাইম জব করা। নিজেকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করলে আপনার সময় কাটাতে কষ্ট হবে না।
চুপচাপ বসে থাকবেন না। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যান, পরিবারকে সময় দিন। এতে আপনার মাঝে মানসিক প্রশান্তি বিরাজ করবে।প্রত্যক মানুষের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সে নিজেই হওয়া উচিৎ। কিন্তু, আমরা নিজেকেই সময় দিতে পারি না। শুনতে একটু স্বার্থপরের মত হলেও, এটি সত্য যে, ব্রেক-আপের পর ভালো সময় পাওয়া যায় নিজেকে প্রাধান্য দেয়ার। তাই, নিজের ছোটখাটো সব স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করুন।
ভালবাসা একটা স্বার্থপর অনুভূতি। কিন্তু, ভালবাসা যত বেশি শেয়ার করা যায়, তত বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই, যারা আপনার সাথে সময় অতিবাহিত করতে চায়, তাদের সময় দিন। এতে আপনার সময় ভালো কাটবে।
সবসময় মনে রাখবেন, ভালোভাবে থাকুন, অনেক ভালবাসুন এবং সবসময় হাসুন।
আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনকে সুন্দর করে সাজানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জীবন অনেক বড়। তাই, নিজের মনকে বুঝাতে হবে এবং মনোবল শক্তিশালী করতে হবে।
কিভাবে নিজেকে বিষণ্ণতা থেকে মুক্ত করবেন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন তা এখানে আলোচনা করা হল। মাত্র তিনটি ধাপে আপনি আপনার সমস্ত বিষণ্ণতা দূর করতে পারেন। যদি আপনি তা মন থেকে চেষ্টা করেন। এখনই সময় আপনার নিজের জীবনের দায়িত্ব নেয়া।
১. নিজেকে একজন একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলুন:
আপনার সম্পর্ক শেষ হবার কারণ সম্পর্কে আপনি নিজে শতভাগ নিশ্চিত হন। আপনার নিজের ব্যক্তিগত বিষয় আপনাকে ব্যথা ও একাকীত্ব থেকে উত্তরণ করবে।
সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুইজনই দায়ী থাকেন। খুব কম সময় শুধু একজন দায়ী থাকেন। ব্রেক আপের পর আপনি নিজেকে আঘাতপ্রাপ্ত, একলা ও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার বলে অনুভব করেন। সম্পর্ক ভাঙ্গার পিছে শুধু আপনি দোষী নন, তারও কিছু না কিছু দোষ অবশ্যই আছে।
এসকল বিষয় চিন্তা করার ফলে আপনি আপনার ভুলগুলো বুঝতে পারবেন। তাহলে ভবিষ্যতে এ কাজগুলো করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কেমন ধরণের সম্পর্ক চান, আপনার সঙ্গীর মাঝে কি কি গুন থাকলে আপনার এই সমস্যার আর মুখোমুখি হতে হবে না, তা আপনি বুঝতে পারবেন।
সম্পর্ক ভাঙ্গার পেছনে যদি আপনার দোষ থেকে থাকে তাহলে তা নিয়ে মনে কলুষ না রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান। আপনি যদি সবকিছু আগের মত করতে চান, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তাই, এসব ঝামেলা থেকে বের হয়ে, নতুন করে ভাবা আপনার জন্য বেশি সুফল বয়ে আনবে।
২. নিজেকে প্রাণবন্ত রাখুন:
নিজেকে কখনও আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি জীবনের দুঃখগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেন, এতে আপনি নিজেই বেশি কষ্ট পাবেন। কারণ, মনের ব্যথার কোন ঔষধ নেই, যা সেবন করা যায়।
সত্যিকার অর্থে, অনেক কিছুই আছে, যদি আপনি চেষ্টা করেন তাহলে নিজেকে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন। একটি ব্রেক-আপ সম্পূর্ণ জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নিজেকে বাস্তববাদী হিসেবে তৈরি করুন।
ব্রেক-আপের পর আপনি মুক্ত নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর জন্য। আপনার মনমত কিছু করার চেষ্টা করুন। এতে আপনি খুব সহজেই কষ্ট থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।
৩. নতুন লক্ষ্য সেট করুন:
নিজের নতুন কোন লক্ষ্য যেমন- নতুন কোন কোর্স করা, নতুন ভাষা শিখা বা কোন পার্ট-টাইম জব করা। নিজেকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করলে আপনার সময় কাটাতে কষ্ট হবে না।
চুপচাপ বসে থাকবেন না। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যান, পরিবারকে সময় দিন। এতে আপনার মাঝে মানসিক প্রশান্তি বিরাজ করবে।প্রত্যক মানুষের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সে নিজেই হওয়া উচিৎ। কিন্তু, আমরা নিজেকেই সময় দিতে পারি না। শুনতে একটু স্বার্থপরের মত হলেও, এটি সত্য যে, ব্রেক-আপের পর ভালো সময় পাওয়া যায় নিজেকে প্রাধান্য দেয়ার। তাই, নিজের ছোটখাটো সব স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করুন।
ভালবাসা একটা স্বার্থপর অনুভূতি। কিন্তু, ভালবাসা যত বেশি শেয়ার করা যায়, তত বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই, যারা আপনার সাথে সময় অতিবাহিত করতে চায়, তাদের সময় দিন। এতে আপনার সময় ভালো কাটবে।
সবসময় মনে রাখবেন, ভালোভাবে থাকুন, অনেক ভালবাসুন এবং সবসময় হাসুন।