Forums.Likebd.Com

Full Version: [LOVE TIPS] প্রিয় মানুষকে যেসব কারনে হারাতে পারেন
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
পৃথিবীতে কে চান নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলতে? প্রেমিক-প্রেমিকা হোক বা স্বামী-স্ত্রী, কেউ-ই চান না যে প্রিয় মানুষটি তাঁর থেকে দূরে চলে যাক। কিন্তু তারপরও সেটা ঘটে, পছন্দের মানুষ হারিয়ে যায় অনেক দূরে আর তখন কিছুই করার থাকে না। নিজের প্রিয় মানুষটিকে চিরকাল ধরে রাখতে চান নিজের কাছেই? তাহলে সম্পর্ক থেকে বাদ দিতে চেষ্টা করুন এই ১০টি ব্যাপার।



১) দুটি মানুষের মাঝে মতের পার্থক্য হতেই পারে। কিন্তু এই মতের পার্থক্য যদি কলহতে রূপ নেয় আর সেই কলহ বাড়তে থাকে দূরত্ব রূপে, তাহলে কিন্তু সম্পর্ক ধরে রাখা খুবই মুশকিল। পরস্পরের মতের শ্রদ্ধা করাটাই এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান।



২) পরস্পরকে কারণে-অকারণে দোষারোপ করা সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার একটি বড় কারণ। নিজের দোষ অন্যজনের ওপরে চাপিয়ে দেয়া আরও বড় সর্বনাশ বয়ে নিয়ে আসে সম্পর্কে।



৩) জীবনসঙ্গী কেন বলা হয়? প্রিয় মানুষটির সাথে আমরা জীবনের দুঃখ-সুখ ভাগ করে নিই বলেই তো জীবনসঙ্গী। এই সঙ্গীর সাথেই যদি নিজের মনের কথা বিনিময় না করেন, তাহলে কি সম্পর্ক টিকবে?



৪) সম্পর্কে সাড়া দেয়া, ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়া খুব জরুরী। এক পক্ষ শীতল হয়ে গেলে অন্য পক্ষও একা একা বেশিদিন টানতে পারেন না সম্পর্ক।



৫) সম্পর্ক মানেই যৌনতা নয়। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা, হাতে হাত রাখ, একটা মিষ্টি চুমু ইত্যাদি সম্পর্ককে যতটা উষ্ণ রাখে, আর কোন কিছুই তা পারে না।



৬) নিজের সঙ্গীকে অবহেলার একটাই পরিণাম- বিচ্ছেদ।



৭) পর্ণগ্রাফি, পরনারী বা পর পুরুষ আসক্তি, পরকীয়া ইত্যাদি নোংরা বিষয় যে কোন মিষ্টি সম্পর্কের সর্বনাশ করার জন্য যথেষ্ট।



৮) যখন দুটি ব্যক্তি পরস্পরের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আর মাথা ঘামান না, পরস্পরের দিকে মনযোগ দেয়া ছেড়ে দেন, পরস্পরের আবেগ আর অনুভব করতে পারেন না কিংবা চান না, সম্পর্ক তখন ভাঙন অনিবার্য।



৯) সব ঝগড়া, সব তর্ক শেষ সর্বদা আপনাকেই জিততে হবে এমন মনোভাব কখপন রাখবেন না। ভালোবাসা কোন প্রতিযোগিতা নয় যে আপনাকেই জিততে হবে। এই প্রতিযোগিতার মনোভাব প্রিয় মানুষটিকেও শত্রু বানিয়ে ফেলতে সময় নেয় না।



১০) অতিরিক্ত রক্ষনশীলতা, পরস্পরকে সময় না দেয়া, অকারণ ঈর্ষা ও সন্দেহ সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।