02-26-2017, 04:15 PM
নিজের সঙ্গিনীর কাছে ভালবাসা প্রদর্শন করার আগে তাকে নিজের কাছে আকর্ষিত করতে হবে । আর তাঁর জন্য দরকার কিছু গুণ । যা আপনার মধ্যে আছে । শুধু তা উজার করে দিতে হবে । চলুন জেনে নিই সেই উপায়গুলি কী? ভালোবাসার প্রথম শর্তই হল সততা, আপনার প্রিয় মানুষটির নিকট সব সময় সৎ থাকুন । কোন কিছুই তার কাছে গোপন করার চেষ্টা করবেন না । প্রিয় মানুষটিকে তার দূর্বলতায় আঘাত করা যাবেনা । আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী । সব ধরনের মেয়ারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের বেশী পছন্দ করে । প্রিয়তমার মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখুন । প্রিয়তমাকে নিজের ধনসম্পদের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে । সকল নারীরাই তার প্রিয়জনের নিকট থেকে ভালোবাসা পেতে চায় । মেয়েরা চায় তার প্রিয় মানুষটি তার প্রতি খেয়াল রাখুক তার প্রতি যত্নবান হোক । সব কিছুর উর্ধ্বে দেখুক তাকে । মেয়েরা রসিক ছেলেদের বেশি পছন্দ করে । সামান্য একটা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে যেসব ছেলেরা তামাশা করতে পারে সেই ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে । মেয়েরা সবসময় পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে । মেয়েরাও চায় তার প্রিয় মানুষটি সব সময় ফিটফাট থাকুক । প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার মত সুযোগ দিতে হবে । খেয়াল রাখতে হবে সে কি জানতে চায় । নিজের পারিবারিক ব্যাপারে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে এতে নারীরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে । আপনার জীবনে যদি পূ্র্বে কোন প্রেম থেকে থাকে তা প্রিয়তমাকে বলতে না যদি সে কখোনো জানতে না চায় । প্রিয়তমা জানতে চাইলে তবেই বলা যেতে পারে । কথার ছলে গল্প বলা মেয়েরা খুব ভালোবাসে । প্রিয় মানুষটির গল্পে- স্বল্পে বিরক্ত হবেন কিন্তু । তাহলে আপনার প্রিয়তমা কিন্তু আপনার উপর রেগে যাবে । প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় তার শরীরের দিক না তাকিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগের সহিত কথা বলুন । এতে মেয়েরা খুবই খুশি হয়। আপনার মনে বেদনার ঝড় বইতে পারে, তার জন্য বিষয়টি সবাইকে বলে বেড়াবেন তা নয় । প্রিয়তমাকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না দিয়ে হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন । যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন । তাকে ঘনঘন সময় দিতে পারলে ভাল হয় । প্রিয়তমার পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন । তার ভালো লাগার প্রতি গুরুত্ব দিন এবং মন্দ লাগার বিষয়গুলোও মাথায় রাখুন । প্রিয়তরার সাথে অন্যকোন নারীর তুলনা করা যাবে না । এটি মেয়েরা মোটেও পছন্দ করেন না । অনেকেই ভাবেন প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় না! কথাটি মোটেও ঠিক না । আগে বন্ধুত্ব অতঃপর প্রেম । প্রেমিকার বিশ্বাসে কখোনো আঘাত করবেন না। প্রিয়তমার চিন্তা চেতনাকে সম্মান করুন । প্রেমিকার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন । শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা বেশিদিন টিকে থাকে না । মন থেকে ভালোবাসুন । তাহলে দেখবেন একসময় অনায়াসেই তার শরীর মন দু’টোই পেয়ে যাবেন। নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই কোমল । তাই প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবেন না। নরম সুরে নারীর সাথে কথা বলুন। নারীরা খুব আবেগ প্রবণ । তারা সবসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে । আপনার প্রিয় মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন । ঘনঘন খোজ খবর ।