Forums.Likebd.Com

Full Version: হিমশৈলের ধাক্কা নয়, টাইটানিক ডোবার কারণ অন্য!
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে। অতলান্তিকের তলদেশে আজও ঘুমিয়ে রয়েছে টাইটানিকের অবশিষ্টাংশ। জানা গিয়েছিল, হিমশৈলের ধাক্কায় ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল টাইটানিক। এত বছর কেটে যাওয়ার পরে ফের জল্পনা উঠেছে টাইটানিকের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে।

কোনও হিমশৈল নয়, আগুনই নাকি টাইটানিকের ধ্বংসের কারণ। টাইটানিকের ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে, সম্প্রতি আইরিশ সাংবাদিক ম্যালোনি, ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি টাইটানিকের উপরে গবেষণা চালাচ্ছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আগুনের কারণেই জাহাজটি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাঁর মতে, হিমশৈলটি ধাক্কা মারার ফলে জাহাজটির সেভাবে কোনও ক্ষতিই হয়নি। অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই সত্যটি সকলেরই অজানা।

১৯১২ সালে বেলফাস্ট থেকে রওনা হওয়ার পরই জাহাজের নিম্নবর্তী অংশে যে আগুন জ্বলছিল, সেই আগুনই জাহাজের খোলটিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। প্রায় ৪ দিন পরে সেই আগুন নেভানো হয়।

প্রায় ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা জাহাজের খোলটিকে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। ফলত ওই হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পরেই ভেঙে যায় জাহাজটি। না হলে ওই হিমশৈলটির ধাক্কায় জাহাজটি ভেঙে যেত না।

১৯১২ সালের টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০০ মানুষের। ১৯১২ থেকেই লোকমুখে শোনা যেত যে, ৩০০ ফুটের একটি গভীর ক্ষতের কারণে জাহাজটি ভেঙে যায়। যদিও ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষার পের সেরকম কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্রঃ এবেলা