02-28-2017, 09:54 PM
এসএসসির ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। প্রশ্ন ফাঁস প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিলের কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তদন্তের পর সিদ্ধান্ত জানতে সরকারের দিকেই তাকিয়ে আছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা।
গত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এসএসসি ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে-এমন খবর প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করছি। যদি দেখা যায় যে আগেই গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং এর ফলে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা কেউ লাভবান হয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা গণিতের পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে চিন্তা করব।
জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার আগের রাতেই মিলে গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই রোববার অনুষ্ঠিত হয় গণিত পরীক্ষা। গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসার পরই টনক নড়ে সরকারের। পরীক্ষার ১ দিন পরেই সোমবার রাতে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। কোনো সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
অন্যদিকে একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে পারেননি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সমীর কুমার বিশ্বাস। তিনি বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, আমি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানি না।
এদিকে শুধু ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষাই নয়, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডের আরও দুটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এরমধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বরিশাল ও ঢাকা বোর্ডের শারীরিক শিক্ষা এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের রাতেই ফাঁস হয়।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এবারই দেশে প্রথম নয়। বর্তমান সরকারের আমলে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। এরমধ্যে গত ২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছিল, যা প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা হিসেবে দেশব্যাপি আলোচিত। এজন্য সরকারকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখেও পড়তে হয়েছিল।
বর্তমান সরকারের আমলে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার চাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো না। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি না হওয়ায় বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ভালো করে একটা পরীক্ষা নিতে পারি না, এরচেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না, তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। তার মানে ওই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপানো ও বিতরণ যার দায়িত্ব, আমি তো দেখলাম না তার কোনো শাস্তি হতে। আমি যদি দেখতাম যে জড়িতদের জেল দেওয়া হচ্ছে, তাহলে ধরে নিতাম যে এটা রোধ করার জন্য তারা আন্তরিক। কিন্তু কারো কোনো দায়দায়িত্ব নাই। উনারা ধরে নিয়েছেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে এবং এভাবেই চলবে। আসলে এভাবে চলতে পারে না।
গত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এসএসসি ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে-এমন খবর প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করছি। যদি দেখা যায় যে আগেই গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং এর ফলে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা কেউ লাভবান হয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা গণিতের পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে চিন্তা করব।
জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার আগের রাতেই মিলে গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই রোববার অনুষ্ঠিত হয় গণিত পরীক্ষা। গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসার পরই টনক নড়ে সরকারের। পরীক্ষার ১ দিন পরেই সোমবার রাতে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। কোনো সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
অন্যদিকে একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে পারেননি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সমীর কুমার বিশ্বাস। তিনি বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, আমি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানি না।
এদিকে শুধু ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বোর্ডের গণিত পরীক্ষাই নয়, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডের আরও দুটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এরমধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বরিশাল ও ঢাকা বোর্ডের শারীরিক শিক্ষা এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের রাতেই ফাঁস হয়।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এবারই দেশে প্রথম নয়। বর্তমান সরকারের আমলে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। এরমধ্যে গত ২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছিল, যা প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা হিসেবে দেশব্যাপি আলোচিত। এজন্য সরকারকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখেও পড়তে হয়েছিল।
বর্তমান সরকারের আমলে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার চাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো না। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি না হওয়ায় বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ভালো করে একটা পরীক্ষা নিতে পারি না, এরচেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না, তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। তার মানে ওই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপানো ও বিতরণ যার দায়িত্ব, আমি তো দেখলাম না তার কোনো শাস্তি হতে। আমি যদি দেখতাম যে জড়িতদের জেল দেওয়া হচ্ছে, তাহলে ধরে নিতাম যে এটা রোধ করার জন্য তারা আন্তরিক। কিন্তু কারো কোনো দায়দায়িত্ব নাই। উনারা ধরে নিয়েছেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে এবং এভাবেই চলবে। আসলে এভাবে চলতে পারে না।