02-28-2017, 09:59 PM
অনলাইন ডেস্ক: নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
প্রশ্ন : একজন আলেম তাঁর বক্তৃতায় বলছিলেন, লাইলির জন্য মজনু আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদ পড়ে কান্নাকাটি করেছেন। এ ঘটনা কি সত্য?
উত্তর : লাইলা এবং মাজনুন, আসলে তাঁর নাম মজনু না, তাঁর নাম হচ্ছে কায়েস। এ দুজনের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেই আমরা এ ধরনের প্রশ্ন করেছি। তাঁদের ইতিহাস মূলত নবী (সা.)-এর জন্মেরও অনেক আগের ইতিহাস।
জাহেলীয় প্রথম যুগের ইতিহাস হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা মূলত ইয়েমেন থেকে এসেছিলেন। সৌদি আরবে লাইলা নামে একটা শহর রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম এবং সবকিছু স্বচক্ষে দেখে এসেছি। এটা অনেক প্রাচীন ইতিহাস এবং তাহাজ্জুদের নামাজের বিষয়টি একেবারে ফালতু কথা। এটি কল্পিত বক্তব্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের এই সম্পর্কের বিষয়টি এবং তাঁদের যে গল্পগুলো আলোচনা করা হয় থাকে, এগুলোর গল্প রয়েছে। এগুলোর ভিত্তি নেই এমন নয়। তবে এগুলো নিয়ে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে, সেটাও ঠিক। বর্তমান সৌদি আরবের ওয়াদিআল আহমারে তাঁদের বসতি ছিল। এদের ইতিহাস একেবারেই কম পাওয়া যায়।
হাফেজ শামসুদ্দিন জাবের (রা.) তাঁর রচনায় এদের সম্পর্কে চার লাইন উল্লেখ করেছেন। বলেছেন যে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রসিদ্ধি এত বেশি লাভ করেছে যে, তাঁর প্রসিদ্ধির কারণে আমার বইয়ে তাঁর নাম উল্লেখ করলাম। অন্যথায়, আমার বইয়ে তাঁর নাম উল্লেখ করার মতো যোগ্যতা তাঁর নেই।
যেহেতু ইসলামের আগের ঘটনা, তথাপি এমন কোনো ঘটনা নেই যার কারণে সে ইসলামের ইতিহাসে, এমনকি মানব ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে পারে। এটা শুধু একটি ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। এর অতিরিক্ত কিছুই না।
প্রশ্ন : একজন আলেম তাঁর বক্তৃতায় বলছিলেন, লাইলির জন্য মজনু আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদ পড়ে কান্নাকাটি করেছেন। এ ঘটনা কি সত্য?
উত্তর : লাইলা এবং মাজনুন, আসলে তাঁর নাম মজনু না, তাঁর নাম হচ্ছে কায়েস। এ দুজনের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেই আমরা এ ধরনের প্রশ্ন করেছি। তাঁদের ইতিহাস মূলত নবী (সা.)-এর জন্মেরও অনেক আগের ইতিহাস।
জাহেলীয় প্রথম যুগের ইতিহাস হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা মূলত ইয়েমেন থেকে এসেছিলেন। সৌদি আরবে লাইলা নামে একটা শহর রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম এবং সবকিছু স্বচক্ষে দেখে এসেছি। এটা অনেক প্রাচীন ইতিহাস এবং তাহাজ্জুদের নামাজের বিষয়টি একেবারে ফালতু কথা। এটি কল্পিত বক্তব্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের এই সম্পর্কের বিষয়টি এবং তাঁদের যে গল্পগুলো আলোচনা করা হয় থাকে, এগুলোর গল্প রয়েছে। এগুলোর ভিত্তি নেই এমন নয়। তবে এগুলো নিয়ে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে, সেটাও ঠিক। বর্তমান সৌদি আরবের ওয়াদিআল আহমারে তাঁদের বসতি ছিল। এদের ইতিহাস একেবারেই কম পাওয়া যায়।
হাফেজ শামসুদ্দিন জাবের (রা.) তাঁর রচনায় এদের সম্পর্কে চার লাইন উল্লেখ করেছেন। বলেছেন যে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রসিদ্ধি এত বেশি লাভ করেছে যে, তাঁর প্রসিদ্ধির কারণে আমার বইয়ে তাঁর নাম উল্লেখ করলাম। অন্যথায়, আমার বইয়ে তাঁর নাম উল্লেখ করার মতো যোগ্যতা তাঁর নেই।
যেহেতু ইসলামের আগের ঘটনা, তথাপি এমন কোনো ঘটনা নেই যার কারণে সে ইসলামের ইতিহাসে, এমনকি মানব ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে পারে। এটা শুধু একটি ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। এর অতিরিক্ত কিছুই না।