02-28-2017, 09:59 PM
অনলাইন ডেস্ক: নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
প্রশ্ন : মানুষ কি কখনো জিন হাজির করতে পারে? মানুষ কি কখনো জিন দেখতে পারে? জিন কি কখনোও মানুষকে সাহায্য করতে পারে? এ সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে কী বলা হয়েছে।
উত্তর : কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘জিনরা মানুষদের দেখতে পায়, কিন্তু মানুষরা জিনদের দেখতে পায় না’। কিন্তু কখনো কখনো তাঁরা যে মানুষের সুরত অবলম্বন করে থাকে বা কোনো প্রাণীর বেশ ধরে, তখন মানুষ তাঁদের দেখতে পায়। মূল সুরতে তাঁদের কখনো দেখতে পায় না। দেখলে মানুষ ভীত হতো, ভয় পেত। আল্লাহ তায়ালা মানুষদের তা থেকে মুক্ত রেখেছেন।
কিন্তু তাঁরা অদেখা অবস্থায় হাজির হয়, কথা বলে, এটি সত্য। যেমনিভাবে রাসুল (সা.)-এর যুগেও রাসুলের সাদকার মাল চুরি করতে হাজির হয়েছিল একটি জিন। আমরা সবাই এই হাদিস জানি। অর্থাৎ মানুষ যদি বিভিন্নভাবে তাদের ডাকে তাহলে তারা হাজির হয় এবং জাহেলি যুগে তারা অনেক সময় এসব কাজ করে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করত। বর্তমান সময়েও এর প্রচলন দেখা যায়। জিন হাজির করা কোনো ভালো কাজ নয়। হাশরের মাঠে যখন আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাসা করবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো মানুষদের বেশি পথভ্রষ্ট করে ফেলেছো’। তখন তারা বলবে, ‘হে আল্লাহ, দুনিয়াতে তো আমরা একে অপরের উপকার করেছি।’ তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন যে, ‘না। এ উপকার গ্রহণযোগ্য নয়, তোমাদের স্থায়ী স্থান হচ্ছে জাহান্নাম’। সুতরাং জিনরা যদি কোনো ভালো কাজের সহযোগিতা করে, (অনেক জিন ছাত্র হতে পারে, ইসলাম গ্রহণ করতে পারে, দ্বীনের কাজ, ভালো কাজ করতে পারে) সেটা ভালো।
জিন মানুষকে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে সে যদি মুমিন জিন হয় তাহলে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে খারাপ জিনগুলো মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ জন্য জিনদের শরণাপন্ন হওয়া, তাদের হাজির করানোর চেষ্টা করা উচিত নয়, শরিয়তে জায়েজ নেই। কোনো জিন যদি স্বেচ্ছায় হাজির হয় এবং দ্বীনের কাজে সাহায্য করতে চায়, তাহলে সেই সাহায্য নেওয়া যাবে এবং সেই সাহায্য নেওয়া জায়েজ হবে। জিন এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক যদি দ্বীনভিত্তিক হয়, তাহলে সেটা জায়েজ।
প্রশ্ন : মানুষ কি কখনো জিন হাজির করতে পারে? মানুষ কি কখনো জিন দেখতে পারে? জিন কি কখনোও মানুষকে সাহায্য করতে পারে? এ সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে কী বলা হয়েছে।
উত্তর : কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘জিনরা মানুষদের দেখতে পায়, কিন্তু মানুষরা জিনদের দেখতে পায় না’। কিন্তু কখনো কখনো তাঁরা যে মানুষের সুরত অবলম্বন করে থাকে বা কোনো প্রাণীর বেশ ধরে, তখন মানুষ তাঁদের দেখতে পায়। মূল সুরতে তাঁদের কখনো দেখতে পায় না। দেখলে মানুষ ভীত হতো, ভয় পেত। আল্লাহ তায়ালা মানুষদের তা থেকে মুক্ত রেখেছেন।
কিন্তু তাঁরা অদেখা অবস্থায় হাজির হয়, কথা বলে, এটি সত্য। যেমনিভাবে রাসুল (সা.)-এর যুগেও রাসুলের সাদকার মাল চুরি করতে হাজির হয়েছিল একটি জিন। আমরা সবাই এই হাদিস জানি। অর্থাৎ মানুষ যদি বিভিন্নভাবে তাদের ডাকে তাহলে তারা হাজির হয় এবং জাহেলি যুগে তারা অনেক সময় এসব কাজ করে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করত। বর্তমান সময়েও এর প্রচলন দেখা যায়। জিন হাজির করা কোনো ভালো কাজ নয়। হাশরের মাঠে যখন আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাসা করবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো মানুষদের বেশি পথভ্রষ্ট করে ফেলেছো’। তখন তারা বলবে, ‘হে আল্লাহ, দুনিয়াতে তো আমরা একে অপরের উপকার করেছি।’ তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন যে, ‘না। এ উপকার গ্রহণযোগ্য নয়, তোমাদের স্থায়ী স্থান হচ্ছে জাহান্নাম’। সুতরাং জিনরা যদি কোনো ভালো কাজের সহযোগিতা করে, (অনেক জিন ছাত্র হতে পারে, ইসলাম গ্রহণ করতে পারে, দ্বীনের কাজ, ভালো কাজ করতে পারে) সেটা ভালো।
জিন মানুষকে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে সে যদি মুমিন জিন হয় তাহলে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে খারাপ জিনগুলো মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ জন্য জিনদের শরণাপন্ন হওয়া, তাদের হাজির করানোর চেষ্টা করা উচিত নয়, শরিয়তে জায়েজ নেই। কোনো জিন যদি স্বেচ্ছায় হাজির হয় এবং দ্বীনের কাজে সাহায্য করতে চায়, তাহলে সেই সাহায্য নেওয়া যাবে এবং সেই সাহায্য নেওয়া জায়েজ হবে। জিন এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক যদি দ্বীনভিত্তিক হয়, তাহলে সেটা জায়েজ।