03-12-2017, 01:23 PM
সাপের বিষ দাঁত দিয়ে কেটে ফেলা যায়, মরা মানুষের মতো শুয়ে থাকলে নাকি ছুঁয়েও দেখে না ভালুক, মদ্যপানে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে- এমনই বেশ কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে আমাদের বেশির ভাগের। কিন্তু এই ধারণা গুলো কতটা সঠিক? কতটাই বা ভ্রান্ত? আদৌ কী প্রচলিত এই ধারণাগুলোর পিছনে কোনও যুক্তি আছে? জেনে নেওয়া যাক এমনই এক গুচ্ছ প্রচলিত ধারণার ঠিক-ভুল খতিয়ান।
ধারণা: সাপের বিষ দাঁত দিয়ে কেটে শুষে নিলে বিষ ছড়াতে পারে না।
সত্যি: এভাবে সাপের বিষ আটকানো যায় না। কারণ সাপ কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার বিষ রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। সেখানে মুখ দিলে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুখে কোনও ক্ষত থাকলে সেই ক্ষতস্থানেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সাপ কামড়ালে আগে শক্ত বাঁধন দেওয়া উচিত। যাতে বিষাক্ত রক্ত সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে না পরে।
ধারণা: মৃতের মতো ভান করলে ভালুক আক্রমণ করে না। কারণ ভালুক মৃত প্রাণী খায় না।
সত্যি: সব সময় এই উপায় খাটে না। এটা একেবারেই নির্ভর করে ভালুকের প্রজাতির উপর। ধূসর বর্ণের ভলুকরা মৃত মানুষ খায় না। কিন্তু যদি কালো ভালুক হয়, তাহলে অবশ্যই আত্মরক্ষার চেষ্টা করুন।
ধারণা: কোথাও হারিয়ে গেলে আগে খাবারের সন্ধান করা উচিত।
সত্যি: মানুষের শরীর ছয় সপ্তাহ অবধি না খেয়ে থাকতে পারে। তাই খাবারের সন্ধান করার আগে কোথাও হারিয়ে গেলে সবার আগে নিরাপদ আশ্রয় আর পানির সন্ধান করা উচিত।
ধারণা: সমস্ত ক্যাকটাসের মধ্যেই পানি থাকে। এবং সেই পানি মরুভূমিতে প্রাণ রক্ষার কাজে আসে।
সত্যি: আংশিক সত্যি হলেও এই ধারণা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্যাকটাসই পান করার উপযুক্ত তরল সঞ্চয় করতে পারে। তাই পরখ করে তবেই সেই তরল পান করা উচিত। কারণ বেশ কিছু ক্যাকটাসের তরল বিষাক্তও হয়।
ধারণা: যে ফল পশু, পাখিরা খায় তা বিপদমুক্ত।
সত্যি: এমন অনেক ফল ও মাশরুম রয়েছে যা পাখি এবং কাঠবেড়ালিরা খায়। কিন্তু মানুষের পক্ষে তা বিপজ্জনক।
ধারণা: ফ্রস্ট বাইট বা তুষারক্ষত হলে সেই ক্ষতস্থানটি ঘষে ঘষে গরম করা উচিত। তারপরে তাতে গরম পানি ঢালা উচিত।
সত্যি: খুব ধীরে ধীরে ক্ষতস্থানটি গরম করে তুলতে হয়। ঘষা বা গরম পানি ঢালা একেবারেই উচিত নয়। বরং কম্বল চাপা দিয়ে, গরম সেঁক দিয়ে ক্ষত স্থানটির পরিচর্যা করা উচিত।
ধারণা: হাঙর আক্রমণ করলে তার নাকে আঘাত করুন।
সত্যি: এই ধরনের কাজ করা একেবারেই বোকামি হবে। হাঙরের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হাঙরের সামনে বড় কোনও বস্তু ধরে রাখার চেষ্টা করুন। অথবা হাঙরের চোখে আঘাত করার চেষ্টা করুন।
ধারণা: প্রচন্ড পানিতেষ্টা বা ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে নিজের প্রস্রাব পান করুন।
সত্যি: পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে প্রস্রাব পান করা উচিত নয়। এতে শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিডনির উপর চাপ পড়ে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
ধারণা: ছুরি বা ধারালো কিছু শরীরে ঢুকে গেলে তৎক্ষণাৎ তা বের করে নেওয়া উচিত।
সত্যি: অস্ত্রটি শরীর থেকে বের করে নিলে রক্তক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে কখনই তা শরীর থেকে বলপূর্বক বের করা উচিত নয়।
ধারণা: সাপের বিষ দাঁত দিয়ে কেটে শুষে নিলে বিষ ছড়াতে পারে না।
সত্যি: এভাবে সাপের বিষ আটকানো যায় না। কারণ সাপ কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার বিষ রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। সেখানে মুখ দিলে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুখে কোনও ক্ষত থাকলে সেই ক্ষতস্থানেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সাপ কামড়ালে আগে শক্ত বাঁধন দেওয়া উচিত। যাতে বিষাক্ত রক্ত সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে না পরে।
ধারণা: মৃতের মতো ভান করলে ভালুক আক্রমণ করে না। কারণ ভালুক মৃত প্রাণী খায় না।
সত্যি: সব সময় এই উপায় খাটে না। এটা একেবারেই নির্ভর করে ভালুকের প্রজাতির উপর। ধূসর বর্ণের ভলুকরা মৃত মানুষ খায় না। কিন্তু যদি কালো ভালুক হয়, তাহলে অবশ্যই আত্মরক্ষার চেষ্টা করুন।
ধারণা: কোথাও হারিয়ে গেলে আগে খাবারের সন্ধান করা উচিত।
সত্যি: মানুষের শরীর ছয় সপ্তাহ অবধি না খেয়ে থাকতে পারে। তাই খাবারের সন্ধান করার আগে কোথাও হারিয়ে গেলে সবার আগে নিরাপদ আশ্রয় আর পানির সন্ধান করা উচিত।
ধারণা: সমস্ত ক্যাকটাসের মধ্যেই পানি থাকে। এবং সেই পানি মরুভূমিতে প্রাণ রক্ষার কাজে আসে।
সত্যি: আংশিক সত্যি হলেও এই ধারণা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্যাকটাসই পান করার উপযুক্ত তরল সঞ্চয় করতে পারে। তাই পরখ করে তবেই সেই তরল পান করা উচিত। কারণ বেশ কিছু ক্যাকটাসের তরল বিষাক্তও হয়।
ধারণা: যে ফল পশু, পাখিরা খায় তা বিপদমুক্ত।
সত্যি: এমন অনেক ফল ও মাশরুম রয়েছে যা পাখি এবং কাঠবেড়ালিরা খায়। কিন্তু মানুষের পক্ষে তা বিপজ্জনক।
ধারণা: ফ্রস্ট বাইট বা তুষারক্ষত হলে সেই ক্ষতস্থানটি ঘষে ঘষে গরম করা উচিত। তারপরে তাতে গরম পানি ঢালা উচিত।
সত্যি: খুব ধীরে ধীরে ক্ষতস্থানটি গরম করে তুলতে হয়। ঘষা বা গরম পানি ঢালা একেবারেই উচিত নয়। বরং কম্বল চাপা দিয়ে, গরম সেঁক দিয়ে ক্ষত স্থানটির পরিচর্যা করা উচিত।
ধারণা: হাঙর আক্রমণ করলে তার নাকে আঘাত করুন।
সত্যি: এই ধরনের কাজ করা একেবারেই বোকামি হবে। হাঙরের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হাঙরের সামনে বড় কোনও বস্তু ধরে রাখার চেষ্টা করুন। অথবা হাঙরের চোখে আঘাত করার চেষ্টা করুন।
ধারণা: প্রচন্ড পানিতেষ্টা বা ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে নিজের প্রস্রাব পান করুন।
সত্যি: পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে প্রস্রাব পান করা উচিত নয়। এতে শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিডনির উপর চাপ পড়ে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
ধারণা: ছুরি বা ধারালো কিছু শরীরে ঢুকে গেলে তৎক্ষণাৎ তা বের করে নেওয়া উচিত।
সত্যি: অস্ত্রটি শরীর থেকে বের করে নিলে রক্তক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে কখনই তা শরীর থেকে বলপূর্বক বের করা উচিত নয়।