03-12-2017, 04:01 PM
অভিজ্ঞতা/ঘটনা -১ঃ আমি ২০১০-১৫ সালের দিকে ঢাকার কাজীরবাগ/মানিকনগর এলাকায় থাকতাম। এলাকার মসজিদের ঈমাম সাহেবকে দেখতাম বাচ্চারা (৬/৭-১৫/১৬ বছর) মসজিদে আসলে খুব আদর করতেন। আদর করে মসজিদে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসাতেন ও বুঝিয়ে বলতেন কথা না বলার জন্য।
উনি বাচ্চাদের বেশি রাকাত নামাজ পড়লে কলম, চকলেট ইত্যাদি পুরুষকার দিতেন।
এজন্য হয়তো মসজিদে অনেক বেশি বাচ্চা বা যুবকদের দেখা যেতো।
অভিজ্ঞতা/ঘটনা-২ঃ বর্তমানে ছনটেক, যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকি।প্রথমদিকে মসজিদে যুবক ও বাচ্চদের খুব কম দেখে আমি অবাক হতাম।পরে দেখি অনেক বয়স্করা বাচ্চাদের ধমকায়, পেছনের কাতারে যেতে বলে, অনেকে কাতার থেকে নামাজরত অবস্থায় পেছনে পাঠিয়ে দেয়.......!!!!!! শুক্রবারের জুম্মা নামাজের জন্য মসজিদেত ৩/৪ তলা যুবক/বাচ্চাদের জন্য অনেকটা অঘোষিতভভাবে নির্ধারিত।জুম্মা নামাজে অভিভাবকরা বাচ্চাদের সাথে না নিয়ে ৩/৪ তলায় পাঠিয়ে দেয়...!!!!!!!!!
ফলাফল হিসেবে দেখা যায় তারা খুতবার সময় মসজিদে মোবাইলে ফেসবুক, ইন্টারনেট, ভিডিও চালায়।
এগুলো বন্ধ করার জন্য অনেক মিটিং সিটিং দেখি।আমি এক মিটিং বক্তব্য দিতে গিয়ে বাচ্চাদের আদরযত্ন করার দ্বারা এগুলো বন্ধ হতে পারে বলেছিলাম। হয়তো অনেকের নিকট কথাগুলো বোধগম্য হয়নি।
এ ব্যাপারে সংগ্রহকৃত প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন।
প্রশ্ন : আমরা তো জানি, সাত বছর হলে বাচ্চাদের জন্য নামাজ ফরজ। আমি মসজিদে দেখেছি, ইমাম সাহেব বলেন বা পাশাপাশি আরো কিছু মুরুব্বি বলেন, বাচ্চারা নামাজে দাঁড়ালে বলে, ‘পিছনে যাও, পিছনে যাও। একদম লাইনের শেষে যাও।’
দেখা যায় যে তাদের রাস্তায়ও জায়গা হয় না। ইসলামী দৃষ্টিতে এটা কতটুকু জায়েজ?
উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার যে বক্তব্য, সাত বছর বয়সে সালাত ফরজ, এটা শুদ্ধ নয়। তবে সাত বছর বয়সে রাসূল (সা.) হাদিসের মধ্যে আমাদের বলেছেন যে, ‘সাত বছর বয়স হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও।’ এখানে তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সালাত যাতে আমরা আদায় করি, সে জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। ফরজ, এ কথা বলা হয়নি। কিন্তু ১০ বছরের বিষয়টি একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, এটি ফরজ। তখন বলা হয়েছে, ‘সালাতের জন্য তাদের প্রহার করো।’ প্রহার তো আর ফরজ না হলে করা যায় না।এর পর যে চিত্রটি আপনি তুলে ধরেছেন, সেটি খুবই ভয়ংকর। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে না আসি, তাহলে কারা আনবে! এটি একেবারেই ভুল কাজ।ইমাম বলেন, মসজিদের মোতোয়াল্লি বলেন অথবা মুসল্লি বলেন, যদি এই কাজটি করেন, তাহলে তিনি ভুল কাজ করেছেন, গুনাহের কাজ করেছেন। কোনো সন্তান যদি শিশুও হয়, যদি মসজিদে আসে, তাকে নাহার করা জায়েজ নেই, নাহার মানে হচ্ছে তাকে ধমক দেওয়া, অবজ্ঞা করা। এটা করার কোনো সুযোগ নেই।
বরং আমাদের উচিত মসজিদে আসার ব্যাপারে তাকে আরো উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত করা, তাঁর প্রতি স্নেহ দেখানো, সুন্দর আচরণ করা। সে কাজটি আমরা করি না, এটি ভুল কাজ।
কারণ, নবী (সা.) উসামা (রা.)-কে কাঁধে করে নিয়ে আসতেন। নবী (সা.) যখন সিজদাহে যেতেন, উমায়মা (রা.) তাঁর পিঠে উঠে যেতেন। হাসান, হোসেন (রা.) নবী(সা.)-এর খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ করেছিল। নবী (সা.). খুতবা বন্ধ করে দুজনকে কোলে করে নিয়ে এলেন। এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।
সুতরাং ছোট শিশুদের মসজিদে আনা একেবারেই বৈধ কাজ। নবী (সা.)-এর সুন্নাহ সমর্থিত কাজ এবং এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া বা দুর্ব্যবহার করা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা গর্হিত কাজ। যাঁরা করেছেন, তাঁরা ভুল কাজ করেছেন।
-মাওনালা ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
উনি বাচ্চাদের বেশি রাকাত নামাজ পড়লে কলম, চকলেট ইত্যাদি পুরুষকার দিতেন।
এজন্য হয়তো মসজিদে অনেক বেশি বাচ্চা বা যুবকদের দেখা যেতো।
অভিজ্ঞতা/ঘটনা-২ঃ বর্তমানে ছনটেক, যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকি।প্রথমদিকে মসজিদে যুবক ও বাচ্চদের খুব কম দেখে আমি অবাক হতাম।পরে দেখি অনেক বয়স্করা বাচ্চাদের ধমকায়, পেছনের কাতারে যেতে বলে, অনেকে কাতার থেকে নামাজরত অবস্থায় পেছনে পাঠিয়ে দেয়.......!!!!!! শুক্রবারের জুম্মা নামাজের জন্য মসজিদেত ৩/৪ তলা যুবক/বাচ্চাদের জন্য অনেকটা অঘোষিতভভাবে নির্ধারিত।জুম্মা নামাজে অভিভাবকরা বাচ্চাদের সাথে না নিয়ে ৩/৪ তলায় পাঠিয়ে দেয়...!!!!!!!!!
ফলাফল হিসেবে দেখা যায় তারা খুতবার সময় মসজিদে মোবাইলে ফেসবুক, ইন্টারনেট, ভিডিও চালায়।
এগুলো বন্ধ করার জন্য অনেক মিটিং সিটিং দেখি।আমি এক মিটিং বক্তব্য দিতে গিয়ে বাচ্চাদের আদরযত্ন করার দ্বারা এগুলো বন্ধ হতে পারে বলেছিলাম। হয়তো অনেকের নিকট কথাগুলো বোধগম্য হয়নি।
এ ব্যাপারে সংগ্রহকৃত প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন।
প্রশ্ন : আমরা তো জানি, সাত বছর হলে বাচ্চাদের জন্য নামাজ ফরজ। আমি মসজিদে দেখেছি, ইমাম সাহেব বলেন বা পাশাপাশি আরো কিছু মুরুব্বি বলেন, বাচ্চারা নামাজে দাঁড়ালে বলে, ‘পিছনে যাও, পিছনে যাও। একদম লাইনের শেষে যাও।’
দেখা যায় যে তাদের রাস্তায়ও জায়গা হয় না। ইসলামী দৃষ্টিতে এটা কতটুকু জায়েজ?
উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার যে বক্তব্য, সাত বছর বয়সে সালাত ফরজ, এটা শুদ্ধ নয়। তবে সাত বছর বয়সে রাসূল (সা.) হাদিসের মধ্যে আমাদের বলেছেন যে, ‘সাত বছর বয়স হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও।’ এখানে তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সালাত যাতে আমরা আদায় করি, সে জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। ফরজ, এ কথা বলা হয়নি। কিন্তু ১০ বছরের বিষয়টি একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, এটি ফরজ। তখন বলা হয়েছে, ‘সালাতের জন্য তাদের প্রহার করো।’ প্রহার তো আর ফরজ না হলে করা যায় না।এর পর যে চিত্রটি আপনি তুলে ধরেছেন, সেটি খুবই ভয়ংকর। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে না আসি, তাহলে কারা আনবে! এটি একেবারেই ভুল কাজ।ইমাম বলেন, মসজিদের মোতোয়াল্লি বলেন অথবা মুসল্লি বলেন, যদি এই কাজটি করেন, তাহলে তিনি ভুল কাজ করেছেন, গুনাহের কাজ করেছেন। কোনো সন্তান যদি শিশুও হয়, যদি মসজিদে আসে, তাকে নাহার করা জায়েজ নেই, নাহার মানে হচ্ছে তাকে ধমক দেওয়া, অবজ্ঞা করা। এটা করার কোনো সুযোগ নেই।
বরং আমাদের উচিত মসজিদে আসার ব্যাপারে তাকে আরো উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত করা, তাঁর প্রতি স্নেহ দেখানো, সুন্দর আচরণ করা। সে কাজটি আমরা করি না, এটি ভুল কাজ।
কারণ, নবী (সা.) উসামা (রা.)-কে কাঁধে করে নিয়ে আসতেন। নবী (সা.) যখন সিজদাহে যেতেন, উমায়মা (রা.) তাঁর পিঠে উঠে যেতেন। হাসান, হোসেন (রা.) নবী(সা.)-এর খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ করেছিল। নবী (সা.). খুতবা বন্ধ করে দুজনকে কোলে করে নিয়ে এলেন। এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।
সুতরাং ছোট শিশুদের মসজিদে আনা একেবারেই বৈধ কাজ। নবী (সা.)-এর সুন্নাহ সমর্থিত কাজ এবং এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া বা দুর্ব্যবহার করা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা গর্হিত কাজ। যাঁরা করেছেন, তাঁরা ভুল কাজ করেছেন।
-মাওনালা ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ