03-12-2017, 04:02 PM
কোনো বিষয়ে অধিক প্রশ্ন, তর্ক-বিতর্ক বা কোনো কথা বা কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা জঘন্য বদঅভ্যাস। আর এ অধিক প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ি যদি হয় আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম পালনের বিষয়ে তাহলে তা হবে মারাত্মক অপরাধ। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, আল্লাহর এ বিধান পালনে বান্দাকে অনেক বড় কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
তাছাড়া বাড়াবাড়ির ফলে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, আত্ম-অহমিকা, গোড়ামি-কপটতা এমনকি প্রাণহানির মতো মারাত্মক কু-প্রভাবও বিস্তার লাভ করে। মানুষের বাড়াবাড়ির ফলে হারামকে হালাল আবার হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বাড়াবাড়ির চমৎকার নির্দশন উল্লেখ করেছেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলীদেরকে গরু জবাই করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু তারা আল্লাহ তাআলা এ নির্দেশ পালনে প্রথম থেকেই গরু জবাইয়ের বিষয়ে হঠকারিতা শুরু করে। অতঃপর হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে গরু জবাই করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও গরুর বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে থাকে।
অথচ আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। বনি ইসরাইলের প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ির মাত্রা এতই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, তাদের বারংবার প্রশ্নের কারণে গরু বছাই করা এবং তা সংগ্রহ করা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে পড়েছিল-
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে গরুর বিবরণ সম্পকির্ত কথা-বার্তা কুরআনে আল্লাহ তাআলা এভাবে উল্লেখ করেন-
>> ‘তারা (বনি ইসরাইল) বলল, আপনি (মুসা আলাইহিস সালাম) আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, যেন সেটির (গরুর) রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়; বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল।
>> তারা বলল, আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন যে, তার রঙ কিরূপ হবে? মুসা (আলাইহি সালাম) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে।
>> তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দেন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ (চাষাবাদে) ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়। তা হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬৮-৭১)
অধিক প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ির প্রশ্নে কুরআনের এ ঘটনা উম্মতে মুসলিমার জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয়। এ কারণেই যে কোনো বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বনি ইসরাইল যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই হত্যাকাণ্ডের সমাধান হয়ে যেতো। বাড়াবাড়ির ফলে তারা অনেক চড়া মূল্যে উল্লেখিত গুণাবলী সম্বলিত গরু ক্রয় করতে হয়েছে।
সুতরাং আল্লাহর বিধানসহ দুনিয়ার যে কোনো কথা ও কাজ নিয়ে অধিক প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর হুকুম-আহকাম ও দুনিয়াবি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আমিন। -জাগো নিউজ
তাছাড়া বাড়াবাড়ির ফলে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, আত্ম-অহমিকা, গোড়ামি-কপটতা এমনকি প্রাণহানির মতো মারাত্মক কু-প্রভাবও বিস্তার লাভ করে। মানুষের বাড়াবাড়ির ফলে হারামকে হালাল আবার হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বাড়াবাড়ির চমৎকার নির্দশন উল্লেখ করেছেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলীদেরকে গরু জবাই করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু তারা আল্লাহ তাআলা এ নির্দেশ পালনে প্রথম থেকেই গরু জবাইয়ের বিষয়ে হঠকারিতা শুরু করে। অতঃপর হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে গরু জবাই করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও গরুর বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে থাকে।
অথচ আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। বনি ইসরাইলের প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ির মাত্রা এতই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, তাদের বারংবার প্রশ্নের কারণে গরু বছাই করা এবং তা সংগ্রহ করা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে পড়েছিল-
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে গরুর বিবরণ সম্পকির্ত কথা-বার্তা কুরআনে আল্লাহ তাআলা এভাবে উল্লেখ করেন-
>> ‘তারা (বনি ইসরাইল) বলল, আপনি (মুসা আলাইহিস সালাম) আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, যেন সেটির (গরুর) রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়; বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল।
>> তারা বলল, আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন যে, তার রঙ কিরূপ হবে? মুসা (আলাইহি সালাম) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে।
>> তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দেন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ (চাষাবাদে) ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়। তা হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬৮-৭১)
অধিক প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ির প্রশ্নে কুরআনের এ ঘটনা উম্মতে মুসলিমার জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয়। এ কারণেই যে কোনো বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বনি ইসরাইল যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই হত্যাকাণ্ডের সমাধান হয়ে যেতো। বাড়াবাড়ির ফলে তারা অনেক চড়া মূল্যে উল্লেখিত গুণাবলী সম্বলিত গরু ক্রয় করতে হয়েছে।
সুতরাং আল্লাহর বিধানসহ দুনিয়ার যে কোনো কথা ও কাজ নিয়ে অধিক প্রশ্ন ও বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর হুকুম-আহকাম ও দুনিয়াবি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আমিন। -জাগো নিউজ