04-04-2017, 09:33 AM
ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট অথবা
প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের
ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম
প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম
এরপর প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি
হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস। সারা
বিশ্বে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে
যারা
ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা
প্রদান
করে থাকে। তবে ডোমেইন ও
হোস্টিং
এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে
ভালো
করে জেনেশুনে, ভালো কোনো
প্রতিষ্ঠান থেকেই নেয়াই ভালো।
না
হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের
বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। নিচের
বিষয়গুলো একটু ভালোভাবে বুঝে
শুনে
নিলে পরবর্তীতে এ নিয়ে আর
কোনো
ঝামেলা পোহাতে হয় না। ওয়েব
সাইট তৈরী করতে হলে তিনটা
বিষয়
জানতে হবে ১. ওয়েব পেজ
ডিজাইন, ২.
ডোমেইন (সাবডোমেইন)
রেজিষ্ট্রেশন
ও ৩. ওয়েব পেজ হোষ্টিং।
প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের
ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম
প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম।
এরপর
প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি হোস্ট করার
জন্য
ওয়েব স্পেস। সারা বিশ্বে অসংখ্য
প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন
এবং
হোস্টিং সেবা প্রদান করে
থাকে।
তবে ডোমেইন ও হোস্টিং এর
ক্ষেত্রে
কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো করে
জেনেশুনে, ভালো কোনো
প্রতিষ্ঠান
থেকেই নেয়াই ভালো। না হলে
পরবর্তীতে নানা ধরনের বিপত্তির
সম্মুখীন হতে হয়। নিচের বিষয়গুলো
একটু
ভালোভাবে বুঝে শুনে নিলে
পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো
ঝামেলা পোহাতে হয় না।
ডোমেইননেম কি?
ডোমেইন হচ্ছে আপনার
আইডিন্টিফিকেশন ব্যান্ড যা
ইন্টারনেটে আপনার
অ্যাডমিনিসস্ট্রেটিভ অটোনমি,
অথরিটি এবং কন্ট্রোল প্রকাশ করে।
ওয়েব ঠিকানা তৈরীর ধাপ সমূহ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
ওয়েব সাইট তৈরী করতে প্রথমেই
আপনার প্রয়োজন একটি ডোমেইন
নাম।
আপনার কাংখিত ডোমেইন নামটি
যদি ইতিপূর্বে কেউ রেজিস্ট্রেশন
করে
ফেলে তাহলে এর সাথে কিছু একটা
যোগ করে দিতে হবে। ডোমেইনের
নাম পছন্দ করতে কোন প্রতিষ্ঠান
কিংবা বিশেষজ্ঞের কাছে
যাওয়ার
প্রয়োজন নেই। ডোমেইন নেম চেক
করার
জন্য বেশ কিছু সাইট রয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি হোস্টিং
প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে ডুকেও
আপনি নাম খালি আছে কিনা চেক
করে নিতে পারেন। আপনার
প্রতিষ্ঠানের ধরণ বুঝে ডোমেইন
নেমের এক্সটেনশন বেছে নেয়া
উচিত।
যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানির
জন্য
ওয়েবসাইট করেন তাহলে শেষে ডট
কম
বেছে নিন। কোন
অর্গানাইজেশনের
ওয়েবসাইট করতে চাইলে শেষে ডট
ওআরজি বেছে নিন। এমনি করে
ইনফরমেশন ভিত্তিক সাইটের জন্য ডট
ইনফো, নেট ওয়ার্কিংয়ের জন্য ডট
নেট,
মোবাইল কোম্পানির জন্য ডট মোবি
এবং ব্যবসায়ের জন্য ডট বিজ ব্যবহার
করুন।
এতে আপনার ওয়েব এড্রেসের নাম
দেখেই সাইটের ব্যাপারে একটি
স্বচ্ছ
ধারণা পেয়ে যাবেন সবাই।
আন্তর্জাতিকভাবে, জনপ্রিয় টপ
লেভেল ডোমেইন গুলোর বার্ষিক
মূল্য
প্রায় ৭ ইউএস ডলার যা
বাংলাদেশী
টাকায় রুপান্তর করলে প্রায় ৬০০
টাকার মত হয়। আমাদের দেশের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ বিভিন্ন
মূল্যে
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে
থাকে।
কিছু ব্যবসায়ী ৭০০ থেকে ১০০০
টাকায়
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে
থাকে। আবার কিছু ব্যবসায়ী
বিনামূল্য
থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ টাকায়ও
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে
থাকে। সত্যিকার অর্থে ৬০০ টাকার
চেয়ে কম মূল্যে কোন ব্যবসায়ীর
পÿে
ডোমেইন বিক্রি করে লাভ করা
সম্ভব
নয়। যদি কেউ এই ধরনের অফার দিয়ে
থাকে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো
তারা মার্কেট ধরার জন্য ভর্তুকি
দিচ্ছে নয়ত এখানে অন্য কোন
মার্কেটিং পলিসি কাজ করছে।
বাজেট
প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক
বাজেট
থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং
কিনবে। একই সাথে ভাল মানের
এবং
কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই
আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে
হবে।
আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই
বাস্তব
সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে
রাখতে
হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন
সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন
ডিমের
দামে মুরগী পাবেন না তেমনি
হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা
প্রযোজ্য।
একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের
প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে
এখন
আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার
মাসে চান তাহলে আপনাকে
ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং
এসব
বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার
আগে
এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন
অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।
ডিস্ক স্পেস
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা
করতে
হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য
কতটুকু
স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন।
আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট
করতে
চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ
থাকবে
তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর
যদি
চিন্তা ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব
সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি
স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি
চিন্তা
করেন ছবি, গান, ভিডিও
রাখবেনতবে
আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে
নজর
দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায়
১০০
এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট
করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০
জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে
যাচ্ছেন
কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ১০০ এমবি।
তাই
অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত
টাকা
না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান
থেকে
শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি
প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী
প্লানে
আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব
কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে
থাকে। আনলিমিটেড স্পেসের
ফাঁদে
পা দিবেন না। এটা একটা
মার্কেটিং ট্রিকস। কোন
কোম্পানিরই
আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না।
একবার চিন্তা করুন তো আপনি
মার্কেটে আনলিমিটেড
হার্ডডিস্ক
দেখেছেন কি না। সার্ভারও
আমাদের
পিসির মতোই।
ব্যান্ডউইথ
প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ
আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে,
ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও
অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে
সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে
ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায়
একটা
সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথই যথেষ্ট।
পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে
বেশি লাগার কথা না। আর আপনার
সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও
ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর
ব্যান্ডউইথ
লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা
তারচেয়ে ও বেশি।
আপটাইম/SLA গ্যারান্টি
একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম
বিষয়টি খুবই জরুরি। হোস্টের
সার্ভার
যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার
ওয়েবসাইটও
ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা
কেবলমাত্র
পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক
গুরুত্ববহন করে। পাঠক একবার আপনার
ওয়েবসাইটে আসে দেখলো আপনার
ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার
মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং
সে
ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক
তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট
ইনডেক্সের
সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে
ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার
ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে
বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি
হোস্টিং
কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয়
থাকার
প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত
আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই কেনার আগে গুগলে যে
কোম্পানি থেকে কেনার কথা
চিন্তা করছেন সে কোম্পানির
নামের
সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে
সার্চ
দিন। যেমন- socheaphost uptime লিখে
সার্চ দিলে আপনি socheapost.com এর
আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আর
কোম্পানি যদি কোন মাসে
আপটাইম
গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে
তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান
করে
কি না চেক করে নিতে হবে।
কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব
সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত
বিস্তারিত লেখা থাকে।
মানিব্যাক গ্যারান্টি
মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত
গুরুত্বপুর্ণ
বিষয়। অনেক কোম্পানিই ৩০ দিনের
মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে
থাকে।
কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন
কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি
দিচ্ছে কিনা।
প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা
হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং
কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে
নেয়ার চেষ্টা করুন। কোম্পানি
সম্পর্কে
ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা
কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে
পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে
socheaphost
review লিখে সার্চ দিলে socheaphost
সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের মতামত
জানতে পারবেন। কোম্পানি যেসব
বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা
বৈধ্য উপায়ে করে কি না। নাকি
চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই
স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয়
তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা
ঠিক হবে না।
সাপোর্ট
আজকের দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি
কখনো ডাউন হয় আর যদি তা
জানাতে
এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে
যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে
পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার
ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে
পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন
উত্তর
দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই
কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। হোস্টিং
কোম্পানি জিজ্ঞাসা করুন তাদের
গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম
কেমন। এবং কি কি মাধ্যমে
সাপোর্ট
দিয়ে থাকে।
হোস্টিং ফিচার
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন
লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক
সময়
ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না।
তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার
চাহিদার সাথে বেপারগুলো
মিলে
কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি
এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে
চান
তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং
লাগবে। লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে
না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন
তা তারা দিতে পারছে কি না
দেখে নিন।
লিমিটেশন জেনে নেওয়া
আপনি আপনার হোস্টিং এ কি কি
হোস্ট করতে পারবেন এবং কতটুকু
স্পেস,
ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করতে
পারবেন তা টার্মস অব সার্ভিসেস
পেজে দেয়া থাকে। তাই
কোম্পানির
টার্মস অব সার্ভিসেস পড়ে নিতে
হবে।
কন্ট্রোল প্যানেল
আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার
জন্য
কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল
প্যানেলের সাহায্যে আপনি
আপনার
ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে
পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব
চেয়ে
সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল
প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই
সবসময়
সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথা
চিন্তা করুন।
সার্ভার লোড
সাভার ওভার লোড কিনা তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং
কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল
কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা
করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং
তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয়
তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং
ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট
করলে সাইট লোড হতে বেশি সময়
নিবে। এসব বিষয় খেয়াল রেখে
ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে
আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং
কিনতে পারবেন।
নিচে আলোচিত ৩০টি প্রয়োজনীয়
টুলস দ্বারা আপনি জানতে পারবেন
কিভাবে ওয়েব পেজ তৈরী করতে
হয়,
এর জন্য কি কি টুলস লাগবে, কোথায়
সেগুলো পাবেন,কিভাবে আপলোড
করতে হয়,ম্যানেজ করার
টুলস,জনপ্রিয়তার মাপকাঠি এবং
সার্চ
ইন্জিনে কিভাবে নিবন্ধন করতে হয়
ইত্যাদি।যারা ওয়েব পেজ নিয়ে
কাজ
করতে চান তাদের এটি কাজে
আসবে
আশা করি। অামার সাইট থেকে ১বার ঘুরে অাশুন bdyousufctg.wapka.me
প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের
ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম
প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম
এরপর প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি
হোস্ট করার জন্য ওয়েব স্পেস। সারা
বিশ্বে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আছে
যারা
ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা
প্রদান
করে থাকে। তবে ডোমেইন ও
হোস্টিং
এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্পর্কে
ভালো
করে জেনেশুনে, ভালো কোনো
প্রতিষ্ঠান থেকেই নেয়াই ভালো।
না
হলে পরবর্তীতে নানা ধরনের
বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। নিচের
বিষয়গুলো একটু ভালোভাবে বুঝে
শুনে
নিলে পরবর্তীতে এ নিয়ে আর
কোনো
ঝামেলা পোহাতে হয় না। ওয়েব
সাইট তৈরী করতে হলে তিনটা
বিষয়
জানতে হবে ১. ওয়েব পেজ
ডিজাইন, ২.
ডোমেইন (সাবডোমেইন)
রেজিষ্ট্রেশন
ও ৩. ওয়েব পেজ হোষ্টিং।
প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের
ওয়েবসাইট খোলার জন্য সর্বপ্রথম
প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন নেম।
এরপর
প্রয়োজন হয় ডোমেইনটি হোস্ট করার
জন্য
ওয়েব স্পেস। সারা বিশ্বে অসংখ্য
প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন
এবং
হোস্টিং সেবা প্রদান করে
থাকে।
তবে ডোমেইন ও হোস্টিং এর
ক্ষেত্রে
কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো করে
জেনেশুনে, ভালো কোনো
প্রতিষ্ঠান
থেকেই নেয়াই ভালো। না হলে
পরবর্তীতে নানা ধরনের বিপত্তির
সম্মুখীন হতে হয়। নিচের বিষয়গুলো
একটু
ভালোভাবে বুঝে শুনে নিলে
পরবর্তীতে এ নিয়ে আর কোনো
ঝামেলা পোহাতে হয় না।
ডোমেইননেম কি?
ডোমেইন হচ্ছে আপনার
আইডিন্টিফিকেশন ব্যান্ড যা
ইন্টারনেটে আপনার
অ্যাডমিনিসস্ট্রেটিভ অটোনমি,
অথরিটি এবং কন্ট্রোল প্রকাশ করে।
ওয়েব ঠিকানা তৈরীর ধাপ সমূহ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
ওয়েব সাইট তৈরী করতে প্রথমেই
আপনার প্রয়োজন একটি ডোমেইন
নাম।
আপনার কাংখিত ডোমেইন নামটি
যদি ইতিপূর্বে কেউ রেজিস্ট্রেশন
করে
ফেলে তাহলে এর সাথে কিছু একটা
যোগ করে দিতে হবে। ডোমেইনের
নাম পছন্দ করতে কোন প্রতিষ্ঠান
কিংবা বিশেষজ্ঞের কাছে
যাওয়ার
প্রয়োজন নেই। ডোমেইন নেম চেক
করার
জন্য বেশ কিছু সাইট রয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি হোস্টিং
প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে ডুকেও
আপনি নাম খালি আছে কিনা চেক
করে নিতে পারেন। আপনার
প্রতিষ্ঠানের ধরণ বুঝে ডোমেইন
নেমের এক্সটেনশন বেছে নেয়া
উচিত।
যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানির
জন্য
ওয়েবসাইট করেন তাহলে শেষে ডট
কম
বেছে নিন। কোন
অর্গানাইজেশনের
ওয়েবসাইট করতে চাইলে শেষে ডট
ওআরজি বেছে নিন। এমনি করে
ইনফরমেশন ভিত্তিক সাইটের জন্য ডট
ইনফো, নেট ওয়ার্কিংয়ের জন্য ডট
নেট,
মোবাইল কোম্পানির জন্য ডট মোবি
এবং ব্যবসায়ের জন্য ডট বিজ ব্যবহার
করুন।
এতে আপনার ওয়েব এড্রেসের নাম
দেখেই সাইটের ব্যাপারে একটি
স্বচ্ছ
ধারণা পেয়ে যাবেন সবাই।
আন্তর্জাতিকভাবে, জনপ্রিয় টপ
লেভেল ডোমেইন গুলোর বার্ষিক
মূল্য
প্রায় ৭ ইউএস ডলার যা
বাংলাদেশী
টাকায় রুপান্তর করলে প্রায় ৬০০
টাকার মত হয়। আমাদের দেশের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমূহ বিভিন্ন
মূল্যে
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে
থাকে।
কিছু ব্যবসায়ী ৭০০ থেকে ১০০০
টাকায়
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে
থাকে। আবার কিছু ব্যবসায়ী
বিনামূল্য
থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ টাকায়ও
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে
থাকে। সত্যিকার অর্থে ৬০০ টাকার
চেয়ে কম মূল্যে কোন ব্যবসায়ীর
পÿে
ডোমেইন বিক্রি করে লাভ করা
সম্ভব
নয়। যদি কেউ এই ধরনের অফার দিয়ে
থাকে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো
তারা মার্কেট ধরার জন্য ভর্তুকি
দিচ্ছে নয়ত এখানে অন্য কোন
মার্কেটিং পলিসি কাজ করছে।
বাজেট
প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক
বাজেট
থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং
কিনবে। একই সাথে ভাল মানের
এবং
কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই
আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে
হবে।
আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই
বাস্তব
সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে
রাখতে
হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন
সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন
ডিমের
দামে মুরগী পাবেন না তেমনি
হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা
প্রযোজ্য।
একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের
প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে
এখন
আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার
মাসে চান তাহলে আপনাকে
ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং
এসব
বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার
আগে
এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন
অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।
ডিস্ক স্পেস
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা
করতে
হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য
কতটুকু
স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন।
আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট
করতে
চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ
থাকবে
তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর
যদি
চিন্তা ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব
সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি
স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি
চিন্তা
করেন ছবি, গান, ভিডিও
রাখবেনতবে
আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে
নজর
দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায়
১০০
এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট
করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০
জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে
যাচ্ছেন
কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ১০০ এমবি।
তাই
অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত
টাকা
না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান
থেকে
শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি
প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী
প্লানে
আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব
কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে
থাকে। আনলিমিটেড স্পেসের
ফাঁদে
পা দিবেন না। এটা একটা
মার্কেটিং ট্রিকস। কোন
কোম্পানিরই
আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না।
একবার চিন্তা করুন তো আপনি
মার্কেটে আনলিমিটেড
হার্ডডিস্ক
দেখেছেন কি না। সার্ভারও
আমাদের
পিসির মতোই।
ব্যান্ডউইথ
প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ
আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে,
ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও
অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে
সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে
ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায়
একটা
সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথই যথেষ্ট।
পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে
বেশি লাগার কথা না। আর আপনার
সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও
ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর
ব্যান্ডউইথ
লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা
তারচেয়ে ও বেশি।
আপটাইম/SLA গ্যারান্টি
একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম
বিষয়টি খুবই জরুরি। হোস্টের
সার্ভার
যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার
ওয়েবসাইটও
ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা
কেবলমাত্র
পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক
গুরুত্ববহন করে। পাঠক একবার আপনার
ওয়েবসাইটে আসে দেখলো আপনার
ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার
মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং
সে
ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক
তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট
ইনডেক্সের
সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে
ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার
ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে
বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি
হোস্টিং
কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয়
থাকার
প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত
আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই কেনার আগে গুগলে যে
কোম্পানি থেকে কেনার কথা
চিন্তা করছেন সে কোম্পানির
নামের
সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে
সার্চ
দিন। যেমন- socheaphost uptime লিখে
সার্চ দিলে আপনি socheapost.com এর
আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আর
কোম্পানি যদি কোন মাসে
আপটাইম
গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে
তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান
করে
কি না চেক করে নিতে হবে।
কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব
সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত
বিস্তারিত লেখা থাকে।
মানিব্যাক গ্যারান্টি
মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত
গুরুত্বপুর্ণ
বিষয়। অনেক কোম্পানিই ৩০ দিনের
মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে
থাকে।
কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন
কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি
দিচ্ছে কিনা।
প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা
হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং
কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে
নেয়ার চেষ্টা করুন। কোম্পানি
সম্পর্কে
ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা
কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে
পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে
socheaphost
review লিখে সার্চ দিলে socheaphost
সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের মতামত
জানতে পারবেন। কোম্পানি যেসব
বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা
বৈধ্য উপায়ে করে কি না। নাকি
চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই
স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয়
তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা
ঠিক হবে না।
সাপোর্ট
আজকের দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি
কখনো ডাউন হয় আর যদি তা
জানাতে
এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে
যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে
পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার
ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে
পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন
উত্তর
দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই
কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। হোস্টিং
কোম্পানি জিজ্ঞাসা করুন তাদের
গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম
কেমন। এবং কি কি মাধ্যমে
সাপোর্ট
দিয়ে থাকে।
হোস্টিং ফিচার
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন
লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক
সময়
ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না।
তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার
চাহিদার সাথে বেপারগুলো
মিলে
কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি
এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে
চান
তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং
লাগবে। লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে
না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন
তা তারা দিতে পারছে কি না
দেখে নিন।
লিমিটেশন জেনে নেওয়া
আপনি আপনার হোস্টিং এ কি কি
হোস্ট করতে পারবেন এবং কতটুকু
স্পেস,
ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করতে
পারবেন তা টার্মস অব সার্ভিসেস
পেজে দেয়া থাকে। তাই
কোম্পানির
টার্মস অব সার্ভিসেস পড়ে নিতে
হবে।
কন্ট্রোল প্যানেল
আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার
জন্য
কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল
প্যানেলের সাহায্যে আপনি
আপনার
ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে
পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব
চেয়ে
সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল
প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই
সবসময়
সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথা
চিন্তা করুন।
সার্ভার লোড
সাভার ওভার লোড কিনা তা
নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং
কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল
কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা
করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং
তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয়
তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং
ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট
করলে সাইট লোড হতে বেশি সময়
নিবে। এসব বিষয় খেয়াল রেখে
ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে
আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং
কিনতে পারবেন।
নিচে আলোচিত ৩০টি প্রয়োজনীয়
টুলস দ্বারা আপনি জানতে পারবেন
কিভাবে ওয়েব পেজ তৈরী করতে
হয়,
এর জন্য কি কি টুলস লাগবে, কোথায়
সেগুলো পাবেন,কিভাবে আপলোড
করতে হয়,ম্যানেজ করার
টুলস,জনপ্রিয়তার মাপকাঠি এবং
সার্চ
ইন্জিনে কিভাবে নিবন্ধন করতে হয়
ইত্যাদি।যারা ওয়েব পেজ নিয়ে
কাজ
করতে চান তাদের এটি কাজে
আসবে
আশা করি। অামার সাইট থেকে ১বার ঘুরে অাশুন bdyousufctg.wapka.me