04-19-2017, 09:37 AM
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করা সম্ভব নয় বলে মনে করছে মুঠোফোন অপারেটররা। কারণ হিসেবে তারা বলছে, গত তিন বছরে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবায় বিনিয়োগ করা ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে এখনো তারা লাভের মুখ দেখতে পারেনি। এ অবস্থায় আরও হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে সেই ক্ষতি কাটিয়ে ব্যবসা করা অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এমন মনোভাব জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছে মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব)। সংগঠনটির মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীরের সই করা এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ফোরজি সেবা চালুর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে কোনো ধরনের মতবিনিময় করেনি।
ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালার বিষয়ে তিনটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে অ্যামটব। এর প্রথমেই আছে ফোরজি সেবা থেকে অপারেটরদের যে আয় হবে, তার ১৫ শতাংশ সরকারকে সরাসরি আয়ের ভাগ (রেভিনিউ শেয়ারিং) হিসেবে দেওয়ার বিষয়ে। বর্তমানে থ্রিজি ও অন্যান্য সেবার জন্য অপারেটররা তাদের আয়ের সাড়ে ৫ শতাংশ সরকারকে দেয়, ফোরজির জন্য সেটি ১৫ শতাংশ করার কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এমনটি করা হলে ফোরজিতে বিনিয়োগ করে তা থেকে মুনাফা করার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
১৫ শতাংশ হারে আয় ভাগাভাগির বিপক্ষে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে অ্যামটব। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কর হার, তরঙ্গের দাম, গ্রাহক প্রতি নিম্ন গড় আয়, কম পরিমাণ ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার। ফোরজি উপযোগী মুঠোফোন স্বল্পতাকেও এই সেবা চালুর বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে অপারেটররা। তাদের হিসেবে, বর্তমানে যত স্মার্টফোন আছে তার মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ ফোরজি সেবার উপযোগী।
তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তিনিরপেক্ষতা সুবিধার জন্য মেগাহার্টজ প্রতি ৫৬ থেকে ৬৪ কোটি টাকা নেওয়ার চিন্তার সঙ্গেও একমত নয় অ্যামটব। এ বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে তরঙ্গ লাইসেন্স নবায়নের সময় বিটিআরসি প্রযুক্তিনিরপেক্ষতার জন্য বাড়তি অর্থ না নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন বাড়তি অর্থ নেওয়া হলে তা তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করবে। প্রযুক্তিনিরপেক্ষতা হলো যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার সুবিধা।
বিটিআরসির প্রস্তাবিত নতুন তরঙ্গ নিলামে মেগাহার্টজ প্রতি তরঙ্গের দাম ২০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করাকে অনেক বেশি বলে মনে করে অ্যামটব। চিঠিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বেশি দামের কারণে বর্তমানে সরকারের কাছে ১৪৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গ অব্যবহৃত আছে। অন্যদিকে তরঙ্গস্বল্পতার কারণে অপারেটররা মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারছে না। সরকার একদিকে গ্রাহকসেবা উন্নত করতে চায় কিন্তু তরঙ্গের দাম কমাতে রাজি নয়, এমন নীতি সাংঘর্ষিক।
ফোরজির জন্য প্রস্তাবিত বিভিন্ন মূল্যকে অবাস্তব উল্লেখ করে এগুলো সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। ফোরজি চালুর জন্য কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চেয়েছে মুঠোফোন অপারেটররা। এর মধ্যে রয়েছে বাজারে থাকা প্রতিটি অপারেটরের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তরঙ্গ নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের আস্থার পরিবেশ তৈরি করা।
উল্লেখ্য, ফোরজি নীতিমালা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য বিটিআরসি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়েছে। আর্থিক বিষয়গুলো অনুমোদনের জন্য নীতিমালাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে। ফোরজি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুঠোফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীরা।
এমন মনোভাব জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছে মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব)। সংগঠনটির মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীরের সই করা এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ফোরজি সেবা চালুর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে কোনো ধরনের মতবিনিময় করেনি।
ফোরজির প্রস্তাবিত নীতিমালার বিষয়ে তিনটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে অ্যামটব। এর প্রথমেই আছে ফোরজি সেবা থেকে অপারেটরদের যে আয় হবে, তার ১৫ শতাংশ সরকারকে সরাসরি আয়ের ভাগ (রেভিনিউ শেয়ারিং) হিসেবে দেওয়ার বিষয়ে। বর্তমানে থ্রিজি ও অন্যান্য সেবার জন্য অপারেটররা তাদের আয়ের সাড়ে ৫ শতাংশ সরকারকে দেয়, ফোরজির জন্য সেটি ১৫ শতাংশ করার কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এমনটি করা হলে ফোরজিতে বিনিয়োগ করে তা থেকে মুনাফা করার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
১৫ শতাংশ হারে আয় ভাগাভাগির বিপক্ষে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে অ্যামটব। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কর হার, তরঙ্গের দাম, গ্রাহক প্রতি নিম্ন গড় আয়, কম পরিমাণ ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার। ফোরজি উপযোগী মুঠোফোন স্বল্পতাকেও এই সেবা চালুর বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে অপারেটররা। তাদের হিসেবে, বর্তমানে যত স্মার্টফোন আছে তার মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ ফোরজি সেবার উপযোগী।
তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তিনিরপেক্ষতা সুবিধার জন্য মেগাহার্টজ প্রতি ৫৬ থেকে ৬৪ কোটি টাকা নেওয়ার চিন্তার সঙ্গেও একমত নয় অ্যামটব। এ বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে তরঙ্গ লাইসেন্স নবায়নের সময় বিটিআরসি প্রযুক্তিনিরপেক্ষতার জন্য বাড়তি অর্থ না নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন বাড়তি অর্থ নেওয়া হলে তা তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করবে। প্রযুক্তিনিরপেক্ষতা হলো যেকোনো তরঙ্গে যেকোনো প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার সুবিধা।
বিটিআরসির প্রস্তাবিত নতুন তরঙ্গ নিলামে মেগাহার্টজ প্রতি তরঙ্গের দাম ২০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করাকে অনেক বেশি বলে মনে করে অ্যামটব। চিঠিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বেশি দামের কারণে বর্তমানে সরকারের কাছে ১৪৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গ অব্যবহৃত আছে। অন্যদিকে তরঙ্গস্বল্পতার কারণে অপারেটররা মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারছে না। সরকার একদিকে গ্রাহকসেবা উন্নত করতে চায় কিন্তু তরঙ্গের দাম কমাতে রাজি নয়, এমন নীতি সাংঘর্ষিক।
ফোরজির জন্য প্রস্তাবিত বিভিন্ন মূল্যকে অবাস্তব উল্লেখ করে এগুলো সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। ফোরজি চালুর জন্য কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চেয়েছে মুঠোফোন অপারেটররা। এর মধ্যে রয়েছে বাজারে থাকা প্রতিটি অপারেটরের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তরঙ্গ নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের আস্থার পরিবেশ তৈরি করা।
উল্লেখ্য, ফোরজি নীতিমালা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য বিটিআরসি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়েছে। আর্থিক বিষয়গুলো অনুমোদনের জন্য নীতিমালাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে। ফোরজি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুঠোফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীরা।