05-22-2017, 04:44 PM
যোগাযোগ থেকে শুরু করে নানা কাজে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকেই ছবিসহ নানা বিষয় ফেসবুকে শেয়ার করছেন। কিন্তু এখনকার সময় সবকিছু ফেসবুকে শেয়ার করা কি ঠিক? বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনলাইনে সাইবার দুর্বৃত্তরা ফাঁদ পেতে বসে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হলে তা কাজে লাগিয়ে ক্ষতি করে বসতে পারে তারা। ফেসবুকে তাই কোনো কিছু শেয়ার করা আগে কিছুটা মেধা খাটাতে পারেন। কিছু বিষয় আছে, যা কখনোই ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত নয়। জেনে নিন এ ধরনের দশটি বিষয় সম্পর্কে:
১. ড্রাইভিং লাইসেন্স: যখন ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে পাস করে যাবেন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন, তখনই অতি উচ্ছ্বসিত হয়ে সে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বসবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। বোকামি করে ছবি, জন্মতারিখ, ঠিকানাসহ দরকারি তথ্য দুর্বৃত্তদের হাতে যেতে দেবেন?
২. ছুটির পরিকল্পনা: কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ফেসবুকে আগে কখনোই তা পোস্ট করে যাবেন না। আবার কোথাও বেড়াতে গিয়ে কত দিন থাকবেন, কোথায় কোথায় যাচ্ছেন, তা আগে পোস্ট করবেন না। কারণ, এ ধরনের তথ্য পোস্ট করলে দুর্বৃত্তদের জন্য আপনার ওপর নজরদারি করা সহজ হয়। চুরির পরিকল্পনা করা হতে পারে আপনার বাড়ি বা ফ্ল্যাটে।
৩. বোর্ডিং পাস: আপনার বোর্ডিং পাসে থাকা বারকোড ফেসবুকে পোস্ট করবেন না। মনে রাখবেন, বারকোড থেকেও তথ্য বের করা যেতে পারে। বারকোডে দরকারি অনেক তথ্য থাকে। এটি পোস্ট করলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্রেবসঅন সিকিউরিটির এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, দ্বিমাত্রিক বারকোড ও কিউআর কোডে প্রচুর তথ্য থাকে। এয়ারলাইন বোর্ডিং পাসে প্রিন্ট করা কোড দেখে ভবিষ্যৎ ভ্রমণ পরিকল্পনাসহ ভ্রমণবিষয়ক নানা তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।
৪. বস সম্পর্কে অনুভূতি: ফেসবুকে কখনোই আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বস সম্পর্কে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার বসেরও ফেসবুক আছে। তিনি আপনাকে ফেসবুকে নজরদারি করতে পারেন। ফলে তাঁর সম্পর্কে কিছু লিখলে তিনি আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা করে বসবেন।
৫. সন্তানের বিষয়াদি: অনলাইনে আপনার শিশুর ছবি পোস্ট করার আগে চিন্তাভাবনা করে নিন। বিশেষ করে আপনার সন্তান কোথায় যায়, কোন স্কুলে পড়ে প্রভৃতি স্পর্শকাতর তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করা উচিত নয়। শিশুর স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন।
৬. বাড়ির বিস্তারিত: বাড়ির নকশা বা পুরো ছবি কখনোই ফেসবুকে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। এতে চোরের জন্য সুবিধা হবে। বাড়ির কোথায় কী আছে, তা যদি ফেসবুক থেকে ছবি দেখে চোর বুঝে নিতে পারে, তবে তার জন্য চুরি করা সহজ। এ ছাড়া বাড়ির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নকশাসহ বাড়িঘরের অন্যান্য তথ্য ফেসবুকে দেওয়া উচিত হবে না।
৭. যে তথ্য দিলে পস্তাতে হবে: অনেকেই আবেগের বশে বা বেসামাল হয়ে ফেসবুকে অনেক কিছু পোস্ট করে বসেন। এ ধরনের পোস্ট দিলে পরে আবার পস্তাতে হয়। তাই ফেসবুকে যে ধরনের পোস্ট দিলে পরে পস্তাতে হবে, তা না দেওয়াই ভালো।
৮. কপি-পেস্ট স্ট্যাটাস: অনেকেই এখন অন্যের ফেসবুক পোস্ট কপি-পেস্ট করে শেয়ার করেন। অনেক ভুয়া খবর, তথ্য এভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যের স্ট্যাটাস বা পোস্ট শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকুন।
৯. রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি: আপনি কোন ঘরানার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, তা ফেসবুকের মাধ্যমে পোস্ট না করাই ভালো। এতে আপনার ওপর নজরদারি করতে সুবিধা হয়।
১০. বিকৃত ছবি বা আপত্তিকর কনটেন্ট: ফেসবুকে কখনোই বিকৃত ছবি ও আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট বা শেয়ার করবেন না। এতে আপনার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ, ইনডি১০০
১. ড্রাইভিং লাইসেন্স: যখন ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে পাস করে যাবেন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন, তখনই অতি উচ্ছ্বসিত হয়ে সে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বসবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। বোকামি করে ছবি, জন্মতারিখ, ঠিকানাসহ দরকারি তথ্য দুর্বৃত্তদের হাতে যেতে দেবেন?
২. ছুটির পরিকল্পনা: কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ফেসবুকে আগে কখনোই তা পোস্ট করে যাবেন না। আবার কোথাও বেড়াতে গিয়ে কত দিন থাকবেন, কোথায় কোথায় যাচ্ছেন, তা আগে পোস্ট করবেন না। কারণ, এ ধরনের তথ্য পোস্ট করলে দুর্বৃত্তদের জন্য আপনার ওপর নজরদারি করা সহজ হয়। চুরির পরিকল্পনা করা হতে পারে আপনার বাড়ি বা ফ্ল্যাটে।
৩. বোর্ডিং পাস: আপনার বোর্ডিং পাসে থাকা বারকোড ফেসবুকে পোস্ট করবেন না। মনে রাখবেন, বারকোড থেকেও তথ্য বের করা যেতে পারে। বারকোডে দরকারি অনেক তথ্য থাকে। এটি পোস্ট করলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্রেবসঅন সিকিউরিটির এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, দ্বিমাত্রিক বারকোড ও কিউআর কোডে প্রচুর তথ্য থাকে। এয়ারলাইন বোর্ডিং পাসে প্রিন্ট করা কোড দেখে ভবিষ্যৎ ভ্রমণ পরিকল্পনাসহ ভ্রমণবিষয়ক নানা তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।
৪. বস সম্পর্কে অনুভূতি: ফেসবুকে কখনোই আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বস সম্পর্কে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার বসেরও ফেসবুক আছে। তিনি আপনাকে ফেসবুকে নজরদারি করতে পারেন। ফলে তাঁর সম্পর্কে কিছু লিখলে তিনি আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা করে বসবেন।
৫. সন্তানের বিষয়াদি: অনলাইনে আপনার শিশুর ছবি পোস্ট করার আগে চিন্তাভাবনা করে নিন। বিশেষ করে আপনার সন্তান কোথায় যায়, কোন স্কুলে পড়ে প্রভৃতি স্পর্শকাতর তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করা উচিত নয়। শিশুর স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন।
৬. বাড়ির বিস্তারিত: বাড়ির নকশা বা পুরো ছবি কখনোই ফেসবুকে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। এতে চোরের জন্য সুবিধা হবে। বাড়ির কোথায় কী আছে, তা যদি ফেসবুক থেকে ছবি দেখে চোর বুঝে নিতে পারে, তবে তার জন্য চুরি করা সহজ। এ ছাড়া বাড়ির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নকশাসহ বাড়িঘরের অন্যান্য তথ্য ফেসবুকে দেওয়া উচিত হবে না।
৭. যে তথ্য দিলে পস্তাতে হবে: অনেকেই আবেগের বশে বা বেসামাল হয়ে ফেসবুকে অনেক কিছু পোস্ট করে বসেন। এ ধরনের পোস্ট দিলে পরে আবার পস্তাতে হয়। তাই ফেসবুকে যে ধরনের পোস্ট দিলে পরে পস্তাতে হবে, তা না দেওয়াই ভালো।
৮. কপি-পেস্ট স্ট্যাটাস: অনেকেই এখন অন্যের ফেসবুক পোস্ট কপি-পেস্ট করে শেয়ার করেন। অনেক ভুয়া খবর, তথ্য এভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যের স্ট্যাটাস বা পোস্ট শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকুন।
৯. রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি: আপনি কোন ঘরানার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন, তা ফেসবুকের মাধ্যমে পোস্ট না করাই ভালো। এতে আপনার ওপর নজরদারি করতে সুবিধা হয়।
১০. বিকৃত ছবি বা আপত্তিকর কনটেন্ট: ফেসবুকে কখনোই বিকৃত ছবি ও আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট বা শেয়ার করবেন না। এতে আপনার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ, ইনডি১০০