Forums.Likebd.Com

Full Version: যেসব দেশে নেই সেনাবাহিনী
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
বহু দেশ সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে ভালোবাসে, যেমন জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে। মিছিলের সেই সব অস্ত্রশস্ত্র বাস্তবে ব্যবহারও করা হতে পারে। অপরদিকে এমন সব দেশ আছে, যাদের সামরিক বাহিনী বলে কিছু নেই।
কস্টারিকা
মধ্য অ্যামেরিকার এই দেশটির সংবিধানই বলে যে, দেশের কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। এই পরিস্থিতি চলছে ১৯৪৯ সাল যাবৎ। জাতিসংঘের শান্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই কস্টারিকায়।
লিখস্টেনস্টাইন
ইউরোপের কেন্দ্রে এই ছোট্ট দেশটি তাদের সামরিক বাহিনী বাতিল করে দিয়েছে সুদূর ১৮৬৮ সালে, আর্থিক কারণে। যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী গঠন করা চলে, তবে কোনোদিন তার প্রয়োজন পড়েনি। দেশটি ছোট হলেও সমৃদ্ধ: মাথাপিছু আয় বিশ্বে শুধুমাত্র কাতার-এর চেয়ে কম।
সামোয়া
প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাজ্যটি নিউজিল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ১৯৬২ সালে। সে যাবৎ দেশটির কোনো সামরিক বাহিনী নেই। নিউজিল্যান্ড প্রয়োজনে দেশটির প্রতিরক্ষার জন্য সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অ্যান্ডোরা
ইউরোপের এই ছোট্ট দেশটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দে। আ্যান্ডোরার নিজস্ব সামরিক বাহিনী নেই, কিন্তু প্রয়োজনে স্পেন ও ফ্রান্স দেশটিকে সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অ্যান্ডোরার আয়তন মাত্র ৪৭৮ বর্গমিটার, যা কিনা জাকার্তার মতো কোনো বড় শহরের চেয়ে কম।
তুভালু
প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপরাজ্যটির আয়তন মাত্র ২৬ বর্গ কিলোমিটার; জনসংখ্যা মাত্র দশ হাজার। তুভালু কমনওয়েল্থের সদস্য। এখানকার শাসনব্যবস্থা এক ধরণের সংসদীয় রাজতন্ত্র।
ভ্যাটিকান
ইটালির রাজধানী রোম-এর একাংশ। ভ্যাটিকান হলো বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ, আয়তনে শূন্য দশমিক চার বর্গ কিলোমিটার৷ জনসংখ্যা ৮৪০। কাজেই জনসংখ্যার হিসেবেও ভ্যাটিকান বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ।
গ্রেনাডা
অতলান্তিক মহাসাগরের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অবস্থিত দেশটি আসলে মাত্র একটিমাত্র দ্বীপ, যার আয়তন ৩৪৪ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা এক লক্ষ ৫০০০। দেশটি কমনওয়েল্থের সদস্য। শাসনব্যবস্থা: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
নাউরু
প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাজ্যটির আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি; জনসংখ্যা ১০,০০০। নাউরু মাইক্রোনেশিয়ার অংশ।-ডয়চে ভেলে