08-29-2017, 04:17 PM
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। সমগ্র বিশ্বেই নারীরা তাদের হাইজিন বা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে খুব বেশি যত্নশীল। কিন্তু সে তুলনায় বাঙালি নারীদের মধ্যে বেশ অনীহা দেখা যায় এ ব্যাপারে। এমনকি অনেকে তো পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে কথা বলতেও দ্বিধাবোধ করেন। সুতরাং, তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে আধুনিক নারীদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই আজকের এ ফিচার। এখানে জানানো হবে নারীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছনতার ব্যাপারে ডাঃ তারানা তাসনুবার দেওয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
টিপস ১
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে মুখ থেকে নিঃসৃত তেল ও ময়লা দূর হবে এবং সারাদিন আপনি থাকবেন লাবণ্যময়ী। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে অবশ্যই ভালোমত মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে ব্রণ, পিম্পল ও ফুসকুড়ি হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
টিপস ২
নিয়মিত কান পরিষ্কার করুন। আধুনিক জীবনে আমরা কমবেশি সকলেই কানে এয়ারফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে কাজ সারি। বিরক্তিকর সময়গুলো কেটে যায় নিমিষেই। কিন্তু আপনি কী জানেন এতে করে আপনার কানে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধছে? সুতরাং নিয়মিত গোসলের সময় কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করুন এবং গোসল থেকে বের হয়ে শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছে নিন।
টিপস ৩
পিরিয়ডের সময় অনেকেই বেশ অগোছালো ও আলস্যবোধ করেন। অনেকে তো পুরো সময়টাতে গোসল করতেও অনীহাবোধ করেন। এমন অভ্যাস সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। মাসিক চলাকালীন সময়ে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং সর্বদা পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে।
টিপস ৪
সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতে হবে। বছরের এ সময়টাতে সবচেয়ে ভালো হয় সুতি কাপড় পরলে, তবে লিনেন কাপড় ও বেশ আরামদায়ক। পরিষ্কার কোন কাপড় একটু ভালোমত আয়রন করে পড়লে বেশ উপস্থাপনাযোগ্য লাগবে আপনাকে। মানসিকভাবেও বেশ প্রফুল্ল বোধ করবেন।
টিপস ৫
এ টিপসটা হয়তো আপনার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু একটি পরিপূর্ণ সুস্থতা রুটিনে এটিকে যোগ করা দরকার মনে করেছেন ডাঃ তাসনুবা। নিজের দাঁতের যত্ন নিন নিয়মিত। সকালে ও রাতে খাওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে মুখের ভেতরের দিক পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দাঁত ব্রাশ করাই কিন্তু জরুরী নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফ্লস করা এবং জিহবা পরিষ্কার করা। একটা কথা নিশ্চয়ই জানেন যে, 'দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন'।
টিপস ৬
গোসলের ব্যাপারে পরিপূর্ণ নজর দিন এবার। বাইরে থেকে ঘেমে-নেয়ে এসে হুট করেই গোসল করতে ঢুকবেন না। এতে করে স্ট্রোক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। বরং ঠাণ্ডা বাতাসে একটু জিরিয়ে আস্তেধীরে গোসল করবেন।
টিপস ৭
নিম্নাঙ্গের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেবি ওয়াইপস ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকবে স্থানটি। সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই বরং পরিষ্কার পানিই এক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়!
টিপস ৮
মেকআপ করে নিজেকে রাঙাতে আপনি বেশ ভালোবাসেন, তাতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু সমস্যাগুলো তখনই শুরু হয় যখন আপনার মেকআপের সরঞ্জামাদি ও ব্রাশ অপরিষ্কার থাকে। এটা আপনার ত্বকের জন্য যে কতো বেশি ক্ষতিকর তা কখনো কল্পনাই করতে পারবেন না আপনি। নিয়মিত সম্ভব না হলেও অন্তত দুইদিন পর পর কিংবা সপ্তাহে তিনবার সমস্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যাও দূর হয়ে যাচ্ছে।
টিপস ৯
'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা'। জ্বি, এই সাধের চুলের যত্ন নিতে হবে বিশেষ করে। নয়তো অকালেই চুল পড়ে যাওয়া, পেকে যাওয়া কিংবা আগা ফেটে যাওয়ার মতন সমস্যায় পড়বেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন সময় করে গরম তেল মালিশ করতে পারেন এবং নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টিপস ১০
বছরের এ সময়টায় ঘামের দুর্গন্ধ হয় সবচেয়ে বেশি এবং এ ব্যাপারটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর। পোশাক পরিধানের আগে ডিওডোরেন্ট লাগিয়ে নিন এবং চেষ্টা করুন খুব আঁটসাঁট কাপড় না পরে ঢিলেঢালা কাপড় পরার। তাহলে শরীরে বাতাস চলাচলের অবস্থা থাকবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন, চার-পাচ ঘণ্টা পর ফ্রেশ হওয়ার জন্য 'ওয়েট ওয়াইপ' কিংবা ভেজা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। অনেকক্ষণ ফুরফুরে মেজাজে থাকতে পারবেন।
এ ছিলো নারীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছনতার জন্য দশটি টিপস। আশা করি, এগুলো আপনাদের সকলের বেশ কাজে লাগবে। শুভকামনা রইলো।
টিপস ১
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে মুখ থেকে নিঃসৃত তেল ও ময়লা দূর হবে এবং সারাদিন আপনি থাকবেন লাবণ্যময়ী। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে অবশ্যই ভালোমত মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে ব্রণ, পিম্পল ও ফুসকুড়ি হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
টিপস ২
নিয়মিত কান পরিষ্কার করুন। আধুনিক জীবনে আমরা কমবেশি সকলেই কানে এয়ারফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে কাজ সারি। বিরক্তিকর সময়গুলো কেটে যায় নিমিষেই। কিন্তু আপনি কী জানেন এতে করে আপনার কানে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধছে? সুতরাং নিয়মিত গোসলের সময় কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করুন এবং গোসল থেকে বের হয়ে শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছে নিন।
টিপস ৩
পিরিয়ডের সময় অনেকেই বেশ অগোছালো ও আলস্যবোধ করেন। অনেকে তো পুরো সময়টাতে গোসল করতেও অনীহাবোধ করেন। এমন অভ্যাস সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। মাসিক চলাকালীন সময়ে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং সর্বদা পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে।
টিপস ৪
সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতে হবে। বছরের এ সময়টাতে সবচেয়ে ভালো হয় সুতি কাপড় পরলে, তবে লিনেন কাপড় ও বেশ আরামদায়ক। পরিষ্কার কোন কাপড় একটু ভালোমত আয়রন করে পড়লে বেশ উপস্থাপনাযোগ্য লাগবে আপনাকে। মানসিকভাবেও বেশ প্রফুল্ল বোধ করবেন।
টিপস ৫
এ টিপসটা হয়তো আপনার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু একটি পরিপূর্ণ সুস্থতা রুটিনে এটিকে যোগ করা দরকার মনে করেছেন ডাঃ তাসনুবা। নিজের দাঁতের যত্ন নিন নিয়মিত। সকালে ও রাতে খাওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে মুখের ভেতরের দিক পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দাঁত ব্রাশ করাই কিন্তু জরুরী নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফ্লস করা এবং জিহবা পরিষ্কার করা। একটা কথা নিশ্চয়ই জানেন যে, 'দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন'।
টিপস ৬
গোসলের ব্যাপারে পরিপূর্ণ নজর দিন এবার। বাইরে থেকে ঘেমে-নেয়ে এসে হুট করেই গোসল করতে ঢুকবেন না। এতে করে স্ট্রোক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। বরং ঠাণ্ডা বাতাসে একটু জিরিয়ে আস্তেধীরে গোসল করবেন।
টিপস ৭
নিম্নাঙ্গের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেবি ওয়াইপস ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকবে স্থানটি। সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই বরং পরিষ্কার পানিই এক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়!
টিপস ৮
মেকআপ করে নিজেকে রাঙাতে আপনি বেশ ভালোবাসেন, তাতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু সমস্যাগুলো তখনই শুরু হয় যখন আপনার মেকআপের সরঞ্জামাদি ও ব্রাশ অপরিষ্কার থাকে। এটা আপনার ত্বকের জন্য যে কতো বেশি ক্ষতিকর তা কখনো কল্পনাই করতে পারবেন না আপনি। নিয়মিত সম্ভব না হলেও অন্তত দুইদিন পর পর কিংবা সপ্তাহে তিনবার সমস্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যাও দূর হয়ে যাচ্ছে।
টিপস ৯
'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা'। জ্বি, এই সাধের চুলের যত্ন নিতে হবে বিশেষ করে। নয়তো অকালেই চুল পড়ে যাওয়া, পেকে যাওয়া কিংবা আগা ফেটে যাওয়ার মতন সমস্যায় পড়বেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন সময় করে গরম তেল মালিশ করতে পারেন এবং নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টিপস ১০
বছরের এ সময়টায় ঘামের দুর্গন্ধ হয় সবচেয়ে বেশি এবং এ ব্যাপারটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর। পোশাক পরিধানের আগে ডিওডোরেন্ট লাগিয়ে নিন এবং চেষ্টা করুন খুব আঁটসাঁট কাপড় না পরে ঢিলেঢালা কাপড় পরার। তাহলে শরীরে বাতাস চলাচলের অবস্থা থাকবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন, চার-পাচ ঘণ্টা পর ফ্রেশ হওয়ার জন্য 'ওয়েট ওয়াইপ' কিংবা ভেজা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। অনেকক্ষণ ফুরফুরে মেজাজে থাকতে পারবেন।
এ ছিলো নারীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছনতার জন্য দশটি টিপস। আশা করি, এগুলো আপনাদের সকলের বেশ কাজে লাগবে। শুভকামনা রইলো।