11-21-2017, 09:11 PM
বর্তমানে আরব লিগের সদস্যরাষ্ট্র ২২টি। আরবি রাষ্ট্রভাষার দেশ ২৫টি।
এর মধ্যে ১৯টির প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবি। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর, সুদান, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কো। বাকি ছয়টিতে আরবি দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা। এগুলো হলো, ইসরায়েল, জিবুতি, চাদ, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও কমরোজ। এগুলোর মধ্যে জিবুতি, কমরোজ ও সোমালিয়া আরব লিগের সদস্য। অন্যদিকে চাদ ওআইসির সদস্য হলেও ইসরায়েল ও ইরিত্রিয়া তা নয়। এ ছয় দেশের মধ্যে ইসরায়েল ছাড়া বাকিগুলো আফ্রিকা মহাদেশভুক্ত। আরব লিগের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২টিই এশিয়া মহাদেশভুক্ত ও এগুলোর সবার প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবি।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আলজেরিয়া ও সৌদি আরব (২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট বাহরাইন ও কমরোজ।
* জনসংখ্যায় ও শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে বড় ও অগ্রসর আরব দেশ মিসর এবং সবচেয়ে ছোট ও অনগ্রসর কমরোজ।
* জনসংখ্য অনুপাতে শিয়াদের হার সবচেয়ে বেশি বাহরাইন, ইরাক, লেবানন, কুয়েত ও সৌদি আরবে।
* জনসংখ্যা অনুপাতে খ্রিস্টানের হার সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ) লেবাননে। লেবাননের প্রেসিডেন্টের পদও তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
* কুর্দি অধ্যুষিত সবচেয়ে বড় আরব দেশ হলো ইরাক। ইরাকের উত্তর-পূর্বে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেখানে কুর্দিস্তান নামের তাদের স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল রয়েছে।
* অনারবি রাষ্ট্রভাষার দেশগুলোর মধ্যে ইরানের খুজেস্তান ও তাঞ্জানিয়ার জিঞ্জিবার প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি আরবিভাষী নাগরিক বিদ্যমান।
* আরব দেশগুলো কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। তার মধ্যে আরব উপদ্বীপে রয়েছে সাতটি দেশ। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কুয়েত।
শাম অঞ্চলে রয়েছে পাঁচটি দেশ। এগুলো হলো, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। অবশ্যই ইরাককে পৃথক অঞ্চল হিসেবেও গণ্য করা যায়। মিসর অঞ্চলের মধ্যে মিসরসহ লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কোকেও যুক্ত করা যায়। কারণ এ অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও বর্ণ প্রায় এক।
* কমরোজ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র (১৮৬২ বর্গ কিমি) দ্বীপরাষ্ট্র।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, জর্দান ও মরক্কোতে রাজতন্ত্র বিদ্যমান। তার মধ্যে জর্দান, মরক্কো, কুয়েত ও বাহরাইনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (নির্বাচিত পার্লামেন্ট) ও বাকিগুলোতে মনোনীত শুরা সদস্যনির্ভর সংসদ রয়েছে।
* পবিত্র কোরআনে বর্ণিত শব্দ দ্বারা বর্তমানে চারটি আরব দেশ রয়েছে। সেগুলো হলো, মিসর, ইসরায়েল (এটি নবী ইয়াকুবের অন্য নাম), বাহরাইন ও মরক্কো।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে শুধু মরক্কোর রাজার উপাধি হলো আমিরুল মুমিনিন।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে সালাফিজম বা ওয়াহাবিজম একটি উদীয়মান ফিতনা হলেও সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোথাও সালাফিরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় না।
* মাথাপিছু বার্ষিক আয়ে কাতার আরব বিশ্বে শীর্ষে ও পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হলেও নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধাদানের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতই সবচেয়ে এগিয়ে।
* কালো বর্ণের আরব দেশ সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওমর হাসান আল-বশির আমার জানামতে আরব বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ও ইসলামপন্থী শাসক। সাধারণত তিনি সাদা জুব্বা ও সাদা পাগড়ি পরে থাকেন।
* আফ্রিকার আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসর ও সুদানই একসময় বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধীনস্ত ছিল। বাকিগুলোর মধ্যে তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, জিবুতি ও কমরোজে ছিল ফ্রান্সের শাসন। লিবিয়া দখল করেছিল ইতালি।
* পশ্চিম সাহারা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মরক্কো ও আলজেরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্ব›দ্ব বিদ্যমান। মরক্কো এটাকে নিজের বলে দাবি করলেও আলজেরিয়া এটির স্বাধীনতার পক্ষে।
*আরব বিশ্বে অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিদ্যমান। তার মধ্যে শাম অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যেই এদের সংখ্যা বেশি। সেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান, বাহাঈ, দুরুজ, কাদিয়ানি, নুছাইরি (আলাভি), ইসমাঈলি ও শিয়াসহ (ইছনা আশারি) বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে।
* ইরাকে অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর পাশাপাশি ছাবেই (কোরআন শরিফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী) ও এজিদি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। ছাবেই হলো কোরআন শরিফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী। এজিদিরা হলো শয়তান পূজারি। তাদের মতে শয়তান বাবা আদমকে সিজদা না করে শিরক থেকে মুক্ত থেকেছে। শয়তানকে তারা ‘ময়ূর ফেরেশতা’ অভিহিত করে পূজা করে থাকে।
* ইহুদি, খ্রিস্টান, বাহাই ও ছাবেইদের সঙ্গে মুসলমানদের অনেক মিল রয়েছে। ধর্মকর্মে পিছিয়ে থাকা দুরুজদের অনেকে নিজেদের মুসলিম ভাবলেও তাদের অনেকে নিজেদের আলাদা সম্প্রদায় ভাবে। দুরুজদের মতো আলাভিরাও ধর্মকর্মে অনেক পশ্চাদপদ। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আলাভি সম্প্রদায়ভুক্ত।
* ওমান পৃথিবীর একমাত্র ইবাজি (একটি প্রাচীন খারেজি গোষ্ঠী) শাসিত দেশ। ওমান ছাড়াও আলজেরিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার আরব দেশগুলোতে ইবাজিদের অস্তিত্ব রয়েছে। ইবাজিদের হার ওমানে ৪০ শতাংশ। বাকিরা হানাফি সুন্নি।
* ইয়েমেনই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে জায়েদিরা (শিয়া ও সুন্নি চিন্তার মাঝামাঝি অবস্থানকারী একটি প্রাচীন ইসলামী গোষ্ঠী) দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল এবং বর্তমানেও (২০১৪ থেকে) তাদের দলভুক্ত ‘হুছি’ হিসেবে পরিচিতরা সেখানে ক্ষমতাসীন। ইয়েমেন একে তো দরিদ্র দেশ। এর ওপর সেখানে বিভিন্ন পক্ষের যুদ্ধের কারণে দেশটির মানুষের দুর্ভোগ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
* দক্ষিণ সৌদি আরবের নজরান প্রদেশে ইসমাইলিদের ব্যাপক অস্তিত্ব রয়েছে। ইসমাইলিরা একটি প্রাচীন শিয়া গোষ্ঠী, যার সঙ্গে বর্তমানে শিয়া হিসেবে খ্যাত ইরানে ক্ষমতাসীন ইছনা আশারিদের পার্থক্য রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ইসমাইলিদের অস্তিত্ব রয়েছে। বিহারি শিয়ারাও ইসমাইলি সম্প্রদায়ভুক্ত। ইউরোপের ধনকুবের চতুর্থ আগা খান (শাহ করিম হুসাইনি) তাদের বর্তমান বিশ্বনেতা।
সূত্র : ইন্টারনেট
এর মধ্যে ১৯টির প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবি। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর, সুদান, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কো। বাকি ছয়টিতে আরবি দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা। এগুলো হলো, ইসরায়েল, জিবুতি, চাদ, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও কমরোজ। এগুলোর মধ্যে জিবুতি, কমরোজ ও সোমালিয়া আরব লিগের সদস্য। অন্যদিকে চাদ ওআইসির সদস্য হলেও ইসরায়েল ও ইরিত্রিয়া তা নয়। এ ছয় দেশের মধ্যে ইসরায়েল ছাড়া বাকিগুলো আফ্রিকা মহাদেশভুক্ত। আরব লিগের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২টিই এশিয়া মহাদেশভুক্ত ও এগুলোর সবার প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবি।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আলজেরিয়া ও সৌদি আরব (২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট বাহরাইন ও কমরোজ।
* জনসংখ্যায় ও শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে বড় ও অগ্রসর আরব দেশ মিসর এবং সবচেয়ে ছোট ও অনগ্রসর কমরোজ।
* জনসংখ্য অনুপাতে শিয়াদের হার সবচেয়ে বেশি বাহরাইন, ইরাক, লেবানন, কুয়েত ও সৌদি আরবে।
* জনসংখ্যা অনুপাতে খ্রিস্টানের হার সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ) লেবাননে। লেবাননের প্রেসিডেন্টের পদও তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
* কুর্দি অধ্যুষিত সবচেয়ে বড় আরব দেশ হলো ইরাক। ইরাকের উত্তর-পূর্বে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেখানে কুর্দিস্তান নামের তাদের স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল রয়েছে।
* অনারবি রাষ্ট্রভাষার দেশগুলোর মধ্যে ইরানের খুজেস্তান ও তাঞ্জানিয়ার জিঞ্জিবার প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি আরবিভাষী নাগরিক বিদ্যমান।
* আরব দেশগুলো কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। তার মধ্যে আরব উপদ্বীপে রয়েছে সাতটি দেশ। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কুয়েত।
শাম অঞ্চলে রয়েছে পাঁচটি দেশ। এগুলো হলো, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। অবশ্যই ইরাককে পৃথক অঞ্চল হিসেবেও গণ্য করা যায়। মিসর অঞ্চলের মধ্যে মিসরসহ লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কোকেও যুক্ত করা যায়। কারণ এ অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও বর্ণ প্রায় এক।
* কমরোজ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র (১৮৬২ বর্গ কিমি) দ্বীপরাষ্ট্র।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, জর্দান ও মরক্কোতে রাজতন্ত্র বিদ্যমান। তার মধ্যে জর্দান, মরক্কো, কুয়েত ও বাহরাইনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (নির্বাচিত পার্লামেন্ট) ও বাকিগুলোতে মনোনীত শুরা সদস্যনির্ভর সংসদ রয়েছে।
* পবিত্র কোরআনে বর্ণিত শব্দ দ্বারা বর্তমানে চারটি আরব দেশ রয়েছে। সেগুলো হলো, মিসর, ইসরায়েল (এটি নবী ইয়াকুবের অন্য নাম), বাহরাইন ও মরক্কো।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে শুধু মরক্কোর রাজার উপাধি হলো আমিরুল মুমিনিন।
* আরব দেশগুলোর মধ্যে সালাফিজম বা ওয়াহাবিজম একটি উদীয়মান ফিতনা হলেও সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোথাও সালাফিরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় না।
* মাথাপিছু বার্ষিক আয়ে কাতার আরব বিশ্বে শীর্ষে ও পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হলেও নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধাদানের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতই সবচেয়ে এগিয়ে।
* কালো বর্ণের আরব দেশ সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওমর হাসান আল-বশির আমার জানামতে আরব বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ও ইসলামপন্থী শাসক। সাধারণত তিনি সাদা জুব্বা ও সাদা পাগড়ি পরে থাকেন।
* আফ্রিকার আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসর ও সুদানই একসময় বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধীনস্ত ছিল। বাকিগুলোর মধ্যে তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, জিবুতি ও কমরোজে ছিল ফ্রান্সের শাসন। লিবিয়া দখল করেছিল ইতালি।
* পশ্চিম সাহারা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মরক্কো ও আলজেরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্ব›দ্ব বিদ্যমান। মরক্কো এটাকে নিজের বলে দাবি করলেও আলজেরিয়া এটির স্বাধীনতার পক্ষে।
*আরব বিশ্বে অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিদ্যমান। তার মধ্যে শাম অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যেই এদের সংখ্যা বেশি। সেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান, বাহাঈ, দুরুজ, কাদিয়ানি, নুছাইরি (আলাভি), ইসমাঈলি ও শিয়াসহ (ইছনা আশারি) বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে।
* ইরাকে অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর পাশাপাশি ছাবেই (কোরআন শরিফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী) ও এজিদি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। ছাবেই হলো কোরআন শরিফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী। এজিদিরা হলো শয়তান পূজারি। তাদের মতে শয়তান বাবা আদমকে সিজদা না করে শিরক থেকে মুক্ত থেকেছে। শয়তানকে তারা ‘ময়ূর ফেরেশতা’ অভিহিত করে পূজা করে থাকে।
* ইহুদি, খ্রিস্টান, বাহাই ও ছাবেইদের সঙ্গে মুসলমানদের অনেক মিল রয়েছে। ধর্মকর্মে পিছিয়ে থাকা দুরুজদের অনেকে নিজেদের মুসলিম ভাবলেও তাদের অনেকে নিজেদের আলাদা সম্প্রদায় ভাবে। দুরুজদের মতো আলাভিরাও ধর্মকর্মে অনেক পশ্চাদপদ। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আলাভি সম্প্রদায়ভুক্ত।
* ওমান পৃথিবীর একমাত্র ইবাজি (একটি প্রাচীন খারেজি গোষ্ঠী) শাসিত দেশ। ওমান ছাড়াও আলজেরিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার আরব দেশগুলোতে ইবাজিদের অস্তিত্ব রয়েছে। ইবাজিদের হার ওমানে ৪০ শতাংশ। বাকিরা হানাফি সুন্নি।
* ইয়েমেনই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে জায়েদিরা (শিয়া ও সুন্নি চিন্তার মাঝামাঝি অবস্থানকারী একটি প্রাচীন ইসলামী গোষ্ঠী) দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল এবং বর্তমানেও (২০১৪ থেকে) তাদের দলভুক্ত ‘হুছি’ হিসেবে পরিচিতরা সেখানে ক্ষমতাসীন। ইয়েমেন একে তো দরিদ্র দেশ। এর ওপর সেখানে বিভিন্ন পক্ষের যুদ্ধের কারণে দেশটির মানুষের দুর্ভোগ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
* দক্ষিণ সৌদি আরবের নজরান প্রদেশে ইসমাইলিদের ব্যাপক অস্তিত্ব রয়েছে। ইসমাইলিরা একটি প্রাচীন শিয়া গোষ্ঠী, যার সঙ্গে বর্তমানে শিয়া হিসেবে খ্যাত ইরানে ক্ষমতাসীন ইছনা আশারিদের পার্থক্য রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ইসমাইলিদের অস্তিত্ব রয়েছে। বিহারি শিয়ারাও ইসমাইলি সম্প্রদায়ভুক্ত। ইউরোপের ধনকুবের চতুর্থ আগা খান (শাহ করিম হুসাইনি) তাদের বর্তমান বিশ্বনেতা।
সূত্র : ইন্টারনেট