Forums.Likebd.Com

Full Version: পাগলা হিমুর কাহিনি
You're currently viewing a stripped down version of our content. View the full version with proper formatting.
→ "হিমুর "অপলক তাকিয়ে থাকা দেখে কিছুটা লজ্জাবোধ করছিল সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশ অফিসার "রিতার"মাঝে।
কি অদ্ভুত কয়েদীরে বাবা!
যেখানে পুলিশ অফিসার দেখে ভয়ে কাঠ হয়ে থাকার কথা সেখানে কিনা সে ভাব নিয়ে অপলক তাকিয়ে থাকে!!
নাকি আমাকে নতুন দেখে সে ভয় পাচ্ছেনা! ধুরু সেকি জানে নাকি আমি নতুন নাকি পুরান? হিহিহি। কি আজেবাজে চিন্তা! এসব কথা গুলো নিজে নিজেই ভাবতে ভাবতে মুচকি হেসে লকাপের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো রিতা।
→ এক্সকিউজমি!!
হ্যাঁ বলুন।
আপনার কাছ থেকে কিছু জানার ছিল।
হাহাহা!! পাগলের কাছ থেকে কেউ কিছু জানতে চায় নাকি?
আরে আজিব তো!
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আমি আজিব, জীব না!!
আপনি পাগল কে বলছে?
যার সাথে একবার কথা হয় সেই ই বলে
হাহাহা!!
অদ্ভুত তো!!
তার উপরে কিছু থাকলে সেটা ও।
হিমুর উটকো অদ্ভুত আচারণে কিছুটা রাগও কৌতূহল জন্ম দেয় রিতার মাঝে
-দেখুন ঠিক করে কথা বলুন,,, না হয়!
না হয় কি ম্যাডাম?
পিটিয়ে হাড্ডিগুড্ডি গুড়ো করে ফেলব।কথাটা বলেই ঠোঁটের কোণের হাসিটাও গোপন রাখতে পারেনি পুলিশ অফিসার রিতা।
হাহাহা! হাহাহা!! তবে তাই করুন ম্যাডাম,,
আমার গুড়ো হাড় গুলো ও তবে অন্তত কোন না কোন কাজে লাগবে।
কি মুশকিল রে বাবা! আপনি কি এমনিতে অকেজো নাকি?
হ্যাঁ আমি এক্কেবারে অকেজো আর আগাছা, আজীব!
হাহাহা হাহাহা!!
এখন সত্যি সত্যি পাগল মনে হচ্ছে তাকে।কিন্তু তার গুছিয়ে কথা বলা সুদর্শন চেহারা আর পোশাকে( জিন্সের সাথে হলুদ পাঞ্জাবি পড়া) আর অঙ্গভঙ্গি তে মোটেও তাকে সেরকম মনে হচ্ছে না।
আচ্ছা আপনি লকাপে কেন?
পাগল তাই।হেহেহে।
পাগল কি হাজতে থাকে নাকি? পাগল তো থাকে পাবনা! হিহিহি।
না ম্যাডাম,মাঝেমধ্যে অদ্ভুত পাগল হাজতেও থাকে আর তাদের ধরে নিয়ে আসে ভাবের পাগলেরা।হাহাহা!!
এক্সকিউজমি!" আপনি কিন্তু পুলিশ কে অপমানিত করছেন!
নানা,,, ম্যাডাম পুলিশকে অপমান করব কেন?
পাগল!
আমি তো তাই বলেছি।
শাটাপ!
আগেই বলেছিলাম।
এবার কিছুটা রেগে গিয়ে হনহন করে ভেতরে চলে গেল রিতা।
পান্তা প্রিয় পান্তা প্রিয়?
জ্বী ম্যাডাম আমি এখানে।
পান্তা প্রিয় নাম শোনে হিমু কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।পুলিশ অফিসার রিতা পান্তা প্রিয় বলে ডাকলো আর মানুষটাএসে বলল আমি এখানে।কি অদ্ভুত নাম রে বাবা!! আগে তো বহুবার এই প্যাঁচাইল্লা পুলিশসাহেব আমাকে জেরার মুখে ফেলেছে ওসি সাহেবদের ডেকে।তার এই অদ্ভুত নাম তো শুনিনা আর তার নেমপ্লেটে তো অন্যনাম শোভা পাচ্ছে।পান্তা প্রিয় কেন? তার কি আর কোন নাম খোঁজে পায়নি।আচ্ছা সুযোগ হলে জেনে নেওয়া যাবে, তার পান্তাপ্রিয় নামের কারণ।
রিতা- পান্তাপ্রিয়?
পান্তাপ্রিয়- জ্বি ম্যাডাম
এই লোকটাকে এখানে ধরে আনছে কে? জ্বি ম্যাডাম আমরা ই তাকে শপিংমল এর সামনে পাগলামি করতে দেখে নিয়ে আসছি।
কেন?
আর বলবেন না ম্যাডাম!
ওর নাম হিমু।পুরো নাম জানিনা।
লোকে তাকে পাগলা হিমু নামেই ডাকে।
তবে সে কিন্তু সত্যি সত্যি পাগল না।
তবে?
তবে সে আধাপাগল।
হাহাহা!!
থামুন।
জ্বি ম্যাডাম
এতো স্মার্ট আর হ্যান্ডসাম একটা ছেলের এই অবস্থা কেন?
খোলে বলুন তার বৃত্তান্ত আপনি কি জানেন।
জ্বি ম্যাডাম আমি যতদূর জানতে পেরেছি।
ছেলেটা অত্যান্ত শিক্ষিত,মেধাবী ও চঞ্চল টাইপের।যদিও পাগলামি করে কিন্তু প্রায়শই মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেয়।একবার এই রাস্তায় তো আরেকবার শপিংমলে, একবার রেলস্টেশন তো অন্যবার লঞ্চঘাট। অনেক সময় অদ্ভুত কিছু করে মানুষের পিলে লাগিয়ে দেয় এবং সমাজের অনেক সম্মানী ও মান্যগণ্য মানুষ ভড়কে দেওয়ার মত অভিনব কৌশল জ্ঞান সম্পন্ন! আপনি সহজে বুঝতেই পারবেনা তার কথার আগাগোড়া। একবার কথা বললে ওকে পাগল ই মনে হবে।কিন্তু পরে আবার কথা বলতে বলতে ওর ভেতরে মিশে গেলে তা আর মনে হবেনা।ফোটে উঠবে তার মেধাজ্ঞানের পরিচয়! মাঝেমধ্যে অলৌকিক কিছু কান্ড করে বসে এবং যদিও তা কাকতালীয় ভাবেই বাস্তব হয়ে যায়।দীর্ঘ ৬ মাস থেকে তাকে এখানে দেখা যাচ্ছে।এই ছয়মাসে ১২ বার ওকে লকাপে ঢুকিয়েছি।কিন্তু তার অদ্ভুত আর অলৌকিক কাণ্ডকারখানার ফলে বড় সাহেবরা তাকে ছেড়ে দেন।
-রিতা ভাবনায় পড়ে যায় হিমুর জনক হুমায়ুন স্যারের হিমুদের রাজ্যে! সত্যি কি তবে হিমুদের অস্তিত্ব আছে বাস্তবতার সাথে? নাকি হিমু সিরিজ পড়ে,,, কয়দিন ভবঘুরে হয়ে আইকিউ স্কেলের জোরে মানুষ কে ভড়কে দেওয়ার মত কিছু কাকতালীয় কারসাজি করে পাঞ্জাবি পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পপুলারিটির জন্য সমালোচনায় আসতে হিমু সাজে এরা?
হতেও পারে হিমুর সাজে সেজে কোন কালোবাজারের এজেন্ডা এরা! নানা রকম চিন্তায় পড়ে যায় রিতা।
না,,,এভাবে শুধু হিমুদের উৎপত্তি বাড়তে দেওয়া যায়না।খতিয়ে দেখতে হবে হিমু হবার আসল কাহিনী!
রিতা-পান্তাপ্রিয়?
জ্বি ম্যাডাম,,
তাকে বের করে এখানে নিয়ে আসেন।
জ্বি আচ্ছা মেডাম।
হিমু আর রিতা মুখোমুখি বসে আছে।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত নামের পান্তাপ্রিয়এর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে হিমু।পান্তাপ্রিয়ের গলা শুকিয়ে আসছে,,সে অনুধাবন করতে পারছে হিমু এবার তাকে বিপাকে ফেলতে যাচ্ছে।কারণ এর আগে যতবার ওকে লকাপে ঢুকানো হয়েছিল কিংবা রাস্তায় জেরা করা হয়েছিল ততবার সে কাউকে না কাউকে ভড়কে দিয়েছিল।শেষবার তো ওসি সাহেব প্রায় ঠাডাপড়া মানুষের মত হয়েগিয়েছিল।ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া মুখটা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল হিমুর কাছে! পান্তাপ্রিয় সাহেব?
হিমুর ডাকে প্রায় পেট মুচড় দিয়েই উঠে পান্তাপ্রিয়র।তোতলাতে তোতলাতে উত্তর দিল,,
জিজ্জজ্জজি হিম্মম্মমু ভায়ায়ায়াই,,
এই অফিসার ম্যাডাম তো এখানে নতুন এসেই আবার নেত্রকোনার মদনপুরে চলে যাবেন,,আপনি কি উনার সাথেই যাবেন? লোকটি কিছুটা ভেবাচেকা হয়ে গেলেও,,
রিতার প্রচণ্ড রকমের বিরক্তি লাগছিল।
সে সিরিয়াসলি না নিয়ে। হিমুর দিকে তাকিয়ে বললো
আপনার আজগুবি কথা বাদ দিন।
এখন আমি যা প্রশ্ন করব তার ঠিকঠাক উত্তর দিবেন,,,ওকে??
আমি যদি ঠিকঠাক উত্তর না দেই আপনি কি বুঝতে পারবেন?
পারি না পারি আপনি ঠিক উত্তর দিবেন।
আচ্ছা আমি ভুল উত্তর দিলে আপনি সেকেন্ড টাইম আস্ক করবেন না।আরে আজীব তো!!,,সেটা আগেই বলেছিলাম।
এই পান্তাপ্রিয়,,,এরে বাহিরে ছেড়ে দিয়ে আসেন।
শহরের উঁচুউঁচু দালান আর ব্যস্ত রাস্তা ছেড়ে প্রত্যন্ত গ্রামের মেঠো পথে হিমু।বিচিত্র রকমের কোলাহল আর ব্যস্ত রাস্তার বদলে দেখা মিলে সাড়িসাড়ি গাছপালার আর মাঠে কৃষকের নিরবে দেশ গড়ার কাজের চিত্র।দেখা মিলে গ্রামের সহজ সরল মানুষের।এদের সরল মনের অকৃত্রিম ভালবাসা টা একদম বিনে পয়সায় আদায় করা যায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডে! এখানে ইটটপাথরের গড়া দালানের মত মানুষের মন পাথর নয়।দৃষ্টিযতদূর যায় দেখা যায় মনভোলানো সব প্রাকৃতিক অপরূপ রূপের।
কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে হিমুর ভেতর।হৃদয়ে কিছু
টান টান অনুভূতি! সামনে একটা গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু নদীর পাকা ব্রিজ।ব্রিজের শানপাথরে খুঁদাই করে লেখা,,রামপুর ভবানি সেতু।
নিচে আরো অনেক কিছুই লেখা
হ্যাঁ নাড়িরটান! প্রত্যন্ত এই গ্রামটাতেই হিমুর বাবার মায়ের জন্ম! তাই জন্মভূমিতে পা রাখতেই ভেতরের অনুভূতিরা জেগে উঠলো।আর এইগ্রামে ই বেড়ে ওঠা রেশমার সাথে
কলেজ জীবন থেকে শুরু করে বি সি এস করার সময়টা অব্ধি দুজনে মিলেমিশে চলে,, এক সময় কিছুটা মনের লেনদেন হয় হিমুর মাঝে।জন্মের পরে ছোটকালে দুবার আসলেও বড় হয়ে আর আসা হয়নি এই গ্রামটাতে।আজ আবার হিমুর বেশে পাগল হয়ে গন্তব্যহীন পথের পথিক হয়ে ফিরে এলো হিমু!! হিমু হবার দেশে!!
হ্যাঁ বলা যেতে পারে এই গ্রামের কিংবা এখানে জন্ম নেওয়া মা-বাবা এবং রেশমার জন্যই আজ,হিমাদ্রি হাবিব হিমু থেকে সে শুধু হিমু কিংবা পাগলা হিমুতে।
ভার্সিটি জীবনে বাবা-মায়ের রিলেশন এবং সেই সুত্র থেকে কর্ম জীবনে গিয়ে বিয়ে করে ইটপাথরের শহর ঢাকা শহরে গিয়ে ঘরবাঁধেন তারা।বাবা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী আর ডাক্তার মায়ের ঘর আলোকিত করে জন্ম এই হিমদ্রি হাবিব হিমুর।না খুব বেশিদিন আলোকপাত হয়নি তাদের জীবন।ইটপাথরের শহরে এসে মন নামের বস্তুটাকেও ইট পাথরের ন্যায় করে নেয় সবাই।হিমুর বাবাও তাদের দলের একজন।রোগীদের সেবা দিয়ে বাড়ি ফিরতে অনেক সময় রাত অনেক হয়ে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ থেকে খুনসুটি, খুনসুটি থেকে ঝগড়া, এক সময় ঝগড়া থেকে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের এবং বিচ্ছেদ জ্বালা সইতে না পেরে লজ্জায় ক্ষোভে আকাশের তারা হয়ে যান হিমুর মা।কিছুদিন পর বাবা ঘরে তোলে নতুন মা,,হিমাদ্রির জীবনে এসে ভর করে হিমু হবার মন্ত্র!তারপর শত প্রতিকূলতার মাঝে নিজেকে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা হিমুর।কিন্তু তাও আর হয়ে ওঠলোনা।জীবনের প্রতিটা বাঁকেবাঁকে যখন হিমু থেমে যেতে চাইতো ঠিক তখনি রেশমা ই তাকে শক্তি সাহস চঞ্চার করে অনুপ্রেরিত করে চলার মন্ত্র দিতো! স্বপ্ন দেখাতো। আজ সেই রেশমা ও উড়াল দিয়ে পালিয়ে গেছে, জীবন থেকে!! মা তো বহু আগেই আকাশের তারা হয়ে গেছে!
কি আর আছে হিমুর জীবনে?
তাই হিমাদ্রি নয় হিমুতে নিজেকে আবিষ্করণ করে।অতীতের কথা মনে পড়তেই গগনবিদারী আর্তনাদ বুকভরা হাহাকারে ক্লিষ্ট করে হিমুর হৃদয়।নাহ,,,
আর সামনে পা বাড়াবো না,অভিশপ্ত এই গ্রামে নিজেকে প্রকাশ করতে চাইনা।ঘুরেহাটা ধরতেই পেছন থেকে
পিপ,, পিপ,, পিপ!!
গাড়ির হর্ণ শোনে মাথা নিচু করে রাস্তার সাইডে চলে গিয়ে দাঁড়াতেই এবার নিজেই ভড়কে যায় সেই ইটপাথরের শহরের কাওরান বাজার থানার পুলিশ অফিসার রিতা!আরে আরে এইতো সেই হিমু।
পান্তাপ্রিয়?
জ্বি ম্যাডাম?
এটা সেই হিমু না?
জ্বি ম্যাডাম।
এই এই হিমু?
পুলিশের গাড়ি দেখে হিমু হাটা ধরে,,
না দাঁড়িয়ে,এমনিতে মনের আকাশে ঝড় উঠে আছে,তারউপর উটকো ঝামেলা মোটেও তার ভাল লাগবেনা।
হিমু,,,হিমু,,ডেকেও সাড়া না পেয়ে গাড়িয়ে নিয়ে হিমুর সামনে দাঁড়ালো রিতা।।
এই হিমু ডাকছি তুমি দাঁড়াচ্ছোনা কেন?
এমনি,,,
আর তুমি এখানে কেন?
আমি কোথায় থাকব?
কেন সব সময় যেখানে থাকো
না হিমুরা সব সময় এক জায়গায় থাকেনা।আপনি পড়েন নি হুমায়ুন স্যারের হিমু? হিমুদের সারাদুনিয়ায় রাজত্ব?
হ্যাঁ পড়েছি তো,
তো তুমি কি হিমুর গল্প পড়েই হিমু সেজেছো?
ম্যাডাম আজ মনটা ভীষণ খারাপ,,
আমি বেশি কথা বলতে চাচ্ছিনা।
হিমুরা প্রাকৃতিক ভাবেই হিমুতে রুপান্তরিত হয়।বেশভূষা কাউকে হিমু বানায় না।বাই,,,,
আরে আরে দাঁড়াও!"আমি মজা করছি।
কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন।।
তুমি না বলেছিলে আমি নেত্রকোনা মদনপুরে চলে যেতে হবে? সাথে পান্তাপ্রিয়? হু
সত্যি তুমি প্রাকৃতিক রিয়েল হিমু।
তোমার কথাই সত্য হয়েছে।আমার মদন পুরেই বদলি হয়েছে।কিন্তু কেন জানো?
এই হিমুর খোঁজেই হিমুর দেশে আমায় পাঠানো হয়েছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিমু হবার রহস্য উন্মোচন করার।
আর হিমুকে হিমু থেকে হিমাদ্রি বানিয়ে একজন বি সি এস ক্যাডারের যোগ্যতার মূল্যায়ন করার কাজে সরকারকে ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার সহযোগীতা করার।
দেখো হিমু।।আমি তোমার সব খোঁজ নিয়েছি।হিমু হবার পেছনের গল্প ও জেনেছি,,আর দায়িত্ব পাবার পর ই তোমাকে খুঁজছি।যাক অবশেষ তোমার দেখা পেলাম।আমার দায়িত্ব আমি পালন করতে পারব।তোমাকে পাগলা হিমু থেকে হিমাদ্রি হাবিব হিমু হতে হবে।আমি সাকসেস হতে চাই ।এসো হিমু আমার সাথে।।
না ম্যাডাম আপনি সাকসেস হতে পারবেন না।।আপনি আমায় নিয়ে যেতে রাস্তায় নেমেছেন ঠিক।কিন্তু হিমুদের যে বন্ধি করে রাখা যায়না সেই মন্ত্র পড়েননি,, আর ধরে নেওয়ার জন্য সাথে নিয়ে ঘুরেন পান্তাপ্রিয় ভাইকে,, যিনি কিছুক্ষণ আগে শ্বশুর বাড়ি থেকে সাপ্লাই দেওয়া বিরিয়ানি খেয়ে এখন পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে আছে।আগে উনারে হসপিটাল নিন।
,,দেখো হিমু একদম পাগলামি করবেনা
হাহাহা ম্যাডাম আমি যে পাগলা হিমু।।
ব্রিজ থেকে নদির পানিতে হিমুর ঝাপ!! অফিসার রিতা পান্তাপ্রিয়র দিকে তাকিয়ে তার অবস্থা বুঝতে মোটেও বাকি নেই।কি অদ্ভুত আচানক কান্ডরে বাবা!! কি করবেন তিনি,
পানিতে ঝাপ দিবেন নাকি পান্তাপ্রিয়কে নিয়ে হসপিটাল যাবেন।
মেজাজ খুব বিগড়ে গেল।এই পান্তাপ্রিয় তুমি বাসায় অফিসেও পান্তাভাত খেতে খেতে নামটাই পান্তাপ্রিয়তে নিয়ে এসে আজকে কেন বিরিয়ানি খেতে গেলে? যেটা তোমার পেটে সয়না!??
আস্তে আস্তে ডুব দিয়ে আবার সাঁতার কেটে রিতার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো হিমু।
সত্যি সে পাগল।হিমুরা পাগলাটেই হয়
কিন্তু এই পাগলা হিমুর মত হয়না!
না পারেনি রিতা হিমুকে হিমাদ্রিতে ফিরিয়ে আনতে,পারেনি তার পাগলাটে জীবন থেকে একজন যোগ্য অফিসারের বেশে দেখতে খুব ইচ্ছে ছিল এই পাগলাটাকে অফিসার বানিয়ে নিজেকে পাগলার রেশমার জন্য বরাদ্ধকৃত ভালবাসায় ভাগ বসিয়ে নিজেকে পাগলার পাগলী বানাতে।।নাহ,,,হলোনা হিমুর সাথী হবার সুযোগ। হিমুরা এভাবেই কুয়াশার মত হয়,দেখা যায়,ছোঁয়াযায়না।ছুঁতে গেলে হারিয়ে যায়।
হয়তো আবারো দেখাযাবে তাকে কোন প্রত্যন্ত পর্বত,মেঠোপথ কিংবা ব্যস্ত রাস্তায়।
না,,,হিমুরা পাগলা হয়,হিমুদের পাগলী হয়না।।।
শুভকামনা সকল পাগলা হিমুদের জন্য।।
লেখায়ঃমাহবুব আলম বাবু।।