01-02-2018, 04:32 PM
ছেলেটার নাম অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।।
মেয়েটার নাম এখন মনে নাই। তারা দুই জন ইন্টারে একই
ক্লাসে পড়ে ।ছেলেটা ক্লাসের প্রথম দিন
মেয়েটাকে দেখে ভালোবেসে ফেলে।
ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবাসতো এটা কেউ
জানতো না এমনকি মেয়েটা ও না। কয়েকদিন পর ক্লাসের
সবাই জেনে যায় ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবাসে ।
দেখতে দেখতে কেটে যায় অনেক দিন। তারপর
কম্পিউটার একটি কোর্সে তার বন্ধুদের সাথে ছেলেটা
ভর্তি হয়। সেখানে মেয়েটা ও ভর্তি হয়। কম্পিউটার
ক্লাসে বন্ধুদের সাথে দুষ্টামি করতে করতে কখন যে
ছয় মাস চলে যায় তা টের ও পেল না। কিন্তুু মেয়েটাকে
ছেলেটা এখনো বলেনি আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তারপর তার বন্ধুরা সবাই বলে তুই মেয়েটাকে তোর
জীবনের চাইতে অনেক ভালোবাসিস তাকে বলে দেয়
তুই তাকে ভালোবাসিস । তারপর ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিল
মেয়েটাকে প্রপোজ করবে। কিন্তুু কিভাবে করবে
বুজতে পারছে না। হঠাৎ একজন বন্ধু ছেলেটাকে
মেয়েটার নাম্বার দিল। ছেলেটা মেয়েটাকে কল দিয়ে
তার ভালোবাসার কথা বললো কিন্তুু মেয়েটা ছেলেটাকে
পাত্তা দিলো না। ছেলেটা তার হাত কেটে মেয়েটার নাম
তার হাতে লেখে। ছেলেটা তার জীবনের চাইতে ও
মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তুু মেয়েটা
ছেলেটাকে বুঝতে পারলো না। ছেলেটা
মেয়েটাকে যখন তার ভালোবাসার কথা আবার বলে। তখন
মেয়েটা ছেলেটাকে বলে এটা নাকি আবেগের
ভালোবাসা বিবেগের না। তখন ছেলেটার কান্না কে
দেখে। ছেলেটা পড়া-শুনা ঠিক মত করে না। পড়তে
বসলে মেয়েটার কথা তার মনে হয়। খাওয়া-দাওয়া ঠিক মত
করে না । ঘুম ও ঠিক মত যায় না। দেখতে দেখতে কবে
যে এক বছর চলে গেল তা টের ও পেল না ছেলেটা।
রমজান মাস চলে আসলো। কলেজ ও বন্ধ দিল এক মাস দশ
দিন। ছেলেটা মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য
প্রত্যেক দিন কলেজে যেত। এখন কলেজ ও বন্ধ
ছেলেটা মেয়েটাকে তো আর দেখতে পাবে না
এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই ছেলেটা তার এক
বান্ধুবীর কাছে মেয়েটার ছবি চাইলো কিন্তুু তার বান্ধুবী
তাকে মেয়েটার ছবি দিল না। ছেলেটা মেয়েটা এক নজর
দেখার জন্য পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল। কি আর করা
ছেলেটা মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য মেয়েটার
বাড়ি গিয়েছিল। অনেক চেষ্টার পর ও মেয়েটাকে পাওয়া
যায়নি। সেইদিন ভরাকান্ত মন নিয়ে ছেলেটা ফিরে আসে।
তিন-চার দিন পর ছেলেটা আবার মেয়েটার বাড়ি যায়। সেই দিন
মেয়েটার সাথে তার দেখা হয় এবং অনেক কথা হয়।
মেয়েটার সাথে দেখা করে আসার পর ছেলেটা লম্বা
একটা ঘুম দেয়। অনেক দিন পর ছেলেটা ঘুম গেল। তারপর
ছেলেটা মেয়েটার একটা ছবি সংগ্রহ করে ছবিটা
দেখতো আর ছবিটার সাথে কথা বলতো। রমজান মাস শেষ
হয়ে গেল। ঈদ ও শেষ কলেজ ও খুলেছে। কিন্তুু
মেয়েটা কলেজে এখন আর আগের মত আসে না। কারণ
মেয়েটার আব্বু অসুস্থ তার আব্বুকে ঢাকায় একটা হাসপাতালে
ভর্তি করছে। তার আব্বু সুস্থ হয়ে বাড়ি আসলো। কিন্তুু
মেয়েটা তুবু ও কলেজে আসে না। কলেজে আসলে
ও এক দিন দুই দিন আসে। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ছেলেটার
মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজটা দেখে
ছেলেটার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মেসেজটা
ছিল এইরকম, ফাতেমার বিয়ে দশ তারিখ।
তখন ছেলেটার কান্না কে দেখে। ছেলেটা লুকিয়ে
লুকিয়ে কাদে। সবার সামনে হাসি-খুশি থাকে ছেলেটা। কিন্তুু
ভিতরে তার বুক ফেটে যাচ্ছে সেটা কাউকে বুজতে
দিচ্ছে না।কিন্তু কি আর করা ছেলেটার যে আর কিছু করার
নেই। ছেলেটা শেষ যেদিন দেখেছিল মেয়েটাকে
কলেজে দেখেছিল সেইদিন ছেলেটার কি অবস্তা
হয়েছিল সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। মেয়েটার
বিয়ের আর যে কয়দিন ছিল ছেলেটা পাগলের মত হয়ে
গিয়েছিল। এখন আর যে কিছুই করার নেই। মেয়েটার
যেদিন সন্ধা হলুদ সেদিন ছেলেটা সবাইকে মোবাইল
করে গান শুনায়। গানটা ছিল এরকম
“ওরে মাটি হব মাটি
কেন কর কান্নাকাটি
আতর আনো , লোবান আনো
সাজাও আমায় পরিপাটি”
সবাইকে একটা মেসেজ দিয়ে সবার থেকে মাপ ছেয়ে
নিয়েছে ছেলেটা।অনেকেই মনে করেছে
ছেলেটা শয়তানি করে। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল
কেউ কল্পনা ও করতে পারলো না। মেয়েটার যেদিন
বিয়ে সেইদিন ছেলেটা অবস্তা খুব খারাপ ছিল। মেয়েটা
বিয়ের দিন যে সময় গোসল করেছিল ছেলেটা ও সেই
সময় গোসল করেছিল। মেয়েটা যে সময় টুকটুকে লাল
শাড়ি পড়েছিল। ছেলেটা ও সেই যে সময় দপদপে সাদা
কাপড় পড়েছিল।মেয়েটা যে সময় গাড়ি করে তার শুশুর বাড়ি
যাচিছল। ছেলেটা ও সেই যে সময় খাটনি করে কবরের
দিকে যাচিছল। মেয়েটা গেল বাসর ঘরে আর ছেলেটা ও
তখন চলে যায় এমন এক দেশে যেখান থেকে কেউ
আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারে না। আর কোনদিন
ছেলেটা বলবে না আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আর কোনদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করবে না।
আর কোন দিন তোমার কলেজে আসা পথের দিকে
চেয়ে থাকবে না।
আর কোনদিন তোমাকে এক নজর দেখার জন্য পাগলের
মত কোথায় ও ছুটে যাবে না।
post: হেমন্তে বর্ষায় আমি
মেয়েটার নাম এখন মনে নাই। তারা দুই জন ইন্টারে একই
ক্লাসে পড়ে ।ছেলেটা ক্লাসের প্রথম দিন
মেয়েটাকে দেখে ভালোবেসে ফেলে।
ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবাসতো এটা কেউ
জানতো না এমনকি মেয়েটা ও না। কয়েকদিন পর ক্লাসের
সবাই জেনে যায় ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবাসে ।
দেখতে দেখতে কেটে যায় অনেক দিন। তারপর
কম্পিউটার একটি কোর্সে তার বন্ধুদের সাথে ছেলেটা
ভর্তি হয়। সেখানে মেয়েটা ও ভর্তি হয়। কম্পিউটার
ক্লাসে বন্ধুদের সাথে দুষ্টামি করতে করতে কখন যে
ছয় মাস চলে যায় তা টের ও পেল না। কিন্তুু মেয়েটাকে
ছেলেটা এখনো বলেনি আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তারপর তার বন্ধুরা সবাই বলে তুই মেয়েটাকে তোর
জীবনের চাইতে অনেক ভালোবাসিস তাকে বলে দেয়
তুই তাকে ভালোবাসিস । তারপর ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিল
মেয়েটাকে প্রপোজ করবে। কিন্তুু কিভাবে করবে
বুজতে পারছে না। হঠাৎ একজন বন্ধু ছেলেটাকে
মেয়েটার নাম্বার দিল। ছেলেটা মেয়েটাকে কল দিয়ে
তার ভালোবাসার কথা বললো কিন্তুু মেয়েটা ছেলেটাকে
পাত্তা দিলো না। ছেলেটা তার হাত কেটে মেয়েটার নাম
তার হাতে লেখে। ছেলেটা তার জীবনের চাইতে ও
মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তুু মেয়েটা
ছেলেটাকে বুঝতে পারলো না। ছেলেটা
মেয়েটাকে যখন তার ভালোবাসার কথা আবার বলে। তখন
মেয়েটা ছেলেটাকে বলে এটা নাকি আবেগের
ভালোবাসা বিবেগের না। তখন ছেলেটার কান্না কে
দেখে। ছেলেটা পড়া-শুনা ঠিক মত করে না। পড়তে
বসলে মেয়েটার কথা তার মনে হয়। খাওয়া-দাওয়া ঠিক মত
করে না । ঘুম ও ঠিক মত যায় না। দেখতে দেখতে কবে
যে এক বছর চলে গেল তা টের ও পেল না ছেলেটা।
রমজান মাস চলে আসলো। কলেজ ও বন্ধ দিল এক মাস দশ
দিন। ছেলেটা মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য
প্রত্যেক দিন কলেজে যেত। এখন কলেজ ও বন্ধ
ছেলেটা মেয়েটাকে তো আর দেখতে পাবে না
এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই ছেলেটা তার এক
বান্ধুবীর কাছে মেয়েটার ছবি চাইলো কিন্তুু তার বান্ধুবী
তাকে মেয়েটার ছবি দিল না। ছেলেটা মেয়েটা এক নজর
দেখার জন্য পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল। কি আর করা
ছেলেটা মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য মেয়েটার
বাড়ি গিয়েছিল। অনেক চেষ্টার পর ও মেয়েটাকে পাওয়া
যায়নি। সেইদিন ভরাকান্ত মন নিয়ে ছেলেটা ফিরে আসে।
তিন-চার দিন পর ছেলেটা আবার মেয়েটার বাড়ি যায়। সেই দিন
মেয়েটার সাথে তার দেখা হয় এবং অনেক কথা হয়।
মেয়েটার সাথে দেখা করে আসার পর ছেলেটা লম্বা
একটা ঘুম দেয়। অনেক দিন পর ছেলেটা ঘুম গেল। তারপর
ছেলেটা মেয়েটার একটা ছবি সংগ্রহ করে ছবিটা
দেখতো আর ছবিটার সাথে কথা বলতো। রমজান মাস শেষ
হয়ে গেল। ঈদ ও শেষ কলেজ ও খুলেছে। কিন্তুু
মেয়েটা কলেজে এখন আর আগের মত আসে না। কারণ
মেয়েটার আব্বু অসুস্থ তার আব্বুকে ঢাকায় একটা হাসপাতালে
ভর্তি করছে। তার আব্বু সুস্থ হয়ে বাড়ি আসলো। কিন্তুু
মেয়েটা তুবু ও কলেজে আসে না। কলেজে আসলে
ও এক দিন দুই দিন আসে। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ছেলেটার
মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজটা দেখে
ছেলেটার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মেসেজটা
ছিল এইরকম, ফাতেমার বিয়ে দশ তারিখ।
তখন ছেলেটার কান্না কে দেখে। ছেলেটা লুকিয়ে
লুকিয়ে কাদে। সবার সামনে হাসি-খুশি থাকে ছেলেটা। কিন্তুু
ভিতরে তার বুক ফেটে যাচ্ছে সেটা কাউকে বুজতে
দিচ্ছে না।কিন্তু কি আর করা ছেলেটার যে আর কিছু করার
নেই। ছেলেটা শেষ যেদিন দেখেছিল মেয়েটাকে
কলেজে দেখেছিল সেইদিন ছেলেটার কি অবস্তা
হয়েছিল সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। মেয়েটার
বিয়ের আর যে কয়দিন ছিল ছেলেটা পাগলের মত হয়ে
গিয়েছিল। এখন আর যে কিছুই করার নেই। মেয়েটার
যেদিন সন্ধা হলুদ সেদিন ছেলেটা সবাইকে মোবাইল
করে গান শুনায়। গানটা ছিল এরকম
“ওরে মাটি হব মাটি
কেন কর কান্নাকাটি
আতর আনো , লোবান আনো
সাজাও আমায় পরিপাটি”
সবাইকে একটা মেসেজ দিয়ে সবার থেকে মাপ ছেয়ে
নিয়েছে ছেলেটা।অনেকেই মনে করেছে
ছেলেটা শয়তানি করে। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল
কেউ কল্পনা ও করতে পারলো না। মেয়েটার যেদিন
বিয়ে সেইদিন ছেলেটা অবস্তা খুব খারাপ ছিল। মেয়েটা
বিয়ের দিন যে সময় গোসল করেছিল ছেলেটা ও সেই
সময় গোসল করেছিল। মেয়েটা যে সময় টুকটুকে লাল
শাড়ি পড়েছিল। ছেলেটা ও সেই যে সময় দপদপে সাদা
কাপড় পড়েছিল।মেয়েটা যে সময় গাড়ি করে তার শুশুর বাড়ি
যাচিছল। ছেলেটা ও সেই যে সময় খাটনি করে কবরের
দিকে যাচিছল। মেয়েটা গেল বাসর ঘরে আর ছেলেটা ও
তখন চলে যায় এমন এক দেশে যেখান থেকে কেউ
আর কোনোদিন ফিরে আসতে পারে না। আর কোনদিন
ছেলেটা বলবে না আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আর কোনদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করবে না।
আর কোন দিন তোমার কলেজে আসা পথের দিকে
চেয়ে থাকবে না।
আর কোনদিন তোমাকে এক নজর দেখার জন্য পাগলের
মত কোথায় ও ছুটে যাবে না।
post: হেমন্তে বর্ষায় আমি